চুয়েটে ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটি’র ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের অধীনে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক “Committee for Higher Studies & Research (CHSR)”-এর ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৫ই ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএইচএসআর-এর চেয়ারম্যান ও চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। সভায় চুয়েটের চলমান উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প বিষয়ে নানাবিধ আলোচনা করা হয়। এতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সম্মানিত অভ্যন্তরীণ সদস্য ও বহিঃসদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




জেনিথ লাইফের বীমার আওতায় ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ হাজার শিক্ষার্থী

পরিক্রমা ডেস্ক : জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড দেশের ৪৩ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রুপ জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা প্রদান করে আসছে। এই বীমার ফলে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা খরচও কমে আসছে।
বর্তমানে জেনিথ ইসলামী লাইফের বীমা সুবিধা পাচ্ছে দেশের ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যার মধ্যে রয়েছে ৩ টি পাবলিক এবং ১ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ২য় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৯৯৬ জন, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ হাজার ৮২৩ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২ হজার ৪৫ জন এবং শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬২ জন শিক্ষার্থী উপভোগ করছে জেনিথ লাইফের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা। স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থাকা কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থতা অথবা দূর্ঘটনার কারনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী পাবেন বীমা  সুবিধার তফসিল অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমান চিকিৎসা বীমা সুবিধা। আবার হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রেও পাবেন পূর্ব নির্ধারিত বীমা সুবিধা। তবে এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র, হাসপাতালের বিলের কাগজপত্র, মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের কপি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
সম্পূর্ণ ওয়েব বেইজড পদ্ধতিতে বীমা দাবি উত্থাপন এবং নিষ্পত্তি করা হয়। তাই ঘরে বসেই বীমা দাবি করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। আর দাবি নিষ্পত্তির টাকাও প্রদান করা হয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর অনলাইন অথবা মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট) একাউন্টের মাধ্যমে। এছাড়াও জেনিথ লাইফের জীবন বীমার আওতায় থাকা কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে তার পরিবার পাবেন নির্দিষ্ট পরিমান বীমা অংকের টাকা।
উল্লেখ্য যে, বীমার আওতায় থাকা শিক্ষার্থীদের এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে।



রবীন্দ্র সরোবরের আদলে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

পরিক্রমা ডেস্ক : ধানমন্ডি হ্রদে রবীন্দ্র সরোবরের আদলে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি হ্রদে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান-২০২৪ এ অংশ নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে এই ধানমন্ডি লেককে একটি নান্দনিক লেক পরিণত করেছেন। ব্যাপক মহাপরিকল্পনা নিয়ে তিনি এটার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছেন। ধানমন্ডি লেককে আরো সুন্দর, নান্দনিক এবং আকর্ষণীয় করার জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে কাজ করছি। সংস্কারের জন্য এখন আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে আরো কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আরো কিছু সংস্কারের জন্য। ধানমন্ডি ৩২ থেকে সাম্পান পর্যন্ত নতুন যে জায়গাটি আমরা দখলমুক্ত করেছি, সে জায়গায় এই বরীন্দ্রী সরোবরের আদলে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শীঘ্রই এটার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নজরুল সরোবরের নকশা দেখে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নজরুল সারোবরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন বলে আমরা আশা করছি।”

ধানমন্ডি হ্রদে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সময় একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে চাই, কোনো ভবঘুরে এখানে থাকতে পারবে না। এখানে যে সকল খাবার দোকান রয়েছে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে তাদের রান্না ঘর বন্ধ করতে হবে। সাড়ে নয়টার পরে কোনো খাবারের অর্ডার নেওয়া ও পরিবেশন করা যাবে না। বাইরের অংশে যে রেস্তোরাগুলো আছে, যেমন পানসি ও সাম্পান, সেগুলোর রান্নাঘর রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। আর সপ্তাহে একদিন ‘বুধবার’ ধানমন্ডি হ্রদের পুরো এলাকা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। বুধবারে কোনরকম ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কেনা-বেচা এখানে হবে না। বুধবারে আমরা সবাই মিলে ধানমন্ডি লেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে টিপ-টপ রাখবো। যাতে করে বৃহস্পতিবার থেকে শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশ থেকে যারা এখানে আসেন, তারা যেন নান্দনিক, সুন্দর ও সবুজ উপভোগ করতে পারে।”

