পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা খাগড়াছড়িতে৭৫ জন নারী উপকারভোগীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করলেন

খাগড়াছড়ি, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্র্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, প্রযুক্তি বাংলাদেশের নারী-পুরুষ সকলের আর্থিক স্বচ্ছলতাএনে দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের যেসব নারী বাইরে কাজ করতে গিয়ে পরিবারের বাধার মুখেপড়েন, তাঁরা প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। পার্বত্যপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহারনিশ্চিত করে নারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ আর্থকর্মসংস্থানের প্লাটফর্ম তৈরি করেদিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

আজ শনিবার খাগড়াছড়িজেলার অফিসার্স ক্লাবের অডিটোরিয়ামে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের “হার পাওয়ার প্রজেক্ট”এর প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে ৭৫ জন নারী উপকারভোগীরমাঝে ল্যাপটপ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরপ্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি উন্নয়নেরধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি-সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সকল নিজনিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।খাগড়াছড়ি তথ্য ও যোগাযোগঅধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ই-কমার্স প্রফেসনাল ক্যাগাগরিতে ৩ উপজেলার ২৫জন করে মোট ৭৫ জন নারীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকমো. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, সদর উপজেলার ইউএনও নাঈমা ইসলাম, মাটিরাঙ্গার ইউএনওডেজী চক্রবর্তী ও দীঘিনালার ইউএনও মো. মামুনুর রশীদ প্রমুখ।অনুষ্ঠানে স্বাগতবক্তব্য রাখেন হার পাওয়ার উপ-প্রকল্প পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন।

প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যেথেকে বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার উপকাভোগী তেজশ্রী চাকমা।

উল্লেখ্য, তথ্য ও প্রযুক্তিবিভাগের ব্যবস্থাপনায় দেশের ৪৪টি জেলার মধ্যে মোট ১৩০টি উপজেলায় তথ্য প্রযুক্তিতেনারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫,১২৫ জন নারীকে ০৫ (পাঁচ) মাসব্যাপীপ্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙ্গা ও দিঘীনালা এই তিনউপজেলায় নারীদের জন্য নারী ই-কমার্স প্রফেশনাল, নারী ফ্রী ল্যান্সার, নারী কলসেন্টার এজেন্ট ও নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই-কমার্সপ্রফেসনাল ক্যাগাগরিতে ৩ উপজেলায় ২৫ জন করে মোট ৭৫ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। দিঘীনালাউপজেলা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা  প্রতিটি উপজেলা থেকে ১৮৫ জন করে মোট ৫৫৫ জন নারীচার ক্যাটাগরিতে ০৫ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাচ্ছে।




বাঙালি সংস্কৃতিকে পরিচিত করাতে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে পিঠা উৎসব

বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

উৎসব জুড়ে ছিল বাহারি নামের ও স্বাদের পিঠা-পুলির সমাহার। উৎসবের উদ্বোধন করেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এনামুল বাশার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রসিদ (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য), বিওটি মেম্বার আব্দুল হাসিব সিদ্দিক, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার, পিএসসি, বিএন (অব.), অতিরিক্ত পরিচালক (ফাইন্যান্স) মো. গোলাম মোস্তফা, সহকারী পরিচালক (পিআর এন্ড ইএ)।

দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রোনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অ্যালামনাই এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তৈরি করা এমন বাহারি পিঠা-পুলিতে স্টল সাজান। ফুলঝুড়ি, দুধ পাকন পিঠা, পদ্মাবতী, বউ সুন্দরী, কুলি পিঠা, হ্রদয়হরণ পিঠা, মেরা পিঠা, পাতা পিঠা, গোকুল পিঠা, নারিকেল পিঠা, ফলাহার,চিটাগং এর আতিক্কা, ব্রাউনি, নকশি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, গোলাপ পিঠা, বেণি পিঠা, নারকেল পুলি, ডিম পিঠা, পাটি সাপটা, ঝাল পিঠা, চিতই, ভাপা ও কলার পিঠাসহ প্রায় ১০০ রকমের পিঠা ছিল শিক্ষার্থীদের স্টলে।

