রমজানে অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা

পরিক্রমা ডেস্ক : এবারে রমজান মাসের জন্য সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে।

বুধবার রমজান মাসের জন্য অফিসের এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

উল্লেখ্য, রমজান মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর রোজা শুরু হতে পারে ১২ বা ১৩ মার্চ।




মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ছয় সদস্যকে সংবর্ধনা

পরিক্রমা ডেস্ক : মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ছয় সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ৮২তম সভায় এ সংবর্ধনা প্রদান করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

সংবর্ধনা পাওয়া ওই ছয় সদস্য হলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান এমপি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও সিটি ব্যাংকের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর ড. সেলিম মাহমুদ এমপি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারী অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।

সভায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যান্য সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এবং রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জাম হোসেনকে সাথে নিয়ে ওই ছয় সদস্যকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। এ সময় একই সঙ্গে শুভেচ্ছা স্বরূপ তাঁদেরকে ফুলের চারা প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের মাঝে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোনা-৪, মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি ঢাকা-১৭, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুস সবুর কুমিল্লা-১ এবং অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ চাঁদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেন বঙ্গুবন্ধু কন্যা ও দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান এমপি-কে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনামধন্য অধ্যাপক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের কমিশনার ড. সাদেকা হালিমকে গত ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, অগ্রণী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি ড. খন্দকার বজলুল হককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সভায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।




কে চালাচ্ছে, কি ভাবে চলছে আশুলিয়া, ঢাকাস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি খাতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ করে গত ১৯৯২ সালে। এই আইনের আওতায় দেশে এখন ১২০ টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ পরিমন্ডলে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাস্তবতা হলো সর্বমোট ১২-১৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ আইনকানুন মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিধায় ওগুলো দেশিয় সীমানা অতিক্রম করে বিদেশেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছে।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক প্রয়াত ড. কাজী দীন মোহাম্মদ। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি সাধন করতে থাকে।

তৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসটি “মিনি আইবিএ” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।কিন্তু হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শনির দশায় নিপতিত হলো। এটার পরিচালনায় জবরদখল করে আসীন হলো স্বঘোষিত প্রফেসর ড. আবোল হাসান ছাদেক। জনশ্রুতি রয়েছে যে তার কোন পিএইচডি ডিগ্রি নাই, অনার্সে তৃতীয় শ্রেণি, কখনো অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পায় নাই। ইউজিসি কর্তৃক এসব এসব অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু সে থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন অন্ত নাই। জাল সনদ বিক্রি, অর্থ পাচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারী, অবৈধ সন্তানের পিতৃত্ব অর্জন ইত্যাদি। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সহ সরকারের বিবিধ প্রতিষ্ঠান এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু সে থেকে যাচ্ছে সব কিছুর উর্ধ্বে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কি বিচিত্র এই দেশ!!!

সে ও তার পরিবার ছিল যুদ্ধাপরাধী। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করেও চুপচাপ। দুদক, এনবিআর তার আর্থিক কেলেংকারির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে, কিন্তু সে নির্বিঘ্নে চেহারা দেখিয়ে ঘুরাঘুরি করছে।

সর্বশেষ গত ১ জুন ২০২৩ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসি’র সুপারিশ ক্রমে একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে তাকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সার্বিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করে এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু অতিব আশ্চর্যের বিষয়ে, গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভাগের এক যৌথ সভায় আয়োজন করা হয়। সেখানে আবোল হোছেন ছাদেক-কে প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ইউজিসি’র বিদ্যমান আইনের যা সম্পুর্ন পরিপন্থী। মিটিং-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বৈধ উপাচার্যকে সম্পূর্ণরুপে অগ্রাহ্য করা হয়।

এভাবেই চলছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি আর এভাবেই চালাচ্ছে আবোল হাছান ছাদেক তার অবৈধ কার্যক্রম। কিন্তু কে শোনে কার কথা!! কে দেখবে এসব অনিয়ম!!!




