Home ক্যাম্পাস খবর বর্তমান সরকারের চাহিদা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে দক্ষ মানব সম্পদ...

বর্তমান সরকারের চাহিদা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ভাইস-চ্যান্সেলর

প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ। ভাইস-চ্যান্সেলর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

পরিক্রমা ডেস্ক :

বি. পরিক্রমা : আপনি কেমন আছেন? করোনা মহাদুর্যোগের সময়ে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পরিচালনা করেছেন এ বিষয়ে বলবেন কি?
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ : আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। করোনা মহামারী আমাদের নতুন কিছু শিখিয়েছে। করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অনলাইন ভিত্তিক, যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এই ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশগ্রহণ করে ইন্টারনেটের সুবাদে। করোনা শুরু হওয়ার পর সম্ভবত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরাই প্রথম যারা এই কার্যক্রম একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন করি এবং বাস্তবায়ন করি, যার সুফল শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে। প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বল্প জনবল নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পূর্ণ করি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কাজ অনেক কষ্ট করে চলমান রাখি।

বি. পরিক্রমা : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তজার্তিক পরিসরে কেমন অবস্থানে আছে? পাঠদানে ক্ষমতার ঘাটতি, কারিকুলাম, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত সমস্যাসহ কোন সীমাবদ্ধতা আছে কি?
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম প্রকৌশল বিদ্যাপীঠ এবং উত্তর জনপদের প্রকৌশল শিক্ষার বাতিঘর। এই প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে দেশীয় এবং আন্তজার্তিক সুনাম। এখান থেকে পাশ করা প্রকৌশলীগণ দেশীয় এবং আন্তজার্তিক পযার্য়ে সুনাম এবং দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক মন্ডলী যারা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নিরলস পরিশ্রম করে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছেন। আমাদের কারিকুলাম আন্তজার্তিক মানের । এখানে যারা শিক্ষার্থী হিসাবে আসে, তারা হলো এক মহা ভর্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সারির ছাত্র/ছাত্রী। তাদের জ্ঞানগত কোন সমস্যা আমার কাছে পরিলক্ষিত হয় নাই।

বি. পরিক্রমা : সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি শিক্ষায় যুগোপযোগী জনশক্তি গড়ে তুলতে কতটা সক্ষম? এক্ষেত্রে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ : বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দেয় প্রকৌশলীরা । বর্তমান বিশ্বের সিংহভাগ উন্নয়নের কারিগর হল প্রকৌশলীবৃন্দ। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠানটি কালের পরিক্রমায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সুদীর্ঘ কাল ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে দক্ষ স্নাতক প্রকৌশলী তৈরী করে যাচ্ছে যারা সরাসরি দেশ তথা বিশ্বের উন্নয়নের সাথে জড়িত। আমি মনে করি বর্তমান সরকারের চাহিদা, লক্ষ্য ও উদেশ্যের সাথে মিল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী করে যাচ্ছে।

বি. পরিক্রমা : রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য কোথায়?
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ : বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচটি সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের গঠনতন্ত্র, সিলেবাস ও শিক্ষা ব্যবস্থা মোটামুটি একই রকম।

বি. পরিক্রমা : আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ : বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রুপান্তরের পর যে হারে ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে সে অনুযায়ী আবাসিক হলে সিট, একাডেমিক ভবন ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। এসব বিবেচনা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেন যার বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া—
— পুরাতন ভবনগুলো সংস্কার ও সম্প্রসারণ
— ল্যাবরেটরী গুলোর আধুনিকায়ন
— অটোমেশন/ আইটি খাতে উন্নয়ন

বি. পরিক্রমা : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি? বিশ্ববিদ্যালয়কে কোন উচ্চতায় দেখতে চান?
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ : আমি এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলাম পরবর্তীতে শিক্ষক এবং বর্তমানে উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমার আবেগের সাথে জড়িত। আমার স্বপ্ন
— এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে একদিন দক্ষিণ এশিয়া তথা বিশ্বের অন্যতম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পড়তে আসবে বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা।
— রুয়েট হবে ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিয়ে প্রথম সারির বিদ্যাপীঠ।