ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) কর্তৃক হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে শেয়ারহোল্ডারদের সভার পদ্ধতিসংক্রান্ত বিষয়ক কর্মশালা আয়োজিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ “হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে শেয়ারহোল্ডারদের সভার পদ্ধতি”-এর উপর একটি কর্মশালা সফলভাবে আয়োজন করে। আইসিএসবি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্র্যাকটিসিং চার্টার্ড সেক্রেটারীজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্ক্রুটিনাইজার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি সেক্রেটারি এবং আইসিএসবি-এর সদস্যসহ বিভিন্ন সেক্টরের মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করা হয়।

এই কর্মশালাটি ছিল হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি-এর যৌথ উদ্যোগ।

হাফেজ মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আইসিএসবি-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব এম নুরুল আলম এফসিএস কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীদের কর্মশালায় উপস্থিত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জনাব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এফসিএস, কোষাধ্যক্ষ এবং আইসিএসবি-এর সেক্রেটারিয়াল প্র্যাকটিস এসুরেন্স কমিটির চেয়ারম্যান, কর্মশালার সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বিএসইসি-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সাইফুর রহমান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি-এর চিফ রেগুলেটরি অফিসার জনাব খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের তথ্যবহুল আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালাকে আরও সমৃদ্ধ করেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যিনি হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধে- উদ্দেশ্য, কর্পোরেট গভর্নেন্সের একটি নতুন মাত্রা হিসাবে ই-গভর্নেন্স, আইনি কাঠামো, কমিশনের সর্বশেষ সার্কুলার ও নির্দেশাবলী এবং হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে এসব বিষয়ে প্রদত্ত নির্দেশাবলী প্রতিপালনে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সমূহের সম্মুখীন হওয়া সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে এমন একটি প্রয়োজনীয় কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইসিএসবি-এর প্রশংসা করেন এবং সদ্য প্রণয়ন করা নিয়ম ও প্রবিধান সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের

সচেতনতা বাড়াতে এই ধরনের উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এই ধরনের উদ্যোগে বিএসইসি থেকে অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।

জনাব মোঃ সাইফুর রহমান আইসিএসবি-এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে কর্মশালাটি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলির সমাধান করবে। তিনি ভবিষ্যতে আইসিএসবি-কে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার ব্যাপারে বিএসইসি-এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

জনাব খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি-এর চিফ রেগুলেটরি অফিসার শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার রক্ষায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতির গুরুত্ব উল্লেখ করেন এবং এই পরিবর্তনগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য আন্তরিকতা এবং দক্ষতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে কর্মশালাটি আয়োজন করার জন্য আইসিএসবি-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষজ্ঞদের সাথে যুক্ত হওয়ার, হাইব্রিড অংশগ্রহণ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ অন্বেষণ, ইস্যুকারীদের জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্ক্রুটিনাইজারদের ভূমিকা এবং শেয়ারহোল্ডার মিটিং সহজতর করার জন্য আইএসপিদের সুযোগ প্রদান করে।

জনাব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এফসিএস, অধিবেশনের সভাপতি হিসাবে, আলোচনার সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন এবং স্বচ্ছতা, সততা এবং নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তার সাথে সম্মতির গুরুত্বের উপর জোর দেন। এছাড়াও তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্ক্রুটিনাইজারদের তালিকাভুক্তির জন্য বিএসইসি দ্বারা জারি করা সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে সকল অংশীদার সংস্থাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।

পরিশেষে আইসিএসবি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব এ.কে.এম. মুশফিকুর রহমান এফসিএস-এর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কর্পোরেট গভর্নেন্স প্র্যাকটিসকে উন্নত করার ক্ষেত্রে সকলের অবদান এবং অঙ্গীকারের জন্য সকল অংশগ্রহণকারী, সংগঠক এবং স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) সুশাসনের উৎকর্ষতা প্রসারের জন্য বাংলাদেশে কর্পোরেট গভর্নেন্সের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্ঞান আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।