বাইউস্টে ‘হাই-কোয়ালিটি টিচিং এন্ড লার্নিং’ বিষয়ক ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট সেশন অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট), কুমিল্লায়- ‘অ্যাসেসমেন্ট ডিজাইন ফর হাই-কোয়ালিটি টিচিং এন্ড লার্নিং’ বিষয়ক ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাইউস্টের সম্মেলন কক্ষে এই সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এতে বাইউস্টের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।বাইউস্টের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) কর্তৃক এই সেশন আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সকাল ১০টায় এই সেশন শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলমান থাকে। সেশনের শুরুতে আইকিউএসির পরিচালক ও সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে আহমেদ আলম উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। রিসোর্স পারসন হিসাবে সেশনটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাদান ও শেখানোর কলাকৌশল মূল্যায়ন ও শ্রেণীকক্ষে কিভাবে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।

আইকিউএসি কর্তৃক আয়োজিত এই ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট সেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইউস্টের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক, পিএসসি, পিএইচডি; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইউস্টের ট্রেজারার কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন (অব.) এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইউস্টের রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.)। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইন বিভাগের লেকচারার নাদিয়া ইসলাম নদী।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাইউস্টের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক, পিএসসি, পিএইচডি, বলেন, সফলভাবে শিক্ষাদান এবং শেখানোর মূল্যায়ন কৌশলের এই অধিবেশনটি আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। শিক্ষাদান ও শেখানোর মান উন্নত করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ ও প্রতিশ্রুতি প্রত্যক্ষ করা সত্যিই আনন্দদায়ক ছিলো। আমরা বিশ্বাস করি এই অধিবেশনে যে জ্ঞান শেয়ার করা হয়েছে তা শিক্ষার ল্যান্ডস্কেপের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে। তিনি বাইউস্টে উচ্চ-মানের শিক্ষা প্রদান অব্যহাত রাখার লক্ষ্যে সকল ধরণের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি বাইউস্টকে শিক্ষা ও গবেষণার একটি চমৎকার কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে, বাইউস্টের ট্রেজারার কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন মিয়া (অব.) শিক্ষকদের প্রতি- শিক্ষাদান, শেখার এবং মূল্যায়নের অভিনব পদ্ধতিতে নিজেদেরকে আপডেট রাখতে গুরুত্বারোপ করেন।




ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক :অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ এবং ফলপ্রসু গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের “কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪” প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবান্ধব নতুন ক্যাম্পাসে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এই সময় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, ট্রেজারার প্রফেসর মাহবুব রহমানমহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড উদ্ভাবনের সংস্কৃতি, গবেষণা এবং সামাজিক দায়িত্বশীলতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকারের একটি নিদর্শন। অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ এবং সামাজিক প্রভাব অর্জনের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরই স্বীকৃতিস্বরুপ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই ফলপ্রসু গবেষণাগুলোকে সম্মাননা জানাতে এই পুরস্কার প্রদান করেছে। এই বছর স্কোপাস জার্নালের প্রথম প্রান্তিকের শীর্ষ ১০ শতাংশে থাকা ৭৮টি গবেষণার জন্য ৪৩ জন গবেষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থপতি ইয়াফেস ওসমান তার বক্তব্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষণা অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, “গবেষকদের ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনের সাধনায় নিয়োজিত থাকতে হবে। সেখানে বিরতি দেওয়ার অর্থ হলো যা অর্জিত হয়েছে তা হারিয়ে ফেলা। অজানাকে জানার কোনো সীমা থাকতে পারে না। তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সর্বদা জ্ঞানের অন্বেষণ করতে আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি জ্ঞান আহরণে সবসময় সবার চেয়ে এগিয়ে থাকারও পরামর্শ দেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষকদের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দেন স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনে শিক্ষা ও গবেষণাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকার সুস্পষ্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি বলেন, “গবেষণা ব্র্যাক
ইউনিভার্সিটির প্রাণ। গবেষণা এবং সামাজিক সমস্যাগুলির সৃজনশীল সমাধানে আমরা আমাদের এই শিক্ষক এবং গবেষকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা নিরলসভাবে এই কাজ করে যাচ্ছেন, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে এই রিজিওনের শীর্ষ এবং গ্লোবাল সাউথের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন রিসার্চ মেট্রিক্স কমিটির চেয়ার এবং ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ড. একেএম আবদুল মালেক আজাদ। তিনি তার বক্তব্যে গবেষণা প্রচেষ্টার উৎকর্ষকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিশ্রুতির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এবং সেই সাথে মানসম্পন্ন গবেষণাকে উৎসাহিত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

