বিজ্ঞান জাদুঘরে ব্যাপক অনুষ্ঠান : ‘তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও সততা শেখাতে হবে’

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনা ভিত্তিক এক বর্ণাঢ্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক শিশু কিশোর অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “দেশপ্রেম কি, তার
চেতনা শৈশব থেকে মনে গ্রথিত করতে হবে। পিতামাতা যদি আদর্শবান না হয়, তবে সন্তানরা আদর্শবান হবে কিভাবে? কাজেই সন্তানদের সামনে অভিভাবকদের সততা, সাম্য ও দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সমাজে সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। যে মূল্যবোধ ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনেক রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তা আমরা হারিয়ে ফেলছি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি কাজে, পদক্ষেপে ও চিন্তাধারায় সততা, শুদ্ধতা ও দেশপ্রেমের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী আরও বলেন, “শিশুদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না। তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখবেন না। অতি যান্ত্রিকতা, অতি বিলাসিতা ও অতি আরামপ্রিয়তার মধ্যে সন্তানদের ডুবিয়ে রাখবেন না। তাদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ ও নীতি নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য আদরে ও শাসনে রাখতে হবে। দেশের মেধাবী সন্তানদের ইউরোপ বা আমেরিকা যাবার জন্য লোভ বা মোহ তৈরি করবেন না। প্রাকৃতিক পরিবেশে অবগাহন এবং দেশীয় খাবারের চর্চা বাড়াতে হবে। মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। সুতরাং দেশকে গড়ার ও দেশের সমৃদ্ধির মহৎ লক্ষ্য নিয়ে সন্তানদের বিজ্ঞানী, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিসিএস কর্মকর্তা ও সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারও সাথে বৈষম্য হচ্ছে কিনা, তা’ তাদের বোঝাতে হবে। বৈষম্য থেকে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয় এবং সামাজিক বন্ধন ধ্বংস হয়ে যায়, তখন একটা জাতি দুর্বল হয়ে যায়।” এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন শিশুকে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিজয়ী করে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া
প্রত্যেক প্রতিযোগীকে জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।




আজ মহান বিজয় দিবস

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস, বীরের জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশের দিন, পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ নাম প্রতিষ্ঠার মাইলফলকের দিন। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিন অপরাহ্ণে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বীর যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করার পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। একপর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত, নিরীহ, নিরস্ত্র সাধারণ বাঙালির ওপর চালায় মানব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম গণহত্যা। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে। এর আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে হানাদারদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে অর্জিত হয় চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরাক্রমের কাছে মাথা নত করে পাকিস্তানি ঘাতক দল। পৃথিবীর বুকে অর্ধশত বছর আগের এই দিনে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বাঙালি ঊর্ধ্বলোকে তুলে ধরে প্রাণপ্রিয় লাল-সবুজ পতাকা।

১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি সরকার এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশের বিজয়ের এই দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। ওই বছর থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। একই সঙ্গে দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। সে মোতাবেক আজ সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন; সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলোয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোয় জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।

আজকের দিনে নতুন করে ফের বিজয় উল্লাসে ভাসবে দেশ, আনন্দে উদ্বেলিত হবে জাতি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে ছড়াচ্ছে বিজয়ের আনন্দ। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপনে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

ভোরে ঢাকার তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা ঘটবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করবে। এ ছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হবে।

মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোয় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন এবং দেশের সব শিশু পার্ক ও জাদুঘরগুলোয় বিনা টিকিটে প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সকাল ৮টায় গণভবনে ডাক বিভাগের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন। বেলা সাড়ে ৩টায় তিনি বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।




এনএসইউতে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩

পরিক্রমা ডেস্ক :নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অমূল্য অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।প্রফেসর ড. এম ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকালে ধানমন্ডির রায়ের বাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এনএসইউ বিএনসিসি’র সমন্বয়ে এই ইভেন্টে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এনএসইউ’র বিভিন্ন ক্লাবের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনীর আহমেদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনি আরমা দত্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুর রব খান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসইউ’র অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন। ১৪ ডিসেম্বরের সহিংসতা তুলে ধরে আরমা দত্ত বলেন, আমাদের মূল্যবান শিক্ষাবিদদের জীবন যেভাবে কেড়ে নিয়েছিল তা স্মরণ করা হৃদয় বিদারক। তাদের অনুপস্থিতি আমাদের ভেতরে গভীর শূন্যতা তৈরি করে। তারা অনুপ্রেরণার একটি স্থায়ী উত্স হিসাবে তারা আমাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

