অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদযাপন

গতকাল রবিবার (৩রা মার্চ, ২০২৪) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে মেলবোর্ন বাংলা স্কুল ও মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘জাতীয় শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করা হয়।

শুরুতেই অতিথিবৃন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ও অভিভাবকদের নিয়ে অমর একুশে উপলক্ষে আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন স্কুলের শিক্ষক মিতা পারভীন এবং নাসিমা খান। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মাহবুবুর মোল্লা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করে স্কুলের শিক্ষার্থী আলীনা হক। এরপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাদের মাগফিরাতের জন্যে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ ও মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেসনের সভাপতি জনাব ড. মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সামনে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি, ভাষা রক্ষায় এর প্রয়োজনীয়তা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে এর ভূমিকা, ইত্যাদির উপর আলোকপাত করেন ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্ত আরোপ করেন। উনি সমাজ ও দেশের স্বার্থে করা মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেসনের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সবার সামনে তুলে ধরেন ও মেলবোর্নে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ও মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।  এছাড়া তিনি মেলবোর্নের মেরি-বেক কাউন্সিলে একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মনুমেন্ট তৈরীতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের জন্যেএরপর অমর একুশের উপর এক প্রামান্য চিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ব্রডমেডোজ অঞ্চলের স্টেট এমপি ক্যাথলীন ম্যাথিউজ-ওয়ার্ড, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় মোরল্যান্ড সিটি কাউন্সিলের সন্মানিত কাউন্সিলর স্যু বোল্টন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির নেতা হাসান গুল। তারা ব্যাক্তি ও সামাজিক জীবনে মাতৃভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলা ভাষার ইতিহাস জানতে পেরে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ভাষা ও জীবনের সংগ্রামের সাথে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের তুলনা করেন। তারা তাদের ছোটবেলায় ইংরেজীর পাশাপাশি আরবী, ইটালিয়ান ইত্যাদি ভাষা শিক্ষার কথা স্মরন করেন। স্থানীয় পাঠাগারে বাংলা বই সরবরাহ ছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও বাংলাদেশী কম্যূনিটির সবধরনের সাহায্যে এগিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।

এরপর শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। পুরস্কার বিতরন করেন স্টেট এমপি ক্যাথলীন ম্যাথিউজ-ওয়ার্ড, কাউন্সিলর স্যু বোল্টন এবং লেবার পার্টির নেতা হাসান গুল । চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ছোটদের মধ্যে প্রথম হয় জাফিরা, দ্বিতীয় হয় সাঈদ, ও তৃতীয় হয় শোয়াইব। মধ্যম বয়সীদের মধ্যে প্রথম হয় আলীনা হক, দ্বিতীয়  হয় মানিভা মাহবুব ও তৃতীয় হয় মাসরুর এবং বড়দের মধ্যে প্রথম হয় ওফিকাহ, দ্বিতীয় হয় নাজারি, এবং তৃতীয় হয় সাদ। তাছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন পুরস্কার দেয়া হয়।

এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সম্মিলিত জাতীয় সঙ্গীত ও অমর একুশের গান গেয়ে শোনায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করে ও গান গেয়ে শোনায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক বৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন জনাব ড. মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন ড. মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক, ড. মাহবুবুল আলম, মিতা পারভীন, জোবাইদা আলী, ড. মোসাম্মাৎ নাহার, নাসিমা খান সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে সবাই একসাথে দুপুরের আহার উপভোগ করেন।




গঙ্গার জলে ভাসতে ভাসতে তীরে ভেড়ে ফুলি, শুরু হয় অন্য অধ্যায়

দেহ’ নামে নতুন একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ঢাকার ছবির তরুণ নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। এটি পরিচালনা করবেন সালমান হায়দার।  সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিষ্টি।

খবরটি জানিয়ে সমকালকে এই নায়িকা বলেন, ‘দেহ’ সিনেমার গল্প অসাধারণ। প্রায় এক যুগ আগে সিনেমার গল্প লিখেছেন নির্মাতা। শিগগিরই এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে। আশা করছি ভালো একটি সিনেমা উপহার পাবেন দর্শক।

বরযাত্রীবাহী এক নৌকায় ডাকাতদল ঝাঁপিয়ে পড়ে, স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু লুট করে নেয়। গ্রামের সহজ-সরলকন্যা ফুলির চোখের সামনে তার কাকা-কাকিকে ডাকাতরা হত্যা করে। মাঝনদীতে ফুলির মাথায় আঘাত করে তাকে নদীতে ফেলে দেয়। ফুলির দেহ গঙ্গার জলে ভাসতে ভাসতে এক তীরে ভেড়ে। এরপর ফুলির জীবনে নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়।

