Home সারা বাংলা কৃষকদের নিয়ে ফুটবলের আয়োজন প্রতি বছরই হওয়া দরকার…..ইউএনও গাজী শরিফুল হাসান

কৃষকদের নিয়ে ফুটবলের আয়োজন প্রতি বছরই হওয়া দরকার…..ইউএনও গাজী শরিফুল হাসান


শামসুজ্জামান ডলার ও জহিরুল হাসান মিন্টুঃ মতলব উত্তর উপজেলায় কৃষকদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠি হয়।

২২ মে রবিবার বিকালে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে(প্রস্তাবিত) উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের নিয়ে লাল দল ও সবুজ দল নামে দু’টি টিমে খেলাটি অনিষ্ঠিত হয়। খেলায় সবুজ দল ২-১ গোলের ব্যবধানে লাল দলকে পরাজিত করে।

মতলব উত্তর স্পোর্টসক্লাব আয়োজিত এই খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি গাজী শরিফুল হাসান।

পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান পূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মতলব উত্তর স্পোর্টসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শামীম খানের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক কামরুজ্জামান হারুন ও মতলব উত্তর স্পোর্টস ক্লাবের কর্মকর্তা রাজিব প্রধানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছেংগারচর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ হেদায়েত উল্যাহ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুল মান্নান বেপারী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডলার।

খেলার ১০ মিনিটের মাথায় সবুজ দলের পক্ষে বাবু গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়।দ্বিতীয়ার্ধের ৯ মিনিটের সময় সবুজ দলের সোহেল কয়েকজনকে কাটিয়ে বল পাঠিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের জালে। ফলে সবুজ দল ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। খেলার ১৯ মিনিটের সময় লাল দলের নূরে আলম কয়েকজনকে কাটিয়ে দলের পক্ষে গোল করলে খেলার ফলাফল দাড়ায় ২-১ এ। এই ২-১ গোলের ব্যবধানেই সবুজ দল লাল দলকে পরাজিত করে।

খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন বজলুল গনি এবং সহকারী রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন মহসীন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন। খেলার ধারাবর্ননায় ছিলেন লোকমান হোসেন।

কৃষকদের এই খেলা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলোয়াড়দের এক এক জনের বয়স ৪৫ থেকে ৫৫ বা ৬০ এর কোঠায় হলেও তাদের খেলা দর্শকদের মন জয় করে। দর্শকরা মুহুমুহু করতালির মাধ্যমে উভয় দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহীত করে।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কৃষকদের নিয়ে এ ধরনের জমজমাট একটি ফুটবল খেলা আয়োজন করার জন্য খেলার আয়োজক মতলব উত্তর স্পোর্টসক্লাব ও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শামীম খানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই আয়োজন চমৎকার আয়োজন। এধরনের আয়োজন সাধারনত হয়না। আমি বিশ্বাস করি কৃষকদের নিয়ে এধরনের আয়োজনের কারনে কৃষকরা খুবই খুশি হয়েছে। কৃষকদের নিয়ে এধরনের ফুটবল খেলার আয়োজন প্রতি বছরই হওয়া দরকার ।