চুয়েটে “ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া ও চাকরিপ্রত্যাশীদের সাথে স্কিল-গ্যাপ হ্রাসকরণ” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে এবং এটুআই ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় “ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া ও চাকরিপ্রত্যাশীদের সাথে স্কিল-গ্যাপ হ্রাসকরণ” (Workshop on Minimizing the Skill Gap among Industry, Academia and Job Seekers) বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১১ই ডিসেম্বর (সোমবার) ২০২৩ খ্রি. বিকাল ৫:০০ ঘটিকায় শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী জনাব উৎপল বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যারিয়ার ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

-চুয়েটে ”ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া ও চাকরিপ্রত্যাশীদের সাথে স্কিল-গ্যাপ হ্রাসকরণ” বিষয়ক কর্মশালায় মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্যারিয়ার ক্লাবের সদস্য ও পুরকৌশল বিভাগের ‘১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাইশা নাওয়ার, ইয়াকিন রমিজ ও জোহায়ের মাহতাব। অনুষ্ঠানের শুরুতে “বাংলাদেশের চাকরির বাজার” নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন এটুআই-এর স্ট্র‍্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন বিশেষজ্ঞ জনাব এইচ.এম. আসাদ-উজ-জামান। এতে চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাবের সকল সদস্য এবং বিভিন্ন বিভাগের আগ্রহী বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। উক্ত কর্মশালায় একেএস লিমিটেড, ওয়াটার লাইফ টেকনোলজি, ওমেরা ফুয়েলস লিমিটেড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইউনিলিভার, শাং-শিং সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রাণ গ্রুপ, কেএসআরএম, ইউনিটেক্স গ্রুপ, নাভানা গ্রুপ, ওয়ালটন ডিজি-টেক, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড, বিএসআরএম, জেনসন অ্যান্ড নিকোলসন বাংলাদেশ লিমিটেড প্রভৃতি শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাঁদের প্রত্যাশিত কর্মদক্ষতা ও স্কিলের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন।




বাইউস্ট ইইই বিভাগ ও ব্র্যাকনেট লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট)-এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ব্র্যাকনেট লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সমঝোতো স্মারকের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্র্যাকনেট লিমিটেডের অধীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেইনিং এবং ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করতে পারবে। এছাড়াও দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা সহযোগীতার সুযোগ তৈরি হবে।

উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইউস্টের উপাচার্য কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন মিয়া (অব.), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.), এবং আইকিউএসির ডাইরেক্টর প্রফেসর ড. কে আহমেদ আলম।

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. কামরুজ্জামান ও ব্র্যাকনেট লিমিটেডের জিএম মোকাররম হোসেনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পার্টনারশিপস অ্যান্ড অ্যালায়েন্স কো-অর্ডিনেটর ‍সাব্বির হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইইই বিভাগের প্রভাষক ড. সামি আজাদ, মো. নাহিদুল আলম এবং ব্র্যাকনেট লিমিটেডের সিনিয়র সলিউশন আর্কিটেক্ট শাফায়েত আহমেদসহ ব্র্যাকনেট লিমিটেড এবং বাইউস্টের অন্যান্য অনুষদ সদস্য এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।




বিপিএল শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসর শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি থেকে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএলের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হবে। প্রথম পর্ব শুরু হবে যথারীতি ঢাকায়।

প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ঢাকা। প্রথম দিন রাতের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।দিনের ম্যাচগুলো শুরুর সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। আর রাতের ম্যাচগুলো শুরুর সময় ধরা হয়েছে ৬টা ৩০ মিনিট।

তবে শুক্রবার ৩০ মিনিট পরে শুরু হবে দিন আর রাতের ম্যাচগুলো। ঢাকা থেকে এরপর সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম হয়ে শেষ পর্বে আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। ফাইনাল হবে ১লা মার্চ।



রাজধানীতে ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উদযাপিত

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি.
শুধুমাত্র আলোচনা ও সভা-সিম্পোজিয়াম করে ঘরের মধ্যে বন্দী থেকে দিবস উদযাপন করলে চলবে না। দিবসটিকে শুধু ১১ ডিসেম্বরের জন্য না রেখে একে কেন্দ্র করে ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে একটি ক্লিয়ার প্রোগ্রাম অনুসরণ করে সারাবছরব্যাপী বড় পরিসরে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পাহাড়কে বাঁচানোর জন্য আমাদের কী করণীয় তা আমাদের দেখতে হবে এবং তার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের নিজেদের বাঁচার তাগিদেই প্রকৃতিসৃষ্ঠ পর্বত, পরিবেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য গাইডলাইন আছে। কিন্তু আমরা হয়তো মানছি না। পর্বত ও এর আশেপাশের বিনষ্ট পরিবেশকে কীভাবে রিডিউস করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে বেশি বেশি ভাবতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের।

