‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীর, আখেরী মোনাজাত শেষ

পরিক্রমা ডেস্ক : আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ৯টা ১৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শেষ হয়।

মোনাজাত পরিচালনা করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক সাহেব। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব।

এর আগে আনুমানিক সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে ইজতেমার মিডিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছিলেন। এর আগে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে।




জমকালো আয়োজনে ‘ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ডে-২০২৪’ উদযাপিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বর্নাঢ্য কর্মসূচি আর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ডে-২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে ড্যাফোডিল গ্রুপের ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজনের মধ্যে সবার অংশগ্রহণে দুই দশকের বেশী কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুরস্কৃত করা ছিল উল্লেখ যোগ্য। এছাড়া ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের অংশগ্রহণে বিস্কুট দৌড়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন রাইডে অংশগ্রহণ, র‌্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ড্যাফোডিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা মিলনায়তনে বিগত দুই যুগের বেশী কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাফল্যের স্বীকৃতিসহ পুরস্কার তুলে দেন।

ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল-হক মজুমদার, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।

আমন্ত্রিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে ড. মো. সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল গ্রুপ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি একটি পরিবারও বটে। এখানে কর্মীরা সবাই একটি পরিবারের সদস্যদের মতো কাজ করেন। কর্মীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়তা, আন্তুরিকতা ও হৃদ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ফ্যামিলি ডে’র আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মীদের হাত ধরেই ড্যাফোডিল গ্রুপ উত্তরোত্তর সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাবে।

বর্তমানে ড্যাফোডিল পরিবারের সদস্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমী, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ স্কীল ডেভেলাপমেন্ট ইন্সটিটিউট, ড্যাফোডিল ইন্টরন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (দীপ্তী), স্কিল জবস্, ড্যাফোডিল অনলাইন লিমিটেড, ড্যাফোডিল সফটওয়্যার লিমিটেড, ডলফিন কম্পিউটার্স লিঃ, নিউটেক ফামার্সিউটিক্যালস্ লিমিিটেড, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিিটেড, গ্লোবাল ট্রাভেলর্স লিমিটেড, ড্যাফোডিল ওয়েব এন্ড ই-কমার্স লিঃ, মাই-ই কিডস ও নলেজ ভ্যালিী।




দাড়িয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি অবহেলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়

পরিক্রমা ডেস্ক : দেবিদ্বার উপজেলা কুমিল্লা ১৬২ নং দাড়িয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি অবহেলিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে মোট ১৩৬ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। প্রতিদিন গড়ে ৯০% শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। দাড়িয়াপুর একই বংশের পরিবার হতে আনসার আলী, রৌশন আলী, সোন্দর আলী, সাদত আলী, আব্দুল বারেক, জয়নাল আবদিন সহ আরো কয়েকজন মিলে তাদের পৌত্রিক সম্পত্বি হতে ৩৩ শতাংশ জমি এই বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। এই দানকৃত জমিতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালটি গড়ে উঠে। মূল্যবান এই ৩৩ শতংশ জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেও দেবিদ্বার উপজেলায় সবচাইতে অবহেলিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এটি। দাড়িয়াপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় এই যাবত কালে বিগত সংসদ সদস্য,থানা ও জেলা শিক্ষা অফিস্, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয় কাহারো মনোযোগ পরেনি এই বিদ্যালয়ের প্রতি। বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বাউন্ডাড়ী না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে অন্যদিকে জমির কিছু অংশ বেহাত হয়েছে সীমানা বাউন্ডাড়ী না থাকায়। এলাকার কয়েকজন অবিভাবকের সাথে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলেছেন। অবিভাবকগন জানান যে, এই স্কুলে কোন ভবন নাই, নিরাপত্তা বাউন্ডাড়ী নাই তাই আমরা আমাদের সন্তানদের এই স্কুলে ভর্তি করাই না। আমাদের প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন ভবন এবং বাউন্ডড়ী হলে আপনারা সন্তানদের ভর্তি করাবেন? তাহারা বলেন হ্যা ভবন এবং বাউন্ডারী হলে আমরা সকলে আমাদের সন্তানদের ভর্তি করাব তখন শিক্ষর্থীর সংক্ষা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে জরাজীর্ণ দুইটি টিনের ঘরে কোন রকমে পাঠ দান কারাচ্ছেন। বৃষ্টি সময় ঘবের ভিতর বৃষ্টির পানি পরে তখন পাঠদানে বিগ্নঘটে। ৬ জন শিক্ষিকা পাঠ দানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দাড়িয়াপুর, গুবিন্দপুর,রামপুর,আছাদ নগর, দোতলা সহ পাশ^র্বতীর্ গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষাগ্রহন করছে। 

