নগরবাসীর ট্যাক্স ও বিল পরিশোধ সহজীকরণে ডিএসসিসি ও বিকাশ লিমিটেডের মধ্যেকর সমঝোতা স্মারক হচ্ছে

 

ঢাকা (১১ই আগস্ট, ২০২৫):

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন ট্যাক্স ও বিল পরিশোধ সহজীকরণে সমঝোতা স্মারকের নীতিগত অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৮ম (অষ্টম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভার শুরুতে ৩০শে জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সপ্তম কর্পোরেশনের সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ট্যাক্স ও বিল, যেমনঃ ট্রেড লাইসেন্স ফি, হোল্ডিং ট্যাক্স, মার্কেট ভাড়া ও সালামী পরিশোধ ইত্যাদি সহজীকরণে বিকাশ লিমিটেডের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়। ফলে, সম্মানিত নগরবাসীর সময় ও অর্থ যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি ডিএসসিসির রাজস্ব আদায় আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ হবে।

পরিচালনা কমিটির সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নতুন অঞ্চলসমূহের (অঞ্চল-৬ হতে ১০) জন্য ডিএসসিসি কর্তৃক ১টি করে নতুন কবরস্থান করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এছাড়া, ডিএসসিসি নিয়ন্ত্রণাধীন কবরস্থানসমূহে লাশ দাফনের নিমিত্ত বাঁশ, চাটাই সরবরাহ ও খনন কাজের জন্য দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রস্তুতকরণ কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে প্রশাসক বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান পরিচালনা কমিটি দক্ষতা স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এ সময় তিনি মশক নিধন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিক সম্পৃক্ততার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।




বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার উদ্যোগে বৃহত্তর কুমিল্লার এসএসসি জিপিএ-৫ কৃতিদের সংবর্ধনা

কুমিল্লা, ২ আগস্ট ২০২৫ — শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের মুখপত্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা-এর উদ্যোগে বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও “শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ, শ্রমবাজার ও শিল্পমুখী কার্যক্রম এবং সমাজ উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনে এই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। প্রধান আলোচক ছিলেন রেজা গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাহিদ রেজা। উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ড. জমিরুল আকতার। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক হারুন অর রশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, প্রধান শিক্ষক কুমিল্লা জিলা স্কুল; ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, কনসালট্যান্ট ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ও সনোলজিস্ট; অ্যাডভোকেট এ.কে.এম ইকবাল কবির, জর্জ কোর্ট কুমিল্লা; বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম; এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত আসনে বসে, এরপর অতিথিদের মঞ্চে আসন গ্রহণ করানো হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে হারুন অর রশিদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে পরিবারের পাশাপাশি সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন তাঁদের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথিরা বক্তব্যে নিয়মিত অধ্যয়ন, নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মাদকবিরোধী সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেন।

প্রধান আলোচক ড. এ কে এম সাহিদ রেজা বলেন, “প্রযুক্তি, দক্ষতা, সততা ও দেশপ্রেম—এই চারটি গুণ অর্জন করতে পারলেই শিক্ষার্থীরা যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করবে।”

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের কৃতীরা আগামী দিনের আলোকবর্তিকা। তারা যেন বিশ্বমানের জ্ঞান ও নৈতিকতায় গড়ে ওঠে—এই কামনা করি।”

বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে অতিথিরা কৃতীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। এরপর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা করেছে PRAN-RFL Group, GREE, KONKA ও Electromart। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে




সন্ধানী লাইফের ব্যবসা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সমগ্র বাংলাদেশ থেকে আগত একশত এর অধিক উন্নয়ন কর্মী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যবসা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগষ্ট) কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের নিজস্ব অডিটরিয়ামে এই সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম, পরিচালক শাফাফ রহমান সাদ।

সভার সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিমাই কুমার সাহা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ ইদ্রিস মিয়া তালুকদার সহ সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।




অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাফল্য

ঢাকা,  ৯ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গত এক বছরে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও সংস্কারের ফলে বিগত এক বছর দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের ফলে ঈদসহ পূজা-পার্বণে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালক করতে পেরেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পুলিশের অধিকতর জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এগুলো হলো- সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠন করা, পুলিশ অ্যাক্ট-১৮৬১ ও পিআরবি’র প্রয়োজনীয় সংশোধন করা, বিশেষায়িত ইউনিটের বিধিবিধান প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সংশোধন করা, জনপ্রত্যাশা পূরণে যুগোপযোগী ও নতুন আইন ও বিধি প্রণয়ন, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের (বিশেষ শাখা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ইত্যাদি) পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, ৯৯৯ ইউনিটের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা (অপারেশনাল, মানবসম্পদ ও লজিস্টিকস্) বৃদ্ধি করা, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ডিপ্লোমেটিক জোন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অপরাধ দমনে এপিবিএন-এর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা (অপারেশনাল, মানবসম্পদ ও লজিস্টিকস্) বৃদ্ধি করা।

