কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটিজ সামিট ২০২৪-এ একাডেমিয়া- ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা শীর্ষক আলোচনায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম

পরিক্রমা ডেস্ক : মর্যাদাপূর্ণ টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) এশিয়া ইউনিভার্সিটিজ সামিটে প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটিতে ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে এশিয়া অঞ্চলে উচ্চশিক্ষায় অগ্রগতির জন্য উদ্ভাবনী কৌশল খুঁজে বের করতে একাডেমিয়া ও শিল্প খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের আহ্বান জানানো হয়।

এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম চাকরির বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে মিল রেখে পাঠ্যক্রম তৈরিতে একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সময়ে রয়েছি যেখানে সামাজিক অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতি লালন করার জন্য একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রির একত্রীকরণ অপরিহার্য।”

এসকল উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতাকে বৃদ্ধি করে এমন নীতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার বক্তব্যটি আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সাড়া ফেলে।

সামিটে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ। জনাব আহমেদের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাগত উদ্ভাবন এবং সহযোগিতাকে উত্সাহিত করার জন্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

শিক্ষা ও উদ্ভাবনে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন অব্যাহত রেখেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটিজ সামিটে অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের অংশগ্রহণ উচ্চশিক্ষা ও ভবিষ্যত গঠনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অগ্রগতির অন্যতম প্রমাণ।




সকল শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলটেবিলে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্টাডিস (সিএমএস) এবং আইন বিভাগ যৌথভাবে আজ “শ্রম আইন ও বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জসমূহ” শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস উদযাপন করেছে।

গোলটেবিলে সরকারী কর্মকর্তা, শ্রমিকদের সংগঠন, শ্রম অধিকার কর্মী, ট্রেড ইউনিয়ন, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশে শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণ এবং শ্রম আইনের কার্যকরিতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

সিএমএস-এর সমন্বয়ক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ সেলিম রেজা এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। আলোচকদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রপ্তানি বিভাগ) মোহাম্মদ হোসেন সরকার বলেন যে, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং উন্নত দেশসমূহের সাথে দেশের শ্রম অধিকার উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়াও, সরকার সকল খাতে শ্রমিকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য বর্তমান শ্রম আইন সংশোধনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান সরকার আমাদের রপ্তানি গন্তব্য দেশগুলো থেকে সর্বোত্তম সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চাপ মাথায় রেখে শ্রম শর্তগুলির উন্নয়নে কাজ করছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিলস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান আহমেদ মন্তব্য করেন যে, দেশের বর্তমান মজুরি কাঠামো জীবনযাত্রা নির্বাহে যথেষ্ট নয়। এমনকি বিভিন্ন অভিজ্ঞ পেশাদার যেমন ডাক্তার এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তারাও জীবন নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদেরকে সুরক্ষায় কাজ করা উচিৎ। তিনি বাংলাদেশের সকল শ্রমিকদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নূন্যতম মজুরি কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট খাত যেমন তৈরী পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য কর্মপরিকল্পনা সীমাবদ্ধ না রেখে সব খাতের শ্রমিকদেরকেই বিবেচনায় আনতে হবে। এছাড়াও, তিনি মনে করেন মালিক ও শ্রমিকদের ও মধ্যের আস্থার সম্পর্ক তৈরী করা উচিৎ। তিনি সব শ্রমিকদের জন্য সমানভাবে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

সলিডারিটি সেন্টার, বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম অফিসার এডভোকেট একেএম নাসিম বলেন যে, শ্রম আইনের সংশোধন অনেক শ্রমিকের জন্য মানসিক অবসাদ সৃষ্টি করে। তিনি শ্রম আইনে মৌলিক সংজ্ঞাগত অস্পষ্টতা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি উল্লেখ করেন। তিনি পরামর্শ দেন যে, সকল শ্রমিক, এমনকি যারা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজি) কাজ করছেন তাদেরকেসহ সব শ্রমিকের জন্য দর কষাকষি ও ইউনিয়ন করার স্বাধীনতা সংক্রান্ত ব্যবস্থাগুলি নিশ্চিত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল অভি হোসেন শ্রম খাতের পরিবেশ ও শ্রম খাতের নানাবিধ সংশোধনের ক্ষেত্রে আইএলও এর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। তিনি যুক্তি তুলে ধরেন যে, যখন এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশ উন্নিত হবে তখন বাংলাদেশের জন্য শ্রম অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক শ্রমমান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে শিশু শ্রম সমস্যাটি সমাধান করতে হবে।