 

মিষ্টি জান্নাত জানান, ঈদের পর থেকে শুটিং শুরু হবে ছবিটির। নায়ক হিসেবে কলকাতা ও বাংলাদেশের দুইজন নায়ক পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শিগগিরই তাদের যে কেউ একজনকে চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

শাহাদৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘লাভ স্টেশন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মিষ্টির অভিষেক বড় পর্দায়। এরপর কাজ করেছেন আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘তুই আমার রানি’ ছবিতেও অভিনয় করন তিনি।




অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : গতকাল রবিবার (৩রা মার্চ, ২০২৪) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে মেলবোর্ন বাংলা স্কুল ও মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘জাতীয় শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করা হয়।

শুরুতেই অতিথিবৃন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ও অভিভাবকদের নিয়ে অমর একুশে উপলক্ষে আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন স্কুলের শিক্ষক মিতা পারভীন এবং নাসিমা খান। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মাহবুবুর মোল্লা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করে স্কুলের শিক্ষার্থী আলীনা হক। এরপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাদের মাগফিরাতের জন্যে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ ও মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেসনের সভাপতি জনাব ড. মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সামনে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি, ভাষা রক্ষায় এর প্রয়োজনীয়তা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে এর ভূমিকা, ইত্যাদির উপর আলোকপাত করেন ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্ত আরোপ করেন। উনি সমাজ ও দেশের স্বার্থে করা মেলবোর্ন বাংলাদেশি কম্যূনিটি ফাউন্ডেসনের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সবার সামনে তুলে ধরেন ও মেলবোর্নে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ও মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এছাড়া তিনি মেলবোর্নের মেরি-বেক কাউন্সিলে একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মনুমেন্ট তৈরীতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের জন্যেএরপর অমর একুশের উপর এক প্রামান্য চিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ব্রডমেডোজ অঞ্চলের স্টেট এমপি ক্যাথলীন ম্যাথিউজ-ওয়ার্ড, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় মোরল্যান্ড সিটি কাউন্সিলের সন্মানিত কাউন্সিলর স্যু বোল্টন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির নেতা হাসান গুল। তারা ব্যাক্তি ও সামাজিক জীবনে মাতৃভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলা ভাষার ইতিহাস জানতে পেরে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ভাষা ও জীবনের সংগ্রামের সাথে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের তুলনা করেন। তারা তাদের ছোটবেলায় ইংরেজীর পাশাপাশি আরবী, ইটালিয়ান ইত্যাদি ভাষা শিক্ষার কথা স্মরন করেন। স্থানীয় পাঠাগারে বাংলা বই সরবরাহ ছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও বাংলাদেশী কম্যূনিটির সবধরনের সাহায্যে এগিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।

এরপর শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। পুরস্কার বিতরন করেন স্টেট এমপি ক্যাথলীন ম্যাথিউজ-ওয়ার্ড, কাউন্সিলর স্যু বোল্টন এবং লেবার পার্টির নেতা হাসান গুল । চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ছোটদের মধ্যে প্রথম হয় জাফিরা, দ্বিতীয় হয় সাঈদ, ও তৃতীয় হয় শোয়াইব। মধ্যম বয়সীদের মধ্যে প্রথম হয় আলীনা হক, দ্বিতীয়  হয় মানিভা মাহবুব ও তৃতীয় হয় মাসরুর এবং বড়দের মধ্যে প্রথম হয় ওফিকাহ, দ্বিতীয় হয় নাজারি, এবং তৃতীয় হয় সাদ। তাছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন পুরস্কার দেয়া হয়।

এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সম্মিলিত জাতীয় সঙ্গীত ও অমর একুশের গান গেয়ে শোনায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করে ও গান গেয়ে শোনায় মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক বৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন জনাব ড. মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন ড. মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক, ড. মাহবুবুল আলম, মিতা পারভীন, জোবাইদা আলী, ড. মোসাম্মাৎ নাহার, নাসিমা খান সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে সবাই একসাথে দুপুরের আহার উপভোগ করেন।