চুয়েটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক টানা তৃতীয়বারের মতো ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই) বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার নির্বাচিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক টানা তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সংগঠন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE), বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ২০২৪ খ্রি. ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি), ঢাকায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় তিনি চেয়ার ঘোষিত হন। তিনি ইতোপূর্বে ২০২২ ও ২০২৩ সালেও বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, আইইইই বিশ্বের প্রায় চার লাখ পঞ্চাশ হাজার সদস্যের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সংগঠন এবং বাংলাদেশেও প্রায় এই সংগঠনের চার হাজারের অধিক সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এছাড়া তিনি ইতোপূর্বে আইইইই-এর সিনিয়র সদস্য এবং আইইইই, বাংলাদেশ সেকশনের সহ-সভাপতি (টেকনিক্যাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেশের প্রথম নির্মাণাধীন “শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, চুয়েট”-এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি চুয়েটের ইলেকট্রক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) অনুষদের ডিন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পালন করেন।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক ২০১২ সালে জাপানের সায়তামা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগ থেকে বি.এসসি এবং সিএসই বিভাগ থেকে এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল ও কনফারেন্সে তাঁর প্রায় ২০৩টির বেশি মূল্যবান গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গবেষণার মূল আগ্রহের বিষয় হচ্ছে- হিউম্যান রোবট/কম্পিউটার ইনটের‌্যাকশন, কম্পিউটার ভিশন, ন্যাচরাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং প্রভৃতি। এছাড়া তিনি চুয়েটের ন্যাচরাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং (NLP) ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ফ্যাব ল্যাবের এসপিএম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।




নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যাসপা সিমুলেশন প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার), ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পলিসি এবং গভর্নেন্স (এসআইপিজি) শিক্ষার্থীদের ২০২৪ ন্যাসপা সিমুলেশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তৃতীয় বারের মতো, এ বছর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসআইপিজি, ডিএমএস একাডেমি এবং দ্যা নেটওয়ার্ক স্কুল অফ পাবলিক পলিসি, অ্যাফেয়ার, অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ন্যাসপা) এর সমন্বয়ে সিমুলেশন প্রতিযোগিতা আয়োজিত হচ্ছে। এবছরের প্রতিযোগীতায় বিশ্বব্যাপী ছাত্রদের একটি ভার্চুয়াল সাইট এবং ১২টি গ্লোবাল হোস্ট সাইট, যেমন বাংলাদেশ, মিশর, ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, নেব্রাস্কা, টেক্সাস, মিশিগান এর সংযোগ ঘটায়। বাংলাদেশ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সিমুলেশন প্রতিযোগিতাটি জোরপূর্বক অভিবাসন রোধে কম্পিউটার ভিত্তিক সিমুলেটেড গেমপ্লের মাধ্যমে নীতিমালা তৈরি নিয়ে কাজ করে। এই সিমুলেশনটি ডিএমএস একাডেমির বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি এবং উন্নত করা হয়েছে যা, বাস্তবধর্মী তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্বল্পসময়ে ও দ্রুত পরিবেশে জটিল পলিসি বিষয়গুলি সমাধান করতে বলে।

পাবলিক পলিসির শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি, ‘হোস্ট নেশনস: অ্যা রিফিউজি সিমুলেশন’ হল একটি ওয়েব-ভিত্তিক অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার উপলক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী এবং এটিজি প্রতিনিধি ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে শরণার্থী প্রবাহ পরিচালনা করে। প্রতিটি খেলোয়াড়ের দায়িত্বে একটি পলিসি পোর্টফোলিও ছিল, যা তাদের নিজদেশ ও অন্যান্য দেশেকেও প্রভাবিত করত।

