অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : “অগ্নি দুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর করণীয়” বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ মার্চ, বুধবার সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মোঃ শাহিদউল্লাহ (সাবেক মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আলী আহম্মেদ খান (সাবেক মহাপরিচালক), অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান (ডিজস্টার সাইন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্স, ঢাবি), অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট), স্থপতি মোঃ ইকবাল হাবিব (সহসভাপতি, বাপা), মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি, সভাপতি, ইসাব প্রমুখ।

স্থপতি মোঃ ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে এবং চিহ্নিত ভবনের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ভবনের সামনে তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মোঃ শাহিদউল্লাহ বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করতে পারে এজন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস-এর সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য/বিরোধ দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আলী আহম্মেদ খান বলেন, শহর কেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ ফায়ার সার্ভিসকে দুর্ঘটনার ধরনভেদে স্পেশাল টিম তৈরি করতে হবে। এছাড়া রাজউক, সিটি করপোরেশন বা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরি করার পরামর্শ দেন তিনি।

অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘণবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিস-এর স্থগিত বিধিমালা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটিতে ফায়ার সার্ভিস-এর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে এমন বিধান তৈরি করতে হবে। এছাড়া বিএনবিসির কিছু ধারা যুগোপযোগী করা উচিত। অগ্নি নির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন।

নিয়াজ উদ্দিন চিশতী বলেন, শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কিনা তা যাচাই করতে হবে, যেন তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস-এর করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠকে কি নোট পেপার প্রেজেন্ট করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।




ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দিলেন ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট

পরিক্রমা ডেস্ক : ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে “টক উইথ স্টুডেন্টস: জেরম ওবেরিয়েট” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার, ৬ই মার্চ ২০২৪, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট। এই লেকচার সেশনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকতারা অংশ নেন। এই আলোচনায় বিশ্বের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ব্র্যাকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সেই সাথে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য এখন থেকেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন।

জেরোম ওবেরিয়েট ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশল নিয়ে কাজ করার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশলের উন্নয়ন, সম্পদের ব্যবহার এবং কর্মের উৎকর্ষ সাধনে নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন তিনি।

লেকচার অনুষ্ঠানে “এক্সপ্লোরিং ব্র্যাক’স ডিসটিংটিভ অ্যাপ্রোচ টু ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড গ্লোবাল সলিডারিটি” শীর্ষক বক্তব্যে ব্র্যাকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন জেরম ওবেরিয়েট। তিনি বলেন, “ব্র্যাক এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশে কাজ করছে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এবং মানবিক ক্ষেত্রে একটি ইকোসিস্টেমে তৈরি করেছে ব্র্যাক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঞ্চলভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরির মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করেছে।”

জেরম ওবেরিয়েট তার বক্তব্যে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অভিযোজন এবং প্রশমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ যে সমস্যায় ভুগছে এবং সেখান থেকে উত্তোরণের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আগামী দিনে সেগুলো গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।” অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সাফল্য এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং সম্পদের স্মার্ট ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন জেরম ওবেরিয়েট। তিনি নবনির্মিত এই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পরিবেশগত এবং টেকসই ফিচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই ক্যাম্পাস প্রথাগত ক্লাসরুমের শিক্ষার বাইরেও শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিক শিক্ষা প্রদানের প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন। বিশ্বের যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। এই ক্যাম্পাসটি ভবিষ্যতের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অঙ্গীকারের একটি নিদর্শন।”

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারপাসন এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।




“Researchers should aim to redefine the existing theories to expand into new knowledge domains” Professor Dongmei Cao at NSU

Porikroma desk : The North South University’s Department of Marketing and International Business (MIB) hosted a webinar entitled ‘Theorizing Through Literature Review’ on 4 March 2024.

Dr Dongmei Cao, Associate Professor in Business Transformation and Course Director for MSc Business Transformation at Nottingham Business School presented her keynote speech at the webinar. Dr. Dongmei is also an Associate Editor for the International Journal of Management Reviews and the Journal of Marketing for Higher Education, and a Guest Editor for Resource, Conservation, and Recycling. Dr. Helal Ahammad, Professor and Dean of the School of Business & Economics, NSU joined the session as Chief Guest.

Dr. Cao addressed a few issues that early and mid-level researchers must consider head-on including choosing innovative research subjects and avoiding redundancies.

Mentioning 8 key reasons for EIC desk rejection, Dr. Cao encouraged the participating faculty members to ask a few important questions. ‘Is your literature well-synthesized with a framework?’, ‘Does your work put forward a clear contribution that is supported by a convincing argument?’; these, along with many other crucial questions were asked. Dr. Cao shared details of her colleagues at IJMR (International Journal of Management Review) and ended her speech with the hope of future collaboration between NSU and IJMR.