বায়ু দূষণ নিয়ে এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “বায়ু দূষণের কারণ নির্ণয়ে যে সকল কর্তৃপক্ষ রয়েছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী — ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানিই ৮০ শতাংশ দায়ী। আমরা যে জীবাশ্ম জ্বালানি তথা পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ব্যবহার করি তা বৈশ্বিক মানদণ্ডে সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের। যে কারণে আমাদের বায়ুতে যেই পদার্থগুলো নিঃসৃত হয় তা অস্বাস্থ্যকর এবং বিপদজনক। সেজন্যই মাঝে মধ্যে আমরা বারবার বায়ু দূষণের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে অবস্থান করি। আর বাকী ২০ ভাগের মধ্যে অন্যান্য কারণগুলো হলো — ইটের ভাটা, নির্মাণ সামগ্রীর ধুলোবালি ইত্যাদি। বায়ু দূষণ রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব নির্মাণ কাজগুলো হচ্ছে, আমরা সেগুলো তদারকি করছি। আমরা চেষ্টা করছি যেন খনন কাজের মাটি দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা না হয়। রাজউকের একটি অংশের কার্যক্রম রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় যে কাজগুলো হয় সেগুলো যেন বেষ্টনী দিয়ে ঢেকে তারপরে কাজ করা হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়গুলো আমরা রাজউকের সাথে সমন্বয় করছি। তারা যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে। আমাদের সহযোগিতা দরকার হলে প্রয়োজনে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। তবে আপনারা যদি তিন বছর আগের সময়ের সাথে এখন তুলনা করেন, তবে দেখতে পাবেন — নির্মাণ সামগ্রীর জন্য বায়ু দূষণের মাত্রা আমরা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমাদের মূল সড়কগুলোতে আমরা নিয়মিত পানি দিচ্ছি। আমাদের ধুলো সংগ্রহের যে গাড়িগুলো আছে সেগুলো দিয়ে উড়ালসেতু হতে ধুলাবালি সংগ্রহ করছি। তবে বায়ু দূষণের মানদণ্ডে আমরা কোনভাবেই নিচে আসবো না যতক্ষণ পর্যন্ত না ভালো মানের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে ঢাকা শহরে ভালো মানের জীবাশ্ম জ্বালানি নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও পেট্রো বাংলাকে চিঠি দিবো। তাদেরকে অনুরোধ করব, ঢাকা শহরে যে জ্বালানি দেওয়া হয় তা যেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের জ্বালানি হয়।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, “আমরা ধানমন্ডিবাসীকে ভালোবাসা দেখাবো পরিচ্ছন্নভাবে। সেই হিসেবে আজকে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এখানে সকাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। সারাদিন আজকে এখানে অভিযান চলবে। এটা কিন্তু এরকম নয় যে, আজকে শুরু করে কালকে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। এটা আজকে থেকে শুরু হলো, অন্তত আগামী পাঁচ বছর চলবে।”

উল্লেখ্য যে, আজকের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৭০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেয়।

এর আগে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস শহিদ শামসুন্নেছা আরজু মনি শিক্ষাবৃত্তি ও বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণ এবং লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন। পরে ঢাদসিক মেয়র ভাষা শহিদ শফিউর রহমান সড়ক (শিক্ষা অধিকার চত্বর হতে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত অংশের সড়ক) নাম ফলক স্থাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাহবুবুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফফার, ধানমন্ডি সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী লেয়াকত হোসেন মিলন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘স্বরস্বতী পূজা-২০২৪’ উদযাপিত

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আজ ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব স্বরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।

সুর ও বিদ্যার দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মধ্য দিয়ে পূজার সূচনা হয়। এরপর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পূজা উদযাপন আনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক জনাব মৃন্ময় চক্রবর্ত্তী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস শীমা আহমেদ।  বিশেষ বক্তা এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিস এর পরিচালক ড. সাঈদ উজ জামান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দীপক কুমার মিত্র।