প্রতিযোগীতাটি অংশগ্রহণকারীদের মানবাধিকার, সংহতি, এবং জিডিপি বৃদ্ধির সাথে স্বল্প বাজেট ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতার সাথে সমন্বয় করার কাজ দেয়। প্রতিযোগী দলগুলি সিমুলেশন স্কোর, আলোচনার দক্ষতা, এবং তাদের নীতিমালা বিচারকদের কাছে প্রদর্শন করা নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়।

ন্যাসপা গ্লোবাল নেটওয়ার্কের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিবছর পলিসি বা নীতিনির্ধারণের বিভিন্ন দিক এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ন্যাসপা ক্লাসরুম ও ইউএসআইডিতে অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিমালা শেখাতে ও শিক্ষার্থীদের চিন্তার দক্ষতা বাড়াতে এই হোস্ট ন্যাশন সিমুলেশন কাজে লাগানো হয়।




জমকালো আয়োজনে মানারাত ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি ৩৬তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : জমকালো আয়োজনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ৩৬তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বিবিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে এ বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইইই বিভাগের প্রধান কে. এম. আক্তারুজ্জামান, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মো. মামুন উদ্দীন, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রাকিব আল-মামুন, মো. রেজাউল করিম, রিক্তা বানু, ৩৬তম ব্যাচের অ্যাডভাইসর ড. আহাদ আলী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

‘নৈতিক শিক্ষার অপর নাম জাতির মেরুদণ্ড’ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বলেন, পানির অপর নাম জীবন- এ কথাটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। সত্য হলো বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। তেমনিভাবে শুধু শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড নয়, নৈতিক শিক্ষার অপর নামই হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। এই নৈতিকতা শিক্ষাকেই মানারাত প্রধান বিবেচনার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে। 

তিনি বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পেশাগত জীবনেও মানারাতের শেখানো নৈতিক শিক্ষাকে ধারণ করে জীবন গড়ার আহবান জানিয়ে বলেন, তোমাদেরকে কর্মজীবনে হয়তো বলতে পারে খাদ্যে ভেজাল দিতে অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মোড়কে নতুন তারিখ বসিয়ে নতুন করে বাজারে ছাড়তে। সেখানে তুমি যদি ওই নির্দেশের প্রতিবাদ করতে পার তবেই মানারাতের শেখানো এই জ্ঞান স্বার্থক হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শেকড় ভুলে না যাওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, তোমরা যখন সফলতার আকাশ ছোঁবে, পা যেন মাটিতেই থাকে। শেকড় ভুলে যাবে না। মানারাতের শেখানো জ্ঞানই হলো এই শেকড় তোমাদের।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ফার্মেসি বিভাগের প্রধান-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ।

পরে বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পুরাতনদের মাঝে ২৮ তম ব্যাচের মাহমুদুন্নবী রিংকু এবং নতুনদের মাঝে ৩৯তম ব্যাচের মোহতাসিম, ৪৩তম ব্যাচের জাহিদ হাসান ও অ্যানি। এছাড়া বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে অনুভুক্তি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন রুকনুজ্জামান ও সজিব আলী।

সবশেষে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন এবং বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বিদায় অনুষ্ঠানের কেক কাটেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দুপুরের খাবারের বিরতির পর ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে জমকালো আয়োজনে সাজানো হয় বিশ^বিদ্যালয়ের আশুলিায়া ক্যাম্পাস।




ঢাবি মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ‘ইডাফস’-এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুনর্মিলনী আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ইডাফস’-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল আলম, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল ফজল মীরসহ অ্যালামনাইবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল মহান ভাষার মাসে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ১ম গ্রেফতার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ভাষা শহিদদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অর্জনের কারণে বিশ্বের সকল ভাষার মানুষ মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও সার্বিক উন্নয়নে শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষা, গবেষণাসহ সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে রোডম্যাপ তৈরির মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য উপাচার্য অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।




জবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি জামাল, সাধারণ সম্পাদক সোহান

