শীর্ষ করদাতার পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক

পরিক্রমা ডেস্ক : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষ করদাতা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মুহাম্মদ রহমাতুল মুনিম আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় ট্যাক্স কার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আকিজ উদ্দীনের নিকট ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিএফও মোঃ ফরিদ উদ্দীন এফসিএসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।




মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জন্য ভোট চেয়ে মাহী চৌধুরীর ব্যাপক গণসংযোগ

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। তার পক্ষে ভোট চেয়ে দিনরাত নিরলস গণসংযোগ এবং প্রচার-প্রচারণা করে চলেছেন তার নাতি ও আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহী।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

এদিন বিকেলে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে নির্বাচনী প্রচারণাশেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আশফাক চৌধুরী মাহী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। তবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে এবং দেশের উন্নয়ন হবে।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে হবে। আমার বিশ্বাস আপনারা তা করবেন।

মাহী চৌধুরী বলেন, আমার বাবা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বেঁচে থাকলে আপনাদের কাছে আমার দাদার জন্য দোয়া ও ভোট চাইতেন। আজ আমি বাবার হয়ে আপনাদের কাছে আমার দাদার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাই।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুবাইদ হাসান ইহাম। সভাটি পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের উপ-অ্যাপায়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. আফসার উদ্দিন।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসমা আক্তার আঁখি, মতলব পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার, সাধারণ সম্পাদক রোকনউজ্জামান রোকন, যুবলীগের সদস্য কামাল দেওয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, রিপন তালুকদার, সালাউদ্দিন, মমিন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাইয়ুম ফরাজি, শরীফ প্রধান, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, রিপন মিয়া প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক পাটোয়ারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আল-আমীন ফরাজি, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন মোহাম্মদ কচি, উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মামুন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, এসএম নোমান দেওয়ান, নাজমুল হাসান, মুহিবুল হক চৌধুরী সুমিত, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজল, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সদস্য সদরুল আমিন, সদস্য জোবায়ের আহমেদ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ. চৌধুরী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জনাব শেখ কবির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বীমা কোম্পানী সমূহের চেয়ারম্যান, পরিচালকবৃন্দ এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপিত বিআইএ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী জীবন বীমা খাতে প্রাইভেট বীমা কোম্পানীগুলির উপার্জিত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ছিল ২০২২ সালে ১০৬,১৬৬ মিলিয়ন টাকা যা ২০২১ সালে ৯৬,২৮৯ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী জীবন বীমা খাতের লাইফ ফান্ড ২০২২ সালে ৩১৫,৯৫৫ মিলিয়ন টাকা এবং ২০২১ সালে ছিল ৩২৭,৪৭৮ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী জীবন বীমা খাতে ২০২১ সালের বিনিয়োগ ৩৩৩,৯৩৪ মিলিয়ন টাকা থেকে ২০২২ সালে ৩৩০,০৮১ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী খাতে জীবন বীমা কোম্পানীর মোট সম্পদ ২০২১ সালে ৪২৯,৪৬৮ মিলিয়ন টাকা থেকে ২০২২ সালে ৪২৮,৪১১ মিলিয়ন টাকা।

নন-লাইফ বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ২০২১ সালে ছিল ৩৭,৮৪৯ মিলিয়ন টাকা ২০২২ সালে ৪১,৬২৬ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়। যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা প্রায় ৯.৯৮%। নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর ২০২১ সালে সম্পদ এর পরিমান ১০৫,০৫৬ মিলিয়ন টাকা থেকে ২০২২ সালে ১১০,৭৬২ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়। নন-লাইফ বীমা খাতে ২০২১ সালের বিনিয়োগ ৫৩,২৯২ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ৫৯,৮৬১ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়।

বিআইএ-এর প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে আগত প্রতিনিধিদের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো গৃহীত হয়-

(১) ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন।
(২) ২০২২ সালের অডিট রিপোর্ট অনুমোদন।
(৩) ২০২৩ সালের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিট ফার্ম নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ Khan Wahab Shafique Rahman & Co. ৬০,০০০/- টাকা পারিশ্রমিক নির্ধারণ।

জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল), প্রথম ভাইস-চেয়ারম্যান, বিআইএ এবং জনাব এ কে এম মনিরুল হক, ভাইস-চেয়ারম্যান, বিআইএ, জনাব পি. কে. রায়, এফসিএ, উপদেষ্টা, রুপালী ইন্স্যুরেন্স এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বীমা শিল্পের বিকাশে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য রাখেন। পরিশেষে বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জনাব শেখ করিব হোসেন সমাপনি বক্তব্যে সকলকে একযোগে বীমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।