একটি পাকা ভবন ও নিারপত্তা বাউন্ডাড়ী হলে বহুলাংশে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়।

এই অবহেলিত বিদ্যালয়কে একটি স্বনামধন্য বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে একটি পাকা ভবন নিমার্ণ ও নিরাপত্তা বাউন্ডাড়ী করা জরুরী বলে জমি দাতার ওয়ারিশগন মন্তব্য করে বর্তমান সংসদ সদস্য জনাব আবু কালাম আজাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

 




স্প্রিং ২০২৪ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে নবীনদের স্বাগত জানালো এনএসইউ

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৪ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। ইউনিভার্সিটির চারটি স্কুলের ১৭টি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের জন্য ২৩ জনকে মেধাভিত্তিক শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়।

নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য এই সেমিস্টার-ভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য একটি ইভেন্ট। এর মূল লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি এবং একাডেমিক পদ্ধতির সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ, বিশেষ অতিথি এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস ইয়াসমিন কামাল, এবং ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এরপর এনএসইউ’র ইতিহাস, ঐতিহ্য, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এনএসইউর রেজিস্ট্রার ড. আহমেদ তাজমীন নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, তোমরা জীবনের নতুন অভিযাত্রার সূচনা করবে, যা তোমাদের জীবনের গতিপথ ঠিক করে দেবে। তোমাদের এই অভিযাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে নর্থ সাউথ গর্বিত।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব খান নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আগামী চার বছরের জন্য তোমরা এনএসইউ পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে বরণ করে নিলাম। এখানে তোমরা একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি যে অভিজ্ঞতা লাভ করবে তা তোমাদের ভবিষ্যত জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।”

স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক; স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক জাভেদ বারী; স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন অধ্যাপক হেলাল আহমেদ; স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক হাসান মাহমুদ রেজা শিক্ষার্থীদের কাছে নিজ নিজ স্কুলের পরিচয় তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. জুনায়েদ কামাল আহমাদ বলেন, “তোমরা এই দেশের ভবিষ্যত। এখানে তোমরা শুধুমাত্র একটি ডিগ্রির জন্য নয়, তোমরা এসেছ একটি সমাজে। যেখান থেকে তোমরা দেশকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে। আজ থেকে বিশ বছর পর তোমরা দেশকে কী দিয়ে যাবে, কোথায় নিয়ে

যাবে সেটা তোমাদের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখো, নিজেকে প্রশ্ন করো। তাহলেই তোমরা নিজেদেরকে, বাবা-মাকে, দেশকে গর্বিত করতে পারবে।”

মিসেস ইয়াসমিন কামাল বলেন, “আজ আমাদের নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। নতুন সেমিস্টার শুরুর সাথে সাথে তারা যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসে তা আমরা গ্রহণ করতে চাই। আমরা কেবল আমাদের নতুন শিক্ষার্থীদের নয়, বরং ভবিষ্যতের নেতা এবং উদ্ভাবকদেরও স্বাগত জানাচ্ছি।”

আনিসুল হক বলেন, “তোমরা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছ। ভালো ফলাফলের পাশাপাশি এখানে তোমরা চারপাশের যা কিছু আনন্দের, যা কিছু উপভোগের সবকিছুই করবে। তোমরা যদি আলোকিত হও, বাংলাদেশ আলোকিত হবে। তোমরা যদি মানুষের মতো মানুষ হও, তবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।”