জনাব জাভেদ মুনির আহমেদ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি তাঁদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও চেতনাকে মনে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অধ্যাপক ড. আবদুর রব খান।




একজন গুণী মানুষ ছিলেন আবু ছাইদ খান

পরিক্রমা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের একটি সুপরিচিত নাম আবু ছাইদ খান। তিনি সবার প্রিয় মুখ ছিলেন। ছাইদ খান বা খান সাহেব নামেই সবাই তাকে ডাকতেন। সহজ-সরল, সাধারণ জীবন-যাপন করতেন তিনি। তিনি ছিলেন আত্মনিবেদিত একজন মানুষ। কোন লোভ, কোন মোহ তার মধ্যে ছিলনা। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন, মানুষও তাকে আপনজনের মতো ভালোবাসতেন। এই ভালোবাসার মাঝে কোন খাদ ছিল না। তার বাবা আব্দুস সামাদ খানও ছিলেন এলাকার নামকরা বিচারক।

আবু ছাইদ খান সিরাজগঞ্জ জেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র- জীবন থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের ছাপ ছিল। গত ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর এর এই দিনে দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁর সন্তানগন প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। একাধারে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও এলাকায় সামাজিক কর্মকান্ডে তার অবদান ছিল চোখে পরার মত। এলাকায় ন্যায় পরায়ন বিচারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ছোট বড় সবাইকে তিনি শ্রদ্ধা ও ভালবাসতেন অন্তর থেকে।

তিনি আজীবন মানুষের খেদমত করে গেছেন। বিশেষ করে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তাঁর অবদান এলাকাবাসী কোনোদিন ভুলবে না। এলাকার কোন সমস্যা দেখা দিলেই ছুটে যেতেন। তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময়ে এলাকায় কোন বিরোধ বা সংঘর্ষ দেখা দিলে দৌড়ে যেতেন এবং মানুষও তাকে মানতেন মুরুব্বী হিসেবে, যত বড় সংঘর্ষইহোক না কেন মাঝখানে দাড়ালে দুই পক্ষ থেমে যেতেন। এই মানুষটি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও কোন সাটিফিকেট নেননি। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের অংশগ্রহণটাও কারো কাছে জাহির করতেন না। ছিল না কোন জাগতিক চাহিদা, নিরহঙ্কার ও সাদাসিধে টাইপের একজন স্বজ্জন মানুষ ছিলেন। তাঁর কথায় ও আচরণে সবসময় স্নেহ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ফুটে উঠতো। আমিসহ আমাদের পরিবারের অনেকেরই শিক্ষাগুরু। আমার প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি তার হাতে। রাজীবপুর ইছামতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তার কর্মজীবনে অবসরে যান। তিনি ছাত্রদেরকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন আবার শাসনও করতেন। মনে পড়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সার্কুলারটিও তিনি আমাকে সরবরাহ করেছেন।

তিনি খুবই জ্ঞানী, সচেতন ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর কাজে-কথায় ও চিন্তায় ছিলো রুচির ছাপ। এলাকার মানুষ তাঁর কাছে অনুপ্রেরণা, আশ্রয় ও যে কোনও বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান পেতেন। তিনি ছিলেন মাজলুম হৃদয়ের বন্ধু এবং জুলুমের বিরুদ্ধে আপোষহীন কন্ঠ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী আবু ছাইদ খান তার সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ক্ষমতার অনেক কাছাকাছি থেকেও কখনো ক্ষমতার দাপট দেখাননি- এটাই ছিল তার জীবনের অন্যতম বড় দিক। তাঁর মৃত্যুতে শুধু আপনজনই কেঁদেছিল না কেঁদেছিল এই এলাকা-বাসীও। হাজার হাজার মানুষের জনস্রোত এসে মিশে গিয়েছিল তার জানাজায়। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে হাজারো মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন। তাঁকে হারিয়ে আজ পুরো এলাকাটা মুরুব্বিশূন্য। এলাকায় কোনো বিপদ -আপদ দেখা দিলে এখনও তার অভাবটাই প্রথমেই আলোচনায় আসে।

নিজ থানার গন্ডি অতিক্রম করে কয়েকটি থানায় তার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পরিবেশ শান্ত রেখেছেন। এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে স্বেচ্ছায় রাস্তাঘাট তৈরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।

তার এই সততা, এই আদর্শ, ন্যায় বিচার,গণতান্ত্রিকতা আমাদের নতুন প্রজন্মকে সত্য, সুন্দরের চেতনায় উদ্ভাসিত করবে চিরদিন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর আজীবনের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন, মানবিক ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো মেহেরবানী করে ক্ষমা করুন এবং চূড়ান্ত পুরষ্কার হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।




শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশের মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। স্বাধীন বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও নতুন রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। বাঙালি জাতি যাতে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বর বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তালিকা করে হত্যা করা হয়।

ঘাতকদের হাতে সেদিন দেশের যেসব সূর্যসন্তান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, তাদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুল্লা কায়সার, জহির রায়হান, গোবিন্দচন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, ফজলে রাব্বী, আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ আরও অনেকে। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের (বুদ্ধিজীবীদের) আত্মত্যাগ সার্থক হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি এবং যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রাখেন।’

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ’৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদীচক্র এবং দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।




মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস রকেটের মাধ্যমে প্রিমিয়াম জমার সুবিধা নিয়ে এলো জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

পরিক্রমা ডেস্ক : জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর বীমা গ্রাহকগণ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস-বিকাশ/নগদের পাশাপাশি এখন থেকে রকেটের মাধ্যমেও ডেফার্ড এবং নবায়ন প্রিমিয়াম জমা করতে পারবেন। এর ফলে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর বীমা গ্রাহকগণ আরো দ্রুত ও সহজে প্রিমিয়াম জমা করতে পারবেন। মোবাইল ফিন্যানিন্সয়াল সার্ভিস ছাড়াও নিদিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপ-শাখায় গিয়ে ব্যাংকের জমা স্লিপের মাধ্যমেও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর গ্রাহকগণ প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে পারবেন।




বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে বিজ্ঞান জাদুঘরের ভূমিকা অনন্য : সেমিনারে বক্তারা

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরকে বিজ্ঞান শিক্ষার অনন্য কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে এর কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। আজ (১৩.১২.২০২৩খ্রি.) বিজ্ঞান জাদুঘরে এক অংশীজন সভা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “শুধু প্রযুক্তি নিয়ে পড়ে থাকলে স্থবিরতা চলে আসে, যে কারণে প্রযুক্তির সঙ্গে প্রকৃতি ও সবুজের সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান জাদুঘর অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে।” তিঁনি বলেন, “আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে তরুণ প্রজন্ম। সে কারণে তরুণদের বিজ্ঞান শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।” জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “প্রতিনিয়ত জাদুঘরকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে এবং তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান সম্মত খাদ্যাভাস,পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধসহ সমসাময়িক বিজ্ঞানের উপরে বিজ্ঞান চর্চায় এবং উদ্ভাবনী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। রাতারাতি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করে সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের পাশাপাশি স্রষ্টাকে চেনা, জানা এবং স্রষ্টার আনুগত্য মেনে এবং প্রাকৃতিক শৃঙ্খল অক্ষুণ্ণ রেখে চলতে হবে।” অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমরান হোসেন, হার পাওয়ার প্রজেক্টের উপ-পরিচালক নীলুফা ইয়াসমিন, বাপেক্স’র ডিজিএম রওশনুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার রায়হানা আজহার স্বর্ণা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী , শিক্ষক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।




আল্লাহর কোরআন ও নবীর হাদিস অনুযায়ী নিজেকে সুধরিয়ে নিতে হবে

মোঃ রফিকুল ইসলাম : ১৯৮৪ সালে ঢাকায় একটি চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস ফার্মে অডিট সহকারী হিসাবে যোগদান করি। উক্ত ফার্মে কাজ করার সুবাদে বহু অফিসে যেতে হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা হয়েছে এবং অনেক কোম্পানী অডিট করেছি। অনেক কোম্পানী ইনভেষ্টিগেশন করেছি। তাই আমার সেই পুরাতন কোম্পানীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আমার সেই শ্রদ্ধাভাজন স্যারকে ধন্যবাদ এবং দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁকে নেক হায়াত দান করেন। আমিন।

সেই সময় এবং আজকের সময়ের পার্থক্যটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি, যাতে সহজে বুঝতে পারেন। মানুষ পর্দার আড়ালে লুকিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করে যা মানুষের সামনে আসে না যার ফলে সাধারণ মানুষ যাচাই করতে পারে না।

আজকে আমার সেই পূর্বেকার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি। সেই সময় অফিসে যহরের নামাজে হাতেগোনা কয়েকজন বা কেউ কেউ একাএকি নামাজ আদায় করেছেন। সই সময়ে মানুষ এত বেশী ধর্ম কর্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিল না। তবে তাদের মধ্যে সততা, ভালোবাসা, সহযোগীতা ছিল। কোন কাজে গেলে কাজটি হাসি মুখে করে দিতো।

