Home ক্যাম্পাস খবর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাপ্রোচিং বাংলাদেশ ট্রেনিং প্রোগ্রাম’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাপ্রোচিং বাংলাদেশ ট্রেনিং প্রোগ্রাম’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

আজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অ্যাপ্রোচিং বাংলাদেশ ট্রেনিং প্রোগ্রাম'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইউনান ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট অফিসের ডিরেক্টর মিস উ ইউন, ঢাকায় চীনের দূতাবাসের সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মিস ল্যাং ল্যাং, ড. বুলবুল সিদ্দিকী, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্থানীয় পরিচালক, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চাইনিজ ডিরেক্টর ড. ঝো ওয়েইওয়েই, প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর রিসোর্স পারসন ড. হারিসুর রহমান, ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা, ড. আব্দুল ওহাব, জনাব আসিফ বিন আলী এবং জনাব শাফায়াত নাজাম রসুল সহ আরও অনেকে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে ২৬ এ মে ‘অ্যাপ্রোচিং বাংলাদেশ ট্রেনিং প্রোগ্রাম’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় । সকাল ১১টায় জুম এ শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীন থেকে অংশ নেয়া বিশিষ্ট বক্তারা উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং জাতিসত্তার উপর পাঁচটি সিরিজের অনলাইন কোর্স রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে জনাব আসিফ বিন আলীর সেশনের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি শুরু হয়।

কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চাইনিজ ডিরেক্টর ড. ঝো ওয়েইওয়েই ‘অ্যাপ্রোচিং বাংলাদেশ ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ টি সম্পর্কে বলেন। ‘এই আন্ত-সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থানীয় জ্ঞান আহরণ এবং বোঝাপরা তৈরি করা, যার মধ্যে রয়েছে ইতিহাস, সংস্কৃতি, মানুষ ইত্যাদি’, বলেন ড. ঝো ।

ড. বুলবুল সিদ্দিকী, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্থানীয় পরিচালক, তার উদ্বোধনী বক্তব্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সাথে যুক্ত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, “এই প্রোগ্রামটি চীনা শিক্ষকদের বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক দিকগুলি বুঝতে সাহায্য করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে চীনা ভাষা শিক্ষার মান বৃদ্ধি করবে”

ইউনান ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট অফিসের ডিরেক্টর মিস উ ইউন বলেন, “এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহীদের উপকৃত করবে”। সেইসাথে “এই কর্মসূচী চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি বড় মাধ্যম হবে” বলেন মিস উ ইউন।

ঢাকায় চীনের দূতাবাসের সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মিস ল্যাং ল্যাং, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনান ইউনিভার্সিটির সহযোগিতামূলক সুসম্পর্ককে অতি প্রসশংসনীয় বলে আক্ষায়িত করেছেন। মিস ল্যাং বলেন, “যেহেতু বাংলাদেশ ও চীন তাদের কূটনৈতিক ও অন্যান্য সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে বেঁধে রেখেছে, তাই এই ধরনের প্রচেষ্টা উভয় দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে”।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে আসা চীনা শিক্ষকদের জন্য এই বিশেষ কর্মসূচি খুবই উপকারি হবে”। তিনি আরও বলেন, “ব্যবসায়ী এবং আন্ত-সাংস্কৃতিক কর্মীরা ‘অ্যাপ্রোচিং বাংলাদেশ’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও বুঝতে সক্ষম হবেন”।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর রিসোর্স পারসন ড. হারিসুর রহমান, ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা, ড. আব্দুল ওহাব, জনাব আসিফ বিন আলী এবং জনাব শাফায়াত নাজাম রসুল এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন চীন-এর ইউনান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা, যারা বাংলা ভাষার উপর পড়াশোনা করছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে প্রফেসর এস. কে. তৌফিক এম. হক এবং প্রফেসর নরম্যান সোয়াজো উপস্থিত ছিলেন।