দাপ্তরিক কাজে দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

পরিক্রমা ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জনস্বার্থের কাজগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে গতিশীল রাখতে হবে। দাপ্তরিক কাজের ফাইলগুলো দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনও জনদুর্ভোগ পছন্দ করেন না। তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, দাপ্তরিক নথিপত্রগুলো মুভমেন্টের দীর্ঘসূত্রতা নিরসন করে দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার মনমানসিকতা প্রত্যেকেরই থাকতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কাজে কোনোরকম স্থিতিশীলতা নয়, গতিশীলতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আজ সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস ঝটিকা পরিদর্শন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি’র অফিস কক্ষে তাৎক্ষণিক এক মতবিনিময় আলোচনায় সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া ও দারিদ্র্যবিমোচনের দিকটিকে অধিকতর গুরুত্বের সাথে দেখছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র্যবিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার হার বাড়ানোসহ সকল উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে দেশের উন্নয়ন কাজে শরীক থাকার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন দাপ্তরিক নথিপত্র চালাচালির দীর্ঘসূত্রতার কারণে সরকারের উন্নয়ন কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই আমি চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ও নির্দেশনা অনুযায়ী পার্বত্যবাসীর কল্যাণে উন্নয়ন কাজগুলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক তথ্য কমিশনার সুদত্ত চাকমাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




ফায়ার সার্ভিসের আন্তঃবিভাগীয় পেশাগত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

পরিক্রমা ডেস্ক : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আন্তঃবিভাগীয় পেশাগত প্রতিযোগিতা-২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে। ৩ মার্চ সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে-এ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

সম্মিলিতভাবে ঢাকা বিভাগ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে, প্রথম রানার্সআপ হয় খুলনা বিভাগ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয় ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্স, মিরপুর। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিযোগিতায় যে ইভেন্টগুলো ছিল সেগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত ইভেন্ট হলো : ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টরদের পেশাগত লিখিত পরীক্ষা, স্টেশন অফিসার ও ফায়ারফাইটার পর্যায়ে ব্রেভ হার্ট কম্পিটিশন, কুইক ড্রেস পরিধান, লেডার ক্লাইম্বিং ও কনফাইন্ড স্পেস রেসকিউ। দলগত ইভেন্টের মধ্যে ছিল রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও সিরিজ পাম্প ম্যানেজমেন্ট কম্পিটিশন।অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিবছর বিভাগীয় পর্যায়ে দুইবার এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একবার করে পেশাগত প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, “অগ্নি দুর্ঘটনার যে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসছে, সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এ ধরনের পেশাগত প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।”

অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মোঃ রেজাউল করিম, অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অপারেশন), উপপরিচালক (পরিকল্পনা), উপপরিচালক, ঢাকা বিভাগ, ঢাকা এবং ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।




বীমা দাবির ১৬ লাখ টাকা পরিশোধ করলো আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স

পরিক্রমা ডেস্ক : আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে ০৩ মার্চ রবিবার বীমা দাবি বাবদ ১৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের নমিনীর হাতে বীমা দাবির চেক তুলে দেন আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনোয়ার শফিক, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ), এমবিএ, এমএসএস, পিজিডি (ইউএসএ), এমফিল, পিএইচডি। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক/কোম্পানীর প্রতিনিধি ও আস্থা লাইফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের নমিনীগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধের চেক গ্রহণ করে সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালিত জীবন বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাস ফেরাতে ‘নতুন ধারার বীমা’ সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে আস্থা, নিয়মানুবর্তিতা, প্রতিশ্রম্নতি রক্ষা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার শীর্ষ অবস্থানে থেকে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনপূর্বক বীমা শিল্পে একটি নতুন ধারার স্মার্ট জীবন বীমা কোম্পানীর রোল মডেল হিসেবে অবদান রেখে চলছে।




এনএসইউ আইন বিভাগকে প্রধান বিচারপতির বিশেষ উপহার

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২৯ই ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২৪ তিনদিনব্যাপী উদযাপন এর সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান মহোদয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের বিচারিক আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে আমন্ত্রণ জানান এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরই অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আইন বিষয়ক বিস্তর ধারণা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রকাশিত পাবলিকেশন সমূহের কপি উপহার দিয়েছেন।

৩ মার্চ বাংলাদেশ সু্প্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী মহোদয়, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এর উপস্থিতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগ এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খানের নিকট কপিসমূহ হস্তান্তর করেন।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আইন বিভাগ উপহার সামগ্রী প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধান বিচারপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসকল পাবলিকেশন যথাযথভাবে কাজে লাগাবে সেই আশ্বাস প্রদান করে।