বর্তমানে প্রতিটি অফিসেই জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করেন। কোন কোন অফিসে নামাজের জামাত দুই তিন/বার হয়। মানুষের মুখ ভর্তি দাঁড়ি আবার কারো মাথায় টুপি আবার কেউ কেউ পায়জামা পাঞ্জাবি পড়ে অফিস করেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য আজকে তাদের মধ্যে সততা, ভালোবাসা, সহযোগীতা, মানবতার অভাব দেখা দিয়েছে। তাহলে মানুষ কি দিন দিন ধার্মিক হয়ে যাচ্ছে, না কি ঘোমরাহী হয়ে যাচ্ছে? না কি ধর্ম ব্যবহার করে অপকর্মের দিকে ধাবিত হচ্ছে তার কিছু নমুনা উপস্থাপন করছি।

১। কোন কাজের জন্য কোন সরকারী অফিসে গেলে দেখবেন সবাই নামাজ পড়ছেন। আবার কেউ হজ্জ করেছেন। দেখতে একজন মাওলানা। আপনার কোন কাজের ব্যাপারে বলতেই দেখবেন মোরামুরি করেন, কারণ ঘুষ না দিলে আপনার কাজটি হবে না। সরকারী কর্মকর্তাগণ ঘুষ ছাড়া কিছুই বুঝেন না। অথচ নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কালো দাগ এবং মুখে দাঁড়ি। আজকাল এটা তাদের লেবাজ মাত্র।

২। আগেকার তুলনায় বর্তমানের মানুষ বেশী পরহেজগার, ওয়াজ মাহফিলে যায়, তাবলিক করেন, ধর্মকর্ম করেন। মুখে দাঁড়ি রাখেন, অথচ রমজান মাস এলে জিনিসপত্রের দাম দশগুন, বিশগুন বা আরও অধিক গুন বাড়িয়ে দেন- এর কারণ কি? তবে কি মানুষ পর্দার আড়ালে শুধু লোক দেখানো লেবাজ দেখাচ্ছেন?

সার কথা প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স:) এর বাণী শেষ জমানায় মানুষের মধ্য থেকে সততা, ভালোবাসা, মানবতা উঠে যাবে। মসজিদগুলো চাকচিক্যে মসজিদ তৈরী করবে। আলেমদের মধ্যে আধুনিকতার ছাপ দেখা দিবে। আলেমেগন টাকার বিনিময় কোরআন শিক্ষা দিবে। সুউচ্চু বিল্ডিং তৈরী হবে। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা থাকবে না। টাকার মান কমে যাবে। আজকে তাই দেখা দিচ্ছে।

অতএব এরথেকে বাঁচতে হবে পাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। পাপমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। নিজেকে সুধরানোর জন্য নিজেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে, যেমন: পাপ করবো না, কোন মিথ্যা বলবো না, নিজে ঠকবো না, অপরকেও ঠকাবো না, বিপদে মানুষের পাশে থাকতে হবে। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স:) এর বাণী “আল্লাহর কোরআন এবং নবীর হাদিস আকরিয়ে ধরতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে। তবেই ঈমান নিয়ে মরতে পারবো। আল্লাহ আমাদের সকলকে আল্লাহর কোরআন এবং নবীর হাদিস অনুযায়ী চলার তৌওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : মোঃ রফিকুল ইসলাম; একান্ত সচিব, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ, ঢাকা, বাংলাদেশ।




রাজধানীতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তরন ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক :১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার রাজধানীর বনি আমিন এজেন্সী অফিসে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তর ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বীমা গ্রাহক মরহুম হিরন মিয়ার মৃত্যুদাবীর চেক তার স্ত্রী ও নমিনী মোসাঃ সুফিয়া বেগম এর নিকট হস্তান্তর করেন কোম্পানির মাননীয় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ডিএমডি (উঃ) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ডিজিএম (উঃ) নাছিমা বেগম, বিএম রূপা আক্তার শিউলী ও অঞ্জনা আক্তার খাতুন।

সভার সভাপতিত্ব করেন বনি আমিন এজেন্সী অফিসের ইনচার্জ ও জিএম (উঃ) মোঃ বনি আমিন হাওলাদার। সভায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাছাইকৃত উন্নয়ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।




৬১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগেরনব নবনির্বাচিত সভাপতি: মো:মাশুক রানা সরকার।

 

গত ২৯-১১-২০২৩ তারিখ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের আওতাধীন যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত ৬১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং সেই সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।সেই কমিটির সভাপতি পদ পেয়েছেন ৬১ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা মোঃ মাশুক রানা সরকার।