সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধ করেই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে আমরা দেখেছি ’৯২ সালের পর এবং ২০০১ সালে এবং এরপরেও বার বার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের পাশে ছিলো, ভবিষ্যতেও পাশে পাবেন। বাংলাদেশের জনগণ উদারমনা এবং সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে কারণেই আমাদের শ্লোগান ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ঠিক এইভাবেই আমরা সবাই উৎসব পালন করে যাচ্ছি।
স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, সারা দেশে আজকে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে এই পূজা সম্পন্ন হয়েছে। সেটাই আমরা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আপনাদের পাশে আছি। আইন-শৃংখলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মী প্রত্যেকেই পাশে থেকেছেন। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন এখানে না ঘটতে পারে সেজন্য আমরা সকলেই সতর্ক ছিলাম। মতলব উত্তর উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে শারদীয় দূর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ৫৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক, পূজামণ্ডপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন দাস, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল হাসান মামুন, ইউপি সদস্য সেলিমসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু) সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।