চুয়েটে প্রকৌশল গুচ্ছের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রকৌশল গুচ্ছের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ/লেভেল-১ এর চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৩রা মার্চ (রবিবার) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে একযোগে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়েট কেন্দ্রের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ গ্রুপে উপস্থিতির হার ছিল ৮১ (৮০.৮৮) শতাংশ এবং ‘খ’ গ্রুপে উপস্থিতির হার ছিল ৭৭ (৭৭.২৩) শতাংশ। ‘ক’ গ্রুপে মোট ৬ হাজার ৯১২ জন ভর্তি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৫৯০ জন উপস্থিত ছিলেন এবং ১ হাজার ৩২২ জন অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপে মোট ৭১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫৩ জন উপস্থিত ছিলেন এবং ১৬৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। MCQ পদ্ধতিতে ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে দুপুর ১২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এবং ‘খ’ গ্রুপের (মুক্তহস্ত অঙ্কন) পরীক্ষা দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১২:৪৫ ঘটিকা থেকে ১:৪৫ ঘটিকায পর্যস্ত এক ঘণ্টাব্যাপী একটানা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ‘ক’ গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগসমূহ এবং ‘খ’ গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৮ই মার্চ ২০২৪ খ্রি. রাতে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলাফল জানা যাবে এই ঠিকানায়: https://www.admissionckruet.ac.bd/

-চুয়েট ক্যাম্পাসে প্রকৌশল গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আগত ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ।

এদিকে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় চুয়েট কেন্দ্রের বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এ সময় মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চুয়েট পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল-সহ ভর্তি কমিটির অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েটে ১২টি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়মিত ৯২০ আসনের পাশাপাশি ১১টি উপজাতি কোটা-সহ মোট ৯৩১টি আসন রয়েছে। চুয়েটের বিভাগসমূহ হচ্ছে- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্য বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।




শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৪ এর আয়োজন করেছে

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম জেলায় কার্যরত সকল তফসিলী ব্যাংকের সহযোগিতায় শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে ০২ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, চট্টগ্রামে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৪ এর আয়োজন করে। উক্ত স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৪ এ বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক জনাব মোঃ আমির উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (চট্টগ্রাম অফিস) জনাব মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার, যুগ্ম-পরিচালক জনাব পিনাকি রঞ্জন সরকার ও সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ ইমরুল হাসান এবং শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল আজিজ উপস্থিত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে লীড ব্যাংক প্রতিনিধি হিসেবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান জনাব রাশেদ সরওয়ার, করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের এসইভিপি জনাব মোহাম্মদ আশফাকুল হক এবং অংশগ্রহণকারী ব্যাংক প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ফাস্টর্ সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর চট্টগ্রাম জোনাল হেড (উত্তর) জনাব মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা ও মডারেটর এর দায়িত্ব পালন করেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এসইভিপি, ব্যাংকের জনসংযোগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান জনাব মোঃ সামছুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সঞ্চয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন এবং সঞ্চয় যে ভবিষ্যতে মানুষের জীবনে অত্যাবশ্যকীয় তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল ব্যাংকিং সম্পর্কে অবহিত করে তাদের মধ্যে যাতে সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি হয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং সেক্টরে ছাত্র-ছাত্রীদের যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমানত রয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার বলে আলোচকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

স্কুল ব্যাংকিং সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালীর আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী আয়োজিত উক্ত স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৪ এ শিশুতোষ ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশনা, দেশাত্মবোধক গানের সাথে নৃত্য পরিবেশনা, স্কুল ব্যাংকিং সংশ্লিষ্ট ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পাপন একাডেমী কতৃর্ক নৃত্য পরিবেশনা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপহার বিতরণ সব মিলে এক উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল।

 




ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিভাসু’র ১৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ১৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান সকাল সাড়ে ৯টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান হলের প্রভোস্ট ড. তোফাজ্জল মো: রাকিব, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সমন্বয়ক (উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা) প্রফেসর ড. ওমর ফারুক মিয়াজী, পরিচালক (শাশি) মো: মজিবুর রহমান এবং প্রধান প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবত্তীর্।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ছাত্রদের ১০০, ২০০ ও ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট, ৮০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড়, দীর্ঘ লাফ, উঁচু লাফ, লাফ-ধাপ-ঝাপ, বর্শা নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, হ্যামার নিক্ষেপ এবং ৪x১০০ মি. রিলে দৌড় আর ছাত্রীদের ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট, বর্শা নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ এবং ৪x১০০ মি. রিলে দৌড়। আর ছাত্রীদের ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট, বর্শা নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, ৪x১০০ মি. রিলে দৌড় এবং ভারসাম্য দৌড়।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ছাত্রদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের রবিউল ইসলাম রাব্বি এবং রানার্স আপ হয়েছেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের মেহেদী হাসান। আর ছাত্রীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফিশারিজ অনুষদের সূচীতা চাকমা এবং রানার্স আপ হয়েছে ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের তাজনীম তাকি।

প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১ম স্থান অধিকার করে দ্রুততম মানব হয়েছেন ফিশারিজ অনুষদের নিয়ামূল হাসান শিহাব এবং দ্রুততম মানবী হয়েছেন ফিশারিজ অনুষদের সূচীতা চাকমা।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো: মজিবুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মাওলা।