আজ রাজধানীর বেইলী রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্র্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সচিব মশিউর রহমান এনডিসি আরও বলেন, জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আমরা দিবস পালন করে থাকি। তিনি বলেন, দিবসগুলো পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো যে বিষয়গুলোর উপর দিবস পালিত হয় সে দিবসগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। এর জন্য ক্রোড়পত্র প্রচার করা, বিশেষ সংবাদ প্রচার করা, সভা করা, সেমিনার করা, র‌্যালি করা ইত্যাদি মূলতঃ জনসচেতনতার জন্য ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এসব করা হয়। সচিব মশিউর রহমান বলেন, দেশের পাহাড় টিলাগুলোকে রক্ষা করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ দেশের সকল নাগরিকেরই পজিটিভ মনমানসিকতা রয়েছে। দেশের বৃহৎ উন্নয়নের স্বার্থে যদি কিছু অংশে ক্ষতিগ্রস্থতার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সে ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় তা ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে নির্ধারণ করে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে সকলকিছুই সকলের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করা উচিত। প্রকৃতি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোকে সায়েন্টিফিক ইভিডেন্স ও ডেটা আমাদের কাছে আছে। তবে এই সায়েন্টিফিক ইভিডেন্স ও ডেটা থাকলেই হবে না, এগুলোকে একত্রিত করে পলিসিতে ট্রান্সলেট করতে হবে। এটা শুধু বলার জন্য নয়, বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো করে রাখার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ আধার বলা হয় পর্বতকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসটি ১১ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় Restoring mountain ecosystems ‘পর্বত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা’। বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা পর্বত রক্ষায় বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি এবং সভাটির সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র চীফ টেকনিক্যাল স্পেশিয়ালিস্ট ড. রাম শর্মা, এফএও-এর ন্যানাল কনসালটেন্ট প্রোগ্রাম অনিল কুমার দাস, হেলেন কিলার-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মিজ হেন হেন। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য উল্লেখ করে আরও বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি ট্রাইবাল রিফিউজি এ্যাফায়ার্স টাস্কফোর্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইশরাত পারভীন ইমা।




আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২৩ এর প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ

মো: রেজুয়ান খান : ১১ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। মানুষের জীবনে পর্বতের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর মোট স্থলভাগের এক চতুর্থাংশের চেয়েও বেশি প্রায় ২৭ শতাংশ জায়গা জুড়ে আছে বিস্তৃত পর্বতরাশি। এ পর্বতরাশি থেকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছেন পৃথিবীর ২২ শতাংশ মানুষ। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যুগের পর যুগ পর্বত হতে আহরিত সম্পদ দ্বারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে।

পর্বতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার কৌশল হিসেবে সারাবিশ্বে পর্বত দিবস পালিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে পর্বত দিবস উদযাপন করা বেশিদিন আগের কথা নয়। যতদুর জানা যায়, ১৮৩৮ সালে পর্বত দিবস প্রথম পালন করার আভাস পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট হোলিওক কলেজের ছাত্ররা ঐ অঞ্চলের পর্বতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ক্লাস বর্জন করে হোলিওক পর্বতের দিকে যাত্রা শুরু করে। পরে ১৮৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ কলেজ পর্বত দিবস উদযাপন করে। যুক্তরাষ্ট্রের জুনিয়েতা কলেজ তাদের পর্বত দিবসের ঘোষণা দেয় ১৮৯৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্বাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিভাবে তাদের পর্বত দিবস পালন করা শুরু করে। জনজীবনে পর্বতের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা অনুধাবন করে ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর ‘আন্তর্র্জাতিক পর্বত দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা হয়। সেই প্রথম ২০০৩ সালের ১১ ডিসম্বর সারা পৃথিবীতে ‘আন্তর্র্জাতিক পর্বত দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছর দিবসটির গুরুত্বকে অনুধাবন করে একটি থিম নির্ধারিত হয়ে থাকে।

