Home জাতীয় “রমজানের বিশেষত্ব”

“রমজানের বিশেষত্ব”


ফিসার সম্পাদক : রমজানুল মোবারক হিজরি বর্ষের ৯ম মাস। এ মাসে বৃষ্টির মতো বর্ষিত হয় প্রভুর রহমধারা। ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, অপরিসীম দান-সদকা, ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মু’মিন বান্দা পৌঁছে যায় মহান আল্লাহর বিশেষ সান্নিধ্যে। এমাসের রয়েছে কিছু বিশেষত্ব।

(১) রহমতের মাস : নবীজী সাঃ বলেন, যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় (বুখারী : ১৮৯৮)

(২) কুরআন নাজিলের মাস : রমজান মাস দামি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো–এ মাসেই পূর্ণ কোরআন ‘লাওহে মাহফুজ’ থেকে দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হয় এবং এ মাসেই নবীজী সাঃ এর উপর প্রথম অহি সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাজিল হয়। ইরশাদ হচ্ছে, রমজান মাস এতে নাজিল হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এমাস পাবে সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে (সুরা বাকারা:১৮৫)

(৩) সিয়াম-কিয়ামের মাস : সিয়াম ফরজ আর কিয়াম সুন্নাত। সিয়াম মানে সুবহে সাদিক থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার, যৌনাচার ও যাবতীয় অশালীন কাজ থেকে বিরত থাকা। আর কিয়াম মানে রাতের নফল সালাত। তারাবিহ-তাহাজ্জুদ।

(৪) দোয়া কবুল ও মুক্তির মাস : হাদিস শরিফে এসেছে–আল্লাহ তায়ালা রমজানের প্রত্যেক দিন ও রাতে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন ও প্রত্যেক মু’মিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।

(৫) দানের মাস : দান-সদকা এমনিতেই মু’মিনের ভালো আমল ও কল্যানের বিষয়। হাদিস শরিফে এসেছে, নবীজী সাঃ ছিলেন মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। তাঁর দানের পরিমান রমজানে এসে অনেক বেড়ে যেতো (মুসনাদে আহমাদ:২২২০২)

(৬) সওয়াব বৃদ্ধির মাস: উম্মতে মোহাম্মদির আমলের সওয়াব বেশি দেখানো ও তাদের বিশেষ মর্যাদা দিতে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ বোনাস হিসেবে এ মাসকে তাদের দান করেছেন। এমাসে একটি নফলের সওয়াব একটি ফরজের সমান হবে আর একটি ফরজ আদায় করলে তা সত্তরটি ফরজের সমান হবে।

(৭) পাপ মোচনের মাস: এমাসে মু’মিন বান্দা তার পাপরাশি মোচন করে পূতপবিত্র হতে পারে। হাদিস শরিফে এসেছে, এক রমজান থেকে আরেক রমজানের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহগুলোকে মুছে দেয় যদি বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।

(৮) লাইলাতুলকদরের মাস: রমজান মাসের শেষ দশকে আছে মহিমান্বিত রাত ‘লাইলাতুল কদর’। যে রাতে কেউ এবাদত করলে মিলবে ৮৩ বছর ৪ মাসের চাইতেও বেশি সওয়াব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (হযরত জিব্রাইল আঃ) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়া দুনিয়ায় অবতরণ করেন। যে রাত পুরাটাই শান্তিতে ভরপুর থাকে ফজর হওয়া পর্যন্ত (সূরা কদর ২-৫)।।