Home আন্তর্জাতিক ‘নেপালের জাতীয় নির্বাচন ২০২২: আঞ্চলিক শক্তির সাথে তার সম্পর্কের উপর প্রভাব’ বিষয়ক...

‘নেপালের জাতীয় নির্বাচন ২০২২: আঞ্চলিক শক্তির সাথে তার সম্পর্কের উপর প্রভাব’ বিষয়ক ওয়েবিনার


পরিক্রমা ডেস্ক : ১৯ নভেম্বর ২০২২ ‘নেপালের জাতীয় নির্বাচন ২০২২: আঞ্চলিক শক্তির সাথে তার সম্পর্কের উপর প্রভাব’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স ((এসআইপিজি) এবং নেপালের কাঠমুণ্ডু ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট (KUSOM) এর মাস্টার অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এমপিপিএম) এবং পলিসি ল্যাব। ওয়েবিনারের বিশিষ্ট আলোচকবৃন্দ ছিলেন; অধ্যাপক ড. অচ্যুত ওয়াগলে, রেজিস্ট্রার, কাঠমুণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয়; জনাব যুবরাজ ঘিমীর, সম্পাদক, দেশসংচর; ড. উদ্ধব প্যাকুরেল, পরিচালক, গ্লোবাল এনগেজমেন্ট, কাঠমুণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. অচ্যুত ওয়াগলে তার বক্তৃতায় বলেন যে সম্ভবত রাজনৈতিক মতাদর্শের চেয়ে ভোট নির্ধারণে আর্থিক সংস্থানের ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এটিই একমাত্র সমাধান নয়। রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রয়োজন যা নেপালে ব্যাপকভাবে অনুপস্থিত। তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত উভয় দেশই নেপালের সরকার ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার না দিয়ে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। এখন নেপালি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা আঞ্চলিক শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হবে নাকি তাদের দেশীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবে।

সাংবাদিক জনাব যুবরাজ ঘিমির বলেন, নির্বাচনের পর দলগুলোর মধ্যে জোট নাও থাকতে পারে। তিনি আরও অনুমান করেন যে, কোনো একক দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না যার ফলে এবার একটি অসম্পূর্ণ সংসদ হতে পারে । নেপালে আঞ্চলিক শক্তির প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন যে, ২০০৬ পরবর্তী সময়ে ভারত নেপালের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং পশ্চিমা বিশ্বকে নিয়ে আসে, এবং এর ফলে চীনও নেপালের রাজনীতিতে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করে। এখন, চীন এই নির্বাচনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সে সর্বদা নেপালে পশ্চিম-সমর্থিত ভারতীয় প্রভাবকে নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করবে।

ড. উদ্ধব প্যাকুরেল বলেন, আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তেজনা কম। এবার ভোটার উপস্থিতিও কম হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ড. প্যাকুরেলের মতে, নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে বেশ বাস্তববাদী, তাই নির্বাচনের ফলাফল চীন ও ভারতের সাথে নেপালের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নাও করতে পারে।
কাঠমুণ্ডু ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট (KUSOM) এর সহযোগী অধ্যাপক ড. পূর্ণ বাহাদুর নেপালির স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে ওয়েবিনার শুরু হয়। এটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক তৌফিক এম হক, পরিচালক, এসআইপিজি, ও চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ও নেপালের শিক্ষাবিদ, গবেষক, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।