ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্প্রিং-২০২৪ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্প্রিং ২০২৪ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাথে নবীন শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক যাত্রা, মূল্যবোধ, সুযোগ এবং স্বপ্নপূরণের দুর্দান্ত সূচনা উদযাপন করতেই এই ওরিয়েন্টেশন এর আয়োজন করা হয়।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই নবীন বরণ অনুষ্ঠান। সূচনা বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকসই সবুজ ক্যাম্পাসসহ বিদ্যমান সকল সুবিধার সবোর্চ্চটা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানান তিনি। সেই সাথে উদ্ভাবনী এই ক্যাম্পাসকে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন ড. ডাউল্যান্ড।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অনন্য শিক্ষাদর্শন তুলে ধরেন স্কুল অফ জেনারেল এডুকেশনের ডিন ড. সামিয়া হক। তিনি বলেন, “ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সামগ্রিক এবং লিবারেল আর্টস শিক্ষা অফার করে থাকে যা শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষা এবং বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার মিশ্রণে গড়া।”

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রক্টর অফিসের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রুবানা আহমেদ। অ্যাকাডেমিক এবং নন-অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে নিজেদের প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অফিস অফ কমিউনিকেশন্স এর ডিরেক্টর খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ড্রাস্ট্রি এবং বিজনেস এর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। প্যানেল আলোচকদের মধ্যে ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার ইউসুপ ফারুক, জনপ্রিয় শেয়ার রাইডিং অ্যাপ পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ারপারসন ড. সাদিয়া হামিদ কাজী।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মাহবুব রহমান, পিএইচডি। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি সমৃদ্ধি এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনেরও তীর্থভূমি।” তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সকল সুবিধা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে অ্যাকাডেমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

মনোজ্ঞ কনসার্টের আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষ হয়। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট লাইফ এর জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।




বীমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইন চূড়ান্ত করতে আইডিআরএ’র বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে বৈঠক করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বিআইএ’র প্রতিনিধি হিসেবে সংগঠনের প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা পি কে রায়, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এম জালালুল আজিম।

এ ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ কর্তৃপক্ষের সদস্য ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে, বীমা খাতের প্রসার এবং কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়নের ক্ষেত্রে বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে ‘বীমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইন, ২০২৩’ শিরোনামে বীমা গ্রাহকের সুরক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বীমা কোম্পানি, বীমা এজেন্ট বা ব্রোকার অথবা এজেন্ট নিয়োগকারী বা জরিপকারী বা বীমা গ্রাহক, পরিষেবা প্রদানকারী অথবা বীমাকারীর দ্বারা লিখিত বীমা পলিসিগুলোর আবেদন, বিক্রয় বা প্রশাসনের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি এবং কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই গাইডলাইন প্রযোজ্য হবে।

বীমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইনের খসড়া সম্পর্কে জানতে




চুয়েট ক্লাবের ২০২৪-২৫ সালের নতুন কমিটি  ঘোষণা অধ্যাপক মইনুল সভাপতি, অধ্যাপক রাশিদুল সাধারণ সম্পাদক

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সৃজনশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক সংগঠন চুয়েট ক্লাবের ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরী পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় চুয়েট ক্লাব মিলনায়তনে এক সাধারণ সভার মাধ্যমে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েট ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ। এতে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম সভাপতি এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। এছাড়া সহ-সভপতি হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী, অর্থ সম্পাদক হিসেবে প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈমুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে শারিরীক শিক্ষা শাখার প্রশিক্ষক জনাব মো. জিলহাজ উদ্দীন, যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সেকশন অফিসার জনাব ইসহাক মজুমদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের অ্যাকাউন্টস অফিসার জনাব মো. আবদুল আহাদ এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে বিদায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন ও সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) জনাব মো. আনিসুজ্জামান খান মনোনীত হন।

উল্লেখ্য যে, গত ৩১ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. চুয়েট ক্লাবের ২০২৩-২৪ কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইটিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।




এনএসইউ’র কাজী তাফসিরুল ইসলামের নতুন বই “ক্যারিয়ার এক্সিলেন্স” মোড়ক উন্মোচন

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুলের সিনিয়র লেকচারার এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্টার্টআপ ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম এনএসইউ স্টার্টআপস নেক্সটের সমন্বয়কারী কাজী তাফসিরুল ইসলামের সর্বশেষ বই ‘ক্যারিয়ার এক্সিলেন্স’ এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (মঙ্গলবার) এনএসইউ’র বিজনেস স্কুলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

