Home ব্রেকিং মতলব সেতু নির্মানের মাধ্যমে চাঁদপুরের সাথে ঢাকার দুরুত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার……পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী...

মতলব সেতু নির্মানের মাধ্যমে চাঁদপুরের সাথে ঢাকার দুরুত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার……পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শমসুল আলম


শামসুজ্জামান ডলার ও জহিরুল হাসান মিন্টুঃ
মতলব- গজারিয়া সেতু নির্মান বিষয়ক স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শমসুল আলম।

২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর পাম্প সংলগ্ন মাঠে মতবিনিময় সভায় সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব ভিখারুদৌলাহ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং সচিব মনজুর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড. নুরুল আমিন রুহুল ও পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ও সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত আলী।মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন টিপসা প্রতিনিধি কার্লোস প্রেস।

মতলব-গজারিয়ার মধ্যখানে সেতু নির্মানে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান,
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ,
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) মুজিবুর রহমান চৌধুরী,
চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মুন্সি, আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুর রহমান চৌধুরী ভুলন, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাস্বেবকলীগের সহ-সভাপতি রহমত উল্যাহ চৌধুরী প্রমূখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই সেতু নির্মানের মাধ্যমে জেলা শহর চাঁদপুরের সাথে রাজধানী ঢাকার সাথে ৫২ কিলোমিটারের দুরত্ব কমে আসবে। শুধু তাই নয় চাঁদপুরের দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ আর কুমিল্লা হয়ে ঘুরে ঢাকা যেতে হবেনা। তারা মতলবের মধ্যদিয়ে দ্রুত ঢাকা যেতে পারবে।ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসার ঘটবে।শিল্প-কারখানা নির্মান হবে।

তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ হচ্ছে যে কোন রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত। তাই এ সরকার যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সেই গুরুত্ব থেকেই বর্তমান সরকার এই মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মানের কাজের প্রতি গুরুত্ব অনুধাবন করছেন।

শেখ হাসিনার অর্জন বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিট মহলের ৭০ বছরের সমস্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সমাধান করেছেন। ওখানে ৩১ বর্গ কিলোমিটার আমরা বেশী পেয়েছি।

সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলা করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমরা বাংলাদেশের সমপরিমান জায়গা পেয়েছে। ওখানে ১ লক্ষ ১৮ হাজারের অধীক বর্গকিলোমিটার সীমানা আমরা বিনা যুদ্ধে জয় করেছি, যা শেখ হাসিনার অর্জন।

আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে  শেখ হাসিনার পাশে থাকুন। দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যান।

নির্বাচন আসছে দেশে নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে কিন্তু আপনাদের সজাক দৃষ্টি রাখতে হবে।  উস্কানী হতেপারে কিন্তু বিভ্রান্ত হওয়া চলবেনা।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক শহস্রাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।