এবারের ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের থিম “Restoring mountain ecosystems” ‘পর্বত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। Ecosystem সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা হচ্ছে- জৈব, অজৈব পদার্থ ও বিভিন্ন জীবসমন্বিত এমন প্রাকৃতিক একক যেখানে বিভিন্ন জীবসমষ্টি পরস্পরের সাথে এবং তাদের পারিপার্শ্বিক জৈব ও অজৈব উপাদানের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জীবনধারা গড়ে তোলা। এ ধরনের জীব ও তার পরিবেশের পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক মিথস্ক্রিয়ায় গড়ে ওঠা উপাদানকে বাস্তুবিদ্যা বা ecology বলে। আর Restoring মানে পুনরুদ্ধার করা।

২০২১-২০৩০ এই এক দশকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির আওতাধীন পর্বতগুলোকে সম্পূর্ণরূপে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রতিপাদ্য হিসেবে Restoring mountain ecosystems নির্বাচন করা হয়েছে। রাজনৈতিক সমর্থন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং আর্থিক সংস্থানগুলির সমন্বয়ে এই এক দশকে পর্বতগুলোকে বাস্তুগতরূপে পুনরুদ্ধার করার একটি প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

জীবজগতের এক বৃহৎ পরিসরের সবুজ ও বাহারি গাছপালা, বিভিন্ন প্রজাতি এবং বিভিন্ন ভাষা, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিগতভাবে বিচিত্র সম্প্রদায়ের মানুষ পর্বতগুলোর আশেপাশে বসতি স্থাপন করে জীববৈচিত্র্যতা গড়ে তুলে প্রকৃতসৃষ্ট পর্বতগুলোকে যেন মিতালীর বন্ধনে জড়িয়ে রেখেছে। বিশ্বের জীববৈচিত্র্যময় হটস্পটগুলির প্রায় অর্ধেকই এই পর্বতরাশি। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ পর্বত থেকে মিঠা পানি পেয়ে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, বৃক্ষরাজি ধ্বংস, পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি, জনসংখ্যার আধিক্য, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ন এবং পর্বতের তুষার ও ভূমিধ্বসসহ নানা ক্ষয়ের কারণে প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মক বিপযয়ের মুখে পড়ে প্রকৃতিসৃষ্ট পর্বতগুলো হুমকির মুখোমুখিতে দাঁড়িয়ে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পর্বতগুলোর নেতিবাচক প্রভাবের কারণে প্রায়শ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাহত হচ্ছে। যার দরুন মানুষকে প্রতিনিয়ত জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন পানির প্রবাহকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং দ্রুত ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা পাহাড়ের বিভিন্ন প্রজাতি এবং এই বাস্তুতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল মানুষদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করতে বাধ্য করছে। বসতি বা অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য জঙ্গল পরিষ্কার করা, পর্বতের খাড়া ঢালে কৃষিকাজ করায় প্রতিনিয়ত মাটির ক্ষয় হচ্ছে এবং এর ফলে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা আবাসস্থলগুলো প্রায়শই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাটি অবক্ষয়ের কারণে নিচের দিকে প্রবাহিত পানির গুণমানকে বিনষ্ট করছে। এভাবে ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে পাহাড়ী উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাবে এবং স্থানীয় পর্বত প্রজাতির প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বিলুপ্তির মুখোমুখি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা পৃথিবীর পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

