ফুলজান থেকে শেখ রেহানা হচ্ছেন মিষ্টি জান্নাত!

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ছোট ভাই শহীদ শিশু শেখ রাসেল। তার জীবনালেখ্য নিয়ে নির্মিতব্য ‘শেখ রাসেলের আর্তনাদ’ শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে ডা: মিষ্টি জান্নাত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বিনা পারিশ্রমিকে এই চলচ্চিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ছোট বোন শেখ রেহানা’র চরিত্রে অভিনয় করবেন।

গেলো ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মিষ্টি জান্নাত তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে জানান, তিনি এই চলচ্চিত্রে শেখ রেহানার চরিত্র রূপায়ণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বিনা পারিশ্রমিকে অভিনয়ের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার একটি ছবিও পোস্ট করেছেন নিজের ফেইসবুকে। শিশুতোষ এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন সালমান হায়দার। এই চলচ্চিত্রটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক এনওসি পাওয়া বলে নির্মাতা সূত্রে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত।

মডেল ও চিত্রনায়িকা ডা: মিষ্টি জান্নাত জানান, এই চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হবে আগামী এপ্রিল মাসে। এতে আরও অভিনয় করবেন নায়িকা মৌসুমী, অপু বিশ্বাস ও নায়ক রোশান। এই চলচ্চিত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করা প্রসঙ্গে সুন্দরী তারকা মিষ্টি জান্নাত বলেন, এই চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় নিজকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। বিশেষ করে শেখ রেহানা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য। আশা করি চরিত্রটি আমি ফুটিয়ে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে সকলের দোয়া চাই। আমি অপেক্ষায় আছি কখন ক্যামেরা ওপেন হবে।

জানা যায়, মিষ্টি জান্নাতের পুরো নাম জান্নাতুল ফিরদাউস মিষ্টি। অভিনয়ের বাইরে তিনি একজন দন্ত চিকিৎসক। মূলত এই নামেই তিনি মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি যুক্ত আছেন নানা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সংস্থার সাথে। তার নিজস্ব ও ব্যক্তিগত কিছু প্রতিষ্ঠানের (জান্নাত সমাজ কল্যান সংস্থা ও বিয়িং হিউম্যান ডক্টরস গ্রুপ) মাধ্যমে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ত্রান বিতরন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, লাভ স্টেশন ছবিতে অভিনয় করে সাফল্য পাওয়ার পর খুলনার মেয়ে মিষ্টি জান্নাত অভিনয় করেন চিনি বিবি, তুই আমার, তুই আমার রানী, আমার প্রেম তুমি, রংবাজ খিলাড়ি’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করে চিত্রনায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ফুলজান’ গেলো বছর মুক্তি পায়। এই ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক আলোচিত হন মিষ্টি জান্নাত।




নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

পরিক্রমা ডেস্ক : খুলনায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম বেসরকারি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ২দিন ব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা—২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে নগরীর সি এন্ড বি কলোনী মাঠে ২ দিন ব্যাপী এ ক্রীড়ানুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে
শুরু হয়। রবিবার সমাপনী দিনে মাঠের খেলাধুলা শেষে বিকালে বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেখ মো: এনায়েতুল বাবর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মান্যবর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষা অর্জনের সাথে ক্রীড়াঙ্গনেও দেশ তথা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুখ্যাতি অর্জন করতে হবে। দক্ষিণ—পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা যাতে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে এটি আমার প্রত্যাশা ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর কানাই লাল সরকার, সায়েন্স টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: নওশের আলী মোড়ল, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো: রউফ বিশ্বাস, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. নাসিম আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো: তবিবার রহমান, প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রক্টর মো: আসাদুজ্জামান, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এস এম রিয়াজুর রশীদ, প্রকল্প পরিচালক মো: রেজাউল আলম, পিএস টু ভিসি—জন সংযোগ কর্মকর্তা মিনা অছিকুর রহমান দোলন ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা—কর্মচারীবৃন্দ




বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির সঙ্গে প্রখ্যাত আলেমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

পরিক্রমা ডেস্ক : বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিশেষ আমন্ত্রণে ভারতের অন্যতম প্রাচীন দ্বিনি শিক্ষাকেন্দ্র আমরুহা মাদরাসার সদরুল মুদাররিস, শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানীর (রহ.) সুযোগ্য নাতি আওলাদে রাসুল (সা.) সায়্যিদ মুফতি আফফান মানসুরপুরী (হাফি.) গতকাল শনিবার তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মসজিদ ও মাদরাসার ইমাম, মুহতামিম ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি রশিদ আহমাদ, মাওলানা ইহসান উল্লাহ সন্দ্বীপী, মাওলানা সদরুদ্দিন মাকনুন, মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মুফতি শরীফ হোসেন, মুফতি মেকদাদ হোসেন, হাজি মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, আবরার আখিয়ার, মোহাম্মদ তালহা প্রমুখ।