পরিক্রমা ডেস্ক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-এ মো. জামাল হোসাইন সভাপতি এবং সোহানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলা বিভাগের সিনিয়র অফিস সহকারী মো. জামাল হোসাইন ৭০ ভোট পেয়ে সভাপতি এবং পরিবহন পুলের অফিস সেক্রেটারি মো. সোহানুর রহমান ৬১ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পিআরআইপি দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন।

এছাড়াও কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি পদে ৬৩ ভোট পেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সিনিয়র অফিস সহকারী দপ্তরের মো. নাজমুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৯ ভোট পেয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিস সেক্রেটারি মো. মোস্তফা বিন আজিজ, কোষাধ্যক্ষ পদে ৬০ ভোট পেয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নিম্নমান সহকারী মো. হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৬৫ ভোট পেয়ে আইকিউএসি দপ্তরের নিম্নমান সহকারী মো. মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক পদে ৬০ ভোট পেয়ে পরিবহন পুলের ড্রাইভার-১ মো. গিয়াস উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক পদে ৫৭ ভোট পেয়ে পরিবহন পুলের ড্রাইভার মো. আশরাফুল ইসলাম এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ৬৫ ভোট পেয়ে রেজিস্টার দপ্তরের সিনিয়র অফিস সহকারী নাসরিন আক্তার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রীড়া, সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেজিস্টার দপ্তরের সিনিয়র অফিস সহকারী মো. ইব্রাহীম নির্বাচিত হন।

এছাড়াও সদস্য পদে যথাক্রমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিম্নমান সহকারী মো. আল আমিন শিকদার, পরিসংখ্যান বিভাগের নিম্নমান সহকারী প্রদীপ চৌধুরী, গবেষণা পরিচালক দপ্তরের অফিস সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, পরিবহন পুলের ড্রাইভার শ্যামল কুমার দাস এবং পরিবহন পুলের সিনিয়র ড্রাইভার মো. মাইনুদ্দিন সরদার নির্বাচিত হয়েছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির নির্বাচন ২০২৪-এর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেকশন অফিসার মোহা. আব্দুল মালেক এবং সিনিয়র অফিস সহকারী সোহেল আহমেদ।

নির্বাচনে ১২৩ জন ভোটারের মধ্যে ১২০ জন কর্মচারী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী নির্বাচন চলাকালীন সময় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সভাপতি পদে বিজয়ী মো. জামাল হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি ছিলেন।




নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’ পালিত

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এনএসইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ, এবং এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস ইয়াসমিন কামাল ও মিসেস শীমা আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুর রব খান, কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত), এনএসইউ। বক্তব্যে তিনি বাংলা-ইংরেজি ভাষা মিশিয়ে কথা না বলে যুবসমাজকে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলার আহ্বান জানান।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতিসত্তার গঠন আর জাতিগঠন কিন্তু এক জিনিস নয়। জাতি গঠিত হয় তাদের জাতি হয়ে উঠার অভিপ্রায়ে। এই অভিপ্রায়ের জন্য বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। আর বাঙালির জন্য এই বৈশিষ্ট্য ছিলো বাংলা ভাষা। এই ভাষা শুরু থেকেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে, অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু বাংলার পক্ষে সবসময় সকল বাঙালি এক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাভেদ মুনির আহমেদ বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অর্জন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সবসময়ই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

মিসেস শীমা আহমেদ বলেন, আন্দোলন করে আমরা যে ভাষা অর্জন করেছি, তা এখনও সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় নি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হওয়া খুবই জরুরি। আমরা যদি বাংলাকে ভালোবাসি, বাংলার মাটিকে ভালোবাসি তাহলে আমাদের মাতৃভাষাকেও ভালোবাসতে হবে।

মিসেস ইয়াসমিন কামাল বলেন, বাংলা ভাষা এখন যেন শুধুই আনুষ্ঠানিকতায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই কেবল আমরা ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি। কিন্তু মাতৃভাষার প্রতি আমাদের এই অবহেলা দূর করে সর্বক্ষেত্রে বাংলার বিস্তার ঘটাতে হবে।