২০২২-২০৩০ সালের মধ্যে Restoring mountain ecosystems (‘পর্বত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা’) এর মাধ্যমে পাহাড়ের ল্যান্ডস্কেপগুলিকে পুনরুজ্জীবিত এবং রক্ষা করাসহ পৃথিবীর ৩০ শতাংশ ভূমি, মহাসাগর, উপকূলীয় অঞ্চল এবং অভ্যন্তরীণ পানি রক্ষা করার মতো আশা সঞ্চারের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং পানি সরবরাহ পরিষেবা থেকে শুরু করে মাটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংরক্ষণ পর্যন্ত, পর্বতগুলি আমাদের জীবন এবং জীবিকার অবলম্বন হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদও সম্প্রতি টেকসই পর্বত উন্নয়নের ত্রিবার্ষিক রেজোলিউশনে ২০২৩-২০২৭ “পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে পাঁচ বছরের কর্মসূচি” ঘোষণা করেছে। এর প্রকৃত উদ্দেশ্য হল পাহাড়ের জন্য অনুদান সহায়তা এবং বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা, “সবুজ” অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ, পার্বত্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার প্রক্রিয়া তৈরি করা এবং টেকসই পর্বত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও শিক্ষার বিকাশ ঘটানো এ কর্মসূচির একটি উদ্দেশ্য।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে রেখেছে। এই পাহাড়ি প্রকৃতির মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবন সংস্কৃতি ও কৃষ্টি স্বমহিমায় অনন্য করে তুলেছে। বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের পাহাড়ি মানুষের জীবমান উন্নয়নে ও পার্বত্য প্রতিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর আওতায় রয়েছে ভিলেজ কমন ফরেস্টগুলো সংরক্ষণ করা, রিজার্ভ ফরেস্ট ও প্রটেকটেড ফরেস্ট বৃদ্ধি করা, ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট গড়ে তোলা, বনের ওপর নির্ভরশীল অধিবাসীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধিতে এসব কর্মসূচি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। সরকার পার্বত্য তিন জেলার ২৬টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। কমিউনিটি সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পাড়াকেন্দ্র, ছাত্র হোস্টেল, অনাথ আশ্রমকেন্দ্র ও এতিমখানা বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা, টেলিযোগাযোগ সুবিধা সহজলভ্য করা হয়েছে। পাহাড়ি সাধারণ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পুষ্টি, সেনিটেশন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধির ফলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। পার্বত্য এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন ও পর্যটন প্রসারে সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় ০৪টি পর্যটন স্পটের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর পশ্চাৎপদ অঞ্চল নয়, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় এটি এখন উন্নয়নশীল জনপদ, যা দর্শনীয় পর্যটন স্থলে পরিণত হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তির বদৌলতে।

তথ্য সূত্র : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য Restoring mountain ecosystems সংক্রান্ত সিনোফসিস ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন শীর্ষক পুস্তিকা থেকে সংগৃহীত।




রাজধানীতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর বর্ষ সমাপনী উন্নয়ন সভা ও কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক :০৯ ডিসেম্বর-২০২৩ শনিবার দিনব্যাপী রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের ইআরএফ মিলনায়তনে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর বর্ষ সমাপনী উন্নয়ন সভা ও  কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সভাপতিত্ব করেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কোম্পানির ভিপি ও প্রধান (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা)  মোঃ তোফাজ্জেল হোসাইন মানিক। প্রোডাক্ট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এসভিপি (এ্যাকচুয়ারিয়াল ডিপার্টমেন্ট) মোঃ শাহাদাত হোসেন হাজারী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের ভিপি ও ইনচার্জ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সকল সংগঠন প্রধান ও সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত প্রায় শতাধিক উন্নয়ন কর্মকর্তা। সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সকলকে ডিসেম্বর-২০২৩ ক্লোজিং সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।




আজ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ ১০ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন। দিনটি ঘিরে পাবনার বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সত্তর দশকে তিনি গলি থেকে রাজপথে স্বাধিকারের জন্য আন্দোলন করেছেন। ছাত্র-যুবদের অধিকার আদায়ে সবসময় ছিলেন সোচ্চার। সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, আইন পেশা, বিচারক, দুদকের কমিশনার হয়ে সর্বশেষে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্য হন। তিনি ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য।

মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরে জুবিলি ট্যাঙ্ক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শরফুদ্দিন আনসারী, মা খায়রুন্নেসা। রাধানগর মজুমদার একাডেমি থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি পাবনা শহীদ আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র তিনিই উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।

ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর তিনি ১৯৬৭-৬৮ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৯-৭০ সালে অবিভক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ১৯৭০-৭৩ সালে বৃহত্তর পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাবনা টাউন হল ময়দানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারীদের মধ্যে মো. সাহাবুদ্দিন ছিলেন অন্যতম। তিনি পাবনা জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে পাবনা জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে মনোনয়ন দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মো. সাহাবুদ্দিন পাবনায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মিছিলে নেতৃত্ব দেন। পরে ২০ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিন মাস তিনি সেনা ক্যাম্পে নির্যাতনের শিকার হন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তিন বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে তিনি মুক্তি পান।

