ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ’সংগ্রামী উদ্যোক্তাদের সাহসী পথচলা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে; অতি মুনাফালোভীদের কারণেই বৈষম্য তৈরি হচ্ছে -প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

পরিক্রমা ডেস্ক : সাবেক ত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক প্রফেসর ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ বলেছেন, সত্যিকারের উদ্যোক্তোদের কারনে অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরী হয় না, তৈরী হয় অতি মুনাফা লোভী ও অনৈতিক সুবিধা ভোগীদের মাধ্যমে যারা নীতি নিধার্রকমহলের আনূক’ল্যে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। অতি পুজি বাদের ফলে দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরী হয়েছে। তিনি গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান সম্পাদিত ’সংগ্রামী উদ্যোক্তাদের সাহসী পথচলাা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল, আইবিসিসিিআই এর প্রেসিডেন্ট এবং নিটোল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ, এলিট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজের পরিচালক শাইয়ান সিরাজ, এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ নাসির, বারডেমের প্রফেসর ইমিরিটাস প্রফেসর ড. হাজেরা মাহতাব, আরপি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মনীন্দ্র কুমার রায় প্রমুখ ।

ডি আইইউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বইটির উপর আলোকপাত করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে বইটির সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান তার প্রতিক্রিয়া বক্ত করেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনভির্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুঃফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রি এনোভেশন সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ আর ডি আই এর সহকারি পরিচালক সামিহা খান।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ আরো বলেন, দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩৫%। তবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটু ব্যতিক্রমী বলেই মনে হয়। এটি উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে বেকারত্ব কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। হাজারো প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ উদ্যোক্তাদের সমষ্টিক প্রয়াসেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের এ পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের রাজননৈতিক স্খলনের পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও স্খলন হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ীদের মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে ’সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’ এ যুক্ত হওয়ার আহবান জানান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জীবন চলার পথে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে পেশা নির্বাচন এবং সেক্ষত্রে তিনি অর্থের প্রাচুয্যর্তা কম থাকলেও নিজের ভালোলাগা ও পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে পেশা নির্বাচন করার আহ্বান জানান। আর জীবনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো বিয়ে, যার মধ্য দিয়ে সঙ্গীকে নিয়ে সারাজীবন একসাথে কাটাতে হবে। ফলে এখানেও যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, প্রচুর পরিমাণ উদ্যোক্তা তৈরি করা ছাড়া একটি দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ উদ্যোক্তারা নিজের জীবনের পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্টে্রর পরির্তন সাধন করেন এবং বিপুল পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। এভাবে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। তাই তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ’সংগ্রামী উদ্যোক্তাদের সাহসী পথচলাা’ ’ নামের এই গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন বলে জানান ড.মোঃ সবুর খান। এসময় তিনি আরো বলেন, ইন্ডাস্টি্র—একাডেমিয়ার সেতুবন্ধন তৈরিতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং সে লক্ষেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনার ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্যোক্তা তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম হয়েছে এবং টেকসই উন্নয়নে সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। আগামীতে পেটেন্টে বাংলাদেশে সেরা হওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ড. মোঃ সবুর খান ২০১৪ সালে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন নির্দশিকা’ শীর্ষক প্রথম বই লেখেন। এরপর দ্বিতীয় বই লেখেন ২০১৬ সালে ‘এ জার্নি টুওয়ার্ডস এন্ট্রাপ্রেনারশিপ’ নামে। এর এক বছর পর তিনি তৃতীয় বই লিখলেন ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও ব্যবসায় নির্দেশনা’ শিরোনামে। এবছর জানুয়ারীতে লেখেন ” পথিকৃৎ উদ্যোক্তাদের সংগ্রামী জীবন” আর আজ প্রকাশিত হলো ’সংগ্রামী উদ্যোক্তাদের সাহসী পথচলাা’ বইটি।




