Home ব্রেকিং কর্মীদের প্রশংসায় ভাসছে নেতার ব্যতিক্রমী প্রচারণা

কর্মীদের প্রশংসায় ভাসছে নেতার ব্যতিক্রমী প্রচারণা


পরিক্রমা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতিতে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া এবং সরকারের উন্নয়ন অর্জনকে মানুষের সামনে তুলে ধরাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা সবসময়ই বলে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু সারাদেশে দলের এই পদক্ষেপ শুরু না হলেও ব্যতিক্রমী প্রচারণায় নেমেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। ১৪ বছর আগে দেশের পরিস্থিতি কোথায় ছিলো, আর সেখান থেকে কিভাবে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে, তার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন তিনি। তাদের অভিযোগ-অনুযোগ থাকলে তা শুনছেন এবং দিচ্ছেন সমাধানের আশ্বাসও।

প্রতিদিনই ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনের কোনো না কোনো এলাকায় গিয়ে একেবারে তৃণমূল পর্যায় মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। তার এই ব্যতিক্রমী প্রচারণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রশংসায় ভাসছে। বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের মানুষের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন-অর্জন তুলে ধরতে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যতিক্রমী এই প্রচারণায় নামেন রিপন। তার এই প্রচারণা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

দলের উন্নয়ন-অর্জন এভাবে সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপনকে গর্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আকবর আলী।

তিনি বলেন, এমন প্রচারণায় সারাদেশেই করা দরকার। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ নেতিবাচক প্রচারণায় নেমেছে। তারা জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছে। এজন্য সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। এদিক দিয়ে আমি বলবো কামরুল হাসান রিপন ভাই খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন।

কামরুল হাসান রিপনের এই উদ্যোগ এরই মধ্যে নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে জানিয়ে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিফাত সাদেকীন চপল বলেন, আমরা চাই, সারা দেশে এভাবে প্রচার প্রচারণা হোক। এতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।

প্রচারণার লিফলেটে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু নির্মাণ, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট স্থাপন, সমুদ্র সীমানা বিজয়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণ, আইটি শিল্প ও আইটি সেক্টর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নতকরণ, দেশের সব মানুষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকার আওতায় আনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও এশিয়ার ৫ম স্থান অবস্থান, করোনাকালীন অসহায়দের খাদ্য ও বিভিন্ন প্রণোদনার মাধ্যমে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতা করা, বর্তমানে বাংলাদেশের ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল তেলসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অসংখ্য গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ, ৩২০০টি মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কসহ যাত্রাবাড়ী-মাওয়া, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা ও স্টাফকোয়ার্টার-রামপুরাসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণ, মেট্রোরেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা তাপবিদ্যুৎ, রামপাল কয়লা বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ দেশের জনগণকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২৬৮ মেগাওয়াট থেকে ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, দারিদ্র্যের হার ১০ ভাগে নামিয়ে আনা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা প্রদান, বয়স্ত, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদান, নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, গরীব ও নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যে বই বিতরণ, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ৭৬% এ উন্নতীকরণ, রপ্তানি আয় ও কর্মস্থান বৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি যা প্রতিবেশী দেশ থেকে অনেক এগিয়ে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ইকোনমিক জোন নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ, বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড রিজার্ভ বৃদ্ধি, কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, শত শত সেতু সড়ক নির্মাণ, এক্সপ্রেস ওয়েসহ সরকারের সব উন্নয়ন অর্জন উঠে এসেছে।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল হাসান রিপন শুধু সরকারের উন্নয়ন অর্জনের প্রচারণায় নেমেছে বিষয়টি এমন নয়, যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। করোনাকালীন জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাবার, ওষুধ, স্বাস্থ্যসামগ্রী দিয়েছেন।

ব্যতিক্রমী এই প্রচারণা নিয়ে জানতে চাইলে কামরুল হাসান রিপন বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যা কিছু অর্জন সব আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। গত ১৪ বছরে যদি বিবেচনা করেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখেছে দেশের মানুষ। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বসেরা গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দেশে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। এজন্য মানুষের কাছে উন্নয়ন অর্জনের সঠিক তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই আমি মানুষের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছে সরকারের উন্নয়ন অর্জন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাচ্ছি। একজন কর্মী হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব বলে মনে করছি।