‘ক্যারিয়ার এক্সিলেন্স’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের ডিন ড. হেলাল আহমেদ। পেশাগত সাফল্যের পথ নির্দেশনা দেয়ার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে সক্ষম করার জন্য ডিজাইন করা একটি মৌলিক বই ‘ক্যারিয়ার এক্সিলেন্স’।

বইটি প্রকাশ করেছে অদম্য প্রকাশ। বইটি একুশে বই মেলা-২০২৪ এ অদম্য প্রকাশের ৩৯ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এবং রকমারি ডটকম-এও অর্ডার করা যাচ্ছে।




উখিয়ায় অপহরণের পর আরএসও সদস্যকে মাথায় গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) এক সদস্যকে অপহরণের পর মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




“আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড” এর ‘টাঙ্গাইল সেলস অফিস’ এর শুভ উদ্বোধন

পরিক্রমা ডেস্ক : অদ্য ০৬-০২-২০২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার “আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড” এর ‘টাঙ্গাইল সেলস অফিস’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব নুরে আলম ছিদ্দিকী অভি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাজেদুল বারী, ডিএমডি (ট্রেনিং) এবং জনাব মোঃ আরিফ হোসেন, সেলস ম্যানেজার। অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জনাব শরিফুল ইসলাম, এসিসট্যান্ট সেলস ম্যানেজার, টাঙ্গাইল। 




সুজিত রায় নন্দী কাতার আগমন উপলক্ষে কাতারে বসবাসরত চাঁদপুর প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

পরিক্রমা ডেস্ক : সোমবার কাতার দোহা চাঁদপুর সমিতির আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর-হাইমচরের মাটিও মানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, জননেতা সুজিত রায় নন্দী।

কাতার দোহা চাঁদপুর সমিতির সভাপতি মো মানিক রহমানের সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন আকন, সভাপতি বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতার।এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ তসলিম শেখ, ব্যবসায়ী দোহা কাতার।

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোহাম্মদ মাসুদ শেখ ও মোঃ ওমর ফারুক।




দেশে আরো লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, দেশে শুধু সরকারি নয়,বেসরকারি কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে আরো লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, লাইব্রেরি হল জ্ঞানের ভান্ডার। বর্তমানে দেশে ৭১টি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে বেশি বই পড়তে হবে। বই পড়ার মাধ্যমে সকল পর্যায়ের মানুষ পৃথিবীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, মানবতার প্রকাশ  ও নিজের সম্পর্কে জানতে পারবে।
আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর অংশ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। উপাচার্য এই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামসহ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি: মূল্য শুল্কায়নে দ্বৈত নীতিতে সরকার, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

মূল্য শুল্কায়নে এক দেশে দুই নীতি থাকলে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ বাধাগ্রস্ত হবে# অপরিশোধিত তেল আমদানিতে সরকারি-বেসরকারির ক্ষেত্রে একই নীতিতে মূল্য শুল্কায়নের দাবি# বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বকেয়া আর্থিক পরিশোধের চাপে সরকার# বিপিসি ও পেট্রোবাংলার কাছে চট্রগ্রাম কাস্টমসের বকেয়া সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা# রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে চট্রগ্রাম কাস্টম# ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের আগেই ভর্তুকি শূন্যে নামিয়ে আনার শর্ত আইএমএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক : অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারি ও বেসরকারির মূল্য শুল্কায়নে সরকারের এই দ্বৈত নীতির কারণে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা। তাই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে একই নীতিতে মূল্য শুল্কায়নের দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পর চট্রগ্রাম কাস্টম হাউস খালাস করার সময় ট্যারিফ ভ্যালুতে (ব্যারেল প্রতি ৪০ ডলার) শুল্কায়ন করে। অন্যদিকে একই এইচএস কোডে যখন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানি করে তাদের শুল্কায়ন করা হয় ইনভয়েস ভ্যালুতে। এর সম্পূর্ন মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পণ্য খালাসের অনুমতি দেয় কাস্টমস হাউস।
জানা গেছে, বর্তমান পণ্যের ইনভয়েস ভ্যালুর ক্ষেত্রে পণ্যের ওপর আরেপিত কাস্টমস ডিউটি সঠিকভাবে নির্ধারন না করে পণ্যের মূল্য নির্ধারন করে থাকে বিপিসি। এর ফলশ্রুতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পরবর্তী সময়ে বিপিসিকে অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধের জন্য ডিমান্ড নোট করে থাকে। যেটা বিপিসি তার প্রাইসিং ফর্মুলায় অর্ন্তভুক্ত রাখে না। এখানে সরকারের সঙ্গে এনবিআরের দ্বৈতনীতি পরিলক্ষিত হয়।
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক দেশে দুই আইন থাকতে পারে না। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি মূল্য শুল্কায়ন একই পদ্ধতিতে হতে হবে। হয় তা ট্যারিফ ভ্যালুতে শুল্ক মূল্যায়ণ করে প্রাইসিং ফর্মুলা নির্ধারণ করতে হবে, না হয় ইনভয়েস ভ্যালুতে শুল্ক মূল্যায়ণ করে প্রাইসিং ফর্মুলা নির্ধারণ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, সার্বিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে যেমন আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় পদ্ধতি চালুর বিকল্প নেই। তেমনই বিশ্ববাজারের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় পদ্ধতি চালু করার আগেই অবশ্যই সরকারকে মূল্য শুল্কায়নে দ্বৈত নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সবার জন্য একই নীতিতে মূল্য শুল্কায়ন করতে হবে। তাহলেই অর্থসংকট কেটে যাবে এবং জ্বালানি তেল পাচার রোধ করাও সম্ভব হবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল্য শুল্কায়নে দ্বৈত নীতির কারণে বেসরকারি তেল আমদানিকারকদের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়তি ভ্যাট-ট্যাক্সও দিতে হচ্ছে। বিপিসি জ্বালানি তেল আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালুতে শুল্ক মূল্যায়ণ করে যে পরিমাণ শুল্ক (ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলার) দিচ্ছে, বেসরকারি পর্যায়ে তার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি শুল্ক দিতে হচ্ছে। ফলে তারা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। একই দেশে সরকারী ও বেসরকারী শুল্ক মূল্যায়ন পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারেনা।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি (অটোমেটেড প্রাইসিং ফর্মুলা) কার্যকর করার শর্ত দিয়েছিল। কিন্তু এতো দিনেও আইএমএফের এই শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। যার ফলে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এখনো বকেয়া আর্থিক ভর্তুকি পরিশোধের চাপে আছে সরকার। এই অবস্থা চলতে থাকলে চলমান অর্থসংকট থেকে কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারবে না। আইএমএফের এই শর্তপূরণ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আর্থিক চাপ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইএমএফ’র শর্তপূরণে ডিজেল, পেট্রল, অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে আগামী এপ্রিল থেকে নিয়মিত সমন্বয় করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যে প্রাইসিং ফর্মুলায় জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়ের কথা ভাবছে সরকার, এতে কখনোই দেশের অর্থসংকট কাটানো যাবে না। এমনকি তেলপাচার রোধ করাও সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পেট্রোবাংলার কাছে বকেয়া সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে চরম বেকায়দায় চট্রগ্রাম কাস্টম হাউস। জ্বালানি তেলের শুল্ক হিসেবে বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া থাকায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে বারবার চিঠি দিয়েও সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এক চিঠিতে বিপিসি এবং পেট্রোবাংলার কাছে রাজস্ব বকেয়া আটকে থাকার তথ্য উঠে আসে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, এই অর্থবছরে বিপিসি ও পেট্রোবাংলাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে যে বকেয়া রাজস্ব রয়েছে, তা আদায় করা গেলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেলের বাজার ছেড়ে দিয়েছি। চলতি বছর এপ্রিলের মধ্যে দেশে জ্বালানি তেলের বাজারে ডাইনামিক প্রাইসিং ব্যবস্থা চালু হবে। আমরা অধিকাংশই পরিশোধিত তেল আমদানি করি যা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। বেসরকারি খাতে রিফাইনারি উন্মুক্ত করে দিচ্ছি একই সঙ্গে ডিস্ট্রিবিউশনও আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।’