আলোচকরা শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। নিরাপদ এবং ন্যায্য কর্মপরিবেশ নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে তারা প্রধানত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদেরকে জাতীয় শ্রম নীতিতে সংযুক্ত করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সকম অংশীজনের মধ্যে সহযোগিতামুলক প্রচেষ্টা থাকা রাখার জন্য জোর দেন।

সিএমএস-এর সমন্বয়ক এবং আলোচনা সঞ্চালনাকারী ডঃ সেলিম রেজা উল্লেখ করেন যে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএমএস বিভিন্ন শ্রম ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। এটা শুধুমাত্র একটি প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব নয়, বরং শ্রমিকদেরকে অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে এটি একটি মানবিক এবং নৈতিক প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি আলোচনার থেকে উঠে আসা মন্তব্যগুলিরা প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতেও সিএমএস এরকম আলোচনামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে বলে আশ্বাস দেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্য ও প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আব্দুর রব খান তার সমাপনী মন্তব্যে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দেন যেখানে এনএসইউ ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রম অধিকার বিশেষজ্ঞদের সাথে সরাসরি মত বিনিময়ের সুযোগ পাবে। এনএসইউ আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান সুন্দর আলোচনার জন্য গোলটেবিলের সকল আলোচক এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান।




বাইউস্টের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট), কুমিল্লা-এর পঞ্চদশ শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাইউস্টের উপাচার্য ও শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক পিএসসি, পিএইচডি।

সভায় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.); লে. কর্নেল গাজি মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, এসইউপি, এসি; সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কামিজ উদ্দিন আহমেদ (আলম), ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) ড. ফাতেমা জোহরা, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান খান, আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নাঈম আলিমুল হায়দার এবং শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো. নিয়াজ মোর্শেদুল হক।

সভায় ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয় এবং শৃঙ্খলা বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।




রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুদাবীর ৪ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করলো জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স 

পরিক্রমা ডেস্ক : অদ্য ২৯ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার কার্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তর করে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক এর নিকট চেক দুটি হস্তান্তর করেন জেনিথ ইসলামী লাইফের ভিপি ও গ্রুপ বীমা বিভাগের প্রধান মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ আহমেদ মৃধা এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ রায়ের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চলমান বীমা চুক্তি মোতাবেক ৪ লাখ টাকার চেক প্রদান করে জেনিথ ইসলামী লাইফ।



সময়োপযোগী আইন প্রনয়ণ করে কঠোর বাস্তবায়ন দরকার : চবি উপাচার্য

পরিক্রমা ডেস্ক : অপ্রয়োজনীয় আইন সরিয়ে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন এবং একইসঙ্গে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। সোমবার (২৯ এপ্রিল) চবি আইন অনুষদের উদ্যোগে এ.কে. খান আইন ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে আমাদের অপ্রয়োজনীয় আইনসমূহ সরিয়ে নতুনভাবে আইন সংস্কারের প্রয়োজন। আইনের সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনের সঠিক প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন,  এ.কে.  খান ল মেমোরিয়াল আমাদের চিন্তা-প্ররোচনামূলক আলোচনায় যুক্ত হওয়ার, আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শোনার এবং ধারণা বিনিময় করার সুযোগ দেয়। যা আমাদের আইনি কাঠামোর ব্যবধানগুলি শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল স্কুলের চেয়ার প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, আইন সংস্কার একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া যা আইনের প্রাসঙ্গিকতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে আইনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখে। এটি পুরানো এবং অপ্রয়োজনীয় আইনগুলিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন আইন তৈরি করে সামাজিক প্রয়োজনীয়তা মেটায়। সিভিল ল ব্যবস্থা এবং কমন ল ব্যবস্থা উভয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে আইনের সংস্কার হয়ে থাকে। সেগুলোর নিরিখে বাংলাদেশের আইনের সংস্কারের কাজ অনেকটুকু এগিয়েছে, কিন্তু আইন কমিশনের প্রতিবেদনগুলোর বাস্তবায়নের উপর আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন।

এ সময় তিনি আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশীয় প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী,  এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মো. এ. এম জিয়াউদ্দীন খান।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী।

অধ্যাপক ড. শাহীন চৌধুরী তার বক্তব্যে এ. কে. খানের জীবনী উল্লেখ করে বলেন, আবুল কাসেম খান (এ.কে.খান) ছিলেন একজন অগ্রগামী পূর্ব বাঙালি শিল্পপতি, নির্ভীক বিচারক, দূরদর্শী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী এবং তিনি এ.কে. খান ফাউন্ডেশন দাঁড় করিয়েছিলেন শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুবিধার জন্য।




ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীকে জেনিথ ইসলামী লাইফের সিইও’র ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় আজ ২৯ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে তাঁর দপ্তরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান। এ সময় পাশে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের ডিভিপি ও প্রধান মোঃ আবদুর রহমান। 




ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন আরাফাত হোসেন মারুফ

আশিক সরকার : ঢাকা মহানগর (দঃ) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বা‌চিত হ‌য়ে‌ছেন আরাফাত হোসেন মারুফ। তিনি এর পূর্বে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বাংলা‌দেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দ‌ক্ষিণের সভাপ‌তি  ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষ‌রিত এক চি‌ঠি‌তে বিষয়টি জানা‌নো হয়।

এ বিষয়ে আরাফাত হোসেন মারুফ জানায়, স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত আছি, ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গী তৎপরতা, জ্বালাও পোড়াও এবং নৈরাজ্য মূলক হরতালের প্রতিবাদে মিছিল করেছি এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় রাজপথে সক্রীয় ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছি।

২০১৫ এবং ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোর্রেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মহানগর (দঃ) ছাত্রলীগের সকল থানার প্রতিটা কেন্দ্রে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি এবং নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে সর্বাত্বক চেষ্টার সঙ্গে জয়যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
তার গ্রামের বাড়ি ঢাকা অদূরে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর। তিনি ১৩ বছর যাবত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।




“হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা”- ড. হাবিবুর রহমান খান

বৃষ্টি আর মেঘমালা কি স্বামী স্ত্রী
নাকি ভ্রাতা ভগ্নী,
চারিদিকে হাহাকার
পৃথিবী উগড়িছে অগ্নি।।

পথে পথে হাটি
খুঁজে ফিরি শরবত,
ভয়ে ভয়ে থাকি
পিপাসা মেটাতে গিয়ে হচ্ছি ঘর্ম-গলদ।।

দিনমজুর রিকশাওয়ালা
দিন আনে দিন খায় যারা,
তাদের বড়ই পেয়ার করেন
সূর্য মামা, নারাজ বড় থাকেন অধরা।।

অসহায় মানবের গলদঘর্ম
দেখতে তার বড়ই আনন্দ,
মেঘমালা সব কোথায় হাওয়া
পথে পথে ঘোরাঘুরিতে নিরানন্দ।।

বলিহারি কোথায় তুমি মেঘমালা
কার বিয়েতে গেলে তুমি, করো উল্লাস,
নাকি চলে গিয়েছোআবুধাবি
বানের জলে ভেসে গেছে সব জৌলুশ।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
দুবাই সুন্দরী মাহিরার কেশ গুচ্ছে,
পাগল তুমি ঢেলে দিলে সব জল, সৃজিলো জলধি
রংধনুর রঙ্গে রঙ্গিন বঙ্গের হিট অফিসার, কম কিসে।।

ফিলিস্তিনের রক্তস্রোতে ভেসে গেল
যতো আনন্দ হুঙ্কার,
আমি ঘুরি পথে পথে
হৃদপিণ্ডে বাজে মম-ওঙ্কার।।

অশীতিপর বৃদ্ধ দাদা ভেঙে চলেছেন
মসজিদ মাদ্রাসা আর মুসলিম গৌরবগাঁথা,
হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
আকাশে উড়ে উড়ে কি দেখো সব আগামাথা।।

এক দিকে ভাঙ্গে মসজিদ
আরদিকে গড়ছে মন্দির,
(হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা)
শাস্তি দিলে দাও সেথায়
ভাবখানা কেন গুরুগম্ভীর।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
তোমারে ছুঁতে পারি,
কি সাধ্য মোর
ইরানি রকেট ছেঁদিছে তোমারি।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
আমরা গরীব, হীন মানবকুল,
মাতব্বরি সব অসহায়ের সাথে
নেতানিয়াহুর সাথে নেতাগীরী, পারো কি বিলকুল।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
নদী খাল শুকিয়ে একাকার,
মৎস্য মনে আকুলিবিকুলি
তুমি কেন এতো দূর্লভ দুর্বার।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
তোমরাও কি তাদের দল,
গড়ে চলেছো লীলাকানন
আমরা যে হতে চলেছি নিস্ফল।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
যৎসামান্য সদয় যদি হও,
সরল হৃদয় মোরা
ফোটাবো ফুল, উড়বে মধুমক্ষিকা মৌ।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
কার ক্ষমতার প্রতিপাদিত্য অসীম,
সূর্য বাহাদুরের তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা রশ্মি
নাকি হিমালয়ের হীম-হীম ঝর্ণা, হও যদি সসীম।।

হায় বৃষ্টি, হায় মেঘমালা
লুকিয়ে থেকো না আর,
অগ্নিগর্ভ আর নরক চুল্লী
সবই শীতল হবে, উন্মুক্ত করো জলাধার।।

(দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা ; ২৫/০৪/২০২৪)




ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ছাত্রলীগ উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক- হলেন সোনারগাঁয়ের আবু কাওসার।

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাংলাদশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু এ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে উপ- বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আবু কাওসার।

দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে অধ্যায়নরত এই মেধাবী শিক্ষার্থী তার দায়িত্বের মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে চান বলে জানিয়েছেন। পদ পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান সৃষ্টিকর্তা, আমার পিতা-মাতা এবং আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি একই সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সুযোগ্য সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ভাইয়ের প্রতি। যিনি আমাকে মহানগর ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা সনমান্দী ইউনিয়নের খৈতারগাঁও গ্রামের ছেলে আবু কাওসার পরিবার থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতির শিক্ষা পান। তার বাবা জনাব মোঃ আবু সাইদ দীর্ঘ অনেক বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, বর্তমানে তিনি সনমান্দী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পঞ্চমী ঘাট স্কুলে পড়াকালীন সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাড়িতে পা রাখেন আবু কাউসার। সময়ের পরিক্রমায় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্থান পান। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

নাজিমুদ্দিন ভূঁইয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর চলে আসেন ঢাকায়। ২০১৯ সালে প্রথম ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাথে একজন র্কমী হিসেবে পথ চলা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাথে কাজ করায় ২০২২ সালে সহ-সম্পাদক হিসেবে স্থান পান। বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে উপ- বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে স্থান পান।

আবু কাওসার আরও জানান, ছাত্রলীগের এই পদ আমার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদশের প্রতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতের মতোই সর্বোচ্চ সার্মথ্য দিয়ে সংগঠনের জন্য কাজ করে যাব। সুসময়ের পাশাপাশি দুঃসময়েও পাশে থেকে ছাত্রলীগের পতাকা উড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই উদীয়মান ছাত্রনেতা।




ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চিত্র প্রদশর্নী এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮৮তম জন্মদিন উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : চিত্র প্রদর্শনী এবং বৃক্ষরোপণসহ একাধিক কর্মসূচীর মাধ্যমে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি এর ৮৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ও বিশ্বের উন্নয়নে স্যার ফজলের অসামান্য অবদান এবং তাঁর জীবন-দর্শন তুলে ধরতে রোববার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪ মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন গ্যালারিতে স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। স্যার ফজলের কর্মময় জীবনের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলোকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরাই ছিল এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।

স্যার ফজলের স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সমাজের তৃণমূল মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের সাথে কাটানো সময় এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত অসংখ্য সম্মাননা গ্রহণের মূহুর্তগুলো এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। এসব স্থিরচিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানার সুযোগ পেয়েছেন।

রোববার সকালে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেসের সিনিয়র ডিরেক্টর লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, “এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা স্যার ফজলের অবদান স্মরণ করছি। তাঁর দেখানো পথই হোক আমাদের চলার পাথেয় আজকের দিনে সেটাই আমাদের কামনা।”

লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ বলেন, “স্যার ফজলে ছিলেন নিরাহংকারী এবং অত্যন্ত বিনয়ী একজন মানুষ। তিনি মানুষের জন্য এবং সবাই যেন মানসম্মত শিক্ষালাভ করতে পারে সে লক্ষ্যে আজীবন কাজ করেছেন। এই নতুন ক্যাম্পাস তার স্বপ্নের একটি বাস্তবায়ন। তিনি এমন একটি ক্যাম্পাস তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে শিক্ষার্থীরা অসাধারণ এক্সপেরিয়েন্স লাভ করতে পারে।”

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবান্ধব নতুন ক্যাম্পাস পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারে প্রতীক। স্যার ফজলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই নতুন ক্যাম্পাসকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যাতে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা লাভ করেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন, সেই সাথে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশব্যাপী চলমান তাপপ্রবাহ রুখতে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে স্যার ফজলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন ব্র্যাক
ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ। সেই সাথে স্যার ফজলকে নিয়ে আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন তিনি। এই সময় ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্যবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন স্যার ফজলে। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নে এশিয়া এবং আফ্রিকার ১১টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক। নিরন্তর নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, বিশ্বমানের পাঠদান, গবেষণা এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নত-আধুনিক ও সমৃদ্ধ শিক্ষাব্যস্থা গড়ে তুলতে ২০০১ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠা করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।

২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উন্নয়নের এই প্রবাদপুরুষ।