উৎসব ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বপরিবারে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব মিলনমেলায় পরিণত হয়। তাঁদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হক স্টল পরিদর্শন করে প্রতিটি স্টল থেকেই পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের শীতের রকমারি পিঠা ও স্টলের প্রশংসা করেন। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পেরে আনন্দ ভোগ করেন এবং তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করেন। বাংলার ঐতিহ্যকে লালন ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে আগামীতেও এমন উৎসব আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব (অব.), চেয়ারম্যান বিওটি, ভাইস চেয়ারম্যান, বিওটি জনাব মো. আরিফুল হক, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. এনামুল বাশার, অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ (ভারপ্রাপ্ত ভিসি), রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার, পিএসসি, বিএন (অব.), মো. আবুল বাশার, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. জহুরুল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বিজনেস ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান এস এম নাহিদুল ইসলাম, সালেহীন মাহবুব ও প্রমুখ।




তীব্র শীতে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও জেলার জনজীবন। এতে চরম দুর্ভোগে জেলার দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। মধ্য জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফায় দেশের উত্তরাঞ্চলের এই জনপদে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কোথাও কোথাও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেনা কেউ। এমন পরিস্থিতিতে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে না উঠা পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা নিরূপণের কোনো দপ্তর নেই। তবে প্রতিদিন তাপমাত্রা পরিমাপ করে কৃষি সম্প্রসাারণ অধিদপ্তর। তারা জানায়, বিগত ৪/৫ দিন ধরে প্রথমে মৃদু ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে জেলায়। গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭-৯৮ শতাংশ।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫-৯৬ শতাংশ। রাতে এই তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে বলেও জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসাারণ অধিদপ্তর ।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীদ আকতার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনছুর রহমান স্বাক্ষরিত আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, তাপমাত্রা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসে না আসা পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীদ আকতার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনছুর রহমান পৃথকভাবে জানান, তাপমাত্রা সর্বনিম্ন থাকায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আবহওয়া স্বাভাবিক হলে আবারো বিদ্যালয়ের পাঠদান প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি।




ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও পিকেএফএসসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) ও প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের (পিকেএফএসসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে, ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার এইচ. টি. এম. কাদের নেওয়াজ ও পিকেএফএসসি অধ্যক্ষ জনাব মু. নুরুল আমিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির মাধ্যমে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্সে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশেষ ওয়েভার ও স্কলারশীপ সুবিধা পাবেন ।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির মহাখালী ক্যাম্পাসে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো: ফাইজুল্লাহ কৌশিক, ডিরেক্টর এডমিশন গিয়াস উদ্দিন, পিকেএফএসসি প্রফেসর ইনচার্জ আনিসুর রহমান, স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক মো: সাইফুল ইসলামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসইউতে জানুয়ারী-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট ৪টি বিভাগ চালু রয়েছে। এরমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ও মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে রয়েছে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। আর ফ্যাকাল্টি অব হিউম্যানিটিজ এন্ড সোস্যাল সাইন্সেস এর অধীনে বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ ও এম এ ইন ইংলিশ লিটেরেচার এন্ড কালচারাল স্টাডিজ।




উৎসবমুখর পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে স্প্রিং সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্প্রিং- ২০২৪ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরাই মূখ্য তাই অনুষ্ঠানে প্রথাগতভাবে কোন প্রধান অতিথি রাখা হয়নি তবে ৬ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যাদের মধ্যে ৪ জন এই দেশের স্বনামধন্য সংস্কৃতি কর্মী। এরা হলেন বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা ও লেখক বৃন্দাবন দাস, অভিনেত্রী শাহনাজ খুশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা অনুষদের সহকারি অধ্যাপক তামান্না রহমান ও দিব্য জ্যোতি এবং অন্য ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলমনাস বিটিআরসি’র উর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক তৌসিফ শাহরিয়ার ও প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোজার্নালিষ্ট সাবিনা ইয়াসমিন ।

