সাংবাদিকরা জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শেখায় : মাঈনুল হোসেন খান নিখিল

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান সহায়ক। সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সৎ, নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।

তিনি বলেন, আজ সব গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয় নাই। সাংবাদিকরা জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। বতমান সরকারের যে উন্নয়ন সেগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরে দেশবাসীকে উন্নয়নের কথা জানাতে হবে। এছাড়াও এলাকার সমস্যার কথাগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করলে, তার আলোকে কাজ করতে সরকারের সুবিধা হয়।

এসময় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে সাংবাদিকদের কাজ করার আহ্বান জানান মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে এলাকার মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ সমাজের নানা অপকর্মে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

গতকাল রাজধানীর মিরপুরে তার নিজস্ব রাজনৈতিক কার্যালয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির ফুলেল শুভেচ্ছা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাঈনুল হোসেন খান নিখিল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাঈনুল হোসেন খান নিখিলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান খান, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চাঁদপুর সংবাদের প্রতিনিধি আবদুল লতিফ মিয়াজি, সহ সভাপতি দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি ও বিশ্ব বিদ্যালয় পরিক্রমার প্রতিনিধি আতিকুর রহমান দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিদিনের সংবাদ এর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নূরানী রেডিও এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফয়েজুন নুরী আখন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকালের খবর এর প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর জমিনের প্রতিনিধি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক দেশবার্তার প্রতিনিধি সালেহ আকরাম, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আল আমিন, উপদেষ্টা ও দৈনিক সময়ের আলোর স্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান হারুন, উপদেষ্টা ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী, কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল বারী।




সাংবাদিকদের লেখনী ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করে : নুরুল আমিন রুহুল এমপি

চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল বলেন, সাংবাদিকদের লেখনী ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করে।
একটি অবহেলিত সমাজকেও সাংবাদিকরা তাদের লেখার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে লেখার ও কথাবলার সুযোগ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকালে নেম ভবনের চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির ফুলের শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন নুরুল আমিন রুহুল এমপি।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটি চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুলকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চাঁদপুর সংবাদের প্রতিনিধি আবদুল লতিফ মিয়াজি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি ফারুক হোসেন, সহ সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের প্রতিনিধি দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি ও বিশ্ব বিদ্যালয় পরিক্রমার প্রতিনিধি আতিকুর রহমান দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিদিনের সংবাদ এর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নূরানী রেডিও এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফয়েজুন নুরী আখন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকালের খবর এর প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর জমিনের প্রতিনিধি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক দেশবার্তার প্রতিনিধি সালেহ আকরাম, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আল আমিন, উপদেষ্টা ও দৈনিক সময়ের আলোর স্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান হারুন, উপদেষ্টা ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী, কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল বারী।




শেকৃবিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস পালিত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (৭ই মার্চ) সকাল ৯টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসটির সূচনা করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

সকাল ৯টা ৫০মিনিটে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া, মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি এস. এম. মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের পরিচালকপ্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান, আইসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশীদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম সহ বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাষণ হঠাৎ করে বলা কোন ভাষণ নয়। এটি বঙ্গবন্ধুর সাড়া জীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল। এ ভাষণ ইতিহাসের দলিল, এটি একটি কবিতা। এ ভাষণ আমাদের জাতি সত্তার কথা বলে, আমাদের মুক্তির কথা বলে, স্বাধীনতার কথা বলে। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে”।




মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতের সম্মিলিত প্রয়াসে আমাদের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে : আইজিপি

ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০২১ খ্রি.
‘রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির হাজার বছরের শোষণ, বঞ্চনার ইতিহাস। তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ধারণ করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি পতাকা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুর চর্চা বাড়াতে হবে। আমাদেরকে ৭ মার্চ উদযাপন করতে হবে হাজার বছর ধরে।’
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তিতে দেশব্যাপী থানাসহ সকল পুলিশ ইউনিটে আনন্দ উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয়ভাবে আজ রোববার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর কনক কান্তি বড়ুয়া, অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঞা, চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো নিজেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে উপস্থাপন কর‌নে‌নি। বরং যখন পাকিস্তানিরা আমাদের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা করে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করে নির্বিচারে, তখনই তিনি দৃঢ়‌চি‌ত্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। রাজনীতির সত্য উপলব্ধি করার জন্য আই‌জি‌পি জ্ঞানচর্চার আহবান জানান।
তিনি বলেন, এক সময় দারিদ্র্য, অসুখ, অশিক্ষা ছিল আমাদের নিত্য সহচর। মানুষ ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েডে ভুগতো। অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। আজ দেশ কোথায় এসেছে ? এ যাত্রা সহজ ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এ উন্নয়নের পেছনে আমাদের শ্রম, ঘাম রয়েছে, প্রতিজ্ঞা, প্রত্যয় রয়েছে। দেশের মানুষ অহর্নিশ পরিশ্রম করেছে। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতের সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে আমাদের এ বিজয় অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা অনেক দূর এসেছি, আমাদের যেতে হবে বহুদূর। আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। ২০৪১ সালে ধনী দেশে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে ‘সোনার বাংলার’ গর্বিত বন্দরে উপনীত হতে হবে।
বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান আইজিপি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটা দারিদ্র্যের শিকল ভাঙ্গার, আত্মমর্যাদার উৎসব। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়। কোন নির্দিষ্ট দিনে নয়, প্রতিদিন এ উৎসব উদযাপন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি করোনাকালে পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, বর্তমান করোনায় পুলিশ ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করেছে।
অতিরিক্ত আইজি ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এ দেশ পেতাম না। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনসাধারণের সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ সাবলীলভাবে এক‌টি অনন্যসাধারণ ভাষণ দিয়েছেন। ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।
চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, সাতই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ দমনে ডিএমপি কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।




৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের নির্যাতিত ও স্বাধীনতাকামীদের প্রেরণা: শেখ পরশ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, স্বাধীনতা শব্দ হতে বঙ্গবন্ধু আলাদা করা সম্ভব নয়। সে চেস্টা যে হয়নি তা নয়। ৫৬ বছরের জীবনের ২৩ বছর বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু পরিপূরক, অভিন্ন।

স্বাধীনতার সেই মহাননায়ককে স্বপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশে এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

করোনাকালে দক্ষ নেতৃত্বের কারণে কমনওয়েথভুক্ত দেশসমূহের শীর্ষ ৩ নারী নেতার মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্থান করেছেন। এটা আমাদের অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের।

রোববার (৭ মার্চ) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে শুধু স্বাধীনতার ডাক দেননি, কিভাবে বিজয় আসবে, তারও নির্দেশনা দিয়েছেন। সেদিনের ভাষণে নিরীহ নিরস্ত্র বাাঙালি সসস্ত্র মুকিযোদ্ধায় পরিনত হয়েছিল।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশে নয়, যুগে যুগে বিশ্বের সকল নির্যাতিত-নিপীড়িত ও স্বাধীনতাকামীদের চির প্রেরণা যোগাতে থাকবে। বঙ্গবন্ধু সকল সময়ে প্রাসঙ্গিক। তরুণ প্রজন্মকে তার আদর্শ ধারণ করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে হবে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি। তারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশ মুছতে চেয়েছিল। আল্লাহ রহমতে সে ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের দালিলিক সম্পদে পরিনত হয়েছে। বিএনপি মিথ্যাবাদী, চক্রান্তকারীদের দল। তাদের চক্রান্ত রুখতে যুবলীগ প্রস্তুত আছে।

এর আগে সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।




রাজধানীর সুবিধা বঞ্চিত দক্ষিণ সিটির ৬২ নং ওয়ার্ড

খোদ রাজধানীর বাসিন্দা হয়ে ও বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬২ নং ওয়ার্ডের মানুষ। গত তিন বছরেও যেখানে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারেনি ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

সরেজিমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেহাল সড়ক, নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও আবাসিক এলাকায় রাস্তার ওপর পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাসহ নানা সমস্যায় কিনারা হয়নি এখানকার এলাকার উন্নয়ন। ফলে ডিএসসিসি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রচেষ্টা স্থানীয় নাগরিক মনে এখনো স্বস্তি আনতে পারেনি। উল্টো, ভোগান্তি থেকে আশু মুক্তির দাবি এখন এই এলাকার বাসিন্দাদের।