জ্ঞানের বিকাশ, উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া এবং ফলপ্রসু গবেষণা উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। গবেষণায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারিদ্র্য বিমোচনে জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এসডিজি ১ অর্জনে বিশ্বের সেরা পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি।




সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স: আপিল বিভাগ

পরিক্রমা ডেস্ক : দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হবে বলে আজ মঙ্গলবার রায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শতাংশ আয়কর দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা নয়। শিক্ষার্থীদের ওপর এর কোন প্রভাব পড়বে না। যাবতীয় খরচের পর যা উদ্বৃত্ত থাকবে তার ওপর ট্যাক্স দেবে বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয় যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাদের উদ্ভূত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনঃনির্ধারণ করা হলো। ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে।’

২০১০ সালের ১ জুলাই এনবিআরের আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা শুধু তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ ও উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের হার হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।’

পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিট আবেদন করলে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর ধার্য করাকে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। এর বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের পর আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এক আদেশের মাধ্যমে সরকারের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করার আদেশ দিয়েছিলেন।




আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোগে ‘‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’’ উদ্বোধন

পরিক্রমা ডেস্ক : ‘‘এদেশে একটি লোকও নিরক্ষর থাকবেনা’’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজের এই স্বপ্ন ও ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অদ্য ২৭ ফেরুয়ারী মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাস এর সেনাকুঞ্জে আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মাধ্যমে ‘‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মানিত সেনাপ্রধান ও আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর চেয়ারম্যান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্কুল, কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকগণ এবং সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানগণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শাখা, দপ্তর-পরিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় একমাত্র চাকুরী করেন বীমা খাতে, যেখান থেকে তিনি দেশব্যাপী ছয় দফা দাবিনামা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সেজন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ১লা মার্চকে ২০২১ সালে ‘‘জাতীয় বীমা দিবস’’ হিসেবে ঘোষণা করেন। আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বল্প প্রিমিয়ামের ‘‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’’ পলিসিটি সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্মানিত সেনাপ্রধান এর বিজ্ঞ ও সুযোগ্য দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে বীমার আওতায় সুরক্ষিত করতে ‘‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’’ চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যা শিক্ষার মত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিশেষ অবদান হিসেবে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনোয়ার শফিক, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ), এমবিএ, এমএসএস, পিজিডি (ইউএসএ), এমফিল, পিএইচডি। আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে জীবন বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাস ফেরাতে ‘‘নতুন ধারার বীমা সেবা” এর অঙ্গীকার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি আস্থা, নিয়মানুবর্তিতা, প্রতিশ্রতি রক্ষা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার শীর্ষ অবস্থানে থেকে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনপূর্বক বীমা শিল্পে একটি নতুন ধারার স্মার্ট জীবন বীমা কোম্পানীর রোল মডেল হিসেবে অবদান রেখে চলতে বদ্ধপরিকর।




New Landscape in Migration Research from CMS, NSU: Social Remittances of Returnee Migrants in Bangladesh

Porikroma Desk : Despite acquiring valuable skills and experiences, returnee migrants face challenges in applying these skills within the local labor market, suggesting a need for targeted interventions to bridge this gap, findings of a recent report says. Center for Migration Studies (CMS) of North South University (NSU) in collaboration with Swiss Agency for Development and Cooperation (SDC) hosted dissemination event today, unveiling significant findings from research project titled “Examining the Social Remittances of Returnee Migrant Workers in Bangladesh”. The event, held on Tuesday, brought together leading academicians, experts, stakeholders, and policymakers to discuss the implications of the research and chart a course for future action.