অনুষ্ঠানে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে আশা ও ভরসার জায়গা থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিকে আপনাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পছন্দ করেছেন তা যথার্থ দায়িত্বশীলতা ও আন্তরিকতার সাথে আমরা গ্রহণ করেছি। এই আস্থা এবং বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে নতুনদের মানবিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এখন আমাদের প্রধান গুরুত্বের বিষয়।

সকাল থেকেই আনন্দমুখর পরিবেশে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেয়া শিক্ষার্থীরা পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে বিচরণ করে। তাদের উল্লাসে ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির গ্রীন ক্যাম্পাস যেন আলোড়িত হয় এক নতুন রঙে, নতুনত্বের স্বাদে। ‘ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম স্প্রিং -২০২৪ অনুষ্ঠানে নবীনরা নেচে গেয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনা করে।

আয়োজনে শুরুতে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু নবীনদের অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় উৎসাহ দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পর্কে নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মাবলী সম্পর্কেও ধারণা প্রদান করা হয়। অতিথিগণ তাদেও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং ‘লার্ন এন্ড উইন’ কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেও হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নাবিলা ইসলাম এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মোবাশ্বেরা ইসলাম মিথি’র যৌথ উপস্থাপনায় ও নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে চমৎকার এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ”SKILL” শীর্ষক মানব লগো তৈরী করা হয়।




জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর প্রশিক্ষণ ফর রোড ম্যাপ টু বিএম অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ শনিবার দিনব্যাপী রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের ইআরএফ মিলনায়তনে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর প্রশিক্ষণ ফর রোড ম্যাপ টু বিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমডি (উঃ) গণ ও  উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের ভিপি ও ইনচার্জ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ভিপি ও প্রধান (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) মোঃ তোফাজ্জেল হোসাইন মানিক। সভার সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র ডিএমডি (উঃ) ও প্রকল্প প্রধান সৈয়দ মাসকুরুল হক। সভার প্রায় ১৫০ জন বাছাইকৃত উন্নয়ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।



নটরডেম কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারে : সাবের হোসেন চৌধুরী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নটরডেম কলেজের মতো আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। আর ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে পারে।
সাবের হোসেন চৌধুরী আজ শুক্রবার নটরডেম কলেজের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নটরডেম কলেজের মতো আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয় সমাজের নেতৃত্ব, দেশের নেতৃত্ব। আমাদের দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক কল্যাণময় রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ঐতিহ্যবাহী  প্রতিষ্ঠানটি ৭৫ বছর ধরে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উন্নয়নশীল একটি দেশ হিসেবে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তির প্রয়োজন। নটরডেম কলেজ এরকম দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী নটরডেম কলেজের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।




মতলবে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মাহি চৌধুরী

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন বংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহি।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে মতলব দক্ষিণের ৭ নং ওয়ার্ডের ছেবত আলী প্রদানীয়া বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাঁ মাঠে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

শীতবস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- মতলব পৌর সভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন লিটন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল, মতলব দক্ষিণ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরকার, মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগ সদস্য কামরুল হাসান মামুন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, নোমান দেওয়ান, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠিক সম্পাদক পিন্টু সাহ, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাইয়ুম ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক শরীফ পাটোয়ারী, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, রিপন মিয়া, রুবায়েত হাসান ইহাম, উপ-আপায়ন সম্পাদক আফসার হাবিব, মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব আল হাসান, মতলব পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাকিব।

আরো উপস্থিত ছিলেন- মতলব দক্ষিণ থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন বালা। শীতবস্ত্র বিতরণ পরিচালনা করেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য,  কামাল দেওয়ান।




কারা হচ্ছেন সরকারের ছায়ামন্ত্রী?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চারবার ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এবার চোখ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এই কমিটির সভাপতি অনেকটা ছায়ামন্ত্রীর মতোই। নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি, তদারকি ও কাজে গতিশীলতা আনতে সংসদীয় কমিটি করার রেওয়াজ আছে সংসদে। আট থেকে ১৫ সংসদ সদস্যের ওই কমিটিতে একজন থাকেন সভাপতি। আর স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাধারণত হন সাবেক মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে রেখেছেন তিন মন্ত্রণালয়। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে মূলত চলবে মন্ত্রণালয়। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের তদারকি করবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের দফা (১)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদ (ক) সরকারি হিসাব কমিটি, (খ) বিশেষ অধিকার কমিটি এবং (গ) সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি গঠন করবে।