মতলব উত্তরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক আদি বাংলা’র প্রতিনিধি মমিনুল ইসলামের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হামলার সময় লাঠি সোটা, লোহার রড, দাড়ালো লোহার ছেনা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিক মমিনুল ইসলামকে হত্যা চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
হামলায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম এবং উপর্যুপরি কিলঘুষি মারায় বুকে ও মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন ওই সাংবাদিক। এখন মুমূর্ষু অবস্থায় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৫০মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে বাড়ি ফেরার সময় মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড়স্থ উপজেলা ভূমি অফিস এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্যান্য পথচারীরা এসে নিয়ন্ত্রণ করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন সাংবাদিক মমিনুল ইসলামকে। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনার পর থেকে নানাভাবে হুমকি অব্যাহত আছে। ফলে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নির্যাতনের শিকার ওই সংবাদকর্মী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে দিকে উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান কভারেজ দিয়ে মোটন সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘনিয়ারপাড় গ্রামের মৃত আ. গনি মোল্লার ছেলে মোঃ আমির হোসেন মোল্লা (৪৫), মৃত আ. মালেক মৃধার ছেলে মোঃ রাজিব মৃধা (২৮) ও মৃত জোহর আলী মোল্লার ছেলে মোঃ মিজান মোল্লা (৩৭)সহ তাদের সহযোগী ৬/৭জন লাঠি সোটা, লোহার রড, দাড়ালো লোহার ছেনা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হামলা করে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন যাবত অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সাথে নিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চুরি-ডাকাতি করে আসছে। চুরি, ডাকাতিসহ মাদক বিক্রিবস্থায় একাধিকবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও চুরির মামলা রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার কোন লোক প্রতিবাদ করিতে সাহস পায় না।

১০ নভেম্বর মিজান মোল্লাকে গরু চুরির ঘটনায় পুলিশ আটক করিলে, এই বিষয়ে আমার প্রকাশিত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি। তাছাড়া আমির হোসেন মোল্লা ও মিজান মোল্লার ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে, উক্ত ভিডিও আমি প্রকাশ করেছি, মিথ্যা সন্দেহ করে সকল হামলাকারী আমাকে প্রতিনিয়তই হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদ মোবারক জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সর্ব্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, সাংবাদিক মমিনুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মতলব উত্তরের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।




এনএসইউতে ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসীদের দুর্দশা বিষয়ক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস উপলক্ষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘সমুদ্রের ওপারে স্বপ্ন: ইউরোপে অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসনের বাস্তবতা উন্মোচন’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনার আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট হলে আয়োজিত এই সেমিনারে গবেষক, নীতিনির্ধারক এবং অভিবাসী অধিকার কর্মীদের অংশগ্রহণে এই বিপজ্জনক অভিবাসন প্রক্রিয়ার কারণ, ঝুঁকি এবং পরিণতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এনএসইউ’র সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্টাডিজ (সিএমএস) আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনএসইউ’র রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা। সেমিনারে তরুণ বাংলাদেশিদের অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলো তুলে ধরা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অভিবাসন প্রত্যাশীরা যে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তা প্রায়শই এজেন্ট, মধ্যস্বত্বভোগী (দালাল), মধ্যস্থতাকারী, পেশাদার চোরাচালানকারী এবং অপরাধী নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দেশে সুযোগ কমে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে এই ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসন প্রচেষ্টার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসেবে, বিশেষজ্ঞরা অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণার গুরুত্বের উপর জোর দেন। তারা অভিবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তাদের আইনী অবস্থা ও তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় এবং রক্ষা করে এমন নীতিগুলোর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মতো বিষয় মোকাবেলা করা অনিয়মিত অভিবাসন রোধের মূল কৌশল হিসাবে তুলে ধরা হয়। সেমিনারে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত অপরাধী নেটওয়ার্কগুলো নির্মূলে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের সুরক্ষায় তাদের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সেমিনারে ড. এস কে তৌফিক এম হক, ড. বুলবুল সিদ্দিকী ও ড. মাহমুদুর রহমান ভূঁইয়া সম্পাদিত ‘দ্য ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গাস: এ টেল অভ এ ভালনারেবল কমিউনিটি’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। রাউটলেজ ইন্ডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত বইটিতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও মানবিক চ্যালেঞ্জগুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে রোহিঙ্গা কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, শরণার্থী শিবিরে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার গতিশীলতা এবং চীনা ও ভারতীয় সংবাদপত্রে সংকটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের নীতি এবং প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টার বিস্তৃত প্রভাবও পর্যালোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার। এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা রোজানা রশীদ, এবং এনএসইউ’র এসআইপিজির সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট ও বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব অধ্যাপক শহীদুল হক।




১৬ ডিসেম্বর- মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা  

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় পার্টির গুলশান কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের আলেচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক- এস এম আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, লাখো শহীদের রক্ত মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে বিজয় দিবসে আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা- আজ আমাদের দেশের অবস্থা কেমন? গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানুষের জীবনমান কেমন?

সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি গোলাম মসীহ্ বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত নেতা পল্লীবন্ধু আলহাজ¦ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ ও বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সামনে রেখে দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সকলকে সমন্বয় করে আগামি দিনের জাতীয় পার্টি ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- যুগ্মআহবায়ক অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেন রাজু।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সাবেক এমপি-নুরুল ইসলাম মিলন, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, মজিবুর রহমান মুজিব, মজিবুর রহমান ডালিম, সাক্ষাওয়াত হোসেন, মনোয়ারা তাহের মানু, শারমিন পারভিন লিজা, আজমল হোসেন জিতু, তাহেরা মোশাররফ শোভা, জিয়াউল হক জুয়েল, ডাঃ নাসির উদ্দিন মোল্যা, কেয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, তৌহিদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান তাঁরা, নার্গিস আক্তার, মরিয়ম আমিনা, বাবু বিশ্বাস, নাসির উদ্দীন মুন্সী ও পারভেজ।




বাইউস্টে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ আর্মি  ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট)- কুমিল্লায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস ‍উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন (অব.)। উক্ত অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ নারী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় এবং দিবসের তাৎপর্য নিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের বাণী পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে, যোহর সালাতের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসের অন্যান্য সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.), বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।




বাঙালি জাগ্রত থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ : অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার

পরিক্রমা ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, বাঙালি স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখন দেশে সক্রিয়। তারা সুযোগ পেলেই দেশকে ভিন্ন দিকে নিতে চায়। তবে বাঙালি জাগ্রত থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

শনিবার বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

পুষ্পস্তবক অর্পণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ সহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইনিস্টিউটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক , স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।




নর্দান ইউনিভার্সিটিতে বিজয় দিবস উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : মহান বিজয় দিবস উদযপান উপলক্ষে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইউবি)-১৬ ডিসেম্বর, শনিবার এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। নর্দান ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাক ড. নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট লালন গবেষক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম।

বক্তাগণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু বিজয় দিবস উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না, বরং বিজয়ের রং হৃদয়ে ধারণ করতে হবে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করতে হবে তবেই তোমাদের মধ্যে দেশপ্রেম যথাযথভাবে কাজ করবে।

এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমডোর এম মুনিরুল ইসলাম (অব:), বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহান বিজয় দিবস উদযাপন

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধায়-স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে কর্মকর্তাদের নিয়ে ঢাকার মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, প্রকল্প পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের এমডি, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ বছরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরসহ সারা দেশের সকল বিভাগীয় অফিস, জেলা অফিস এবং ফায়ার স্টেশনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২.০১ মিনিট থেকে ফায়ার সার্ভিস-এর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ডকুমেন্টারি আপলোড করা হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে এবং সদর দপ্তরে ‘বঙ্গবন্ধু ও আমাদের স্বাধীনতা’ শিরোনামে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুপুরে দেশের সকল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে সকল সদস্যের জন্য বড়খানার আয়োজন করা হয়। আসর নামাজ শেষে সকল মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ দিন বিকেলে পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অধিদপ্তর ও ট্রেনিং কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবস প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়েসারাদিনের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশের বিভাগীয়, জেলা অফিসসমূহ ও সকল ফায়ার স্টেশনে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।

খবর: ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।




যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপন করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

পরিক্রমা ডেস্ক : ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সকল স্তরের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। সহকারী প্রক্টর মেসবাউল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে এনএসইউর পক্ষ থেকে একটি দল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এনএসইউ বিএনসিসি’র সমন্বয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এনএসইউ’র বিভিন্ন ক্লাবের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়।




বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড-এর শ্রদ্ধা নিবেদন

পরিক্রমা ডেস্ক : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন৷ বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন৷ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সকাল ৯ ঘটিকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু-এর নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ শহীদুল ইসলাম, মোঃ শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, সিপিএ, প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ডিএসই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।