সে সময় তিনি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার পাবনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য হন। তিনি ১৯৮০ সালে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি কিছুদিন শহীদ বুলবুল কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিচার) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। তিনি চাকরিকালীন অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মূল্যায়নে উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম স্থান অধিকার করেন। শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাকে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মো. সাহাবুদ্দিন জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসর নেন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইন পেশায় প্রত্যাবর্তন করেন। ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনায় পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। যা ‘সাহাবুদ্দিন কমিশন’ নামে পরিচিত। এ কমিশনের প্রতিবেদন সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়। মো. সাহাবুদ্দিন ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে। সরকার দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিলে মো. সাহাবুদ্দিন সাহসী ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করেন এবং বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণে সক্ষম হন। কানাডার টরন্টোর ওন্টারিও কোর্ট অব জাস্টিস এ সংক্রান্ত মামলাটি নিষ্পত্তিকালে তার তদন্ত প্রতিবেদনটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে সমর্থন করেছে।

মো. সাহাবুদ্দিন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-১৯৭৪ পর্যন্ত তিনি পাবনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ও ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি পাবনা প্রেস ক্লাব, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি ও বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের জীবন সদস্য। মো. সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের যুগ্মসচিব হিসেবে ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিচালক হিসেবে কর্মরত। মো. আরশাদ আদনান তাদের একমাত্র সন্তান।

চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন এবং ২৪ এপ্রিল শপথ নেন। তার ৭৩তম জন্মদিনে পাবনা প্রেসক্লাবে কেককাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।




ঢাকা৫ আসন ভোটারদের সমর্থন চাইলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রিপন

মনোনয়ন বঞ্চিতরা প্রার্থী হলে আপত্তি নেই, বিনা ভোটে নির্বাচিত হলে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা-৫ (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি,  বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে থেমে নেই। নির্বাচনী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। ব্যাপকভাবে উঠান বৈঠক, চা-চক্র ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটার ও কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে পাচ্ছেন ব্যাপক সারা।

গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর)   সন্ধ্যার পর দু’টি উঠান বৈঠক, একাটি ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের পাশাপশি জনসমাগম এলাকায় গণসংযোগ করেন দেওয়ান কামরুল হাসান রিপন । সন্ধ্যা ৭ টারদিকে কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে  উঠান বৈঠকে বক্তব্যে কামরুল হাসান রিপন ভোটারদের সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহবানও জানান তিনি।
কামরুল হাসান রিপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রার্থী হয়েছি। আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযাত্রী হিসেবে সংসদীয় আসন ঢাকা-৫ (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী)  আমাকে বিজয়ী করবেন এবং আগামী দিনগুলোতে আপনাদের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিবেন। তিনি আরও বলেছেন আমার মধ্যে তারুন্যতা উদ্দোমতা রয়েছে দির্ঘদিন ধরে ঢাকা ও এর আশে-পাশের এলাকার জনগণের সহিত কাজ করেছি। তৎকালিন সময়ে থেকে অদ্যবদি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে আসছি। বর্তমান সময়ে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসছে সেসকল কর্মসূচিতে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে অংশগ্রহণ করে আসছি। বিএনপি-জামাতের প্রতিদিন হরতালে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশ এবং দেশ এর মানুষকে সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে আমি রাজনীতি করি এবং ভবিষ্যতেও নিজেকে এই কার্যক্রমে নিয়োজিত রাখব।

৬২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী, মঞ্জুর মোরশেদ। দনিয়া ইউনিয়ন ০৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, আবুল খায়ের । সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ০৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, গিয়াসউদ্দিন মুকুল। গোবিন্দপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, মোঃ শ্যামল। নজরুল ইসলাম সিনিয়র সহ-সভাপতি। প্রচার সম্পাদক, টিপু, দপ্তর সম্পাদক, রবি প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শারমিন রহমান কাকলি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আহমেদ, ৫০নং ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আলো, সাধারণ সম্পাদক ইমন, ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ওয়াসি উদ্দিন নূরানী, ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদ রানা, ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ঝর্না হোসেন, ৬৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলেপ হোসেন, ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বদরউদ্দীন ছানা, দনিয়া কলেজ ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ভাস্কর দে, পদপ্রার্থী বদরউদ্দীন ছানা, দনিয়া কলেজ ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তানবির,ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ খান, একে স্কুল ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মল্লিক, ৫০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্ন নেতৃবৃন্দ  ।




ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের উদ্বোধন

পরিক্রমা ডেস্ক : শিক্ষাগত উৎকর্ষ এবং ডিজিটাল সমাজের বিকশিত চাহিদা মেটানোর অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আগামী জানুয়ারির স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৪ থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিাগের অধীনে এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে। আজ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মিরপুর রোডের ড্যাফোডিল টাওয়ারের ৭১ মিলনায়তনে এক ‘মিট দ্যা প্রেসৎ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্তকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুিক্ত অনুষদেও ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটির প্রোগ্রমের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মারুফ হাসান এবং সহকারি অধ্যাপক ড. শাপলা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনকালে প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কেন্দ্রবিন্দু এবং সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। সামাজিক মাধ্যম থেকে অনলাইন ব্যাংকিং পর্যন্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা, সাইবার স্পেসে দুর্বলতার দ্বারকেও খুলে দিয়েছে। ইন্টারনেট এবং মোবাইলের দ্রুত বিকাশ, সাইবার নিরাপত্তাকে কেবল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য প্রধান উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশ যখন স্মার্ট জাতি হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন সাইবার সিকিউরিটির ভূমিকা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে, সাইবার সিকিউরিটির পরিদৃশ্য দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সাইবার হুমকিগুলির বর্ধিত জটিলতা, নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি পেশাদারদের ঘাটতিও প্রকাশ করেছে। এই ঘাটতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও শিল্পে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে, আমরা এমন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি, যারা এই ডিজিটাল ক্ষেত্রের জটিলতাগুলো নেভিগেট করতে পারে এবং আমাদের অবকাঠামো এবং তথ্যগুলি সাইবার হুমকিগুলি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম ।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সবসময় কর্মক্ষেত্রের গতিশীল চাহিদা পূরণের জন্য উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল শিক্ষামূলক সমাধান প্রদানের অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে। আমাদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে এম.এস.সি. প্রোগ্রামটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি দূর করার একটি কৌশলগত উদ্যোগ। এই প্রোগ্রামটি সাইবারসিকিউরিটি সেক্টরের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী সুনিপুণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, নিশ্চিত করা হয়েছে যে আমাদের স্নাতকরা শুধু তাত্ত্বিক ধারণাতেই নয়, বাস্তবিক প্রয়োগেও পারদর্শী হবেন।

সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ বলেন, এম.এস.সি. সাইবার সিকিউরিটি একটি ব্যাপক প্রোগ্রাম যা তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যাবহারিক দক্ষতা একত্রিত করে। মূল ফোকাসের এলাকাগুলি অন্তর্ভুক্ত ক্রিপ্টোগ্রাফি, নেটওয়ার্ক ও সিস্টেম নিরাপত্তা, ডিজিটাল ফরেনসিক, এথিক্যাল হ্যাকিং এবং পেনেট্রেশন টেস্টিং, তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, এবং তথ্য সিস্টেম অডিট এবং নিশ্চিতকরণ। এই বৈচিত্র্যময় পাঠ্যক্রম নিশ্চিত করে যে, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সাইবারসিকিউরিটি বিশ্বের বহুমুখী চ্যালেঞ্জগুলি সামাল দিতে প্রস্তুত।

এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটির প্রোগ্রাম পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মারুফ হাসান বলেন, এই প্রোগ্রামে আমরা, আইটি এবং নন-আইটি পটভূমির ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানাই, যাতে করে তারা সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে নিজেদেরকে তৈরী করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের কাজে আসতে পারে। কোর্সগুলি ইন্ডাস্ট্রি পেশাদার এবং বিশেষজ্ঞ অনুষদ সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়, এটি নিশ্চিত করে যে, প্রদত্ত শিক্ষা বর্তমান এবং শিল্প-সংশ্লিষ্ট। আমরা বিশেষাযয়িত সাইবারসিকিউরিটি ল্যাব এবং ব্যাবহারিক ল্যাব কোর্স অফার করা হয়।

এই প্রোগ্রামটি বিভিন্ন শৈক্ষিক পটভূমির জন্য কাঠামোগতভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আইটি পটভূমির ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রোগ্রামের মেয়াদ ১.৫ বছর (৩ সেমিস্টার) এবং নন-আইটি পটভূমির ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে ২ বছর (৪ সেমিস্টার) করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের থিসিস ভিত্তিক এবং প্রজেক্ট ভিত্তিক মাস্টার্স প্রোগ্রাম বেছে নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এই নমনীয়তা তাদের ক্যারিয়ার লক্ষ্য এবং আগ্রহ অনুসারে শিক্ষার অভিজ্ঞতা কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। আইটি পটভূমির ছাত্রদের জন্য প্রোগ্রামের খরচ থিসিস ভিত্তিক বিকল্পের জন্য ১,৪৫,৩৭৫ টাকা থেকে প্রজেক্ট ভিত্তিক বিকল্পের জন্য ১,৪৮,৩৭৫ টাকা পর্যন্ত। নন-আইটি পটভূমির ছাত্রছাত্রীদের জন্য খরচ হল, থিসিস ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য ২,২৩,৭৫০ টাকা এবং প্রজেক্ট ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য ২,২৬,৭৫০ টাকা ।