দফা (২)-এ সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলির বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিটি সংবিধান ও অন্য কোনো আইন সাপেক্ষে (ক) খসড়া বিল ও অন্যান্য আইনগত প্রস্তাব পরীক্ষা করতে পারবে; (খ) আইনের বলবৎকরণ পর্যালোচনা এবং অনুরূপ বলবৎকরণের জন্য ব্যবস্থাদি গ্রহণের প্রস্তাব করতে পারবে; (গ) জনগুরুত্বসম্পন্ন বলে সংসদ কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করলে সে বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ বা প্রশাসন বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারবে।

কোনো মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ এবং প্রশ্নাদির মৌখিক বা লিখিত উত্তর লাভের ব্যবস্থা করতে পারবে। এবং (ঘ) সংসদ কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে সব কমিটির কাজের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংসদীয় কমিটি আছে ৫০টি। এরমধ্যে ৩৯টি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কার্যউপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পিটিশন কমিটি, লাইব্রেরি কমিটি, সংসদ কমিটি, বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে কারা আসছেন, এ নিয়েও এখন আলোচনা হচ্ছে। অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

কারা হচ্ছেন ছায়ামন্ত্রী:

এবারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন মোহাম্মদ সাদিক বা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বা জাহিদ আহসান রাসেল। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আসতে পারেন। সাবেক মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আসতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বা প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আসতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকই থাকছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ফের আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি রওশান আরা মান্নান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু আসতে পারেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বা টিপু মুনশি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বা উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি শাজাহান খান বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে দেওয়া হতে পারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমানকে। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বা কাজী কেরামত আলী। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার হতে পারেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকতে পারেন বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ বা বর্তমান কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার হতে পারেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম বা সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অথবা মুজিবুল হককে রাখা হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন এম এ লতিফ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাহাদারা মান্নান বা উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন মহিউদ্দিন আহমেদ।




বিএনপির নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : মায়া চৌধুরী

চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এবং এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এ সরকার টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এসেছে। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করেছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।  জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করেও কোনো লাভ হয়নি।

শুক্রবার (২৬) জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় তিনি বিভিন্ন সংগঠন এবং পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, আপনারা ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন, এজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করেছেন, এবার আমার পালা – আপনাদের জন্য কাজ করা। ইনশা আল্লাহ আমি এই মতলবকে একটি আধুনিক ও নান্দনিক স্মার্ট মতলব হিসেবে গড়ে তুলবো। মতলব হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত। মাদকের বিরুদ্ধে মতলবে জিরো টলারেন্স। কোনো অবস্থাতেই মাদককে ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন,  আমি এর আগে মতলব থেকে আরো দুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম এবং মন্ত্রী ছিলাম। তখন ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। গত পাঁচ বছরে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এবার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, আমি মতলবের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে স্মার্ট মতলব গড়বো। তিনি আরো বলেন, জীবনের বাকিটা সময় মতলববাসীর খেদমত করে যাবো।

মতলব পৌরসভার মেয়র ও মতলব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন লিটনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহি।

এর আগে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন চন্দ্র দে, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি রিপন বালা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

এ সময় মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আ. সোবহান সরকার সুভা, মতলব পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক লায়ন ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, রাহুল চৌধুরী লুনা, আসাদ চৌধুরী,  সাবেক ছাত্রনেতা হারুন অর রশিদ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল, মতলব দক্ষিণ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছমা আক্তার আঁখি, মতলব যুবলীগ নেতা ফারুক পাটোয়ারী, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ রুহুল আমিন মোল্লা, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল হাসান মামুন, মুহিবুল হক চৌধুরী সুমিত, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসএম সেলিম রেজা, ছাত্রলীগের নেতা এসএম নোমান দেওয়ান, মতলব পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কিশের কুমার ঘোষ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন মো. কচি, ছাত্রলীগের নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।