Dr. Helal Ahammad thanked Dr. Cao in Mandarin which brought quite a jovial atmosphere to the seminar. The Dean asked for Dr. Cao’s assistance and guidance in the upcoming International Conference by the SBE NSU. Future collaborative publications were also discussed. Dr. Helal ended the session with a note of gratitude to his colleagues for arranging such a series of seminars and workshops.




পদ্মা ব্যাংকের আরো এক ঋণ খেলাপি গ্রেপ্তার

পরিক্রমা ডেস্ক : ঋণখেলাপির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পদ্মা ব্যাংকের হালুয়াঘাট শাখার খেলাপি মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ০৫ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার, হালুয়াঘাট থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এই নিয়ে তৃতীয় সাজা প্রাপ্ত ঋণ খেলাপিকে পদ্মা ব্যাংক পিএলসির রিকভারি টাস্কফোর্স টিমের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

পদ্মা ব্যাংক পিএলসির করা মামলায় ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। হালুয়াঘাট শাখার ঋণ খেলাপি ভাই ভাই ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকের কাছে সুদে-মূলে পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পাওনা তিয়াত্তর লক্ষ টাকা। এর আগে বসুন্ধরা শাখার খেলাপি ঋণ গ্রহীতা মো. জাহিদুল আহসান এবং বকশীগঞ্জ শাখার ঋণগ্রহীতা মো: আশরাফুল আলম ওরফে সেলিম-কে পদ্মা ব্যাংক পিএলসির রিকভারি টাস্কফোর্স টিমের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ।




জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মাসিক উন্নয়ন সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক :অদ্য ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের ইআরএফ মিলনায়তনে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মাসিক উন্নয়ন সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এটিএম এনায়েত উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ পরিচালক কাজী মোঃ মোরতুজা আলী। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ভিপি ও প্রধান (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) মোঃ তোফাজ্জেল হোসাইন মানিক।

আরো উপস্থিত ছিলেন সকল সংগঠন প্রধান, সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত প্রায় শতাধিক সিনিয়র উন্নয়ন কর্মকর্তা। সভায় প্রধান অতিথি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী সফল ২ জন সংগঠন প্রধানের নিকট মোটরসাইকেল এর চাবি হস্তান্তর করেন। সভার সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের ভিপি ও ইনচার্জ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন।




কে চালাচ্ছে, কি ভাবে চলছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (পর্ব-২)

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সিন্ধবাদের বুড়োর মতো বিশ্ববিদ্যালয়টির ঘাড়ে চেপে বসে আছে স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য মাওলানা আবোল হাছান ছাদেক। ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে তার কোন পিএইচডি ডিগ্রি নাই, অনার্সে তৃতীয় শ্রেণি। সারাজীবন মাদ্রাসা লাইনে পড়াশোনা করে শেষ বয়সে প্রকৃত বয়স ২০ বছর কমিয়ে লেখাপড়া করে সাধারণ লাইনে।

সরকারের বিবিধ তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক নিবিড় তদন্তে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে : জাল সার্টিফিকেট বিক্রি, অর্থ পাচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে অঢেল সম্পত্তি অর্জন, নারী কেলেংকারী, একাধিক অবৈধ সন্তানের পিতৃত্ব অর্জন ইত্যাদি। কিন্তু আর্শ্চয্যের বিষয় হলো, সে থেকে যাচ্ছে ধরাচোঁয়ার বাইরে, মুক্ত বাতাসে। সে প্রায়শঃই দম্ভ করে বলে, আমার অঢেল টাকা। এসবের সুদ দিয়ে বহু সংস্থা কিনতে পারি। মূল টাকায় হাত দিতে হবে না। বাস্তবতা হলো, তার এই দম্ভ এখনো প্রমাণিত।

ইউজিসি’র দীর্ঘ ৪ পৃষ্ঠা গোপনীয় প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুন, ২০২৩ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করে। যার সূত্র নং– ৩৭.০০.০০০০.০৭৮.২৭.০০১.২৩(অংশ -১)-১৯২। এতে বলা হয়েছে মাওলানা আবোল হাছান ছাদেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।তদন্ত চলাকালীন সময়ে তার এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। দেশের আইন কানুন যেন মাওলানা ছাদেকের হাতের ময়লা। সে গত ৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ Job Assessment Camp শীর্ষক একটি প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল। তাছাড়া AUB- Cricket Tournament 2024 শীর্ষক খেলাধূলায়ও হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে লাল গেঞ্জি, মাথায় কাউবয় কেপ পরে হাজির ছিল মাওলানা ছাদেক।

শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্ন– আবোল হাছান ছাদেক কি আইন কানুনের উর্ধ্বে থেকে যাবে??




