এনএসইউ’তে অভিবাসী শ্রমিকদের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (জিএমসি) প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য কার্যকরী উপায় অনুসন্ধান বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল ইসলাম এবং প্রভাষক নাফিজ আহমেদ অভিবাসীদের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য কার্যকরী পন্থা অনুসন্ধান করার লক্ষ্যে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ২৩ মার্চ ২০২৪ এনএসইউ’তে এক অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল উপস্থাপন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে হেলভেটাস বাংলাদেশ সিমস প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যার আওতায় জিএমসি এর তত্তাবধানে মধ্যস্থতার মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের সাথে সম্পর্কিত বিরোধের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচিত জন- প্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এনজিওর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাজ করে। এটি অভিবাসী কর্মীদের অভিবাসন-সম্পর্কিত অভিযোগগুলির স্বল্প খরচে দ্রুত সমাধান করার জন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সাধারণত: এই প্রক্রিয়ায় সমাধান করা অভিযোগগুলির মধ্যে সাব-এজেন্টদের দ্বারা প্রতারিত হওয়া, বিদেশে পাঠানোর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেওয়া, পাসপোর্ট-ভিসা বা অন্যান্য কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা, উচ্চ বেতনের প্রতারণামূলক প্রতিশ্রুতি বা অন্য কিছু সম্পর্কিত মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে প্ররোচিত করা, আত্মীয়দের মধ্যে মাইগ্রেশন-সম্পর্কিত চুক্তি সংক্রান্ত কোনও লেনদেনের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিরোধমূলক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। যখন আদালতে দাবি প্রমাণ করার মত পর্যাপ্ত দালিলিক প্রমাণাদি ভুক্তভোগীদের হাতে থাকে না তখন এই জিএমসি প্রক্রিয়াটি প্রতারিতদের সাহায্য করে থাকে।

এই গবেষণাটি সরকারের প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতিমালার পর্যালোচনার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এ গবেষণায় প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইনি বিধানও পর্যালোচনা করা হয়েছে। জিএমসি মডেলকে বিদ্যমান আইনি সহায়তা কাঠামো অথবা গ্রাম আদালতের কাঠামোর সাথে সমন্বিত করার বিষয়টি গবেষণার উপস্থাপন করা হয়েছে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিএমসি এর মতো একটি মডেল বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত বিকেন্দ্রীকরণের নীতিতেও অবদান রাখতে পারে এবং সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩- ১৯৭৮) থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

উক্ত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (কো-চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দুঃখ প্রকাশ করেন যে, দেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের বিরাট অবদান থাকা সত্ত্বেও আমরা এখন পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য যথাপুযক্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি নি। তিনি অভিমত পোষণ করেন, যেখানে ন্যায়বিচারপ্রার্থি অভিবাসীদের কাছে তাদের নিজেদের সমর্থনে পর্যাপ্ত নথিপত্র থাকে না, সেখানে জিএমসি মডেল বিরোধগুলি সমাধান করার একটি ভাল উপায় হতে পারে।

সিমস প্রকল্পের পরিচালক মোঃ আবুল বাসার অভিবাসী বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগের সমাধানের একটি টেকসই উপায় বিকাশের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জেনিথ লাইফের চেয়ারম্যান-সিইও’র সৌজন্য সাক্ষাৎ

পরিক্রমা ডেস্ক : দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী এমপি এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিআইএফ’র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান।
বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি মো. আবদুর রহমান খান এবং জেনিথ ইসলামী লাইফের কোম্পানি সেক্রেটারি আবদুর রহমান।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান জেনিথ ইসলামী লাইফের কর্মকাণ্ড ও গ্রাহকসেবার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বীমা সেবার আওতায় আনায় জেনিথ ইসলামী লাইফের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নিয়মিত বীমা দাবি পরিশোধে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
একইসঙ্গে জেনিথ ইসলামী লাইফের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।



চবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শতরুপা তালুকদার সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে উপাচার্যের নির্ধারিত কোনো মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য চবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ব্যাপক সমালোচিত। এর মধ্যে উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেখানকার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নাম সংবলিত একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠায়। এরই ভিত্তিতে অধ্যাপক আবু তাহেরকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।

কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের। ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন।

অধ্যাপক আবু তাহের বিভাগের সভাপতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটেশনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে লিয়েনে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও তিনি জীবন বিমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরে পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২০ সালে অধ্যাপক আবু তাহেরকে সরকার ৪ বছরের জন্য ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়।




NSU hosted the Closing Ceremony of B-JET 13th Batch

Porikroma desk : The Career and Placement Center (CPC) of North South University hosted the Closing Ceremony of the Bangladesh Japan ICT Engineers Training Program (B-JET) 13th Batch on March 18, 2024. This event celebrated the culmination of rigorous training and marked the ongoing partnership between Bangladesh and Japan in the realm of ICT education and employment.

Professor Abdur Rob Khan, the Honourable Treasurer and Pro Vice-Chancellor (Acting) of North South University, presided over the Closing Ceremony of the B-JET 13th Batch to extend congratulations to the trainees. Additionally, Professor Keisuke Murakami, Vice-President of the University of Miyazaki, and Ms. Kayoko Kitagawa, Executive Director of SHINKOSHUPPANSHA KEIRINKAN, and the CEO of B&M Group, conveyed heartfelt congratulatory messages from Japan to all the B-JET trainees.

B-JET is a collaborative initiative between North South University, JICA, the University of Miyazaki, and the Bangladesh Computer Council (BCC), which serves as a crucial link between Japan and Bangladesh, offering valuable career prospects in Japanese industries. B-JET has evolved into a dynamic program aimed at empowering Bangladeshi engineering students for successful careers in Japan’s vibrant IT sector. Through joint efforts involving key stakeholders such as the BCC, SHINKOSHUPPANSHA KEIRINKAN Co, Ltd., and BJIT Limited, B-JET has emerged as an essential conduit for promoting cultural exchange, enhancing skills, and unlocking pathways to success by creating opportunities within Japan’s IT industry. In addition, Yuki Morishita, Head of Administration at the University of Miyazaki, and Sinnosuke Tasaka, Project Manager at the University of Miyazaki provided steadfast support to all B-JET trainees throughout their training program.

During the closing ceremony, twenty-nine trainees were honored for their exceptional performance and dedication. These certificates, awarded based on stringent criteria including program completion and perfect attendance, symbolize the trainees’ commitment to excellence and their readiness to contribute to the IT industry.

Professor Dr. Mohammad Khasro Miah, Director of CPC, delivered an inspiring Vote of Thanks, acknowledging the remarkable achievements of the trainees and highlighting the collaborative spirit that underpins B-JET. The ceremony also featured warm and insightful speeches from Japanese trainers representing Miyazaki University, reinforcing the bond between Bangladesh and Japan.




চুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয় সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ই মার্চ (সোমবার) ২০২৪ খ্রি. বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির প্রচার ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জনাব মো. আসিফুর রহমান। পরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।

-চুয়েট শিক্ষক সমিতির ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
-চুয়েট শিক্ষক সমিতির ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এর আগে শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত রহমান। এ সময় শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ সভার এজেন্ডাভুক্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।




ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যথাযোগ্য মর্যাদায় আলোচনাসভা ও শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে।

এ উপলক্ষ্যে ১৮ মার্চ (রবিবার) সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবন চত্বরে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মিলনায়তনে ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবিক ও সাসমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. লিজা শারমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আল্লাইয়ার, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান ও ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. বিণয় বর্মণ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।




বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট এবং ট্রাস্ট মডেল একাডেমির উদ্যোগে জাতীয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ ১৭ইং মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্ম বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট ও ট্রাস্ট মডেল একাডেমির উদ্যোগ।

সাবেক পুলিশ কমিশনার, খুলনা ও চট্রগ্রাম রেন্জ্ঞের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.এস.এম মনির-উজ-জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এবং ট্রাস্ট মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সালমা সুলতানা এবং মুস্তাকিমা ইসলাম মীম।