ঢাকা-৪: বড় শোডাউনে নির্বাচনি প্রচার শুরু বাবলার

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ছিটকে পড়লেও লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছেন ঢাকা-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। স্ত্রী সালমা হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় বড় ধরনের শোডাউনের মধ্যে দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তিনি।

 

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর দোলাইপাড় থেকে প্রায় দশ সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে নির্বাচনি মিছিল শুরু করেন বাবলা। মিছিলে লাঙল, বাদ্যযন্ত্র, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে লাঙল মার্কায় ভোট চেয়ে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি জুরাইন, পোস্তগোলা হয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কদমতলী শিল্পাঞ্চলে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে নির্বাচনি এলাকা ধোলাইপাড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আবু হোসেন বাবলা। এ সময় লাঙল মার্কায় ভোট চেয়ে তিনি বলেন, আমি এই এলাকায় যত উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, আমি বিশ্বাস করি, জনগণ যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে এ আসনে লাঙল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

নির্বাচনি মিছিলে এফবিসিসিআই’র পরিচালক ও জাপার ভাইস চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা সুজন দে, শেখ মাসুক রহমান, শাহনাজ পারভীন, ইব্রাহিম মোল্লা, শামসুজ্জামান কাজল, কাউসার আহমেদ, মামুন হোসেন মোল্লাসহ শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাপা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।




আইপিএলে রেকর্ড গড়লেন প্যাট কামিন্স

স্পোর্টস ডেস্ক : এখনো অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে লেগে আছে বিশ্বকাপের ঘ্রান। ভারতের মাটি থেকে তার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ ঘরে নিয়ে গেছে অজিরা।

চলতি আইপিএলের নিলামেও বাজিমাত করলেন কামিন্স। তার দাম দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। তার ভিত্তি মূল্য ছিল দুই কোটি রুপি।

তবে ভিত্তি মূল্যের চেয়েও ১০ গুণ বেশি দামি প্যাট কামিন্সকে দলে ভিড়িয়েছে হায়দ্রাবাদ।

২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে বিক্রি হলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্স। আইপিএল নিলামে ইতিহাস তৈরি গড়লেন তিনি। তার আগে সাড়ে ১৮ কোটি ডলারে বিক্রি হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন স্যাম কারান।




নৌকায় ভোট দিন, উন্নয়ন বুঝে নিন : মায়া চৌধুরী

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানেই উন্নয়নের সরকার। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় থাকবে ততবার দেশে উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়ে এখন উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। তাই বলছি, নৌকায় ভোট দিন, উন্নয়ন বুঝে নিন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিন আওয়ামী লীগের প্রতীক ‘নৌকা’ পাওয়ার পর এক পথসভায় তিনি একথা বলেন।

এর আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসানের কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে মায়া বীরবিক্রম সেতুর পশ্চিম পাশে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন ও এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। নির্বাচনী অফিসে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

এদিন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ফতেহপুর, জনতা বাজার, ফরাজিকান্দি, এখলাছপুর ও মোহনপুরে পথসভা করেন। এসময় রাস্তার দুই পাশে জড়ো হওয়া হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট দেবেন। আমি জয়যুক্ত হলে মতলব উত্তর হবে মিনি সিঙ্গাপুর। মতলবে যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের শিল্গ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়ুব আলী গাজী, মিজানুর রহমান (এসি মিজান), সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, ছেংরাচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম জর্জ, বর্তমান মেয়র আরিফ উল্লাহ সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দীন সরকার, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন বেপারি, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাজী মুক্তার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, সাবেক প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন মোল্লা, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া, জহিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, সুলতানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিক খোকন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহান নেতা, উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মামুন, ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সদরুল আমিন, সদস্য জুবায়ের আহমেদ জনি প্রমুখ।




এনএসইউতে ‘বিজয় দিবস ২০২৩’ পালিত

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত গবেষক, প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অনুষদ সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন উদ্বোধনী বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

প্রধান বক্তা মফিদুল হক বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “বিজয় দিবস একতা ও ত্যাগের প্রতীক। স্বাধীনতা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে আমাদের সকলের সুযোগের অধিকারের পক্ষে কাজ করতে হবে।” তিনি ন্যায় ও সমতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম তার বলেন, “আমরা বিজয় পাইনি, আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সজাগ থাকতে হবে। ঐতিহাসিকভাবে আমরা যা অর্জন করেছি তা ধরে রাখার জন্য আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানের শেষে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এনএসইউ সাংস্কৃতিক সংগঠন (এনএসইউএসএস)।