মৃন্ময় চক্রবর্তী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সরস্বতী পূজা উদযাপনের প্রশংসা করেন। তিনি একটি সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল ধর্মকে সম্মান করার পাশাপাশি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

মিসেস শীমা আহমেদ বলেন, আমাদের সবার জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। জ্ঞান চর্চা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি লালন করে। আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

সবশেষে সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে পূজার আয়োজনের সমাপ্তি হয়। এ সময় উৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী উল্লাস প্রকাশ করেন।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, অভিবাবক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।




ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় (ডিআইইউ) এবং ইরাসমাস মুন্ডাস এসোসিয়েশন (ইএমএ) এর উদ্যোগে ‘একটি বৃত্তির প্রস্তুতি : বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার সুযোগ তৈরী’ শীর্ষক সেমিনার

পরিক্রমা ডেস্ক :ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং ইরাসমাস মুন্ডাস অ্যাসোসিয়েশন (ইএমএ) যৌথভাবে গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ “একটি বৃত্তি প্রস্ততিঃ বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার সুযোগ” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সোমিনারে ইরাসমাস+, মেরি কুরি, ডিএএডি এবং অন্যান্য ইউরোপ জুড়ে মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন পথ অন্বেষণ করার একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। সাম্প্রতিক ডিআইইউ এবং (ইএমএ) এর মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটি প্রথম উদ্যোগ।

ইরাসমাস মুন্ডাস অ্যাসোসিয়েশনের (ইএমএ) সভাপতি এবং এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের ইরাসমাস+ ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্টস (এএনএফপি) নেটওয়ার্কের সেন্ট্রালাইজড সাপোটার ডক্টর মোঃ আশিকুর রহমান মূল সেশনটি উপস্থাপন করেন । সেশনে তিনি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ সুযোগের পরিসর এবং কীভাবে এগুরো আয়ত্বে আনা যায় তার অমূল্য অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেন এবং পথনির্দেশনা প্রদান করেন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ-এর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড বায়োস্ট্যাটিস্টিকস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ নাসার ইউ আহমেদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সিনিয়র সহকারি সচিব এবং ইএনএফপি, ইরাসমাস+, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি মোঃ মামুন, এবং , ডিএএডি-জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা (বাংলাদেশ) জনাব মাহমুদুল হাসান সুমন আন্তর্জাতিক বৃত্তি অন্বেষণ করার জন্য তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা শেয়ার করেছেন।

২২টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে এই তথ্যপূর্ণ সেমিনারে যোগদান করেছে এবং কার্যকরী সিভি, এসওপি, এবং রেফারেন্স লেটার লেখা সহ নথি তৈরি এবং বৃত্তির সময়সীমার উপর বাস্তব নির্দেশনা সহ, তাদের বিশ্বব্যাপী শিক্ষার সুযোগগুলি অন্বেষণের সুবিধার্থে উপরোক্ত ক্ষেত্রে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করেছে। .




শিল্পায়নে পুঁজিবাজারকে অর্থায়নের মূল উৎসে পরিণত করতে হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান

পরিক্রমা ডেস্ক :পুঁজিবাজার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার হতে পারে। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে শুধু শিল্পায়নই হবে না, একই সাথে জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে৷ উন্নত বিশ্বের মতো দেশের পুজিবাজারকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে। দেশে দ্রুত শিল্পায়নের জন্য গতিশীল পুঁজিবাজার গড়ে তোলা প্রয়োজন৷ দেশের অর্থনীতি বড় হয়েছে। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজার সেভাবে এগোচ্ছে না। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে পুঁজিবাজারের অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। বিশ্বের অনেক দেশে শিল্প মূলধনের বড় অংশ আসে পুঁজিবাজার থেকে৷ আমাদের দেশে তার বিপরীত৷ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে

ব্যাংকঋণের সহজলভ্যতা বন্ধ হওয়া দরকার৷ ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ পাওয়ার কারণে উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারে আসছে না। আবার অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। ফলে দিনদিন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। উদ্যোক্তারা দীর্ঘমেয়াদি অর্থ ব্যাংকের বদলে পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করলে একদিকে পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি বাড়বে, অন্যদিকে ব্যাংক খাতের ঝুঁকিও কমবে। শিল্পায়নে পুঁজিবাজারকে অর্থায়নের মূল উৎসে পরিণত করতে হবে৷ দেশের স্বার্থেই পুঁজিবাজারকে উন্নয়নের মাধ্যমেই অর্থনীতির মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন৷

১৩ ফেব্রুয়ারি নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত DBA Stock Brokers Performance Award 2023 and Celebration for becoming a member of Asia securities forum’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু এসব কথা বলেন। ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জনাব সাইফুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু, এমপি, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান এবং জনাব মোঃ আব্দুল হালিম৷

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট ইকোনমি৷ এর অন্যতম ২টি কম্পোনেন্ট হলো স্মার্ট ক্যাপিটাল মার্কেট ও স্মার্ট মানি মার্কেট। যখন পুঁজিবাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে তখন পুঁজিবাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসবে ও লেনদেন বেড়ে যাবে। স্মার্ট ক্যাপিটাল মার্কেটকে যদি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, তবে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত ও সহজ হবে বলে মনে করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু।




আইসিএসবি কর্তৃক “নেতৃত্ব ও মানবসম্পদ উন্নয়ন” শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টার, ঢাকা ক্লাব লিমিটেড-এ “নেতৃত্ব ও মানবসম্পদ উন্নয়ন”শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চেয়ারপারসন, উন্নয়ন সমন্বয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং “নেতৃত্ব ও মানবসম্পদ উন্নয়ন” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে আলোচক ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এর সভাপতি রূপালী চৌধুরী। এছাড়াও সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী এফসিএস।

ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জনাব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস স্বাগত বক্তব্যে সকলকে আইসিএসবি-এর সেমিনারে যোগদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ড. আতিউর রহমান, রূপালী চৌধুরী এবং মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী এফসিএস-কে আইসিএসবি-এর সেমিনারে উপস্থিত হয়ে তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা তুলে ধরার করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের সেমিনারের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের সদস্যগণ যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জন করে উপকৃত হয়ে থাকেন। তিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপককে তার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং মনে করেন যে কোম্পানি সেক্রেটারিগণ এই মূল প্রবন্ধ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে ও তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশে সহায়ক হবে।

জনাব এম নুরুল আলম এফসিএস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইসিএসবি এবং সেমিনার ও কনফারেন্স সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তিনি জানান যে সেমিনারে উপস্থিত সম্ভাব্য নেতারা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান-এর মূল প্রবন্ধ থেকে এবং অন্যান্য সফল ব্যবসায়ী নেতাদের আলোচনা থেকে একজন ব্যবসায়ী নেতা হওয়া সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেছেন। তিনি গুরুত্বারোপ করেন যে, একজন সফল ব্যবসায়ী নেতা হতে হলে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সময় এবং অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং অটোমেশন বাস্তবায়ন করতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. আতিউর রহমান “অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব” এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে এবং বাংলাদেশের বিশ্বস্ত নেতৃত্ব আর্থ-সামাজিক লাভের টেকসইতা বাড়ানোর জন্য সম্পদ সংগ্রহ করে যাচ্ছে। তিনি নেতৃত্বের বিভিন্ন ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোকপাত করেন যা কিনা বিভিন্ন সংগঠনের প্রেক্ষাপটে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আইসিএসবি-এর সদস্যগণ তাদের কর্মক্ষেত্রের নেতৃত্ব ও মানবসম্পদ দক্ষতার মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

আলোচনাকালে রূপালী চৌধুরী পরিবর্তনশীল ব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক রূপান্তর ও ব্যবসায়িক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তিনি কোম্পানির নেতৃত্ব এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রযুক্তি-ভিত্তিক কোম্পানির বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের মানবসম্পদ যখন বিভিন্ন কোম্পানিতে নেতৃত্বের পদে সুযোগ পান তখন তারা অসাধারণ কাজ করে থাকেন। তিনি ভবিষ্যতের নেতাদের উৎসাহিত করার এবং মানব সম্পদের যত্ন নেওয়ার দিকেও গুরুত্বারোপ করেন।

জনাব মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী এফসিএস নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি কোম্পানিতে সৎ ও যোগ্য লোকদের নিয়ে একটি দল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার এবং ভাল যোগাযোগ দক্ষতা থাকার দিকেও মনোনিবেশ করেছিলেন। পরিশেষে, তিনি আমাদের স্থানীয় মানব সম্পদের উপর আস্থা রাখার উপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে আইসিএসবি-এর বিপুল সংখ্যক সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাজীবী, আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা পর্বের পর একটি ইন্টারেক্টিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি, সম্মানিত অতিথি এবং আইসিএসবি-এর প্রেসিডেন্ট অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

পরিশেষে আইসিএসবি-এর কাউন্সিল সদস্য জনাব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এফসিএস প্রধান অতিথি, আলোচক, কাউন্সিল সদস্য ও সদস্যবৃন্দ এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনার সমাপ্ত করেন।




কর্মীবান্ধব পরিবেশ তৈরির অঙ্গীকারে ডে কেয়ার সুবিধা চালু করলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

পরিক্রমা ডেস্ক : ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি “আদর” নামে ডে কেয়ার সেন্টার চালু করেছে। কর্মীবান্ধব পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি পূরণে এটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অফিস চলাকালে এই ডে কেয়ার সেন্টারে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কর্মীদের শিশুদের সার্বিক যত্ন নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মেরুল বাড্ডার নতুন ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডে কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিসোর্স এর ডিরেক্টর রিফাত সুলতানা, ডিরেক্টর অফ অপারেশন্স মোহাম্মদ সাজেদুল করিম, বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন প্রফেসর আরশাদ এম চৌধুরী, ডিপার্টমেন্ট অফ ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এর চেয়ারপারসন ফেরদৌস আজিম এবং ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-উর্ধতন কর্মকর্তা, শিশু এবং তাদের অভিভাবকরা।

সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ তার বক্তব্যে একটি কর্মীবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং কর্মজীবনে ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য আনতে ডে কেয়ার সেন্টারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই ডে কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করতে পেরে আমরা গর্বিত, যা কর্মীদের নানাভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও বেশি কার্যকর করে তুলতে সহায়তা করবে। আমাদের সহকর্মীদের সন্তানদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ দেওয়ার মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান এবং সহমর্তিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই।”




চুয়েট ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা, দায়িত্ব হস্তান্তর ও পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সৃজনশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক সংগঠন চুয়েট ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা, দায়িত্ব হস্তান্তর ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ২০২৪ খ্রি. চুয়েট ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েট ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরী পরিষদের নতুন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ক্লাবের বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ।

পরে চুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজীয়দের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এতে ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হন যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মো. আমিনুল ইসলাম। এদিকে মঙ্গলবার বিকালে পিঠা উৎসব ও রাতে বসন্ত বরণ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 




সুবিধাবঞ্চিতদের গল্প নিয়ে দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরী টেলিং ফেস্টিভ্যাল’

পরিক্রমা ডেস্ক : ‘রিয়েল স্টোরিজ বাই রিয়েল পিপল’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগ আয়োজন করছে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ফেস্টিভ্যাল (সিডিএসটিএফ)। ফেস্টিভ্যালটি আগামী ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে।

সিডিএসটিএফকে সামনে রেখে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিডিএসটিএফ এর কো- অরডিনেটর আলিফেন্নেসা আলিফ, সাবমিশন ম্যানেজার সাদমান ইসলাম, পিআর ম্যানেজার মুহাম্মদ আসিফ উল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে সাদমান ইসলাম জানান, “সিডিএসটিএফের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, খেঁটে খাওয়া, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর না বলা গল্প তুলে ধরা । এসব গল্প বরাবরই মূলধারার গণমাধ্যমে উপেক্ষিত হয়ে আসছে, যা শিক্ষার্থীরা এই ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে মুঠোফোন ব্যবহার করে তুলে ধরবে।“