অনুষ্ঠানে ট্রাস্ট মডেল একাডেমিসহ রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন।




বাইউস্টে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট), কুমিল্লায়- যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। ১৭ মার্চ (রবিবার) সকালে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাইউস্টের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন মিয়া (অব.)।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানটি পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনা করেন আইন বিভাগের প্রভাষক মো. শামীম আহমেদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. ইউসুফ আহমেদ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরোচিত কবিতা আবৃত্তি করেন সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কামিজ উদ্দিন আহমেদ আলম। উক্ত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র এবং আমাদের বঙ্গবন্ধু শিরোনামে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাইউস্টের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন মিয়া (অব.)। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এছাড়াও প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে- শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা এবং শিশুদিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনবো হাসি সবার ঘরে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাইউস্টের রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.), বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের প্রভাষক শামিমা আক্তার।




স্বপ্নদ্রষ্টার জন্ম, বাঙালির মুক্তি- ড. মো. আবু তাহের

কালের সীমাবদ্ধতার কারণে স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেনি এটা সত্য। কিন্তু তাদের আরও বড় যুদ্ধে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা অবারিত রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যেদিন এ দেশের প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান সুনিশ্চিত হবে, সবাই মন-প্রাণ খুলে বলবে, ভালো আছি, সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি, সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ সার্থক ও অর্থবহ হবে। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

গভীর ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বাঙালি জাতির মহান শিক্ষক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ দিনটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন। কেননা ওইদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন এক শিশু, যার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। মা-বাবা আদর করে ডাকতেন খোকা বলে।

সেদিন কে জানত এই খোকা একদিন বড় হয়ে স্বাধীন বাংলার মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধুরূপে আত্মপ্রকাশ সর্বোপরি জাতির পিতা ও পরবর্তীতে বিশ্ববন্ধুতে রূপান্তরিত হবেন। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে চাই, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালে রচিত ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের উপসংহারে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, ‘পরিত্রাণ কর্তার জন্মদিন আসছে আমাদের এই দারিদ্র্য লাঞ্ছিত কুটিরের মধ্যে; অপেক্ষা করে থাকব, সভ্যতার দৈববাণী সে নিয়ে আসবে। মানুষের চরম আশ্বাসের কথা মানুষকে শোনাবে এই পূর্ব দিগন্ত থেকেই।’

কবিগুরুর এই ভবিষ্যদ্বাণী যথাযথ প্রমাণিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে, যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সকলের ঐক্যবদ্ধতায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাস্ত করে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি ও ভাষারাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল গ্রামের স্কুলে। শৈশবকালও কেটেছে গ্রামে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং সামাজিক দুস্থ মানবতার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন টুঙ্গিপাড়া, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে।

১৯৪২ সালে কলকাতা ইসলামী কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। ওই কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আইন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব বাতিল করে। উল্লেখ্য, রাজনীতি মনস্ক শেখ মুজিব স্কুল জীবনে শেরে বাংলা  একেএম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এবং পরবর্তীতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সান্নিধ্যে আসেন, যা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর জীবনাচরণে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির সাত মাসের মাথায় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কারাবরণ করেন। তখনই তিনি উপলব্ধি করেন পাকিস্তানের এই অদ্ভুত রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মাধ্যমে আর যাই হোক বাঙালির স্বার্থ রক্ষিত হবে না। প্রয়োজন হবে বাঙালির অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের। শুরু করেন ধারাবাহিক আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং এতে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বছরের পর বছর কারাগারে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন।

মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অন্যায়ের কাছে, স্বাধীনতার প্রশ্নে কিংবা বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে কোনো দিন আপোস করেননি। তিনি আজীবন একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে মানুষ দুই বেলা, দু’মুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, উন্নত জীবন পাবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত হবে, দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত-বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা কায়েম হবে।

তিনি বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। এ জাতির জন্য একটি স্বাধীন ভূখ- উপহার দিয়েছেন। জাতি হিসেবে বাঙালি বিশ্ব দরবারে মর্যাদা পেয়েছে। মূলত  বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও কৌশলী নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