বীমা খাতের উন্নয়নে ৫ নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে ৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভাসহ বিভিন্ন বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্প্রতি নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৩ মার্চ) প্রতিবেদনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছে বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অগ্রগতি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেছেন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপসচিব) এস এম মাসুদুল হক।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বীমা খাত সম্পর্কিত নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ; স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিতকরণ;

দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা; শূন্য পদসমূহে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখা।

আইডিআরএ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বীমা খাত সম্পর্কিত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম স্তম্ভ অর্থনীতির অংশ হিসেবে স্মার্ট ইন্স্যুরেন্স নিশ্চিতকরণের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে।

বীমা দাবি সময়মত পরিশোধসহ বীমা সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রতিরোধে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বীমা খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পালন করে আসছে।

এ ছাড়াও শূণ্য পদে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বীমা কোম্পানিতে নারী এজেন্ট এবং নারী কর্মকর্তা নিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।




অধ্যাপক আতিকুল ইসলামকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদে পুনঃনিয়োগ

পরিক্রমা ডেস্ক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক আতিকুল ইসলামকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদে পুনঃনিয়োগ প্রদান করেছেন। ০৩ মার্চ, ২০২৪ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়। এই মেয়াদে তিনি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৮ পর্যন্ত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম ২০১৬ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ২য় বারের জন্য পুনরায় নিয়োগ লাভ করেন।

এনএসইউ’র ভিসি পদে পুনঃনিয়োগ প্রদানের জন্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। “মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি আশা করি এই দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে পালন করতে পারবো এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়ার একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো,” বলেন অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। “আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি গভীর মমতায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অগ্রগতিতে সদা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছেন এবং তাঁর সদয় সান্নিধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আমাকে এনএসইউ’র নেতৃত্বের জন্য পুনর্বিবেচনা করেছেন, যার জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

এছাড়াও অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। একই সাথে তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতি।

এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ অধ্যাপক আতিকুল ইসলামকে ভিসি হিসেবে পুনঃনিয়োগ পাওয়াতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এনএসইউ যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৩ এ ৬০১-৮০০ এর মধ্যে উঠে এসেছে। এছাড়া কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়েও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এনএসইউ বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে।

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম অস্ট্রেলিয়ার পার্থের এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটি এর ব্যবসা ও আইন অনুষদের নির্বাহী ডিন এবং উপ-উপাচার্য (এনগেজমেন্ট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তিনি ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, এনএসডাব্লিউ, কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ক্যানটারবেরি ইউনিভার্সিটি এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুর এ দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব কমার্সের প্রধান হিসাবে (২০০৫-২০০৮) এবং ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০০৮-২০১০) ব্যবসা ও সরকার অনুষদের ডিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম (অ্যাকাউন্টিং) এবং সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে তাঁর চাকুরী জীবন শুরু করেন। তিনি বহু একাডেমিক জার্নালে পাণ্ডিত্যপূর্ণ নিবন্ধের লেখক এবং সহ-লেখক। তিনি পিএইচডিসহ অনেক স্নাতকোত্তর থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি আমেরিকান অ্যাকাউন্টিং অ্যাসোসিয়েশন, ব্রিটিশ অ্যাকাউন্টিং অ্যাসোসিয়েশন এবং অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিনান্স অ্যাসোসিয়েশন সহ আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অসংখ্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।




মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে অবকাঠামো সম্প্রসারণ করতে হবে : ইউজিসি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি আজ কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
গুরুদয়াল সরকারী কলেজে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে রোববার প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশে ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুততম সময়ে একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামোর মাস্টার প্ল্যান তৈরি এবং এ অনুসারে স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান .বলেন, দেশে মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১০-১২ শতাংশ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে রূপান্তর করতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৭০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। সেক্ষেত্রে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেখানে গুণগত মানসম্পন্ন  শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণিল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।
পরে ক্যাম্পাস থেকে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস করা হয়।




সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশ

পরিক্রমা ডেস্ক : দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত শেষে মাদকবিরোধী বক্তব্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সোমবার মাউশির সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্কুল-কলেজসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রচারণা জোরদার করার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি জাতীয় সংগীত শেষে নিয়মিত মাদকবিরোধী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে এক নির্দেশনা দেয়া হয়।