ঢাকা-৫ আসনে ঈগল প্রতীকে লড়বেন কামরুল হাসান রিপন

আশিক সরকার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. কামরুল হাসান।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ প্রতীক বরাদ্দ পান তিনি।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সবিরুল ইসলাম প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছেন। ঢাকা মহানগরীর ১৫টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ মুন্না (নৌকা), ইসলামিক ঐক্য ফ্রন্টের আবু জাফর মো. হাবিবুল্লাহ (চেয়ার), ন্যাশনালিস্ট ঐক্য ফ্রন্টের এস এম লিটন  (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির মো. আবু হানিফ (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্য জোটের আব্দুল কায়ুম (মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোশাররফ হোসেন মিয়া (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাইফুল আলম (ডাব), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. সারওয়ার খান (কাঁঠাল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নুরুল আমিন (ছড়ি) প্রতীক পেয়েছেন।




২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

পরিক্রমা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।

আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

চিঠিতে বলা হয়, ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার নিমিত্ত ‘নো এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্ত প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।

ইসি জানিয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিম্নরূপভাবে সহায়তা করবে:

(ক) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে;

(খ) রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে;

(গ) সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে;

(ঘ) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক ডিপ্লোমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে;

(ঙ) ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে;

(চ) বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে। বর্ণিতাবস্থায়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।




পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিজ্ঞানের আবিষ্কার- মোঃ রফিকুল ইসলাম

মানুষ এই পৃথিবীর পাহাড়, পবর্ত, আকাশ, বাতাস, পশু, পাখি, নদনদী, গাছ পালা, এক কথায় সৃষ্টি জগত নিয়ে বহু জনে বহু গবেষণা করেছেন। ঐ সকল গবেষকদের মধ্যে কেউ ঈমান এনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আবার কেউ তার পূর্বের যায়গায় রয়েছেন।

আল-কোরআনে পৃথিবীর গবেষণা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি ভূপৃষ্ঠে ভ্রমণ করে না, যাতে তারা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতে পারে! বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে তাদের হৃদয়।’ (সূরা হজ : ৪৬)।
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘তবে কি তারা লক্ষ্য করে না উটের প্রতি, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং আকাশের প্রতি, কীভাবে তাকে উঁচু করা হয়েছে এবং পাহাড়সমূহের প্রতি, কীভাবে তাকে প্রথিত করা হয়েছে এবং ভূমির প্রতি, কীভাবে তা বিছানো হয়েছে’। (সূরা গাশিয়া ১৭-২০)। আরও বলা হয়েছে, ‘সৃষ্টি নিয়ে এক ঘণ্টা গবেষণা করা বছরের পর বছর ইবাদত করার চেয়েও বেশি মূল্যবান।’

পবিত্র কোরআনে ১০০ এরও বেশি আয়াতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে তারা যেন চিন্তা-ভাবনা করে, শোনে, মনোযোগ দেয়, তুলনা করে বা পরিমাপ করে, ভাবে, বুদ্ধি ও বিবেকের চর্চা করে এবং বিচার-বিবেচনা করে এবং বহু আয়াতের শেষাংশে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে: তোমরা কি চিন্তা করে দেখছো না? তোমরা কি তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না? তারা কি কোরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না?

আল্লাহ জিজ্ঞাসা করার পাশাপাশি বহু জায়গায় বিশ্বের বিচিত্র অজানা রহস্য নিয়ে ভাবতে, গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন আর যারা চিন্তাশক্তি, মেধা ও মননকে কাজে লাগায় না তাদের অন্ধ, বধির এমনকি চতুষ্পদ জন্তু কিংবা তাদের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে তিরস্কার করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনের সূরা আরাফের ১৭৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: ‘আর এটি একটি অকাট্য সত্য যে, বহু জিন ও মানুষ এমন আছে যাদের আমি জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না। তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না। তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না। তারা পশুর মতো বরং তাদের চেয়েও অধম। তারা চরম গাফলতির মধ্যে হারিয়ে গেছে।’এতকিছুর পরও যারা বিবেক-বুদ্ধি, মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে কোনো বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না, তাদের অকর্মণ্য, উপলব্ধিহীন, অসচেতন প্রাণী বলে তিরস্কার করেছে।