এসব পদক্ষেপের ফলে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। একটি সুপ্রশিক্ষিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে সমসাময়িক বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড রোধের মাধ্যমে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও জনস্বস্তি আনয়নে সক্ষম হয়েছে।

সরকার গৃহীত কার্যক্রমে বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দের সাথে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় পুলিশের আইনি কাঠামো সংস্কার, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, পেশাগত দক্ষতা, সাংগঠনিক সক্ষমতা ও কল্যাণের নানা প্রস্তাবনা পুলিশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়।

অনলাইন জিডি

সাধারণ জনগণের পুলিশি সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া ও জনদুর্ভোগ হ্রাস করার জন্য অনলাইন জিডি সেবা কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। এই অনলাইন জিডি পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানায় প্রবর্তন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম বাংলাদেশের সকল থানায় পর্যায়ক্রমে প্রবর্তন করা হচ্ছে।

বিজিবি’র পদক্ষেপ

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) তাদের নিয়োগ কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে ন্যূনতম স্নাতক পাশ বাংলাদেশি নাগরিকদের জুনিয়র কর্মকর্তা পদে সরাসরি নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে বিদ্যমান বিওপিগুলোকে যুদ্ধ ও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্ট্রং পয়েন্ট বিওপি হিসেবে উন্নীত করা হবে।

বর্তমান কাস্টমস অ্যাক্টের পরিবর্তে বিজিবি অ্যাক্ট প্রণয়ন এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবিকে আইন প্রয়োগ ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সীমান্তে ড্রোন ও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম যুক্ত করা, প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র (শর্টগান, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল, পিপার স্প্রে ইত্যাদি) সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। বিজিবির দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে মাদক ও চোরাচালান রোধ কার্যকর হয়।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদক্ষেপ

সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত নীতিমালা সংস্কারের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নে ১০৯টি ইউনিটের মধ্যে ৯৩টির ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে শেষ হবে। বাহিনীতে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড

নতুন সৃষ্ট অসামরিক পদসমূহ নিয়োগ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জনবল নিয়োগ সম্ভব হয়নি; বিধিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। ট্রেনিং বেইস, ৩টি জোনের ফায়ার ট্রাক ইউনিট ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য মোট ৪৮টি পদ, বিদ্যমান ইউনিটের জন্য ১৬৯টি অসামরিক পদ এবং জাইকা প্রদত্ত ২৪টি রেসকিউ বোট ও ১টি প্রশিক্ষণ বোট পরিচালনার জন্য ১১৩টি পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া কোস্ট গার্ড জরুরি পরিষেবা (শর্ট কোড) চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)

এনটিএমসির আইন প্রণয়ন, নাম পরিবর্তন ও সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গঠিত কমিটি খসড়া আইন প্রস্তুত করেছে এবং আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। টিওএন্ডই ও খসড়া আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে নাম পরিবর্তন ও সাংগঠনিক কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, পুলিশ আইন ও প্রবিধান সংশোধন, অবকাঠামো ও জনবল বৃদ্ধি, ফৌজদারি ও দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ চলছে।

এছাড়া জাতিসংঘের নীতিমালা অনুসারে পাঁচ ধাপে বলপ্রয়োগের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা আইনগত বৈধতা পেলে ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক হবে।




বৃহত্তর কুমিল্লার বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা, ২ আগস্ট ২০২৫:
বৃহত্তর কুমিল্লায় শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের অগ্রদূত মাসিক ম্যাগাজিন “বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা” এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজনটি হয়, যেখানে কুমিল্লা ও আশেপাশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ অ্যাডভোকেট ড. জমিরুল আকতার
সভাপতিত্ব করেন “বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা”-এর প্রধান সম্পাদক জনাব হারুন অর রশিদ

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজা গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাহিদ রেজা
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাফিজ, ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম ইকবাল কবির, সমাজসেবক মো. শফিকুল ইসলাম, ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বজলুর রহমান

শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাদের অভিভাবকগণও।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সমাজ উন্নয়নের বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।




আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী পঞ্চম মেয়াদে বিজিআইসি’র মুখ্য নির্বাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পঞ্চম মেয়াদের জন্য পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী মিন্টু।

রোববার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নন-লাইফ খাতের এই বীমা কোম্পানি।

আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী মিন্টু ১৯৮৬ সালে বিজিআইসি’র প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন এবং দু’বছর পর চট্টগ্রাম জোনাল অফিসে অর্থ ও হিসাব বিভাগের ইন-চার্জ হিসেবে বদলি হন।

পদোন্নতি লাভের পর ২০০৯ সালে তাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।




আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী পঞ্চম মেয়াদে বিজিআইসি’র মুখ্য নির্বাহী

 বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পঞ্চম মেয়াদের জন্য পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী মিন্টু।

রোববার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নন-লাইফ খাতের এই বীমা কোম্পানি।

আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী মিন্টু ১৯৮৬ সালে বিজিআইসি’র প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন এবং দু’বছর পর চট্টগ্রাম জোনাল অফিসে অর্থ ও হিসাব বিভাগের ইন-চার্জ হিসেবে বদলি হন।