উল্লেখ্য যে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার আওতাধীন উত্তর কুতুবখালী থেকে উত্তর রায়েরবাগ পর্যন্ত অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ড। প্রায় ৪ লক্ষ লোকের বসবাস এখানে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোস্তাক আহমেদ। যিনি ২০১৮ সাল থেকে নবগঠিত এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ২য় বার ক্ষমতায় আছেন। এক সময় এই এলাকা দনিয়া ও মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে থাকলেও ২০১৮ সালে ৬২ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে। কিন্তু তিন বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনও আধুনিক নগরীর তেমন কোন সুবিধাই পান না এখানকার মানুষ।

৬২ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সুয়ারেজের বেহালদশা।তাছাড়া সম্প্রসারিত এসব এলাকায় নেই পানি সরবরাহ বা পয়নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা। মশা নিধন, নর্দমা পরিষ্কারের মতো সেবা কার্যক্রম এই ঋতুতে খুব নগন্য। তবুও এসব দেখার যেন কেউ নেই। জনসাধারণের চলাচলের প্রধান সড়ক শনি আখড়ার জিয়া স্বরণী রোডের অবস্থা দেখে বোঝা যায়, কতটা কষ্টে কাটছে জনজীবন। এখানকার আন্ডারপাস সংলগ্ন জীর্ন প্রায় রাস্তার পাশে কালভার্ট-রাস্তা সংস্কার না করায় প্রতি মাসে এখানে প্রায় ২০-৩০ টি গাড়ি দূর্ঘটনার স্বীকার হয় ও মানুষ খালে পড়ে যায়। এ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মহল ও সচেতন নাগরিক সমাজ আওয়াজ তুললেও, এখনো বেহাল অবস্থায় রয়েছে শনি আখড়ার শনির খাল খ্যাত এই যায়গাটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে ভোগান্তি বাড়ে শতগুণ। এছাড়া রাস্তাঘাট উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, মশা নিয়ন্ত্রণসহ সিটি কর্পোরেশনের কোনো সুবিধা বা সেবাই পাচ্ছেন না বলে তাদের অভিযোগ।

তবে, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে শিগগিরই কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শেখদি আব্দুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাক আহমেদ। সমস্যার কথা স্বীকার করে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও রাস্তা-ঘাটসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের আশ্বাসও দেন এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

তিনি বলেন, এখানে একটি আধুনিক খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, শিশু পার্ক, ব্যায়ামাগার ও পাঠাগার, পানি সুয়ারেজ, রাস্তা প্রস্বস্তকরন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ট্রান্সফার স্টেশন, এস টি এস এর যায়গা নির্ধারন করা রয়েছে আমার পরিকল্পনায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এটি নবগঠিত ওয়ার্ড। এখানকার যতভাগ রাস্তা হয়েছে, ততোভাগ ড্রেন, সুয়ারেজ ও এলইডি সহ বিদ্যুৎ স্থাপনা বসানো হয়েছে। আর পর্যাপ্ত যায়গা সংকটের কারনে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। তবে নতুন মেয়র আসার পর তিনি আমার ওয়ার্ড নিয়ে যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমি আমার ওয়ার্ডকে নাগরিক সব সুবিধার শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়তন দ্বিগুণ হলেও এখনও এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সবকিছুই বেড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। এলাকার বাসিন্দাদের ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ থাকলেও বছরের পর বছর নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট, নর্দমা, ফুটপাত, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সিটি কর্পোরেশন উপযোগী অবকাঠামোগত ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। অপরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন উন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনায় এলাকাগুলোর এখনো বেহাল অবস্থা।
গোবিন্দপুরের বাসিন্দা মোঃ সোহান জানান, ওয়ার্ডে তিনি ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা তলিয়ে যায়। বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি লেগেই থাকে। তিনি বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড অথচ কমিউনিটি সেন্টার, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পার্ক, খেলার মাঠ, ব্যায়ামাগার, গণশৌচাগার ও গ্রন্থাগার নেই। তবে, আশ্বাসের গন্ডি পেরিয়ে দ্রুত বাস্তবে রূপ নেবে সব পরিকল্পনা, এমনটাই আশা করেন এলাকাবাসী।

ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান, এই এলাকাটি ২০১৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইউনিয়নগুলো থেকে রুপান্তরিত নবগঠিত ওয়ার্ড গুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ।




চুয়েটে তিনদিনব্যাপী পুরকৌশল বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন “জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নয়ক কর্মকা-ে পরিবেশগত স্থায়ীত্বের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে”- ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, “ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। সেজন্য টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকা-ে পরিবেশগত স্থায়ীত্বের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নত দেশেও প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। তাই আমাদের সীমিত সম্পদের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে। একাডেমিশিয়ান, গবেষক ও প্রফেশনাল্সদের সমন্বয়ে এই কনফারেন্স হতে আউটকাম সেক্ষেত্রে সহায়তা করবে। ”তিনি আরো বলেন, “করোনা মহামারি কারণে গত এক বছরে সমগ্র বিশ্ব অনেকখানিই বদলে গেছে। ভার্চুয়াল জগতে অভ্যস্ততা বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এমন একটা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন সত্যিই সাহসী পদক্ষেপ। স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে এরকম একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারা চুয়েটের জন্য অনেক বড় পাওয়া।” তিনি আজ ০৬ মার্চ (শনিবার), ২০২১ খ্রি. বিকাল ০৪.০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পুরকৌশল অনুষদের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী টেকসই উন্নয়নে পুরকৌশল খাতের অগ্রগতি বিষয়ক ৫ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের (Ò5th International Conference On Advances in Civil Engineering; ICACE-2020)Ó সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকা-ের সাথে পুরকৌশলীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতীয় উন্নয়নে নিয়মিতভাবে তাঁরা অবদান রাখছেন। দেশে বর্তমানে অনেকগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে। সেখানে চুয়েটের পুরকৌশলীরা দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। চুয়েটের পুরকৌশল বিষয়ক এ ধরণের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হতে প্রাপ্ত গবেষণা ও জ্ঞানের বিনিময় তাতে দারুণ আশার সঞ্চার করে। করোনা মহামারিতেও তিনদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহ্মুদ ওমর ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য-সচিব ও পুরকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আফতাবুর রহমান। পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব শ্যামল আচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএসআরএম’র সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার জনাব মো. তাজুল ইসলাম। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে ছয়টি ক্যাটাগরিতে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ৮টি প্লেনারি লেকচারসহ সর্বমোট ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন ছিল। যেখানে Structural Environmental, Water Resources, Geotechnical, Transportation Sustainable Engineering Management সংশ্লিষ্ট গবেষণাসমূহ উপস্থাপন করা হয়। এবারের কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৪৯১টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট জমা পড়ে। এরমধ্যে ৪৪৮টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সর্বমোট ২৬৫টি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা প্রস্তাব থেকে রিভিউপূর্বক ১৯০টি প্রকাশনা কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কনফারেন্স আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় ছিল রয়্যাল সিমেন্ট, বিএসআরএম এবং ইউজিসি।




দেশে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠক তাসনুভা!

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সংবাদ পাঠক নিয়োগ দিয়েছেন দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশন। নিয়োগ কৃত সংবাদ পাঠকের নাম তাসনুভা আনান শিশির।
.
স্বাধীনতার ইতিহাসের ৫০ বছরের মধ্যে এর আগে কখনো আর এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এই বিষয়ে বৈশাখী টিভি কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানায় যে, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল দেশের মানুষের মুক্তি, সবার জন্য বাসযোগ্য, বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ে তোলা।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে গর্ব করার মতো অনেক অর্জন থাকলেও বৈষম্যহীন ও সবার জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এই ব্যর্থতার কারণে সবচে বড় অবহেলিত জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হিজড়ারা অন্যতম”।

বৈশাখী টেলিভিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা দুলাল খান বলেন যে, ” বৈশাখী টেলিভিশন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই বছর, স্বাধীনতার মাস মার্চে নারী দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে আমাদের চ্যানেলের সংবাদে এবং নাটকে দুইজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যুক্ত করেছি। দেশের মানুষ এই প্রথম কোনো পেশাদার সংবাদ বুলেটিনে খবর পাঠ করতে দেখবেন একজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে।

আগামী সোমবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শিশির বৈশাখী টেলিভিশনে প্রথম সংবাদ বুলেটিন উপস্থাপন করবেন। বৈশাখী টেলিভিশনের এই কর্মকর্তা আরো বলেন যে, আগামী ৮ মার্চ থেকে তাসনুভা আনান নিয়মিত সংবাদ পাঠ করবেন।




চাঁদপুর জেলা সমিতি ঢাকা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন; ফজলু-আতিক-আরিফ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী

ঢাকায় বসবাসরত চাঁদপুর জেলার বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত চাঁদপুর জেলা সমিতি ঢাকা’র ত্রি-বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সমিতির কার্যালয় ঢাকা মালিবাগ চাঁদপুর ভবনে এ ত্রি-বার্ষিক সাধারন সভায় ১ম অধিবেশনে বিদায়ী সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সফিউল আলম স্বপনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক
মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ,ভূমি মন্ত্রানালয়ের সিনিয়র সচিব (অব:) মাকছুদুল রহমান পাটওয়ারী,পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম,নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন বেনজীর আহমেদ,চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা: জে.আর ওয়াদুদ টিপু,সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।
২য় অধিবেশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ৫১সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক,সাধারন সম্পাদক জি.এম আতিকুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ মো. আরিফ উল্যাহ সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর।




প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করা হবেঃ ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ (শুক্রবার) বিকেলে নগরীর ডেমরাস্থ ৬৮ নং ওয়ার্ডের করিম জুট মিলস মাঠে আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২১ এর তৃতীয় পর্বের ফুটবল খেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এই ঘোষণা দেন। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা চাই আমাদের ছেলেরা যেন মাঠে ফিরে আসে, খেলাধুলা করে। কিন্তু আমরা দেখেছি যে, প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত খেলাধুলার জায়গা নেই। আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাথে সাথে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলাধুলার জায়গা সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরইমাঝে আমরা কয়েকটি ওয়ার্ড কিছু জায়গা উদ্ধার করেছি। সেগুলোক খেলার উপযোগী করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ৪২ নম্বর, ২৬ নম্বর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা উদ্ধার করা সেই জায়গাগুলোতে খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। এটা দুরূহ কিন্তু একটু কষ্ট হলেও আমরা আশাবাদী যে, পর্যায়ক্রমে আমরা সফলতা পাবো। প্রয়োজন হলে জমি অধিগ্রহণ করে হলেও আমাদের সন্তানদের জন্য আমরা খেলার মাঠ করে দেবো।”ডিএসসিসি মেয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, “মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ‘আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা – ২০২১’ আয়োজন করেছি।

এর মাধ্যমে ঢাকাব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ছেলেদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস সৃষ্টি হয়েছে।” এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, “আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি তাতে এরই মাঝে মশার উপদ্রব আগের চাইতে কমতে শুরু করেছে।” ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, “আমি এর আগেও বলেছি – আমাদেরকে বিশেষজ্ঞমহল যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেটা হল, তারা মনে করেছেন – যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপটা ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে সেহেতু ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদেরকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা তাই করেছি। সে জায়গাতেই আমার মনে হয়েছে যে কৌশলে আমাদের একটু ভুল আছে। আমাদেরকে নভেম্বর থেকেই কিউলেক্স মশার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া আরম্ভ করা উচিত ছিল। কারণ, নভেম্বরে শীত আসার সাথে সাথেই পানির গভীরতা কমতে শুরু করায় পানি কলুষিত হয়ে গেছে এবং ময়লা আবর্জনার কারণে কিউলেক্স মশার জন্য তা প্রজনন উপযোগী স্থান হয়ে গেছে।” ডিএসসিসি মেয়র এ বছরে এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে এবং নভেম্বর থেকে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আওতায় চলমান আয়োজনে আজ ফুটবল খেলার তৃতীয় পর্বের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ড বনাম ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকার এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।