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম তাঁর সমাপনী বক্তব্যতে বলেন, “এনএসইউ একটি অরাজনৈতিক, বর্ণবাদবিরোধী এবং সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। আমরা বৈচিত্র্য ও সহনশীলতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমাদের এখানে সব জাতিগত ও ধর্মের শিক্ষার্থী রয়েছে এবং আমরা তাদের সাথে কখনোই পক্ষাপাতমূলক আচরণ করি না। আমাদের দেশে সেরা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে, যা হাভার্ড, এমআইটি এবং অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হয়।”

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ‘জলের গান’-এর সদস্যদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।




‘দ্বীপশিখা’ কর্তৃক বার্ষিক বনভোজন-২০২৪ অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ‘শিকড়ের টানে ফিরি-শিকড়ই আমার, শিখরে যাওয়ার সিঁড়ি’ এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে ২০১৭ সালে ঢাকাস্থ কুতুবদিয়ার একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তথা ‘দ্বীপশিখা’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সদস্যরা ঢাকায় পড়ুয়া কুতুবদিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের উক্ত সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।

ঢাকায় পড়ুয়া কুতুবদিয়ার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোদ স্থাপনের নিমিত্তে প্রতিবছর এ সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করে। তারই ধারাবাহিকতায় কুতুবদিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তথা দ্বীপশিখা ০২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মৌলভীবাজার জেলার অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশ লাউয়াছাড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক ও দার্জিলিংয়ে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মো: শওকত আলম (ঢা.বি) ও সাধারণ সম্পাদক সাইমুল হুদা সিদ্দিকীর (ঢা.বি) নেতৃত্বে এ বার্ষিক বনভোজন-২০২৪ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেছে।

– শ্রীমঙ্গল চা বাগানে দ্বীপশিখা পরিবার

প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মোড়া বনভোজনের স্পটটি দ্বীপশিখা’র সদস্যদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। সবার উপস্থিতিতে পরিণত হয় যেন এক টুকরো দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। আঞ্চলিক গান, আবৃতি সবাইকে নিয়ে গিয়েছিল জন্মভূমিতে। বিভিন্ন খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণীতে সাজানো ছিল দিনব্যাপী কর্মসূচি।

পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন- দ্বীপশিখার উপদেষ্ঠাবৃন্দ, সাবেক সভাপতি, সেক্রেটারি ও সদস্যরা।

বোরহান উদ্দিন/বি.পরিক্রমা

 




মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এমআইইউ) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসের সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিক প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সিটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুয়েরেন্স সেল (আইকিউএসি) দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানের সভাপতিত্বে কর্মশালার প্রথমাংশে শিক্ষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রিসোর্চ পারসন হিসেবে ‘প্রোফেশনালিজম : এমআইইউ পার্সপেক্টিভ’ এবং ‘ইথিকাল প্রাক্টিসেস ইন দি টিচিং প্রফেশন’ শীর্ষক আলোচনায় যথাক্রমে অংশনেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ।

কর্মশালার দ্বিতীয় অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রিসোর্চ পার্সন হিসেবে ‘প্রোফেশনালিজম : এমআইইউ পার্সপেক্টিভ’ ও ‘পিপলস ম্যানেজমেন্ট : এমআইইউ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক আলোচনায় যথাক্রমে অংশ নেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর জেনারেল ম্যানেজার (সার্ভিস অ্যাসিউরিন্স) সাব্বির আহমেদ।

আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুব আলমের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন এমআইইউ-এর রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন।

কর্মশালার রিসোর্চ পারসন এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, দেশপ্রেমিক ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

কর্মশালার শেষ অংশে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে আইটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।




ভারতের কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব আইটি (কেআইআইটি) কতৃর্ক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান

ওড়িশ্যা, ভারত : ভারতের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্টি্রয়াল টেকনোলজি’র (কেআইআইটি) এর দূরদর্শী প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতীয় লোকসভার সদস্য ডঃ অচ্যুতা সামন্ত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ সবুর খানকে একটি বিশিষ্ট সম্মাননা প্রদান করেছেন । গত ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে কেআইআইটি প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা স্মারকটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ সবুর খানের হাতে তুলে দেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্টি্রয়াল টেকনোলজি’র (কেআইআইটি) এর দূরদর্শী প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতীয় লোকসভার সদস্য ডঃ অচ্যুতা সামন্ত। স্মারক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্টি্রয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি) এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ সরঞ্জিত সিং এবং অলিউডের ভারতীয় অভিনেতা সব্যসাচী মিশ্র।

কেআইআইটি- তে ডঃ সবুর খানের সাম্প্রতিক সফরের সময়, শিক্ষার ক্ষেত্রে তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রম্নতির জন্য প্রশংসার একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত চিহ্নিত করে তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দেওয়া হয় । এ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ সবুর খান কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্টি্রয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ অচ্যুতা সামন্তের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সফরের অংশ হিসেবে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোস্যাল সাইন্স এবং কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্সের ৬০০০ এর বেশি মহিলা কর্মী সদস্যের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে পাটাত্তন মিনি-ম্যারাথন উদযাপনে যোগ দেন। এই বিশেষ দিনটি, আনন্দ এবং উদযাপনের জন্য নিবেদিত, অংশগ্রহণকারীদের প্রাণবন্ত শক্তি প্রদর্শন করে। পাশাপাশি, কেআইআইটি- এর প্রতিষ্ঠাতা ড. অচ্যুতা সামন্ত ডিআইইউ’র ২০ জন ছাত্র এবং কর্মীদের অভিনন্দন শংসাপত্র প্রদান করেন যারা ২০-২৬ জানুয়ারী এক সপ্তাহের কেআইআইটি- ডিআইইউ’’র স্বেচ্ছাসেবক বিনিময় প্রোগ্রামে যোগদান করেছিলেন।

ডঃ খানের স্বীকৃতি শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বেরই প্রমাণ নয় বরং এটি (কেআইআইটি এবং ডিআইইউ-এর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে। ২০১৮ সালে, (কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয় অসামান্য নেতৃত্ব এবং শিক্ষা, ব্যবসা এবং প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ১৪ তম বার্ষিক সমাবর্তনে ডক্টর সবুর খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট (ডি লিট) প্রদান করে।




মায়া চৌধুরীকে প্রধান উপদেষ্টা করে দিপু চৌধুরী ইয়াং ক্লাবের কমিটি ঘোষণা

তিন বছরের জন্য (২০২৪-২০২৭) দিপু চৌধুরী ইয়ং ক্লাবের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ক্লাবের সভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহি ও সাধারণ সম্পাদক আতোয়ার হোসেন চৌধুরী সামির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহি। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আতোয়ার হোসেন চৌধুরী সামির।

চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর পিতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমকে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন – ইরফান চৌধুরী রাহি, মোহিবুল হক চৌধুরী সুমিত, আলিমুল হাসান চৌধুরী সৌরভ, কামরুল হাসান মামুন, মোসাদ্দেক হাওলাদার মামুন, তামজিদ সরকার রিয়াদ, হোসেইন মাহমুদ কচি, লিখন সরকার, এস এম নোমান দেওয়ান, খোরশেদ আলম, মেহেদি হাসান অপু, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, নাজমুল হোসেন, খোরশেদ আলম অপু, শিপন মল্লিক, দোলন মাহমুদ, কাইয়ুম ফরাজি, শরিফ পাটওয়ারী, এস এস সেলিম রেজা, মেহেদী হাসান কাজল, সাব্বির তপদার, মানিক মোল্লা, ফখরুল ইসলাম রনি, ওয়াসিম নিলয়, ইব্রাহিম সরকার পাপ্পু, মিনার মৃধা, তৌসিফ মোল্লা, সাকিব আল হাসান মৃধা, হাসান মোহাম্মদ রাশেদ, তামজিদ পাটওয়ারী রিয়াদ, এইচ এম সামিম, শিবলী এমরান জুয়েল, মিনহাজ উদ্দিন খান, ওয়ালি উল্লাহ অলি, মাহফুজ মিয়াজী, মোহসিন হোসেন সিয়াম, সাইফুল ইসলাম জয়, আদম আলী সরকার, মামুন হোসেন আকাশ, সজীব জয়।