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লিজা শারমিন, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক আফতাব হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ও ফেস্টিভ্যালের উপদেষ্টা ড. কাবিল খানসহ বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

“এনভায়রনমেন্ট এন্ড সাস্টেইনবিলিটি” থিমকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে, উন্মুক্ত, সাংবাদিকতা, এক মিনিট এবং ডিআইইউ বেস্ট কমিউনিটি গল্প বিভাগে নিজেদের বানানো অসাধারণ চলচ্চিত্রগুলি জমা দিয়েছেন। ২০২৩ সালের প্রথম থেকেই এই বিশাল আয়োজনের কার্যক্রম শুরু হয় । ফেস্টিভ্যালের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং অংশগ্রহনের

পদ্ধতি সহ নানান বিষয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন, মিডিয়া এমনকি সরেজমিনে গিয়েও ফেস্টিভ্যালের আয়োজকরা প্রচারনা চালান। আয়োজকরা ইসলামিক ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুঠোফোন দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন । এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের ৯টি দেশ থেকে ফেস্টিভ্যালের অংশগ্রহনকারীগণ মোট ১০৬টি চলচিত্র জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে ৭৩টি চলচ্চিত্র প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে ফেস্টিভ্যালের বিচারক পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তারা ৩৯টি চলচ্চিত্রকে প্রদর্শনীর জন্যে নির্বাচিত করেন। ফেস্টিভ্যালের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা আকর্ষনীয় পুরষ্কারের অর্জনের পাশাপাশি সুযোগ পাবেন মিডিয়া গবেষক এবং স্বনামধন্য ব্যাক্তিদের সাথে সরাসরি আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ।

উৎসবে প্রধান বিচারক হিসেবে ছিলেন আয়াজ খান, যিনি পাকিস্তানে মোবাইল জার্নালিজম, মোজোর প্রসারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও বিচারক হিসেবে কাজ করছেন। এই আয়োজনে বিচারক হিসেবে আরো ছিলেন মাল্টিমিডিয়া আর্টিস্ট প্রফেসর ডাঃ মার্তা মিয়াস্কোওসা, প্রযুক্তি লডজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন অনুষদে গবেষণা এবং শিক্ষণ কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এছাড়াও ছিলেন লিথুয়ানিয়ার আর্টিসোকাই ফিল্ম প্রোডাকশন এর নুরুজ্জামান খান, একাধারে শিল্পী, লেখক, গবেষক, চলচ্চিত্র নির্মাতা। এছাড়া আরও থাকছেন ডিডাব্লিউ একাডেমি এশিয়া ও ইউরোপ ডয়চে ভেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং প্রশিক্ষক ফাহমিম ফেরদৌস। যিনি একাধারে সাংবাদিক, উপস্থাপক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

ফেস্টিভ্যালের প্রথমদিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন অনিন্দ্য ব্যানার্জী, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং হেড অব কন্টেন্ট, চরকি এং প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন ডক্টর এম লুৎফর রহমান, ভাইস চ্যান্সেলর, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া দ্বিতীয় দিনে, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রফেসর ডক্টর লিজা শারমিন, ডিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ডক্টর মোফাখখারুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।

সিডিএসটিএফের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থাকছে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা নিউজ পোর্টাল প্রথম আলোডটকম। এছাড়া পুরস্কার বিতরণের অংশীদার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ টাইমস, ইরফান ট্রেডস এবং লুমিফিউশন । এই আয়োজনকে বিশ্বের সকল প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে মিনা। যুব সম্প্রদায়ের অংশীদার হিসেবে থাকছে আইসিডি, ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট এবং প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি। এছাড়াও সিডিএসটিএফ এর অংশীদার হিসেবে থাকছে সাইট ভল্ট, যারা নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলি স্টি্রমিং করবে। সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।