The research investigated social remittances – the flow of ideas, behaviors, identities, and social capital flow via migration of returnee Bangladeshi migrant workers from the Middle East and the Gulf region. Chief guest of the event Dr. Mallick Anwar Hossain, Managing Director, Bangladesh Overseas Employment and Services Limited (BOESL) expressed commitment to collaborate with academia and other stakeholders to ensure dignified reintegration of migrant workers. He also stressed on the need to focus on social costs and stated that migrant workers are also bringing negative culture like gambling, alcoholism which also need to be addressed.

“The study suggests that migration experiences have the potential to enhance societal inclusivity and engagement, pointing towards the opportunity for leveraging returnee migrants as agents of social change,” said Dr. Samiksha Koirala, principal investigator of the research and Assistant Professor of North South University said.

The event featured a panel discussion where Dr. Harisur Rahman, Associate Professor, North South University shared recommendations stating the need to develop targeted interventions to help migrants effectively utilize their acquired skills upon their return. “This could include providing training programs and workshops aimed at enhancing skill utilization in the local labor market,” he said.

Similarly, Dr. Selim Reza, a discussant and Associate Professor of North South University pointed out that the study was unique as it attempted to look into migrant workers’ contribution beyond financial remittances.  He further said our food habits and lifestyle has been greatly influenced by migrant workers and it is important to acknowledge that. The other discussant Mr. Md. Aminul Islam, Team Lead of Migration Social Enterprises, BRAC stressed on the need to transfer skill. Similarly, Marina Sultana, Director of Program Refugee and Migratory Movement Research Unit (RMMRU) said that it was crucial to address social stigma around women migrant workers.

Dean (IC) of the School of Humanities and Social Sciences, Professor Sk. Tawfique M. Haque, who is also Director of the Center for Migration Studies, urged students to cultivate empathy towards migrant workers. He additionally emphasized the significance of investigating whether the educational background of migrant workers correlates directly with their contribution in social remittance.

Nazia Haider, program manager of SDC along with representatives from different civil society organizations were present at the event. Prof. Abdur Rob Khan, Pro-VC (IC of North South University chaired the event.

CMS of the SIPG is a regional think tank on migration issues and brings together academics, scholars, researchers, and practitioners to produce, learn and share knowledge that is useful and informs policy, a source of knowledge on migration, and a means of achieving human rights and justice for those who are moving in need.

For more information about the research findings and future events, please visit https://www.northsouth.edu/sipg/cms




‘দেশের শান্তি রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’

পরিক্রমা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে তারা আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু। এটা সব সময়ই চলে আসছে এবং সেটাই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের জান-মাল রক্ষা ও দেশের শান্তি রক্ষায় সব সময়ই পুলিশ তার জীবন দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং ধ্বংসাত্মক কাজ রুখে দিয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করবে এটাই সব সময় কাম্য’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনায় সব সময় পুলিশ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কভিডের কারণে কেউ মারা গেছেন, আত্মীয় স্বজন লাশ ফেলে চলে গেছেন কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, কাফন-দাফন, সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। ফোন করলে রাতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশ সব সময় মানুষে পাশে থেকে সেবা করে থাকে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সারাদেশে হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে। পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রুখে দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতোই সেই অপশক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আপনারা দেখেছেন ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর হতে তারা কি নির্মমভাবে পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলামকে হত্যা করেছে। তারা ট্রেন ও বাসে আগুন দিয়ে নির্মমভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। ৩০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও ককটেল নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুলিশ সদস্যগণ এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, এজন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পদক্ষেপ নেই। আমরা জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করি। পুলিশ, র‍্যাবসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করি। গত ১৫ বছরে আমরা পুলিশের উন্নয়নে বহুমুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পুলিশে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গঠন করেছি। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দমনে গঠন করা হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, এন্টি টেররিজম ইউনিট, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, এমআরটি পুলিশ।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশের ২টি এবং র‍্যাবের ১টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশে ইতোমধ্যে ডিএনএ ল্যাব, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব, এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাইবার অপরাধ এবং এর সঙ্গে যুক্ত ফাইন্যানসিয়াল ক্রাইম, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি অপরাধসমূহ মোকাবিলায় ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার স্থাপন’ করা হয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির সিটিটিসি-সহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটও সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করছে। পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার পুলিশ ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের ব্যবস্থাপনায় জনপ্রিয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ গত ছয় বছরে প্রায় সোয়া পাঁচ কোটি কল রিসিভ হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় সোয়া দুই কোটি সেবা প্রত্যাশীকে জরুরি সেবা প্রদান করা হয়েছে। জরুরি সেবা ৯৯৯ কে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বাহিনী আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় শান্তিরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি এই শান্তিরক্ষায় কাজ করতে গিয়েও অনেক পুলিশ কর্মকর্তার জীবন দিতে হয়েছে।




বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির নতুন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আরেফিন

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন, বিশিষ্ট কম্পিউটার প্রকৌশলী, IEEE-এর সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন কম্পিউটার ও আইসিটি প্রফেশনালদের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে পুরাতন জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস)-এর ২০২৩ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট  নির্বাচিত হন। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ২০২৪ খ্রি. রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শরীফ উদ্দীন।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন ইতোপূর্বে  IEEE কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার-এর চেয়ার, ভাইস-চেয়ার (টেকনিক্যাল), ভাইস-চেয়ার (এক্টিভিটি) এবং কনফারেন্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন। ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন ২০১৮-২০২০ মেয়াদে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক) হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ড. আরেফিন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি IEB এবং BCS ফেলো এবং ACM সদস্য। ড. আরেফিন একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক ও গবেষক। তাঁর গবেষণার বিষয় হল- Privacy Preserving Data Publishing and Mining, NLP, IoT, Big Data Management, Social Network Data Analysis, Green Computing and IT for Education, Agriculture and Environment। বিভিন্ন রেফারড জার্নাল এবং কনফারেন্সে তাঁর একশত সত্তরটির  উপর প্রকাশনা রয়েছে এবং তিনি পঞ্চাশের অধিক Keynote/Invited স্পীচ প্রদান করেছেন। বিভিন্ন সময় অধ্যাপক আরেফিন চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এবং IEB কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন-এর নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ক্যাম্পাসভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, চুয়েট-এর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই দলের সদস্য ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে প্রথমবারের মত বিগ ডাটা, আইওটি এবং মেশিন লার্নিং শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ড. আরেফিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইন্টারন্যাশনাল জার্নালের রিভিউয়ার, কনফারেন্স এবং সিম্পোজিয়ামের অর্গানাইজিং কমিটি, টেকনিকাল প্রোগ্রাম কমিটির সদস্যসহ বিবিধ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি  BIM ২০২৩-এর জেনারেল চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ড. আরেফিন ইতোপূর্বে ICO-২০২৩ Championship অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। তিনি বিভিন্ন বিশবিদ্যালয়ের সিলেবাস প্রণয়নের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে OBE-based সিলেবাস প্রণয়নে সার্বিক সহায়তা করেছেন। ডা. আরেফিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, পরীক্ষা কমিটি এবং সিলেকশন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চুয়েটে ড. আরেফিন বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব যথা সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ড. কিউ.কে. হল ও শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সিএসই বিভাগের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান, সিএসই বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান, সিএইচএসআর’র সদস্যসহ আরও বহুবিধ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সিনিয়র সদস্য এবং ওয়ান বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন নিয়মিত কলাম লেখক এবং টিভি আলোচক হিসেবেও ড. আরেফিনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল কাজে ড. আরেফিন ইতোমধ্যে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভুটান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, মিসর, ভারত এবং চীন সফর করেছেন।