পদোন্নতি লাভের পর ২০০৯ সালে তাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।




ঐতিহাসিক জুলাই আমাদের মধ্যে যে বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করেছে,  তা টিকিয়ে রাখতে হবে– ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমরা একটি বৃহত্তর ঐক্যের মঞ্চ তৈরি করতে পেরেছিলাম। স্কুল, কলেজ, পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবী, রিক্সাচালক, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ সবাই সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আজ ৩ আগস্ট ২০২৫ রবিবার অনুষদের কনফারেন্স রুমে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাগরণের এক নতুন অধ্যায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সেমিনার আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম স্বাগত বক্তব্য দেন। রসায়ন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফরিদা বেগম এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম তালুকদার আলোচনায় অংশ নেন। পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন স্মৃতিচারণ করেন। ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া শরমিন খালেক অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, জুলাইয়ের যে কোন আলোচনা আমাদের কাছে ঋণ স্বীকারের একটি বড় উপলক্ষ্য। ৫ আগস্ট-এর পূর্বে আমরা কেউই জানতাম না যে, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান একটি ভয়ানক রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন হবে। তবুও জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সেদিন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলাম। কিছু মানুষের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের পরিণতি এই গণ-অভ্যুত্থান। কিছু মানুষ রক্ত দিয়ে আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এই সুযোগকে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজে লাগাতে হবে। ঐতিহাসিক মাইলফলকের  প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু ডায়ালগ, সেমিনার, সম্মেলনসহ বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব আয়োজনের উদ্দেশ্য একটিই, জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার করা। জুলাইয়ের প্রতি আমাদের সবার কৃতজ্ঞতা একইসূত্রে গাঁথা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনকারীদের বিচার প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনগত সঠিক প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর পরিসরে আমরা কাজ করছি। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যথাযথ সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই আমরা দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। তথ্য-প্রমাণসহ সার্বিক বিষয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজ আয়োজনের অংশ হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং বিকাল ৩টায় আইন অনুষদে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।



জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে এস এম নুরুজ্জামানের পুনর্নিয়োগ অনুমোদন

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে এসএম নুরুজ্জামানের পুনর্নিয়োগ অনুমোদন করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) কতৃপক্ষের পরিচালক (উপসচিব) মো. নুরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠি ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের জন্য এই পুনর্নিয়োগ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অর্থাৎ ২০২৮ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত তিনি বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে দুই মেয়াদের জন্য কোম্পানিটির মুখ্য র্নির্বাহী কর্মকর্তা পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এস এম নুরুজ্জামান।

মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)’র জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র নির্বাহী সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন এস এম নুরুজ্জামান।

দেশের শীর্ষস্থানীয় লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে তিনি দীর্ঘ এক যুগ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মুখ্য নির্বাহীর চলতি দায়িত্বও পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ডিএমডি (উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগ) পদে যোগদান করেন।

চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে তিনি যোগদান করেন ২০১৪ সালে।পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তিনি কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ৪০ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন লাভ করেন।

বীমা শিল্পে কর্মরত থাকার পাশাপাশি এস এম নুরুজ্জামান বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেবামূলক ও সংস্কারধর্মী প্রতিষ্ঠান ও কর্মকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়াও তিনি বীমা বিষয়ে গবেষণাধর্মী লেখালেখি করে চলেছেন নিয়মিত-ই।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে ভারত, নেপাল, সিংগাপুর, মালদ্বীপ, মালেয়শিয়া, সৌদি-আরব ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

১৯৭৯ সালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার চন্দনাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এসএম নুরুজ্জামান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা।




বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়া, ২৪ মে ২০২৫:
এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং “মাদক নির্মূলে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বগুড়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা। শনিবার বিকাল ২টা ১০ মিনিটে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইদুজ্জামান, অধ্যক্ষ, সেয়দ আহম্মদ কলেজ, সুখানপুকুর, গাবতলী, বগুড়া। সভাপতিত্ব করেন জনাব হারুন অর রশিদ, প্রধান সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ও প্রকাশক ও সম্পাদক, পরিক্রমানিউজবিডি.কম

বিশেষ অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:

  • হোসনে-আরা বেগম, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (TMSS), বগুড়া

  • প্রফেসর ড. মো: মিজানুর রহমান, IQAC ডিরেক্টর ও প্রফেসর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, গোল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

  • জনাব মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ, গাবতলী মহিলা কলেজ

  • মোছাঃ রোজিনা আকতার নাইছ, অধ্যক্ষ, মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

  • জনাব মোঃ রাজিউর রহমান, উপ-পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বগুড়া

  • এ্যাড. এজাজ আল ওয়াসী, সংগঠক, এনসিপি বগুড়া জেলা

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “মেধা দেশের সম্পদ। এই শিক্ষার্থীরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব।”

আয়োজকেরা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজ সচেতনতামূলক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষা ও সামাজিক দিক থেকে তরুণ প্রজন্ম আরও সচেতন ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়