Home জাতীয় ইউনিসেফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা...

ইউনিসেফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে একটি সমাজ-নেতৃত্বাধীন পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছে


পরিক্রমা ডেস্ক : ২৯শে নভেম্বর ২০২২ তারিখে, ইউনিসেফ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রানালয়, দেশব্যাপী বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মীদের সমাজের নাগরিকদের নিজেদের মাধ্যমে নিজেদের শিশুদের চাহিদা পূরণ ও সহিংসতা প্রতরোধে ৩ দিনব্যাপী মাস্টার ট্রেনিং কর্মসুচির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রোগ্রামটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা আর্থিকভাবে সমর্থিত।

মাস্টার ট্রেনিং ২৯শে নভেম্বর থেকে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে৷ ট্রেনিং এ গৃহীত পদ্ধতির নাম জার্নি অফ লাইফ বা জীবনের যাত্রা যা বাংলাদেশ দেশের প্রেক্ষাপটে সমন্বয় করা একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতি।

এলিসা ক্যাল্পোনা, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক ব্যাখ্যা করেছেন যে এই পদ্ধতিটি সমাজকে শিশু সুরক্ষা সমস্যা এবং তাদের শিশুদের প্রভাবিত করে এমন সমস্যা সনাক্ত করতে এবং তাদের শিশুদের জন্য সর্বোত্তম সমাধান খুঁজে পেতে সক্ষম করবে।

মোঃ রায়হানুল হক, শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা, ইউনিসেফ, এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রানালয় এবং ইউনিসেফ শিশু সুরক্ষা বিভাগের ফোকাল পয়েন্ট , শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরনে সমাজের সকল সদস্যের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন অন্যান্য সংকটকালীন সময়ের মতো শিশুদের উপর নিরযাতন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের সবার আগে এগিয়ে যেতে হবে।
জনাব এস এম লতিফ, যুগ্ম-সচিব এবং এক্সিলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন-এর প্রকল্প পরিচালক বলেন, সহিংসতা প্রতিরোধের জ্ঞান দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রয়োজন এবং প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে আমরা আমাদের শিশুদের সাহায্য করতে পারি যা আপনারা এই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জনাব আনজির লিটন বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের প্রতি আমাদের সবাইকে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এই প্রশিক্ষণ উদ্যোগ এককালীন কার্যক্রম নয়, এটি অব্যাহত রাখতে হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মুহিবুজ্জামান বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করে বলেন, শিশু ও বয়স্কদের শিক্ষা দেওয়া সবচেয়ে কঠিন কাজ এবং আপনারা এই কাজটি করছেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিভাবক ও সমাজ নিজেরাও যে তাদের সন্তানদের সাহায্য করতে পারে, সব ধরনের চাহিদা নিজেরাই নিরূপণ ও পূরন করতে পারে তা আপনারা জানতে পারবেন এবং পরবর্তিতে অভিভাবক ও সমাজকে তা শেখাতে পারবেন।