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয় সাধারণ মানুষের মাধ্যমেই। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ সবসময়ই বাংলাকে অবহেলা করে এসেছে। বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠিত করতে শ্রেণী-পেশার বিভেদ ভুলে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এনএসইউ সাংস্কৃতিক সংগঠন (এনএসইউএসএস) এবং এনএসইউ সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব ।




আজীবন সম্মাননা পেলেন সায়েম সোবহান আনভীর

পরিক্রমা ডেস্ক : আবাসন ও জুয়েলারি শিল্পে অসামান্য অবদান রাখায় গ্লোবাল ব্র্যান্ডস ‘ট্রাব স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২৪’ পেলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেয়।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অনুষ্ঠানে সংগীতে অবদান রাখায় বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সংস্কৃতিতে অবদান রাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, মানব কল্যাণে পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রম্য রচনায় আবু হেনা মোরশেদ জামান, সফল উদ্যোক্তায় পান-সুপারির স্বত্বাধিকারী কণা রেজাসহ বিভিন্ন খাতে অবদান রাখায় গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাবের ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা রেদুয়ান খন্দকার। উদ্বোধন করেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ (পিরোজপুর-২), বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশের সভাপতি সালাম মাহবুদ।




হাজীগঞ্জে চারদিনব্যাপী একুশে বই মেলার উদ্বোধন করলেন প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইন

নিজস্ব প্রতিনিধি : অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে ৪ দিনব্যাপী (২১-২৪ ফেব্রুয়ারী) একুশে বই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বই পড়ার প্রতি মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগানোর লক্ষ্যে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে ‘৮ম’ বই মেলার উদ্বোধন করা হয়।

বুধবার (২১) সন্ধ্যায় মেলার স্টলস্থলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের মহাপরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি) ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য, হাজীগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন।

হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি গাজী সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরাইয়া তালুকদার, চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, হাজীগঞ্জ পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহ আলম প্রমুখ।

মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও এসএম মিরাজ মুন্সীর যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হোসাইন মীর, হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের পক্ষে উপদেষ্টা সদস্য যুগল কৃষ্ণ হালদার প্রমুখ।

এসময় গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী অলি উল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা নেছার পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, শাহজালাল, মামুন, মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান বাবলু, সদস্য নিহার রঞ্জন হাওলাদার, সানাউল্ল্যাহ পাটোয়ারী, হাবিবুর রহমান পলাশ, খালেকুজ্জামান শামীম, খাজা সাফিউল বাসার রুজমন, মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ, নন্দিতা দাস ও ইব্রাহীম খান রনিসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এ মেলার আয়োজন করে থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত ৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মেলা উদযাপন করে আসছে। এ বছর মেলা উদযাপনে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও ৯টি উপ-কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।

হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অনুষ্ঠিত মেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বই প্রদর্শনী, বিক্রি, বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বই পরিচিত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামি ২৪ ফেব্রুয়ারী পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী এ মেলার সমাপ্তি হবে।




ট্রাস্ট মডেল একাডেমির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুরস্থ ট্রাস্ট মডেল একাডেমির ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০ শে ফেব্রুয়ারি -২০২৪ একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক,কবি ও গীতিকার মফিজ উদ্দিন আহমেদ (ফরিদ)। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুল হক মিয়া (পি আর এল)। ট্রাস্ট মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ ছাএকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদারের স্বভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন একাডেমির উপাধ্যক্ষ মোস্তাকিমা ইসলাম মীম, সিনিয়র শিক্ষক মো আলমগীর কবির। উক্ত অনুষ্ঠানে গত বছর ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ট্রাস্ট মডেল একাডেমি এবং বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু- স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক জাতীয় শিশু কিশোর চিএাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।