বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আজ

পরিক্রমা ডেস্ক : শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শিশু-কিশোর খোকা কালক্রমে যখন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি হলেন, তখনো তিনি শিশু-কিশোরদের ভোলেননি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন তাই সঙ্গত কারণে জাতীয় শিশু দিবসও। বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোরদের বড় ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু শৈশবে বা কৈশোরে স্বাধীনতা ভোগ করেছেন, বাঁধনহারা আনন্দে দিন কাটিয়েছেন। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা যাতে হেসেখেলে মুক্তচিন্তায় মুক্তমনে বেড়ে ওঠার সুযোগ ও পরিবেশ পায়, সে কথা তিনি ভাবতেন।

১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু আকাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম। বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নেমে আসে জেল-জুলুম, নির্যাতন। রাজনৈতিক জীবনে একযুগেরও অধিককাল তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। দুইবার তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের পাশাপাশি এ দিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়। ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। আজকের শিশুই আগামী দিনের সক্ষম নাগরিক। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন তিনি। তার জন্মদিনে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। ওইদিন শিশুরা দলবেঁধে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যেত। তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার নতুন শপথ নিতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বাংলাদেশে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস। দেশের প্রতিটি শিশু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়ে তার মতো দেশপ্রেমিক হবে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রিয় মাতৃভূমিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের সারথি।’

পাকিস্তানি শাসকচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সব আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তার ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন। বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। ব্যক্তিস্বার্থ, লোভ, মোহ, পদ-পদবির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেওয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বশান্তি পরিষদের জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপেও তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে (২৬ মার্চ) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য। তিনি কখনো ক্ষমতার পেছনে ছোটেননি। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। কৈশোরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ওই সময় থেকে নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন। স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হওয়ার আগেও ছিলেন একজন আদর্শবান দেশপ্রেমিক, জনদরদি মানুষ। অনন্যসাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেওয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক, এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেন। তার নেতৃত্বের গুণাবলি যেমন মুগ্ধ করেছে সারা বিশ্বকে, ঠিক তেমনি মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা, মনুষ্যত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলি তাকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী এবং শৈশব থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদী। তিনি যেমন নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে অগ্রগামী ছিলেন, তেমনি অন্যের দুঃখ-দুর্দশায় সবার আগে পাশে দাঁড়াতেন। কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ক্যাস্ট্রো বলেন, ‘আমি হিমালয়কে দেখিনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি ছিলেন হিমালয়ের সমান। সুতরাং হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি। শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাদির গামা (নৃশংস হত্যার শিকার) বাংলাদেশের এই মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে। আমাদের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই ইতিহাসের পথ ধরেই বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। পাক হানাদার বাহিনী বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে ভেঙে দিতে শুরু করে বর্বর গণহত্যা। গণহত্যার পাশাপাশি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শহরের পর শহর, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় হানাদাররা। বাংলাদেশ পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অদম্য সাহস ও জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব, নারীসহ সব শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের বাঙালি। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। মার্চ মাস আমাদের গৌরবের মাস। অহংকারের মাস। স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ রেডিওতে প্রচার না করায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলার মানুষ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে বেতারকর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় রেডিওর সম্প্রচার। ফলে ৮ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রেডিওতে প্রচারে বাধ্য হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্তপর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাঙালির জীবনে নানা কারণে এ মাস অন্তর্নিহিত শক্তির উৎস। অসংখ্য ঘটনার উজ্জ্বল সাক্ষী। এ মাসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসেন। জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী, দেশি-বিদেশি চক্র তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শিশু-কিশোর খোকা কালক্রমে যখন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি হলেন, তখনো তিনি শিশু-কিশোরদের ভোলেননি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন তাই সঙ্গত কারণে জাতীয় শিশু দিবসও। বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোরদের বড় ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু শৈশবে বা কৈশোরে স্বাধীনতা ভোগ করেছেন, বাঁধনহারা আনন্দে দিন কাটিয়েছেন। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা যাতে হেসেখেলে মুক্তচিন্তায় মুক্তমনে বেড়ে ওঠার সুযোগ ও পরিবেশ পায়, সে কথা তিনি ভাবতেন। বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেল ছিল তার নয়নমণি ও বাংলাদেশের সব শিশুর প্রতীক। রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধুর কলিজার টুকরো। তিনি রাসেলকে এ দেশের সমস্ত শিশুর মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। প্রতিটি শিশুই তার পিতা-মাতার কাছে বড় আদরের। এখানে জাত-পাত, ধনী-গরিবের ভেদাভেদ নেই। আমাদের নতুন স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশটাকে ভালো করে গড়তে হলে এই শিশুদের সঠিকভাবে গড়তে হবে। ওদের তাজা রক্তে দেশপ্রেম ঢুকাতে হবে। ওদের ভালোমতো গড়ে তুলতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তার এ গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক- এটাই বাঙালি জাতির চাওয়া এবং পাওয়া।




