পরিক্রমা ডেস্ক : আজ ২৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার “আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস’২০২৩। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) ১৮৩টি দেশে দিবসটি একযোগে পালিত হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন ২৬ জানুয়ারীকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশেও যথাযথ ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ১০ টি দেশ এ দিবসের আওতায় আসবে বলে এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে।
এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন, কাস্টমসে জ্ঞানচর্চা ও উত্তম পেশাদারিত্বের বিকাশ”। সাথে বেশ কয়েকটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে যেমন, কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে আমদানি-রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখা; সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে জনগণ ও বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সচল রাখা, সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করা এবং নীতিগত ও পদ্ধতিগতভাবে সর্বক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আত্মীকরণের মাধ্যমে ব্যবসা ও বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
এ উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মসূচি’র পাশাপাশি বেনাপোল কাষ্টমস ক্লাব অডিটরিয়ামে এক “সেমিনার ও আলোচনা” সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন,মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন,কমিশনার(কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট,যশোর)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,এস এম হুমায়ুন কবীর,প্রেসিডেন্ট( কাষ্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনাল,ঢাকা।
দিবসটি সম্পর্কে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে জ্ঞাত করবার জন্য “KEY NOTE PAPER” উপস্থাপণ করেন আব্দুল রশিদ মিয়া,জয়েন্ট কমিশনার,কাস্টমস হাউজ বেনাপোল। এর উপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ শাফায়েত হোসেন,জয়েন্ট কমিশনার,বেনাপোল কাস্টমস হাউজ।
এরপর স্বাগতিক বক্তব্য এবং বেনাপোল বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপণ করেন বিশেষ অতিথি বর্গগণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, “চোরাচালান প্রতিরোধ এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নসহ নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে টেকসই অর্থনীতি বিনির্মাণে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে জ্ঞান চর্চা এবং পেশাগত উৎকর্ষ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ কাস্টমস দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে কাস্টমস এখন রাজস্ব আহরণ ছাড়াও ট্রেড ফেসিলিশন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং দেশের অর্থনীতিকে উন্নয়নের গতিধারায় চলমাণ রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন,এ কারণে “বেনাপোল কাষ্টমস” এবং “বেনাপোল স্থল বন্দর” যৌথভাবে এ বন্দরকে ব্যবসা বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। সেমিনার ও আলোচনায় অংশ গ্রহণ কারী উপস্থিত সকলকে “আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস’২০২৩ উপলক্ষে “বাংলাদেশ কাস্টমস” এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান তিনি।