সূরা আনফালে বলা হয়েছে: ‘আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না,যারা বলে যে, আমরা শুনেছি,অথচ তারা শোনে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূখ ও বধির,যারা উপলব্ধি করে না।’(সূরা আনফাল : ২১, ২২)
কোরআনের নির্দেশনা অমান্য করে যারা চিন্তারিক্ত হয়ে বসে থাকে, যারা নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি ও স্রষ্টার হাকিকত উপলব্ধি করার চেষ্টা করে না, কোরআন তাদের মনুষ্যত্বের মর্যাদা থেকেও বঞ্চিত করেছে। কারণ, মনুষ্যত্ব ও পশুত্বের পার্থক্যরেখা যে চিন্তাশক্তি তা না থাকলে মানবীয় মর্যাদাই তো বিলীন হয়ে যায়।

কোরআন মানুষের চিন্তাশক্তির প্রতিবন্ধক বিষয়গুলো নিষিদ্ধ করেছে। পূর্বসূরিদের অন্ধ অনুসরণ, গোঁড়ামি পরিহার করে ইসলামের উদার চিন্তা দর্শনের চর্চা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানুষ জ্ঞান-গবেষণা, চিন্তা-ভাবনা, নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে উন্নতি জাতির পরিবর্তন করতে পারে।

মানুষের সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টির পার্থক্য হল,  বৈজ্ঞানিক চিন্তা-ভাবনা এবং উদ্ভাবনী শক্তির মধ্যে। মানুষ নতুন নতুন সৃষ্টি করতে পারে। আর এই উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর প্রণোদনা দেয়া হয়েছে হাদীসে। এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলে আকরাম (সা.) চেষ্টা করতেন পথচলার ক্ষেত্রে যে রাস্তা দিয়ে একবার গেছেন বিকল্প থাকলে সেই রাস্তায় না যেতে।

মানুষের উচিত প্রতিদিনই নতুন নতুন পথের সন্ধান করা। দুটি পথ থাকলে তৃতীয় পথ  কী করে তৈরি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। এই চিন্তাকে জাগানোর জন্যই বারবার আহ্বান করেছে কোরআন।

যারা বিবেক আর জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ভাবতে পারার ইতিবাচক পথকে অবলম্বন করে আর যারা করে না, যারা প্রজ্ঞা ও বিবেককে ব্যবহার করে আর যারা করে না, তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলছেন :‘বল, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? (সূরা : আনআম : ৫০ )

যারা সত্যের জন্য বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগায় না, কোনোরূপ চিন্তা করে না, গবেষণা করে না তাদের কোরআনে মূখ, বধির, অন্ধ ইত্যাদি অভিধায় তিরস্কৃত করা হয়েছে। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (সূরা মুহাম্মদ : ২৪)

পবিত্র কালামে পাকের অমোঘ ঘোষণা- ‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রির আবর্তনের মধ্যে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ সবকিছু তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান ১৯০-৯১)

আল্লাহর স্মরণ ও সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা ও গবেষণার কারণেই অন্যান্য সৃষ্টির ওপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। অতএব মহাগ্রন্থ আল কোরআন চিন্তা ও গবেষণায় বিবেকবোধকে কার্যকর করার পয়গাম দিয়েছে। অনুভব ও উপলব্ধিকে কাজে লাগাতে বলেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী! বলে দাও, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত ১০১)

প্রকৃতি নিয়ে, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে, মহাজাগতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভেবে না দেখাকে আল্লাহ তায়ালা তিরস্কার করেছেন। কোরআনের ঘোষণা- ‘তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না, আল্লাহ আসমান ও জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুই যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রুম, আয়াত ৮)

তাই গবেষণা ও চিন্তাচর্চা ছাড়া ইহ বা পরকাল কোথাও সফলতার আশা করা যায় না। গবেষণা ও চিন্তাশীলতা ছাড়া পৃথিবীর কোনো জাতি সমৃদ্ধ হতে পারেনি। চিন্তা গবেষণার কল্যাণে পৃথিবী আজ এতদূর এগিয়েছে।

পরিশেষে আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের আমাদের পান্ডুলিপি আল্লাহর দলিল পেয়েও আমরা অন্যান্য ধর্মালম্বীদের মতো আগাতে পারছি না।

লেখক : একান্ত সচিব, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ, ঢাকা, বাংলাদেশ।