Home কৃষি বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যান্ড লিডারশিপ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল ...

বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যান্ড লিডারশিপ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সেমিনারটি আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস (ডিএসসিই)-এর উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাব


গত কয়েক বগত কয়েক বছর ধরেই দেশের কৃষিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। এর ফলে লবণাক্ততা, খরা ও বন্যা কিংবা জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ঝুঁকি মোকাবেলা করে দেশের শস্য উত্পাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজন ঘাত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি সাবলীল রাখতে বিভিন্ন শস্যের ঘাত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যান্ড লিডারশিপ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল সেমিনারটি আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস (ডিএসসিই)-এর উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাব। সেমিনারে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে তথ্য অনুসন্ধান ও ডিজিটালি দক্ষতা বাড়ানোর গুরুত্বের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন বক্তারা।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাউন্সিল অব ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (জার্মানি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মহেশ গান্ধী বলেন, কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়েছিল। প্রতিটি দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে যেতে হবে যাতে সবকিছু মসৃণভাবে কাজ করতে পারে। অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড, বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কেএসএম মুস্তাফিজুর রহমান এবং সেশনের সভাপতি ছিলেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের (ডিএসসিই) উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ও আইটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ।
বক্তারা বলেন, কৃষি খাতে উত্পাদন বৃদ্ধিতে ঘাত সহিষ্ণু জাতের বীজের সম্প্রসারণ করতে হবে। একই সঙ্গে এসব জাতের ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে প্রচারণা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ডিজিটাল অর্থনীতি বেশ উপযোগী তবে এজন্য সাইবার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেতৃত্বেরও প্রয়োজন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কুণাল শীল। তিনি বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে কোম্পানি ও ভোক্তারা ভীষণ প্রভাবিত হন। একটি ব্যবসা কীভাবে বিকাশ লাভ করবে তা ডিজিটাল উদ্যোগের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষিতে ডিজিটাল সুবিধা বাস্তবায়নে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা বাস্তবায়নে কার্যকর পরিকল্পনা প্রয়োজন। এছাড়া উন্নত সেবা পেতে স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটালাইজেশন জরুরি। দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।

সেমিনারে উদ্যোক্তা উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য কেএসএম মুস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ক্লাবের সম্মানসূচক আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন ও সারা তাসনিম। এছাড়া উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আফিয়া আক্তার ও মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন,ছর ধরেই দেশের কৃষিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। এর ফলে লবণাক্ততা, খরা ও বন্যা কিংবা জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ঝুঁকি মোকাবেলা করে দেশের শস্য উত্পাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজন ঘাত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি সাবলীল রাখতে বিভিন্ন শস্যের ঘাত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।