স্বাধীনতা-উত্তর বৈরী আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ সকল প্রতিকূল প্রকৃতিকে মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য শুরু করেন এক অবিস্মরণীয় সংগ্রাম। স্বাধীনতার এক বছরের মধ্যে জাতিকে উপহার দিলেন গণমুখী সংবিধান। এ সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্নগুলো বিধৃত হয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাপূর্বকালে সংগ্রাম করেছেন, ঠিক তেমনি ভালোবাসা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছেন যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে।

অথচ যে দেশটির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই দেশটিকে গড়ে তোলার সময়টুকুও তাঁকে দেওয়া হলো না। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত হলো এ দেশের মাটি। শুরু হয় সামরিক শাসন ও ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৯১ সালে দেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা সূচিত হয়েছিল, ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও তার ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত আছে।

তবে এ কথাও সত্য যে, বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থায় যে সমস্ত আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সিন্ডিকেট, মাদক, কালোবাজারি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ সামাজিক অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে, তা দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে অত্যন্ত দূরদর্শী ও বিচক্ষণতার সঙ্গে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। শত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসমসাহসে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির এ সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।

এতেই দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে, মাথাপিছু আয় বাড়বে, উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ সত্যি সত্যিই বঙ্গবন্ধুর আরদ্ধ সাধনা সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বর্তমান সরকারকে ভবিষ্যতে আরও অনেক অবিশ্বাস্য চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরামহীন যে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে তা পৃথিবীর কোনো শক্তি আর থামাতে পারবে না। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। আশা করি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ রূপকল্প ২০৪১ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবেই।

আমি আশাবাদী মানুষ। বর্তমানে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক উন্নয়নশীল দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। তবে এ নিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছি, আরও সাফল্য চাই। প্রতিদিনই আমাদের সংগ্রাম চলছে। আর এ সংগ্রামে আমরা অবশ্যই জয়ী হব- এতে কোনো সন্দেহ নেই। অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ এবং পঙ্গু অর্থনীতিকে আমরা যেভাবে এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি, সেখান থেকেই তো ভরসা পাই।

বর্তমানে বিশ্বে যারা শুভবাদের স্বপ্ন দেখেন, যারা মানবিকতার দৃঢ় প্রত্যেয়ে সত্যের সঠিক ইতিহাসের আলোয় সমগ্র জাতিকে উদ্ভাসিত করতে চান তাদের সকলের হৃদয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু চির জাগরূক থাকবে।

কালের সীমাবদ্ধতার কারণে স্বাধীনতাত্তর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেনি, এটা সত্য। কিন্তু তাদের আরও বড় যুদ্ধে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা অবারিত রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যেদিন এ দেশের প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান সুনিশ্চিত হবে, সবাই মন-প্রাণ খুলে বলবে, ভালো আছি, সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি, সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ সার্থক ও অর্থবহ হবে।

এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে, সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পাদন করা। এটাই হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন




এনএসইউ-তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপিত

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) উদ্যোগে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক, লেখক ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শীমা আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং ক্যাম্পাস রঙিন আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়। এনএসইউ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা অংশ নেয়।

উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান।

মফিদুল হক তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাকাল ও জীবন-দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে জীবন-দর্শন, তা সকলের জন্যই আদর্শ। এই আদর্শ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর চেতনা বাস্তবায়নে সকলকে আহ্বান জানান ও আগামী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষাদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সৎ, সাহসী ও নির্ভীক মানুষ ছিলেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক অগ্রজদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, কিন্তু কখনো নিজের আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করেন নি। বঙ্গবন্ধুর এই চিন্তাধারা শিশুরাও যেন লালন করতে পারে সেটাই আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।”

শীমা আহমেদ বলেন, “শৈশবকাল থেকেই দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে ভালোবাসা তা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।” অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, পরিচালকগণ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।