চুয়েটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

-চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আনন্দ র‌্যালিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, বঙ্গবন্ধু নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। যাকে নিয়ে হাজারো পুস্তক রচনা করেও তাঁর কীর্তি শেষ হবে না। শৈশব-কৈশোরের বঙ্গবন্ধু ছিলেন ন্যায়ের মূর্ত প্রতীক। সেজন্য শিশুদের মনজগত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার মাধ্যমে গড়ে তুলতেই ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে আমাদের দেশ এখনও পুরোপুরি শিশুবান্ধব হয়ে ওঠেনি। তাদের চিত্তবিনোদনের সুযোগ এখনও সঙ্কুচিত রয়ে গেছে। আইন করে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করা হলেও এখনও আমাদের চারপাশে শিশুরা নির্যাতিত ও অবহেলিত। গণমাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশে তেমন কোনো অনুষ্ঠান নেই। এই জায়গাগুলোতে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। ফিলিস্তিনে নির্বিচারে শিশু ও নারীদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে, আমরা তার প্রতিবাদ জানাই, ধিক্কার জানাই। সেইসাথে দেশের সকল কোমলমতি শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চুয়েট যাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে আমরা সেভাবে নিজেদের আত্মনিয়োগ করি।”

-চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

তিনি আজ ১৭ই মার্চ (রবিবার) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১০.২০ টায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সরাব ঘরে” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত রহমান, কর্মকর্তা সমিতিরি সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম। অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও উপাচার্য কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। এর আগে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর ও জাতীয় শিশু দিবসের উপর একটি প্রমাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রায় ৮০জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

-চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

 

এর আগে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে স্বাধীনতা চত্ত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। পরে চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- চুয়েটের ছাত্র-ছাত্রী ও ক্যাম্পাসের শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ ইত্যাদি।

 




বাইউস্টের স্প্রিং-২০২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ‘বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট)’, কুমিল্লা-এর স্প্রিং-২০২৪ সেশনের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সৈয়দপুরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষার্থীদের পদচারণায় সকাল থেকেই বাইউস্ট ক্যাম্পাস মুখরিত থাকে। এই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে দশটায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে সকাল সাড়ে এগারোটায় শেষ হয়। বাইউস্টের একাডেমিক ভবনের ২য় ও ৩য় তলার রুমসমূহে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস, এবং বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের অধীন মোট ৭টি বিভাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন মিয়া (অব.), রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.) এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে বাইউস্টের নিজস্ব পরিবহণের মাধ্যমে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আগত অভিভাবকবৃন্দকে বসার সুব্যবস্থা করা হয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ বাইউস্টের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিসমূহ, লাইব্রেরি, ছাত্র-ছাত্রী হল, ক্যান্টিন, ডাইনিং হল ইত্যাদি পরিদর্শন করে তারা ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভর্তি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দকে একইভাবে নিজস্ব পরিবহণের মাধ্যমে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়া হয়।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৮ মার্চ অপরাহ্নে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিসবোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৯ মার্চ ২০২৪ থেকে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত বাইউস্টের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উক্ত সময়ে বাইউস্টে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই), ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন (আইসিটি), ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ (ডিবিএ), আইন এবং ইরেজি বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।




ফায়ার সার্ভিসে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক :ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ মার্চ ২০২৪ সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মোঃ কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, উপপরিচালক (প্র্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন, উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মোঃ আক্তারুজ্জামান, ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাজউক, বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ পুলিশ, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, এনজিও কর্মকর্তাসহ অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক স্বাগত বক্তব্যে সকলকে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান। তিনি অংশীজনদের উদ্দেশে বলেন, “ফায়ার সার্ভিস সর্বদা মানুষের সেবায় কাজ করে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আমাদের সেবাকে আরও জনবান্ধব করতে সহায়ক হবে।” একই সাথে তিনি সকলকে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা জানতে চাওয়ার অনুরোধ জানান।