এছাড়া নতুন কমিটির সহ-সভাপতি যথাক্রমে আরিফুল ইসলাম লিখন, মইনুদ্দিন সাব্বির, রুবায়েদ হাসান ইমাম, আফসার হাবীব, নাঈম দেওয়ান, তোফায়েল আহমেদ রিয়ন, ইব্রাহিম খলিল, তামিম বেপারী, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সালাউদ্দিন হাওলাদার সাফিন, আল-আমিন প্রধান, শাহাদাত হোসেন শ্যামল, মো. সামিম।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে ছদরুল আমিন প্রধান, তানজিব সোহাগ, নাদিম ঢালী, আসিফ সরকার, মো. বাদশাহ মিয়া, মেহেদী হাসান দর্জি, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, অপি আহমেদ, উদয় মিয়াজী।

সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে – জোবায়ের আহম্মেদ জনি, সাকিব হাসান শাওন, মেহেদী হাসান লিমন, মোমিনুল ইসলাম, তিমরুল হাসান রাব্বি, শাকিল রুদ্র, শাকিল হোসেন প্রধান। দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, উপ-দপ্তর সম্পাদক রিয়াদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ হোসেন রিংকু, উপ-প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ দিপু, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক শুভ পাটোয়ারী, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আবু ইউসুফ সোহাগ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাসিন আহমেদ রিফাত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ সাকিব, সমাজসেবা সম্পাদক বিল্লাল হোসেন অনিক, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক সানিমুল ইসলাম সায়েম, ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক ফারহান তফাদার, অর্থ-সম্পাদক জাকারিয়া হাসান আলভি, উপ-অর্থ সম্পাদক মো. উজ্জ্বল মুফতি, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত সাগর, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, স্কুল ও ছাত্র সম্পাদক সাকিব খান, উপ-স্কুল ও ছাত্র সম্পাদক হাসান রহমান আলভী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত মজুমদার, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পিয়াস, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মামুন পাটোয়ারী, উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইমন প্রধানিয়া, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তৌসিফ হাসান সুমিত, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জরিফ হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা সম্পাদক রাসেল সরকার জীবন, উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা সম্পাদক আবরার বিন রহমান, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয়, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ শিথিল, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ হোসেন।

সহ-সম্পাদক যথাক্রমে – সুফি আহমেদ নোমান, বায়েজিদ আহমেদ রুহেল, ইয়াসিন আরাফাত, জুবায়ের আহমেদ নাসির, আলভি শাকিল, ওসামা মজুমদার। সদস্য যথাক্রমে – এবাদুল্লাহ ছৈয়াল, নাহিদ খান, ফয়সাল পাটওয়ারী, মেহের আহমেদ, মাসুদ খান, জমির সরকার ও রমজান মোল্লা আবির।

উল্লেখ্য, মতলব ইয়ং ক্লাব নামে সংগঠনটি বিগত ১০ বছর ধরে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা নিয়ে কাজ করে আসছে। তার পাশাপাশি সংগঠনটি মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যুবসমাজকে সচেতন করে যাচ্ছে।

সবার প্রিয় ঐতিহ্যবাহী মতলব ইয়ং ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে মতলবের যুবসমাজের প্রিয় নেতা প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে দিপু চৌধুরী ইয়ং ক্লাব।