ঋণের শর্ত কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, তা দেখতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত অক্টোবরে বাংলাদেশে এসেছিল। তখন আইএমএফ মিশনের রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে এ খাতে ভর্তুকি আরও কমাতে মূল্য সমন্বয়ে ফের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন জ্বালানি তেলের প্রাতিষ্ঠানিক দাম নির্ধারণ পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও অনেক আগেই অটোমেটেড ফর্মুলা বেইজড সিস্টেমে চলে গিয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেলে দেশেও বেড়ে যাবে আবার কমলে কমে যাবে। ভারত যে ফর্মুলায় নিয়মিত জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করছে, সেই ফর্মুলায় আমাদের যেতে হবে। এতে দেখা যাবে প্রতিমাসে তেলের দাম পরিবর্তন হচ্ছে। এতে দাম কমলে ভোক্তারা সুবিধা পাবে। এটা করা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কারণ এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে তেলের চোরাচালানও কমে যাবে।
জানা গেছে, আইএমএফ’র তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড় পেতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশকে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে আগামী জুন মাসে। এর আগে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনা করবে। তৃতীয় কিস্তির জন্য যেসব সংস্কার করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে দেওয়ার কথা। আইএমএফ ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে ধাপে ধাপে তাদের ৩৮টি শর্ত পূরণের অঙ্গীকারের বিনিময়ে।
ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের সময় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এতে আগামী জুনের আগে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির ক্ষেত্রে দুটি বড় শর্ত আছে। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারে দর ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার একটি ‘দাম নির্ধারণ কৌশল’ তৈরির কাজ করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে আইএমএফের দেওয়া শর্ত ও পরামর্শগুলো এখন পর্যালোচনা করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে আবারও আইএমএফের একটি দল আসার কথা রয়েছে। দলটি সফরে আসলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করে ভর্তুকি কমানোর যে শর্ত দিয়েছে তা খতিয়ে দেখবে। ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নির্ভর করবে শর্ত বাস্তবায়নে কতদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার এ খাতে ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েক দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর পরও এ খাতে এখনো বকেয়া আর্থিক ভর্তুকি পরিশোধের চাপে আছে সরকার। আইএমএফর শর্তে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি ধাপে ধাপে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর বিশ্ববাজারের জ্বালানি তেলের দরের সঙ্গে প্রতি মাসে দাম নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্য সমন্বয়ের প্রক্রিয়াটির এখন চুড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে।
দাম নির্ধারণ পদ্ধতির বিষয়ে বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, তেলের দাম নির্ধারণের দুটি অংশ থাকবে। প্রিমিয়াম (জাহাজ ভাড়া ও অন্যান্য), ট্যাক্স, বিপণন মার্জিন, ডিলারদের কমিশন ইত্যাদি মিলে একটি নির্ধারিত অংশ থাকবে, যা সাধারণত পরিবর্তন হবে না। অপর অংশটি আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়বে বা কমবে। ফর্মুলা প্রণয়নে ভারতের জ্বালানি তেলের দরও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে জ্বালানি তেলের চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশে তেলের দাম ভারতের বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হবে বলেও তারা জানান।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৫০ লাখ মেট্রিক টন।




চুয়েটের সাথে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটটের যৌথ গবেষণা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সাথে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণা সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ৫ই ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ২০২৪ খ্রি. বেলা ১২:০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। উক্ত সমঝোতা স্মারকে চুয়েটের পক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে মহাপরিচালক জনাব এস.এম. আবু হোরায়রা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে সাক্ষী হিসেবে চুয়েটের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে হাইড্রলিক রিসার্চ পরিদপ্তরের পরিচালক জনাব পিন্টু কানুনগো ও জিওটেকনিক্যাল রিসার্চ পরিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব উমা সাহা স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাতেমা রোকশানা, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ সাহাবুদ্দীন ও উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব মোঃ আবুল এহছান মিঞা।

চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছর চুয়েটের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ ও ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ, যৌথ গবেষণাগার ব্যবহার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন, বিভিন্ন শর্টকোর্স চালুকরণ, শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট প্রভৃতি সুবিধা লাভ করবে। পরে দেশের একমাত্র নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ও গবেষণার ক্ষেত্র নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান।