মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিজিইডি’র উদ্যোগে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের (সিজিইডি) উদ্যোগে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘হায়ার স্টাডি অ্যান্ড কেরিয়ার অপরচুনিটিস অ্যাবরোড : প্রোসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি ২০২৪) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সিজিইডি’র পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম।

প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রয়াল প্যাসিফিক কনসাল্টেন্সি-এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া, সিইও মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও রয়াল প্যাসিফিক কেয়ার অস্ট্রেলিয়ার সিইও মোহাম্মদ আকতার হোসেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, তোমার যে বিষয়েই ডিগ্রি থাকুক না কেন নিজেকে এগিয়ে রাখতে হলে হায়ার স্টাডির প্রতি আগ্রহ থাকতে এবং একই সঙ্গে তা বাস্তবায়নের প্রবল প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক এ ধরনের সেমিনারে অংশগ্রহণ তোমাদের জন্য খুবই সহায়ক।

সিজিইডির শিক্ষক মোঃ ত্বহা ও সুবাতা জান্নাত রিয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্য আলোচকবৃন্দ বিদেশে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব, পদ্ধতি, গবেষণার কৌশল, আইএলটিএস, গবেষণার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, যথাযথ দেশ ও প্রফেসর অনুসন্ধান ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন। রয়াল প্যাসিফিক কনসাল্টেন্সি এ সেমিনার আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে। সেমিনার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞবৃদ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।




পপুলার লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হাসান আহমেদ-এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হাসান আহমেদ এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী। কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলীর সভাপতিত্বেও উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও কোম্পানীর চীফ কনসালট্যান্ট আবদুল্যাহ হারুন পাশা, সাবেক সচিব ও কোম্পানীর সিনিয়র কনসালট্যান্ট মোঃ আনিস উদ্দিন মিঞা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও কোম্পানীর সিনিয়র কনসালট্যান্ট মোঃ সিরাজুল হায়দার এনডিসি, সাবেক প্রধান বীমা নিয়ন্ত্রক (ইনচার্জ) ও কোম্পানীর সিনিয়র কনসালট্যান্ট রায় দেবদাস, ডিএমডি আলমগীর ফিরোজ রানা সহ কোম্পানীর অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।




শিল্পমন্ত্রীর সাথে মিতসুবিশি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ ভোলায় সার কারখানা স্থাপনে সযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ

পরিক্রমা ডেস্ক : জাপানের বিখ্যাত মিতসুবিশি হেভী ইন্ডাস্ট্রিজ ঘোড়াশাল পলাশ সার কারখানার আদলে আরেকটি সার কারখানা নির্মাণে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি’র সাথে সাক্ষাতকালে মিতসুবিশি হেভী ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধিদল এ আগ্রহের কথা জানান।

ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক (Project Manager) ইয়ুচি সায়মা (Yuichi Sayama)’র নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আলম, যুগ্মসচিব মো: আব্দুল ওয়াহেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে মিতসুবিশি যেভাবে সহযোগিতা করেছে, একইভাবে ভোলায় গ্যাসভিত্তিক একটি সার কারখানা নির্মাণে তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে আশা করি। ভোলাতে আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করছি। পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেলে ঘোড়াশাল পলাশ সার কারখানার আদলে কিছুটা ছোট পরিসরে আরেকটি সার কারখানা নির্মাণ করবো। এটির বাৎসারিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫ লাখ মে:টন হতে পারে।

মিতসুবিশি প্রতিনিধিদল ঘোড়াশাল পলাশ সার কারখানার সর্বশেষ অবস্থা শিল্পমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে সার কারখানাটি বাংলাদেশের কাছে বুঝিয়ে দিবেন বলে জানান।




জিএম কাদের-চুন্নুকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ক্ষমতাবলে পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে বহিষ্কার করেছেন। সেই সঙ্গে রওশন এরশাদ নিজেকে পার্টি চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে পার্টি মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন।

আজ গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় সভার আয়োজন করেন তিনি। এসময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।




সুখ-দু:খের সারথি, চাঁদপুর জেলা সমিতি” – মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার

২৮ জানুয়ারী রবিবার:
নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুরের মতলবে ছেংগারচর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে শহস্রাধিক গরীব ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন ছেংগারচর পৌর মেয়র ও চাঁদপুর জেলা সমিতি, ঢাকা এর ট্রেজারার লায়ন আলহাজ্ব মো: আরিফ উল্যাহ সরকার। প্রতিবছরের মতো এবারও চাঁদপুর জেলা সমিতি, ঢাকা চাঁদপুরবাসীকে সেবাদানের অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার জানান, চাঁদপুর জেলা সমিতি, ঢাকা ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি চাঁদপুরবাসীর সেবায় প্রতিবছরই বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। বিগত সময় থেকে অদ্যবধি মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে এ সমিতি। উল্লেখ্য, বৈশ্যিক মহামারী করোনাকালীন সময়েও যখন মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারতনা, তখনও আমরা ঈদ উপহারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। তারই অংশ হিসেব প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা চাঁদপুর জেলার সব উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। “দু:খ-সুখের সারথী, চাঁদপুর জেলা সমিতি“ আমরা মানুষের পাশে থেকে তাঁদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছি বলে বিশ্বাস করি। তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ্যে জনকল্যাণে কাজ করা কষ্টসাধ্য। তাই আমরা যদি যার যার অবস্থান থেকে দু:খী মানুষের পাশে দাড়াতে পারি তাহলে সমাজের প্রতিটি মানুষই সুখে থাকবে এবং সমাজটাও সুন্দর হবে বলে বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কান্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় চাঞ্চল্যকর খোকন মীর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী রাসেল @হানি সিং’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব -১০।

পরিক্রমা ডেস্ক : গতকাল ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক বিকাল ১৬:২০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নং-৬০(০১)২১, ধারা-৩০২/৩৪ দণ্ড বিধি; চাঞ্চল্যকর খোকন মীর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ রাসেল হানি সিং (২০), পিতা-মোখলেছ, সাং-কুতুবখালী বড় মাদ্রাসা সংলগ্ন, থানা-যাত্রাবাড়ী, জেলা-ঢাকা‘কে গ্রেফতার করে।




চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সজল মোল্লার কঠোর হুঁশিয়ারি

নির্বাচনের পরদিন প্রথম অনুষ্ঠানেই সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ডেমরার ৬৬নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ডিজেবল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির অসহায় হত দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ হুসিয়ারি দেন। এর আগে হত দরিদ্র ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৫শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
সজল বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সম্মানিত ভোটারদের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমি আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি এবং ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার সম্মানিত ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। তিনি বলেন, ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ চান না, ভূমিদস্যু চান না। এ জন্য আমাকে তারা ভোট দিয়ে বিজয় করেছেন, এই বিশ্বাস আমার ছিল। আমি যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলামা, সেই প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।
তিনি আরও বলেন, যাত্রাবাড়ি-ডেমরা এবং আংশিক কদমতলী এলাকায় কোনো চাঁদাবাজ রাখব না। যারা ফুটপাত ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করে তাদের ভালো হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। সেই সাথে সন্ত্রাসীদের প্রয়োজনে ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকা ছাড়তে হবে। সে যে কেউ হোক না কেন। আমি চাই ঢাকা-৫ উন্নয়নের রোল মডেল করতে।
তিনি বলেন, সরকারি রাস্তা, সেতু, স্কুল নির্মাণসহ যেকোনো সরকারি কাজে কেউ অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। ইতিপূর্বে যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কেউ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য সজল মোল্লা বলেন, ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ যে কোনো আন্দোলনে করতে পারবেন। তবে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও জবাব দেওয়া হবে।
ডিডিএস পরিবারের সভাপতি মো: রঞ্জু মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোসাম্মৎ রোকেয়া আফরোজ রিনা’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ৬৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিন সাউদ, ৬৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হানিফ তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বাকী বিল্লাহ, বামৌইল উত্তর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মেম্বার, ডগাইর উত্তর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, দক্ষিণ ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন মুন্সী প্রমুখ।



শেখ হাসিনার যোগ্যতা আছে বলেই পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন : মায়া চৌধুরী

চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, শেখ হাসিনার যোগ্যতা আছে বলেই পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণেই আজ বাংলাদেশে এত উন্নয়ন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার আয়োজনে ছেংগারচর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মরহুম সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের উন্নয়নের ও অসহায়-গরিব-দুঃখীর সরকার। এই তীব্র শীতে অসহায় শীতার্তদের পাশে থাকার জন্য আজ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে যেভাবে মানুষের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। মতলব উত্তর-দক্ষিণ মাদকমুক্ত হবে। মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা হোক আর যারাই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, মতলব হবে স্মার্ট মতলব। আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে মতলবকে স্মার্ট মতলব হিসেবে গড়ে তুলব। গত দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি আগামী পাঁচ বছরে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি কাজ হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার। পরিচালনা করেন ছেংগারচর পৌরসভার ৮ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান মোল্লা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ফতেহপুর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোরশেদ আহার চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, আসাদ চৌধুরী, লুনা চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের নেতা মো. খোকন প্রধান,  পৌর কৃষক লীগের সভাপতি আ. কাদির প্রধান, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, এসএম নোমান দেওয়ান, ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন, পৌর যুবলীগের সদস্য কামরুজ্জামান কামাল, ইসমাইল হোসেন,  বাদল ঢালী, রেজাউল করিম ডেঙ্গু, ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর আ. মান্নান বেপারী, আমান উল্লাহ সরকার, আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন।




অধিকাংশ প্রতিযোগিতাই ক্ষতিকর: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিযোগিতা বিষয়টি সর্বত্র রয়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ প্রতিযোগিতা ক্ষতিকর। তবে শুধু একটা ক্ষেত্রে ভালো। যে প্রতিযোগিতার কোনো শেষ নেই। সেটি হলো জ্ঞানের। সেই প্রতিযোগিতা চলুক এবং সৃষ্টিশীলতা অব্যাহত থাকুক।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্য বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে তিনি এ বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও দুটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক, সামাজিকতা। দুই, দেশপ্রেম। এ দুটো বিশেষ কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট। একটি সামাজিক দৃষ্টিকোণে, আরেকটি দেশপ্রেম। এ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হওয়ার একটা উদ্দেশ্য ছিলো। শিক্ষার্থীরা পরস্পর এবং শিক্ষকদের সাথে মিলিত হবে, জ্ঞানের বিনিময় ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কারিগরি প্রতিষ্ঠান নয়। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যেখানের জ্ঞানের পরিচর্যা হয়। আমরা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাতা হিসেবে সম্বোধন করি। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে মাতার যে ভালোবাসা-যত্ন সেটা এ বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে থাকে। এ জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের ঋণ রয়েছে।

এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন, তোমরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবে গৌরব অর্জন করবে। তবে এ গৌরব যেন দেশের জন্য কাজে লাগানো হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা।




শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হচ্ছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকাঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে সচিবালয়ে যার যার কার্যালয় বুঝে নিয়েছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোট গঠনে অনাগ্রহ প্রকাশে নিশ্চিত হয়ে গেছে সংসদের প্রধান বিরোধী দলও। এবার চোখ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এই কমিটির সভাপতি অনেকটা ছায়ামন্ত্রীর মতোই। নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি, তদারকি ও কাজে গতিশীলতা আনতে সংসদীয় কমিটি করার রেওয়াজ আছে সংসদে। আট থেকে ১৫ সংসদ সদস্যের ওই কমিটিতে একজন থাকেন সভাপতি। আর স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাধারণত হন সাবেক মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ কোনো সংসদ সদস্য।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। তিন মন্ত্রণালয় নিজের কাছে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতৃত্বেই মূলত চলবে মন্ত্রণালয়। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের তদারকি করবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

 

 

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের দফা (১)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদ (ক) সরকারি হিসাব কমিটি, (খ) বিশেষ অধিকার কমিটি এবং (গ) সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি গঠন করবে।

দফা (২)-এ সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলির বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিটি সংবিধান ও অন্য কোনো আইন সাপেক্ষে (ক) খসড়া বিল ও অন্যান্য আইনগত প্রস্তাব পরীক্ষা করতে পারবে; (খ) আইনের বলবৎকরণ পর্যালোচনা এবং অনুরূপ বলবৎকরণের জন্য ব্যবস্থাদি গ্রহণের প্রস্তাব করতে পারবে; (গ) জনগুরুত্বসম্পন্ন বলে সংসদ কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করলে সে বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ বা প্রশাসন বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারবে; কোনো মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ এবং প্রশ্নাদির মৌখিক বা লিখিত উত্তর লাভের ব্যবস্থা করতে পারবে; এবং (ঘ) সংসদ কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

অর্থাৎ, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের সার্বিক তদারকির মাধ্যমে সরকার পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্ব ধারণ করে এই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বা ‘ছায়া-মন্ত্রিসভা’।

 

 

অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

কারা হচ্ছেন ছায়ামন্ত্রী

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সিলেট-৬ আসনে সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর বাইরেও সাবেক  নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর বাইরেও নাম শোনা যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী।

এবারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।

 

 

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন মোহাম্মদ সাদিক বা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বা জাহিদ আহসান রাসেল। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আসতে পারেন। সাবেক মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আসতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

এ ছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বা প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আসতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকই থাকছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ফের আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি রওশান আরা মান্নান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু আসতে পারেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে।

 

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বা টিপু মুনশি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বা উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি শাজাহান খান বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে দেওয়া হতে পারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমানকে। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হতে পারে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার হতে পারেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকতে পারেন বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ বা বর্তমান কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার হতে পারেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম বা সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অথবা মুজিবুল হককে রাখা হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন এম এ লতিফ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাহাদারা মান্নান বা উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন মহিউদ্দিন আহমেদ।