প্রোগ্রাম সমাপ্তির পর, স্নাতকরা সাইবার নিরাপত্তা ডোমেইনে বিভিন্ন ভূমিকায় প্রস্তুত হবেন, যেমন: সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক, এথিক্যাল হ্যাকার, আইটি নিরাপত্তা পরামর্শদাতা, ইত্যাদি। এই ভূমিকাগুলি আজকের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের জন্য অত্যন্ত জরুরি, এবং আমাদের বিশ্বাস আমাদের স্নাতকরা ডিজিটাল অবকাঠামো এবং তথ্য সুরক্ষায় সবার অগ্রভাগে থাকবেন। প্রোগ্রামের খরচ শিক্ষার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সাধ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের এম.এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম শুধু একটি শৈক্ষিক প্রস্তাব নয়; এটি নিরাপদ এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রতি একটি অঙ্গীকার। ছাত্রছাত্রীদের সাইবার নিরাপত্তায় দক্ষতা এবং জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করে, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে অবদান রাখবো– একটি দেশ যা সংকটপ্রতিরোধী, নিরাপদ, এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের অগ্রগামী । এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল এমন পেশাদারদের তৈরি করা যারা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ল্যান্ডস্কেপ গঠনে ভূমিকা রাখবেন, আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
তিনি আরো বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটির এম.এস.সি. প্রোগ্রামের সূচনা বাংলাদেশ এবং তার বাইরে যোগ্য সাইবার নিরাপত্তা পেশাদারদের জরুরী চাহিদা মেটানোর দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দক্ষতার সমন্বয়ে আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হতে পারে। এই প্রোগ্রাম শুধুমাত্র একটি শিক্ষাগত উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এবং আমাদের ডিজিটাল বিশ্বের নিরাপত্তার প্রতি একটি প্রতিশ্রুতি। আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ, স্মার্ট এবং ঝুঁকিবিহীন ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রত্যাশা করি।




দিপু চৌধুরীর স্মরণে ছেংগারচরে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর স্মরণে এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাদ জুমা ছেংগারচর বাজার কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়ার আয়োজনে পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

তিনি বলেন, আমার ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর ইচ্ছা ছিল মতলবের ছেংগারচর পৌরসভাকে একটি আধুনিক, নান্দনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলা। আমি মনোনয়ন পাওয়ার পর তার একটাই চাওয়া ছিল, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনটিকে মিনি সিঙ্গাপুর সিটিতে রূপান্তরিত করা। আজ আমার ছেলে আমার পাশে থাকার কথা ছিল। কিন্তু সে মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আপনারা দোয়া করবেন যেন আমার ছেলেকে মহান রাব্বুল আলামিন জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমি আমার ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো, ইনশা আল্লাহ।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরো বলেন, আপনারা সবাই মিলে মিশে থাকবেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কেউ ঝগড়া-বিবাদ করবেন না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছোট ছেলে এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মনির হোসেন বেপারী, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ রফিকুল আলম জজ, বর্তমান মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির খান, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহী, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ রুহুল আমিন মোল্লা, সাবেক কমিশনার ও আওয়ামী লীগ নেতা খোকন প্রধান, পৌর কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির প্রধান, ছেংগারচর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমান উল্লাহ সরকার, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মামুন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, ছেংগারচর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা শামীম প্রধান, পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক বেপারী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, আহসান হাবীব, আবুল বাশার, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম অপু, যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন, ছেংগারচর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন, ছেংগারচর পৌর যুবলীগ নেতা বাদল ঢালী, রেজাউল করিম ডেঙ্গু, মো. নাজমুল খান, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন কালু, ছেংগারচর পৌর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি জনি সরকার, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম ফকির, যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মোর্শেদুল হক হিমেল, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ জনি, সোহেল, আরমান কাজী, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন সিকদার, রিয়াদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ছেংগারচর বাজার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ হজরত মাওলানা হাফেজ মো. তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী।

প্রসঙ্গত, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ২৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি পিতা, মাতা, স্ত্রী, ছোট ভাই, বোন, দু