অংশীজনের মধ্যে বিজিএমইএ প্রতিনিধি, বিকিএমইএ প্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজন তাদের মতামত পেশ করেন। তারা ফায়ার সার্ভিসের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশিক্ষণসহ চলমান সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। পরে পরিচালক প্রশাসন ও অর্থসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বিভিন্ন অংশীজনের প্রশ্নের জবাব দেন এবং তাদের মতামতগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়।

খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।




চুয়েটে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস উদযাপিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর গণিত বিভাগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক গণিত (পাই) দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। আজ ১৪ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ খ্রি. উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন। গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সেলিম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েট ম্যাথ ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। আন্তর্জাতিক গণিত দিবস ও বিশ্বখ্যাত গণিতবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিন উপলক্ষে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী।

-চুয়েটে আন্তর্জাতিক গণিত দিবসের অনুষ্ঠানে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দসহ পুরষ্কার বিজয়ীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “মানুষের মঙ্গলের জন্য একটি আধুনিক সমাজ গঠনে গণিতের যে ভূমিকা আছে, তা মানুষকে অবহিত করা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল হতে যে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তার মূল হাতিয়ার হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভালোভাবে জানার ও বোঝার জন্য গণিতের বিকল্প নেই।”

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস উপলক্ষে আয়েজিত পোস্টার ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম পুরস্কার তুলে দেন। বেস্ট পোস্টার পুরস্কার পান গণিত বিভাগের এমএসসি’র শিক্ষার্থী সুস্মিতা মজুমদার। পাই ডে কুইজ প্রতিযোগিতায় যন্ত্রকৌশল বিভাগের ‘২২ আবর্তের হামিম ইবনে হাসান প্রথম, ঈশা ভৌমিক দ্বিতীয় এবং আব্দুল আজিজ তৃতীয় স্থান লাভ করে।




GEN-বাংলাদেশ এর আয়োজনে ড্যাফোডিলে ‘মেন্টরিং সেশন অন পার্সোনাল ব্রান্ডিং’

পরিক্রমা ডেস্ক : তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা মনেবৃত্তি তৈরি করার লক্ষ্যে গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক-বাংলাদেশ (GEN-বাংলাদেশ) উদ্যোগে “মেন্টরিং সেশন অন পার্সোনাল ব্রান্ডিং” শীর্ষক বিশেষ মেন্টরিং সেশনের আযোজন করা হয়। বিশেষ এই সেশনে স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও সিআইও মেঘধুত রায় চৌধুরী। আজ (মার্চ ১৩) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল প্লাজায় নলেজ ভেলী, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিিটেড ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন ও উদ্যোক্তাবৃত্তি ডিপার্টমেন্ট এর সহযোগিতায় এ বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়। সেশনে ১৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী তাদের ইনোভেটিভ আইডিয়া উপস্তাপন করেন এবং ৫০ এর অধিক তরুণ উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।

সেশনে মেঘধুত রায় চৌধুরী উপস্থিত তরুণ শিক্ষার্থীদের পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন, পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য অর্জনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন GEN Bangladesh- এর উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন ও উদ্যোক্তাবৃত্তি ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান কামরুজ্জামান দিদারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সেশন শেষে ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান মেঘধুত রায় চৌধুরীকে GEN Bangladesh এর বাংলাদেশ পক্ষ হতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।




শিক্ষাক্ষেত্রে রোল মডেল এখন বাংলাদেশ- বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি

পরিক্রমা ডেস্ক : ঢাকা বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। ১১ মার্চ সোমবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কাকরাইল মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা আয়োজন করে ‘মাদক নিমূর্লে করণীয়’, ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম, শিক্ষা বিষয়ক এবং ঢাকা বিভাগের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার প্রধান সম্পাদক ও বি.পরিক্রমানিউজবিডি.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হলে ছাত্রছাত্রীকে সেভাবে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। লেখাপড়া করে শুধু সার্টিফিকেট নিলে হবে না ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে সবক্ষেত্রে।

তিনি বলেন- পূর্বের যে কোন সরকার থেকে বর্তমান সরকার এর আমলে শিক্ষার হার বেশি। শিক্ষা খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। নারী শিক্ষার অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলেমেয়ের ভর্তির হার সমান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। এ সরকারের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে গত ১৪ বছরের অর্জন অবিস্মরণীয়। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা আর শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে রোল মডেল এখন বাংলাদেশ।