সাংবাদিকতা পেশাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পরিক্রমা ডেস্ক : সাংবাদিকতা পেশাকে সবসময় শ্রদ্ধার চোখে দেখেন বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিরাপদ বাসভূমি করতে আমরা যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং সফলতা অর্জন করেছি সাংবাদিকরাও তার অনন্য অংশীদার। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সঙ্গে সাংবাদিকরাও কাজ করে যাচ্ছে; বিশেষ করে ক্রাইম রিপোর্টারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে অনেক ক্লু-লেস অপরাধের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পেশ করে অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। আমি সাংবাদিকতা পেশাকে সবসময় শ্রদ্ধার চোখে দেখি।’

এ সময় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও বাজার-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার বিষয়ে বক্তব্য দেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ক্র্যাবের নিবন্ধন পাওয়ায় মন্ত্রীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব আলমগীর হোসেন, জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, ক্র্যাবের সহসভাপতি শাহীন আব্দুল বারী, অর্থ সম্পাদক হয়লাল রায় সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজি, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আলম, নির্বাহী সদস্য আলী আজম ও কালিমউল্ল্যাহ।




এনএসইউ’তে ‘মিয়ানমারের বর্তমান সংকট এবং প্রতিবেশী অঞ্চলের উপর এর প্রভাব’ শীর্ষক সিপিএসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) এর সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এর সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) গত ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪-এ “মিয়ানমারের বর্তমান সংকট এবং প্রতিবেশী অঞ্চলে এর প্রভাব” শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র ও উপদেষ্টা জনাব কিয়াও জাও; ড. রেমন্ড কুন-সান লাউ, সহকারী অধ্যাপক, পিএসএস, এনএসইউ; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র ফেলো, এসআইপিজি; ড. মোঃ মাহবুবুল হক, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অনুষদ, ইউনিভার্সিটি সুলতান জয়নাল আবিদীন, মালয়েশিয়া এবং অধ্যাপক শহীদুল হক, এসআইপিজি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড.
এসকে তৌফিক এম হক, ডিন, স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স এবং পরিচালক, সিপিএস, এসআইপিজি। সিপিএস সমন্বয়কারী ড. আব্দুল ওহাবের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

কিয়াও জাও বলেন যে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে চলমান বসন্ত বিপ্লব সফল হবে কারণ মিয়ানমারের জনগণ এখন ইতিহাসের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ। তার সরকার মিয়ানমারে সকল জাতিগত সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্ত করবে এবং বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে সহজ করবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের একাধিক পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে।

ড. রেমন্ড কুন-সান লাউ বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারে সামরিক জান্তার পদক্ষেপকে পরিবর্তন করবে না। এদিকে,এই অঞ্চলে চীনা স্বার্থ সুরক্ষিত করতে চীন মিয়ানমারকে তার বলয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যা মিয়ানমার সঙ্কটকে আরও জটিল করছে।

প্রফেসর শহীদুল হক বলেন যে মিয়ানমার ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী কারণ এটিই একমাত্র দেশ যেটি স্থলপথে আসিয়ান দেশগুলির সাথে তাদের ভৌগলিক সংযোগ প্রদান করে। সুতরাং, মিয়ানমারের সাথে ভারত তাদের সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়।

ড. মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, আসিয়ান দেশগুলো মিয়ানমার সঙ্কট নিরসনে পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বিভক্ত। সুতরাং এই ব্লকের দ্বারা কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ কারণ আসিয়ান ‘অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা’র নীতি মেনে চলে। কিন্তু আসিয়ানের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মূল নীতি সমুন্নত রাখতে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাদের কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

অধ্যাপক ড. এসকে তৌফিক এম হক তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, কোনো প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারকে এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির রণক্ষেত্র হিসেবে দেখতে চায় না। তিনি আশা করেন যে, সব দেশ আঞ্চলিক শান্তি সুরক্ষায় একযোগে কাজ করবে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা,

বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন সংস্থা, দূতাবাস, মিডিয়া এবং এনএসইউ’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরাসরি ও অনলাইনে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।