Home ব্রেকিং বাকৃবিতে ছয় উদ্যোক্তা বাউরেসের সম্মাননা

বাকৃবিতে ছয় উদ্যোক্তা বাউরেসের সম্মাননা


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় খামারি পর্যায়ের ছয়জন উদ্যোক্তাকে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলনকক্ষে তিন দিনব্যাপী বাউরেস বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি কর্মশালার প্রথম দিনে এই পুরস্কার প্রদান করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)।

পুরস্কার পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা ও সফল সংগঠক হিসেবে স্মার্ট কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে বরিশালের রিতা ব্রহ্ম, মৎস্য উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্যে ত্রিশালের একেএম আবু নোমান, হর্টিকালচার ফসল উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার মো. শাকিল আহম্মেদ, বাণিজ্যিক ফল উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্য রাজশাহীর মো. আমিনুল ইসলাম, দানাদার শস্য উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্যে ময়মনসিংহের মো. নজরুল ইসলাম এবং কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্যে টাঙ্গাইলের মো. মনিরুজ্জামান।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. একেএম মুমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (ফাউ) বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ড. কাতারজিনা জাপলিকা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখন এগিয়ে। তবে কৃষিতে আমাদের বর্তমান যে সাফল্য আমাদের তা ছাড়িয়ে যেতে হবে। মোট উৎপাদনের চেয়ে মাথাপিছু উৎপাদনের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। মাথাপিছু উৎপাদন বেশি হলে তবেই আমরা রপ্তানির দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের কৃষি গবেষণায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে বাউরেস। এখানে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার উদ্দেশ্যে আসা তহবিলের পুরোটাই যথাযথভাবে গবেষণাকাজে ব্যবহার করা হয়। আমাদের গবেষকরা একেবারে মাঠপর্যায়ে কৃষকের সঙ্গে কাজ করে, যাতে কৃষির সব সুফল তাদের কাছে পৌঁছে যায়।’