আলোচনাকালে আল্লামা আফফান মানসুরপুরী বসুন্ধরা গ্রুপের দ্বিনি কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করেন।

এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসলামের খেদমতে তাঁর সহযোগিতা কামনা করেন।



বিএনপিকে শান্তির পথে ফিরে আসার আহ্বান করলেন কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

পরিক্রমা ডেস্ক : নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে শান্তি ও সুশৃঙ্খল রাজনীতির পথে ফিরে আসতে বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় পিডব্লিউডি স্টাফ কোয়ার্টারে ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকাধীন ১৯, ২০ ও ২১ ওয়ার্ডের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, ‘যারা দেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারে না, তারাই ষড়যন্ত্র করে। তাদের বলবো এখনও সময় আছে শান্তি ও সুশৃঙ্খলতার পথে ফিরে আসুন। দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবুন। মানুষ নিয়ে সত্যিকারের রাজনীতির পথে ফিরে আসুন।’
তিনি বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। যারা আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পেছনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করব। দেশে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার ইশতেহার বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করেছে তখনও একটি গোষ্ঠী আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত একটি দল হল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা মানুষের কল্যাণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের শোষণ ও বৈষম্যের মুক্তির জন্যই লড়াই সংগ্রাম করেছেন।

শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায় ও আওলাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি ও মিরাজ হোসেন মিরাজ, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাসার, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র : বাসস




আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এর “বার্ষিক বনভোজন-২০২৪” উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : “মনন তাঁর বীমা খাতের উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যে উজ্জীবিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ‘বার্ষিক বনভোজন-২০২৪’ গত ০৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনীর জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কের উৎসবমুখর পরিবেশে আস্থা লাইফ পরিবারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশব্যাপী আঞ্চলিক অফিসসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেলস ফোর্স ও তাদের পরিবারবর্গের অংশগ্রহণে দিনটি উদযাপিত হয়। বনভোজনে আগত আস্থা লাইফ পরিবারের সদস্যবৃন্দদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণা ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনোয়ার শফিক, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ), এমএসএস, এমবিএ, এমফিল, পিজিডি (ইউএসএ), পিএইচডি।

বনভোজনে সপরিবারে অংশ নিয়ে আস্থা লাইফ পরিবারের সদস্যগণ এক অদম্য মনোবলে উজ্জীবিত হয়ে একে অপরের সাথে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো জোরদার করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। পাশাপশি নিয়মানুবর্তিতা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার শীর্ষ অবস্থানে থেকে সকলে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আকষর্ণীয় বিনোদন, খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান, আড্ডা, পুরষ্কার বিতরণ ইত্যাদি।




এনএসইউ’তে ‘প্রথম আলো- এনএসইউ (এমসিজে) মেরিট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের’ যাত্রা শুরু

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রাম এবং প্রথম আলো কর্তৃক যৌথ বৃত্তি প্রদান এর আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা হলো আজ।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ( অডি ৮০১) আজ বিকাল ৩ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রথম আলো–এনএসইউ (এমসিজে) মেরিট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের’ স্প্রিং ২০২৪ এর প্রাপক তাসমিম তাবাসসুম চৌধুরী কে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরের উপর ভিত্তি করে এ বৃত্তি দেয়া হয়।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর প্রথম আলো কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও গবেষণায় সহযোগিতার জন্য প্রথম আলোর সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম আলো–এনএসইউ (এমসিজে) মেরিট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় এনএসইউর মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রামের মেধাবী দুজন শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ২০২৪ সালের স্প্রিং ও সামার সেমিস্টারে একজন করে মোট দুজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্সেস ইন মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজমে (বিএসএস ইন এমসিজে) ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দুই শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাবেন। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর চার বছরের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যয় প্রথম আলো ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সমানভাবে বহন করবে। এ ছাড়া গবেষণা কাজের পুরো ব্যয় বহন করবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

এরই ধারাবাহিকতায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনু্ঠানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব খান ও প্রথম আলোর পক্ষে সম্পাদক মতিউর রহমান শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির সনদ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এনএসইউ’র রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ার ড. রেজওয়ান খায়ের সবাইকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এটা তোমাদের জন্য বিশেষ একটি অনুষ্ঠান। আশা করি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোমরা সততা ও মূল্যবোধ নিয়ে বের হবে।”

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম রিজওয়ান উল আলম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সাংবাদিকরা সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে থাকে। এই বিষয়ে পড়তে এসে আপনারা খুবই সাহসী একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস কে তৌফিক এম হক বলেন, “আমরা প্রথমেই চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এই অনুষ্ঠানটি সেটারই একটি অংশ।”

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “এনএসইউ’র সঙ্গে এটি আমাদের একটি সম্পর্কের শুরু। শুধুমাত্র স্কলারশিপ নয়, আমরা ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরও গবেষণা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করতে চাই।”

অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব খান বলেন, “এই বৃত্তি মিডিয়া ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজকের অনুষ্ঠানে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচিত হলো। শিক্ষার্থীদের উচিত হবে এই সুযোগটি ভালো ভাবে কাজে লাগানো।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ’র ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ার অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং গণমাধ্যম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা প্রোগ্রামের সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক মো. হারিছুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকসহ গণমাধ্যম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা প্রোগ্রামের নবীন শিক্ষার্থীরা।




চুয়েট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির বার্ষিক ক্রীড়ার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর চুয়েট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির বার্ষিক ক্রীড়ার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সন্ধ্যায় চুয়েট আবাসিক মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়েট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: মইনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, চুয়েট এর স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, প্রধান প্রকৌশলী মো: সিরাজুল ইসলাম, সিভাসু-এর প্রধান প্রকৌশলী অচিন্ত্য কুমার চক্রবর্ত্তী, চুয়েট এর উপ-পরিচালক(জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর মো: জিলহাজ্ব উদ্দিন।

-চুয়েট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির বার্ষিক ক্রীড়ার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী

এতে বিভিন্ন ইভেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন মো: জিলহাজ¦ উদ্দিন (ভলিবল), মো: মুস্তাকিম সুমন (ব্যাডমিন্টন, সিনিয়র), মো: সাব্বির হোসেন (ফুটবল, সিনিয়র), মো: ফিরোজ (ব্যাডমিন্টন, জুনিয়র), মো: মারুফ (ফুটবল, জুনিয়র)।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো: এমরানুল হক, সহকারী কম্পট্রোলার এ কে এম কামরুল হাসান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আব্দুল কাদের, সেকশন অফিসার মো: সাইফুল আলম, চুয়েট কর্মচারী ক্লাব এর সভাপতি মো: মেহেদী হাসান, চুয়েট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: সোলায়মান, সহ-সভাপতি মো: মোবারক হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো: শামীম উদ্দিন রাজু প্রমুখ।




সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

পরিক্রমা ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পাহাড়ি-বাংগালি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসন এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বদান্যতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ০২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। তখন থেকেই পার্বত্যঞ্চলের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শুরু করেছে। তিনি বলেন, পাহাড়িদের সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো।

গতকাল শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরে মারমা উন্নয়ন সংসদ সদর শাখা প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসময় আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালে পার্বত্য অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যে সমস্ত কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে তা দ্রুত সমাপ্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আগে আরো সরকার এলো-গেলো, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ তো করেইনি বরং পাহাড়ি জনমনে আতঙ্ক ও অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা চালিয়েছিল তারা। বিএনপি-জামাত পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করার কোন উদ্যোগই নেয়নি, বরং তা দীর্ঘ সময় জিইয়ে রেখেছিল। আওয়ামীলীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলেই পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বহুলাংশে বন্ধ করতে পেরেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মনে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে স্রোতধারা বহমান রয়েছে তা আগামিতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত করার লক্ষ্য নিয়ে সকলকে দেশের উন্নয়ন কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, মাউস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ম্র্যাগ্য চৌধুরী প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধনে নিবেদিত শিক্ষিকা মিসেস মল্লিকা ত্রিপুরা, মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাঁশরী মারমাসহ তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী ও সাংবাদিক চিংমেপ্রু।

অনুষ্ঠানে মারমা উন্নয়ন সংসদের পক্ষ থেকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।




অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন ট্রাস্ট ফান্ড, গোপালগঞ্জ বৃত্তি পেলেন ঢাবি’র ৭ শিক্ষার্থী

পরিক্রমা ডেস্ক : পড়াশোনায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত গোপালগঞ্জ জেলার ৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন ট্রাস্ট ফান্ড, গোপালগঞ্জ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক বিতরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এবং দাতা প্রতিনিধি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। এই বৃত্তি ছাত্র-ছাত্রীদের আরও দায়িত্ববান ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই মহান নেতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এখন জাতির তীর্থ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন, রাজিয়া সুলতানা রুমী (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য), অন্তরা দে ও কাওসার শেখ (দর্শন), মো. শরিয়াতুল্লাহ (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), বাঁধন ঘোষ (সংগীত), রিয়ামনি (অর্থনীতি) এবং জগন্নাথ বিশ্বাস (ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।

 




মানারাতে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান

পরিক্রমা ডেস্ক : মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এমআইইউ) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) জমকালো আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মামুন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড
হিউম্যানিটিজের ডিন ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ এবং এমআইইউ’র রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ইইই বিভাগের প্রধান কে. এম. আকতারুজ্জামান, সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিকুজ্জামান, রেহানা সুলতানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন ও বিদায়ীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সফলতা কামনা করে বলেন, ‘মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য কাজ করছে। সুতরাং আজ যারা এখান থেকে পাস করে বের হয়ে যাচ্ছ, তারা পেশাগত জীবনে ‘ইয়েলো’ বা হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে নিজেদের বিবেক ও দেশের স্বার্থকে প্রধান্য দিবে বলে আমি আশা করি।

অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার, ফেস্টুন ও কারুকাজে সাজানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাস। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে নতুন ও পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ।