“আস্থা লাইফ এর মতিঝিল শাখা উদ্বোধন”

পরিক্রমা ডেস্ক : “সুরক্ষিত জীবনের প্রতিশ্রম্নতি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মতিঝিলের বাণিজ্যিক এলাকায় সম্প্রতি আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর নতুন শাখা অফিস উদ্বোধন হয়েছে। ১০ মার্চ ২০২৪ রবিবার রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ৬-মতিঝিল ঠিকানাস্থ ভূঁইয়া ম্যানশন এর ৬ষ্ঠ তলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর একমাত্র জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর একটি শাখা অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনোয়ার শফিক, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ), এমবিএ, এমএসএস, পিজিডি (ইউএসএ), এমফিল, পিএইচডি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক, বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীগণ প্রমুখ সহ আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালিত জীবন বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাস ফেরাতে ‘নতুন ধারার বীমা’ সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে আস্থা, নিয়মানুবর্তিতা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার শীর্ষ অবস্থানে থেকে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনপূর্বক বীমা শিল্পে একটি নতুন ধারার স্মার্ট জীবন বীমা কোম্পানীর রোল মডেল হিসেবে অবদান রেখে চলছে।




পপুলার লাইফের বীমা গ্রাহকের বীমা দারীর চেক হস্তান্তর এবং বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

পরিক্রমা ডেস্ক :পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর বীমা গ্রাহকের বীমা দারীর চেক হস্তান্তর এবং বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কক্সবাজার হোটেল সী প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বীমা নিয়ন্ত্রক (ইনচার্জ) ও কোম্পানীর সিনিয়র কনসালট্যান্ট রায় দেবদাস, কোম্পানীর আইন উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক অতিরিক্ত এর্টনি জেনারেল মোহাম্মদ আলী, কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নন্দন ভট্টচার্য ও মোস্তফা হেলাল কবির, সিনিয়র ডিএমডি সৈয়দ মোতাহার হোসেন, মোঃ নওশের আলী নাঈম, আলমগীর ফিরোজ, মোঃ আবু তাহের, মোঃ হাবিবুর রহমান ও ইমাদ উদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ডিএমডি বৃন্দ, প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্প ইনচার্জবৃন্দ এবং কোম্পানীর অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা/কর্মী অংশগ্রহণ করেন। ছবিতে অতিথিবৃন্দকে বীমা দাবীর চেক হস্তান্তর দেখা যাচ্ছে।




চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ; ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৮ এপ্রিল থেকে

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর প্রকৌশল গুচ্ছের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ/লেভেল-১ এর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গত ৮ই মার্চ (শুক্রবার) ২০২৪ খ্রি. রাতে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়গণ এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার অনুমোদনক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চুয়েটের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল এবং সদস্য সচিব ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মহি উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল https://admissionckruet.ac.bd/-এ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। এবারের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে ‘ক’ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) গ্রুপে মেধাক্রম ১-১১৪৬২ পর্যন্ত এবং ‘খ’ (স্থাপত্য বিভাগ) গ্রুপে মেধাক্রম ১-৭৬০ পর্যন্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এদিকে আগামী ২৮শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. রবিবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৩:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রথম পর্যায়ে ‘ক’ গ্রুপে ১-৩৫০০ পর্যন্ত এবং ‘খ’ গ্রুপে  ১-১২০ পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে ‘ক’ গ্রুপে ১-১৮ পর্যন্ত ও ‘খ’ গ্রুপে ১-২ পর্যন্ত, ‘খ’ গ্রুপে ১-২ পর্যন্ত বান্দরবান জেলার অধিবাসীদের জন্য ‘ক’ গ্রুপে ১-২ পর্যন্ত ১ম পর্যায়ের মেধাক্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে ভর্তিচ্ছুক মেধাস্থান প্রাপ্ত সকল প্রার্থীকে আগামী ২১/০৪/২০২৪ খ্রি. রবিবার সকাল ৯:০০ ঘটিকা থেকে https://admissionckruet.ac.bd/ লিংকে প্রবেশ করে “Online Choice Form”-এ চাহিত প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের পছন্দক্রম প্রদান করতে হবে।  Online Choice Form-এ প্রদানকৃত তথ্য ও পছন্দক্রম ২৭/০৪/২০২৪ খ্রি. শনিবার সকাল ৯.০০ ঘটিকার পূর্বপর্যন্ত প্রার্থী প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারবে এবং উক্ত সময় পর ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের Online Choice Form লক হয়ে যাবে। এরপর আর কোন তথ্য বা পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে না। পূরণকৃত ফরমের (প্রিন্টেড) ০১ কপি ভর্তির সময়ে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েট কেন্দ্রসমূহে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থী যে কেন্দ্র থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে উক্ত কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। ১ম পর্যায়ে উপরোল্লিখিত মেধাক্রম, তারিখ ও সময়সূচী অনুযায়ী ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির নিকট উপস্থিত হবে। উক্ত দিনই নিরীক্ষা কমিটি দ্বারা প্রার্থীদের সনদপত্র যাচাইপূর্বক জমাদানের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরের দিন ২৯/০৪/২০২৪ খ্রি. সকালে ঘোষণাকৃত প্রার্থীদের প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ দেখে কেবল ভর্তি কমিটির অনুমোদনকৃত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদেরকে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ১৮,৫০০/= (আঠারো হাজার পাঁচশ) টাকা ফি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিত ব্যাংকে অথবা অনলাইনে বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার মধ্যে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, ভর্তির জন্য সংরক্ষিত আসনসহ চুয়েটে ৯৩১টি, কুয়েটে ১০৬৫টি এবং রুয়েটে ১২৩৫টি সর্বমোট ৩২৩১টি আসন রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৩রা মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, চুয়েটে ১২টি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়মিত ৯২০ আসনের পাশাপাশি ১১টি উপজাতি কোটা-সহ মোট ৯৩১টি আসন রয়েছে। চুয়েটের বিভাগসমূহ হচ্ছে- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্য বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।




ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের উদ্বোধন

পরিক্রমা ডেস্ক : শিক্ষাগত উৎকর্ষ এবং ডিজিটাল সমাজের বিকশিত চাহিদা মেটানোর অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আগামী ফল সেমিস্টার ২০২৪ (জুলাউ) থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিাগের অধীনে এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়। আজ ০৯ মার্চ ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কোর্সের আনুষ্ঠানিকউদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সেীর মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোঃ কামরুজ্জামান, এনডিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঈস্খফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ।ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাস্টর্ সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিিটেডের চীফ টেকনিক্যাল অফিসার প্রকৌশলী মোঃ মুশফিকুর রহমান, নগদ লিমিিটেডের টেকনোলজি অডিটের সিনিয়র ম্যানেজার এন এম আই রাইসুল বারী, এসিএনএ বি আই এন চাটার্য একাউন্টেন্টস এর পরিচালক ( আইটি অডিট) এ এন এম সাখাওয়াত হোসেন, বাইটস কেয়ার লিমিিটেডের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তাএম গোলাাম সারওয়ার ও আশা ইন্টারন্যাশনালের হেড অব ইনফরমেশন সিকিউরিটিমোঃ সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিয় বিভাগের প্রধান ইমরান মাহমুদ এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটির প্রোগ্রমের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মারুফ হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কেন্দ্রবিন্দু এবং সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। সামাজিক মাধ্যম থেকে অনলাইন ব্যাংকিং পর্যন্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা, সাইবার স্পেসে দুর্বলতার দ্বারকেও খুলে দিয়েছে। ইন্টারনেট এবং মোবাইলের দ্রুত বিকাশ, সাইবার নিরাপত্তাকে কেবল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য প্রধান উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশ যখন স্মার্ট জাতি হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন সাইবার সিকিউরিটির ভূমিকা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে, সাইবার সিকিউরিটির পরিদৃশ্য দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সাইবার হুমকিগুলির বর্ধিত জটিলতা, নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি পেশাদারদের ঘাটতিও প্রকাশ করেছে। এই ঘাটতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও শিল্পে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে, আমরা এমন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি, যারা এই ডিজিটাল ক্ষেত্রের জটিলতাগুলো নেভিগেট করতে পারে এবং আমাদের অবকাঠামো এবং তথ্যগুলি সাইবার হুমকিগুলি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম ।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সবসময় কর্মক্ষেত্রের গতিশীল চাহিদা পূরণের জন্য উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল শিক্ষামূলক সমাধান প্রদানের অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে। আমাদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে এম.এস.সি. প্রোগ্রামটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি দূর করার একটি কৌশলগত উদ্যোগ। এই প্রোগ্রামটি সাইবারসিকিউরিটি সেক্টরের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী সুনিপুণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, নিশ্চিত করা হয়েছে যে আমাদের স্নাতকরা শুধু তাত্তি্বক ধারণাতেই নয়, বাস্তবিক প্রয়োগেও পারদর্শী হবেন।

বক্তারা আরো বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটির এম.এস.সি. প্রোগ্রামের সূচনা বাংলাদেশ এবং তার বাইরে যোগ্য সাইবার নিরাপত্তা পেশাদারদের জরুরী চাহিদা মেটানোর দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা তাত্তি্বক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দক্ষতার সমন্বয়ে আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হতে পারে। এই প্রোগ্রাম শুধুমাত্র একটি শিক্ষাগত উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এবং আমাদের ডিজিটাল বিশ্বের নিরাপত্তার প্রতি একটি প্রতিশ্রম্নতি। আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ, স্মার্ট এবং ঝুঁকিবিহীন ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রত্যাশা করি।




চুয়েটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “৫৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধু যেদিন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেছিলেন আমি তখন ৮ম শ্রেণির ছাত্র। রেডিওতে সেদিন নিজ কানে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে শরীরে কম্পন জেগেছিল। আজও সেই ভাষণের তেজোদীপ্ততা কানে বাজে। দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়নের এক পর্যায়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালির জন্য ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। যার ফলে বীর বাঙালি স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া মিশনে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নতুন ভিশন বাস্তবায়নে আমাদের স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট প্রকৌশলী হিসেবে অবদান রাখতে হবে।”

-চুয়েটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত র‌্যালিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

তিনি আজ ০৭ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ খ্রি. বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, কুয়েটের মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড মেনুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন ও মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ আলম। অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও উপাচার্য কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

-চুয়েটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ চুয়েট পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এরপরই চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তকবক অর্পণ করা হয়।




নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ এর ভাষণ উদযাপিত

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের উপর একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শীমা আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ. কে. এম. শাহনেওয়াজ।  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসইউ’র মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক। এতে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপরেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ গত শতাব্দীর অন্যতম প্রভাব বিস্তার করা ভাষণের অন্তুর্ভুক্ত। এটি বর্তমানে একাডেমিয়াতে অন্যতম গবেষণার বিষয়। এই ভাষণ আমাদের সাহস জোগায়, উৎসাহী করে এবং বর্তমান সময়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে উৎসাহ জোগায়।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, “সাত মার্চের ভাষণটিই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এতে তিনি শুধু একটি জাতিকে তাঁর চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তাঁর সারা জীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুঃখ, বঞ্চনা এবং ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন।”

শীমা আহমেদ বলেন, “স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণ সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো। যা শুধু দেশের মানুষ নয়, অনুপ্রাণিত করেছিলো পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালিকেই। তাদের মনে জন্মেছিলো স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনা। যার ফল ছিলো সুদূরপ্রসারী।”

অধ্যাপক এ. কে. এম. শাহনেওয়াজ বলেন, “এই ভাষণের অংশবিশেষ ‘বজ্রকন্ঠ’ নামে বাংলাদেশ বেতারে বাজানো হতো। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের উদীপ্ত করতো, উৎসাহ যোগাতো। বঙ্গবন্ধুর এই কথাগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সমগ্র জাতিকে একসুরে বেঁধে রেখেছিলো।”

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণের তীব্রতাকে বুঝতে হলে এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি সেদিন খুব সুকৌশলে স্বাধীনতার বাণী সমগ্র বাঙালির উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে দেন।”

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এনএসইউ’র কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান।




এলিট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ (এলিট ফোর্স) ও আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মধ্যে গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর

পরিক্রমা ডেস্ক : এলিট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ (এলিট ফোর্স) এবং বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের একমাত্র জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মধ্যে গ্রুপ ইন্সু্যরেন্স চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ০৭ মার্চ বৃহষ্পতিবার সেনা সদরে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এলিট সিকিউরিটি সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আজিজ, পিএসসি (অবঃ) এবং আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনোয়ার শফিক, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ), এমবিএ, এমএসএস, পিজিডি (ইউএসএ), এমফিল, পিএইচডি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল এবং আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি, এনডিইউ, পিএসসি। এছাড়াও উভয় পক্ষের সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে এলিট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ এর সম্মানিত সদস্যগণ আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রুপ বীমার আওতায় জীবন ঝুঁকির বিপরীতে নানাবিধ বীমা কভারেজ পাবেন।

উল্লেখ্য, আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালিত জীবন বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাস ফেরাতে ‘নতুন ধারার বীমা’ সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে আস্থা, নিয়মানুবর্তিতা, প্রতিশ্রম্নতি রক্ষা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার শীর্ষ অবস্থানে থেকে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনপূর্বক বীমা শিল্পে একটি নতুন ধারার স্মার্ট জীবন বীমা কোম্পানীর রোল মডেল হিসেবে অবদান রেখে চলছে।

 

 




পবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কর্মসূচি পালিত

পরিক্রমা ডেস্ক : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত । এ ছাড়াও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। পরে একই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ. দা.) প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বৈশ্বিক তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, এটি একটি কালোত্তীর্ণ ভাষণ। এই ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এটি যুগে যুগে বিশ্বের সকল বঞ্চিত, অবহেলিত ও স্বাধীনতাকামী জাতিগুলোকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। এ ভাষণ সব দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। এ কারণেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড” রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আঠারো মিনিটের বক্তব্যে তিনি বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সারমর্ম বলেছিলেন যা তার পূর্ব নির্ধারিত বা লিখিত ভাষণ ছিল না। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃত। এই ভাষণের তাৎপর্য অনুধাবন করে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ, লালন ও বিকাশ ঘটানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা দিল বিআইএ

পরিক্রমা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীমা পরিবার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠান  ০৬ মার্চ ২০২৪ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (শেরাটন) এ আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর  চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসসোসিয়েন (বিআইএ) এর প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন এর নিকট থেকে সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন।



ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পাটের কাপড় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সাসটেইনেবল জ্যাকেটের এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশে এই প্রথম, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়েরর অধ্যাপক ডঃ মোঃ মাহবুবুল হকের তত্ত্বাবধানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের এক দল গবেষক ছাত্র তাদের থিসিসের অংশ হিসাবে পাটের কাপড় ব্যবহার করে উদ্ভাবন করেন সাসটেইনেবল জ্যাকেট। উল্লেখ্য, একটি জ্যাকেটে সাধারণত তিনটি স্তর থেকে। ভেতরের ও বাইরের স্তরের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ স্তর থাকে যা প্যাডিং, কুইলটিং, ইনছুলেটিং লেয়ার নামে পরিচত। সমগ্র বিশ্ব এখন সাসটেইনেবল, পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই পণ্য প্রত্যাশী। বর্তমানে ব্যবহৃত জ্যাকেটের মধ্যম স্তরটিতে প্রচুর কৃত্রিম কাপড় ও কৃত্রিম দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হয় যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ভাবিত এই বিশেষ জ্যাকেটে মধ্যম স্তরের কৃত্রিম অপচনশীল উপকরণ গুলিকে পাট কাপড় দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি এমন একটি সমাধান যা কেবল পরিবেশবান্ধবই নয় বরং জ্যাকেটের উৎপাদন মূল্যও অনেক কমে যাবে। এছাড়া পাটের এই জ্যাকেট রপ্তানি করা গেলে পাটের চাহিদা ও দাম বেড়ে যাবে। তবে পাটের কাপড় জ্যাকেটে ব্যবহার করতে এর বৈশিষ্ট্যের অনেক পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। এই গবেষণাটি ব্যাপকভাবে চলমান রয়েছে এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিক মানের সাথে তুলনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী এটির মান উন্নয়নে আরো গবেষণা পরিচালিত হবে।

জ্যাকেটটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র এস. এম. নাহিদ পারভেজ নাঈম পরিধান করে জানান, এই জ্যাকেট আশ্চর্যজনক ভাবে ফ্যাশনেবল ও আরামদায়ক ছিলো এবং তিনি পযার্প্ত উষ্ণতা অনুভব করছিলেন।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ডঃ মোঃ মাহবুবুল হক। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মির মহিব এবং জ্যাকেট স্পেশালিস্ট মোঃ জুলহাস খান। এছাড়া গবেষণার সাথে সরাসরি সংযুক্ত ছিলেন, মোঃ তরিকুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ রাফিউল ইসলাম, এস. এম. নাহিদ পারভেজ নাঈম, বাপন চন্দ্র পোদ্দার, মোঃ সাহারুজ্জামান খান সাকিব, ওয়াহিদ মিয়াহ, মোঃ জিয়াউর রহমান জনি, সবুজ হাওলাদার।

ক্যাপশননঃ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়েরর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের এক দল গবেষক ছাত্র তাদের থিসিসের অংশ হিসাবে পাটের কাপড় ব্যবহার করে উদ্ভাবন করেন সাসটেইনেবল জ্যাকেট। উদ্ভাবিত জ্যাকেটটি পরখ করে দেখছেন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়েরর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোঃ মাহবুবুল হক।