স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। এক সঙ্গে ৩৭ হাজার প্রাথমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করা হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারে এটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে ধরা হয়। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং শিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধুর এ সিদ্ধান্ত বিশেষ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলকে সরকারিকরণ করেছেন। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

পিছিয়ে পড়া মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করেছে বর্তমান সরকার। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে মাদ্রাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ শিক্ষায় অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় এনে বিশ্বমানের শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দেশে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

পরিশেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমাকে এমন সুন্দর আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রধান আলোচক ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন— শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসে। আর নৈতিকতা মানুষের জীবনকে করে তোলে সুন্দর ও সমৃদ্ধ। এ দুটির সমন্বয় হলে একজন মানুষ সৎ, চরিত্রবান, আল্লাহভীরু, দেশপ্রেমিক ও দায়ত্বিশীল হয়ে ওঠে। কাজেই বর্তমান সমাজের জন্য নৈতিক শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দেশে, শিক্ষাবিদ ও দার্শনিকরা নিজস্ব চিন্তাচেতনার আলোকে শিক্ষার বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও সংজ্ঞা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা হচ্ছে সেই শক্তি, যার দ্বারা সঠিক সময়ে আনন্দ ও বেদনার অনুভূতি জন্মায়। এটি শিক্ষার্থীর দেহে ও মনে সব সুন্দর ও অন্তর্নিহিত শক্তিকে বিকশিত করে তোলে। শিক্ষার সাহায্যে মানুষ নিজেকে ও বিশ্বকে জানতে পারে।’

তিনি বলেন- যে শিক্ষা মানুষকে অন্যের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে না, যে শিক্ষা মানুষকে ভীরুতা জয় করতে শেখায় না, যে শিক্ষা জীবনে ও মরণে আলো দিতে পারে না, যে শিক্ষা মানুষকে মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে স্বার্থপরতায় অন্ধ করে তোলে, যে শিক্ষা মানুষকে উগ্র ইন্দ্রিয় সুখের জন্য হত্যার কারণ তৈরি করে, যে শিক্ষা সতীর্থকে নির্মমভাবে খুন করতে উদ্বুদ্ধ করে, যে শিক্ষা ভালোবাসার কবর রচনা করে ঘৃণাকে উসকে দিয়ে হিংসা ও হানাহানির প্রসার ঘটায়, যে শিক্ষা ঐক্যের পরিবর্তে শুধু বিভেদই বাড়ায়, আজ সর্বত্র সেই শিক্ষারই প্রচার ও প্রসার। এ হচ্ছে বস্তুবাদী শিক্ষার দৃষ্টান্ত।

পরিশেষে তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সুজিত রায় নন্দী; বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের; পাওয়ার সেল বিদ্যুৎ বিভাগ এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন; এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ এর চেয়ারম্যান লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান; প্রাইম ইউভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. হুমায়ুন কবির; এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি; মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-এর অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো: মজিবুর রহমান পাটওয়ারী ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ সহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান।

অনুষ্ঠানে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০০০ জন কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।




ধ্রুপদ ৬: স্থাপত্য ও শিল্পকলার এক অনন্য মেলবন্ধন

পরিক্রমা ডেস্ক : গত ০৭ ই মার্চ ২০২৪ ইং অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ষষ্ঠতম সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘ধ্রুপদ ৬’।

ধ্রুপদের ভাবনার সূত্রপাত স্থাপত্য বিভাগের একঝাঁক শিক্ষক শিক্ষার্থীর হাত ধরে । স্থাপত্যকলার সাথে নানা ধরনের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের গভীর যোগাযোগ। একজন স্থপতি সকল ধরনের শিল্প ও সাংস্কৃতিক সৃষ্টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তার স্থাপত্য চর্চা করে থাকেন। এই ভাবনা থেকেই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীগন তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ বিশেষ স্বরূপ এই আয়োজন শুরু করে।

এটি প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় । সময়ের সাথে সাথে এতে সকল ধরনের শিল্পকলা তথা ঐতিহ্যবাহী শাস্ত্রীয়, লোকজ, কন্ঠ ও যন্ত্র সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক চিত্রকলা হস্ত ও কুটির শিল্প ইত্যাদি সংযোজন হয়।
এবারের আয়োজনে ছিল মনমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা, দলীয় নৃত্য, আবৃত্তি, বাংলা সাহিত্য থেকে সংগৃহীত একটি নাটিকা ও ব্যান্ড সংগীত।

অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয় দর্শকের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত চিত্রাংকনের মাধ্যমে । অনুষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় সৃজনশীল ক্ষমতা তুলে ধরা নয় বরং শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যকার পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরো সুদৃঢ় করে যা তাদের স্থাপত্য চর্চার যাত্রায় সহায়ক হয়। স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারপারসন ডঃ নন্দিনী আওয়াল এবং অন্যান্য বিভাগের পরিচালক এবং বিভাগীয় প্রধানগণ অনুষদ ও প্রশাসনিক সদস্যগণ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন
শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।

অনুষ্ঠানটির দিক নির্দেশনায় ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক ড. সাইফুল ইসলাম ও অমিতি কুন্ডু। টাইটেল স্পন্সর হ্যাচ্ লিমিটেড এবং সিলভার স্পন্সার তিলোত্তমা বাংলা গ্রুপের পাশাপাশি তাইয়্যেবা বিল্ডার্স লিমিটেড, প্যারিসটাইল আর্কিটেক্ট এবং বহু এর সহায়তায় অনুষ্ঠানটি সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছে।




ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের যৌথ উদ্যোগে এফসিসি প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন

পরিক্রমা ডেস্ক : ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের যৌথ উদ্যোগে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (এফসিসি) প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হয়েছে। এই “এফসিসি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম” ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এর একটি যৌথ উদ্যোগ। আর্থিক অপরাধের জটিলতা মোকাবেলায় করতে এই কোর্সটি অ্যাকাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছে৷ এই বছরের শুরুতে চালু হওয়া এই উদ্যোগটি বাংলাদেশে প্রথম।

এই এফসিসি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম ইন্ডাস্ট্রি ও সমাজকে রক্ষা করতে কমপ্লায়েন্সের মান বাড়ানো এবং আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। কোর্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অন্যান্য অবৈধ আর্থিক কর্মকাণ্ড চিহিৃতকরণ এবং প্রতিরোধকরণ। নৈতিকতা, প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ এবং কমপ্লায়েন্স পদ্ধতির গুরুত্বও পাঠ্যবস্তুর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই কোর্সের পুরোটা সময় শিক্ষার্থীদের পরামর্শ প্রদান করেছেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ব্র্যাক বিজনেস স্কুল এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক এবং দক্ষ ব্যাংকরা।

সম্প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে এই কোর্সের সমাপন উপলক্ষে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুব রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয় এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুজিবুল হক।

এই অনুষ্ঠানে বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে এফসিসিকে একটি অত্যন্ত যুগোপযোগী কোর্স বলে উল্লেখ করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয়। তিনি বলেন, “প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেনের কারণে বছরে কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার, ব্যাংক, জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই কোর্সে অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন এবং কর্মকান্ড ঠেকানো সম্ভব হবে। এর ফলে সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সার্বিকভাবে জনগণের উপকার হবে।”

এফসিসি সার্টিফিকেট কোর্সটি ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মাহবুব রহমান। তিনি বলেন, “নৈতিকতা হলো একটি শক্তিশালী আর্থিক অবস্থার ভিত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি নৈতিকতা এবং সহানুভ‚তিবোধ জাগিয়ে তোলা।” আর্থিক খাতে অনিয়ম দূর করতে তিনি সরকারসহ সবার সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই সার্টিফিকেট প্রোগ্রামটি অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আর্থিক অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের পেশাজীবনে বাকিদের তুলনায় এগিয়ে রাখবে বলে মন্তব্য করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর মুজিবুল হক। তিনি বলেন, “এই কোর্সটি অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর ভ‚মিকা রেখেছে যা আর্থিক অপরাধগুলিকে আরো ভালোভাবে চিহ্নিত করতে এবং এর প্রতিরোধে তাদের সাহায্য করবে।”

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও কৃতিত্বের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা এই কোর্সটিকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এই কোর্সের অভিজ্ঞতা তাদের পেশাজীবনে কাজে লাগছে বলে মন্তব্য করেন।




ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাদশ সমাবর্তন আজ ১০ মার্চ (রবিবার) বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমেরিকার জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্কো গান্ডোলিফ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিকতা বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মোঃ মেহরাবুল হক।

এবারের সমাবর্তনে ৬২৮৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাওসার হোসেন ও সুমাইয়া আকতার সাম্মী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের জানানতুল ফেরদৌস মিম, টেকাসটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাদিম খান শান্ত এবং কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মোঃ মাহামুদুল হাসান সুমন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্টসিটিজেন এবং স্মার্ট জেনারেশন তৈরী করতে হবে এবং শুধু স্মার্ট ফোন হাতে নিলেই স্মার্ট জেনারশন হবে না। তাকে মন মানসিকতায় স্মার্ট হওয়ার জন্য গ্লোবাল সিটিজেন হতে হবে। গ্লোবাল সিটিজেন হতে হলে ভেল্যু সিস্টিমের জায়গায় টলারেন্সের ন্যায় একটা মানসিকতা থাকতে হবে। তাকে নন কমিউনাল মানুষ হতে হবে। তার অন্য ধর্ম, সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ন মনোভাব থাকতে পারবে না। তাকে সহনশীল হতে হবে। পাশাপাশি দক্ষতার জায়গায় তাকে আজীবন ‘লাইফ লং লারনার’ হওয়ার একটা মানসিকতা অবশ্যই ধারন করতে হবে।তাহলেই সে স্মার্ট মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে এবং সেই স্মার্ট মানুষদেও কে নিয়েই আগামীতে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন , আন্তজার্তিক নানা মানের কোয়ালিফিকেশন্স এবং প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন্সের ক্ষেত্রে আমরা এখনো প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছি। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অঅমরা আমাদেও নিজেদের অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সেগুলো অর্জন করতে পারি। আমাদেও ডিজিচটাল বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে , আইসিটির একটা ইফ্রাস্ট্রাকচারও আছে, সেগুলোকে ব্যবহার করে আমরা দেশে বসেই অনেক ধরনের প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন নেয়ার সুয়োগ রয়েছে। সেই ক্সেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যেই বিষয়েই হোক না কেন ইন্টারন্যাশানল সার্টিফিকেশন নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ডাতে করে শিক্ষার্থীরা দেশে এবং বিদেশে চাকরির সুযোগ পায়।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সি প্রফেশনালতেদর একটা ঘাটতি শুরু হয়েছে এবং আগামী ২০৫০ সালে এই ঘাটতি প্রায় ৩০ মিলিয়নে গিয়ে দাড়াবে। ফলে আমাদের জন্য বিশাল সুয়োগ সুষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে সে সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি অঅরো বলেন, নতুন যে শিক্ষা কারিকুলাম আসছে সেখানে অঅমরা অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষা এবং জীবন ঘণিষ্ঠ শিক্ষার উপর জোড় দিচ্ছি।

স্বাগত বক্তব্যে ডিআইইউ চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবনকে অনুঘটক মনে করেছে এবং এর একাডেমিক সিস্টেমের সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করেছে। আমরা আধুনিক ফ্ল্যাগশিপ ইউনিভার্সিডঁ হিসেবে বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, অ্যাক্সেস এবং ইক্যুইটির প্রতি নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে শিক্ষাদান, শেখার, গবেষণার মান এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে কাজ করে যাচ্ছে” বলে সন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র উদ্ভাবনী বিষয়ক কোর্স চালু করেছে, একাডেমিয়া-শিল্প সম্পর্ক জোরদার করেছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতাকে একীভূত করেছে, পাঠ্য বহির্ভূত কার্যক্রমের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতরণ কার্যক্রম ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করেছে। একটি জেড জেনারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তামূলক পরিষেবা এবং সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে আমরা একটি ব্যাপক শিক্ষামূলক ইকো সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করেছি।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্যের গল্প উল্লেখ করে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি, নাসা স্পোর্টস এপ চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় গ্লোবালী চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানে আমরা নিয়মিত জব উৎসব এবং জব প্লেসমেন্টের আয়োজন করছি, এবং ইউএনডিপি-স্পন্সর ইভেন্ট হিসেবে ২০০+ প্রতিষ্ঠান ছাত্রদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করার জন্য অংশগ্রহণ করেছিল।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বর্তমানে “ডোয়ার্স এবং লিডারস” বিকাশের উপর সবোর্চ্চ মনোযোগ নিবদ্ধ করছে যারা এ গ্রহের জন্য একটি টেকসই বর্তমান এবং প্রতিশ্রম্নতিশীল ভবিষ্যত প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্ভাবন এবং সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে।