আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন আশফাক চৌধুরী মাহী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য করা হয়েছে ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহীকে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই উপকমিটিকে অনুমোদন দেন। এই কমিটির দায়িত্বকাল ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত।

উপকমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে। আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরুকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। এবারের কমিটিতে দেশের আইন অঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আশফাক চৌধুরী মাহী। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা আস্থার সঙ্গে প্রতিপালন করবো, ইনশা আল্লাহ। যতদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে দেশ ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আমলে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারো সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে এদেশের আপামর জনগণ চাইছে।

এসময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান আশফাক চৌধুরী মাহী। একই সঙ্গে তিনি চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের দৌহিত্র এবং সদ্যপ্রয়াত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর জ্যেষ্ঠ পুত্র।

আশফাক চৌধুরী মাহী দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণর মাঝে তুলে ধরার পাশাপাশি মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়।

তার দাদা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তার পক্ষে এবং নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন আশফাক চৌধুরী মাহী।




বরিশালে ডিজিটাল স্বাক্ষর বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : বরিশালে ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রচারণামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী। জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বরিশাল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম আজাদ রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক মো. ইসরাইল হোসাইন এবং সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগের সহকারী পরিচালক লুৎফুন নাহার।

সেমিনারের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। পরে অতিথিবৃন্দরা ডিজিটাল স্বাক্ষরের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন।

সেমিনারে জানানো হয়, সরকারি অফিসে ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ও ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর ব্যবহারের আইনানুগ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০১১ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি সংযুক্ত অফিস হিসেবে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল রুট কী জেনারেশন সিরিমনির মাধ্যমে সিসিএ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার কার্যক্রম শুরু হয়। ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহারের মাধ্যমে ই-সেবা বা ই-কার্যক্রমের তথ্য বা ডকুমেন্টের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। অন্যথায় সাইবার নিরাপত্তার অভাবে ডিজিটাল কার্যক্রম বা ট্রানজেকশন সমূহ হুমকির মধ্যে পড়ে। বর্তমানে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ডিজিটাল স্বাক্ষর একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক কৌশল যা ডিজিটাল তথ্যের বিষয়গুলো নিশ্চিত করে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল স্বাক্ষর ও ই-সাইন কি’র ব্যবহার, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও ই-সাইন ব্যবহার বৃদ্ধিতে করণীয়, পিকেআই সিস্টেম, সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা ও বিধিসমূহ সহ হাতে-কলমে ডিজিটাল স্বাক্ষরের বিভিন্ন প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে অবহিত হয়।




মাত্র ৭১ দিনে পদ্মা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম “বিজয় ৭১”

পরিক্রমা ডেস্ক : মহান বিজয়ের মাসে পদ্মা ব্যাংকের জয়োৎসব শুরু হলো নতুন পণ্য বিজয় ৭১-এর মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। বিজয় আয়োজনে সবার চেতনায় ধ্বনিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথার স্মৃতিচারণ আর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।তেমনি পদ্মা ব্যাংকও বিজয় উদযাপন করতে, মাত্র ৭১ দিনে ৯% হারে ফিক্সড ডিপোজিট করার সুযোগ নিয়ে এলো গ্রাহকদের জন্য। সম্প্রতি এই স্কিমটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গুলশানের হেড অফিসে।

মাত্র ৭১ দিনে এক বছরের মুনাফা উপভোগ করবেন গ্রাহকরা। যা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনন্য। এটিকে আরেকটি বিজয় উল্লেখ করে ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং হেড মীর শফিকুল ইসলাম বলেন, বিজয় মানেই উৎসব। এত স্বল্প সময়ে ফিক্সড ডিপোজিটের কথা কিছুদিন আগেও চিন্তা করতে পারতেন না কোন গ্রাহক। আর পদ্মা ব্যাংকের হাত ধরে সেটা এখন বাস্তব। আগামীতে গ্রাহকদের জন্য আরো আকর্ষণীয় নানান স্কিম নিয়ে আসবে বলে ঘোষণা দেন শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও সম্প্রতি মাসিক সেভিংস স্কিম নামে প্রতি মাসে সঞ্চয় স্কিম এনেছে পদ্মা ব্যাংক।

৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা কিস্তিতে তিন, পাঁচ, আট এবং দশ বছরের জন্য খোলা যাবে এই একাউন্ট। ১১% থেকে ১৪% হারে লভ্যাংশ পাওয়া যাচ্ছে এই হিসাবে।




মহিলা ফায়ারফাইটার ১ম ব্যাচের ট্রেনিং ভিজিট ও ফটোসেশনে অংশ নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পরিক্রমা ডেস্ক :ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগপ্রাপ্ত মহিলা ফাইফাইটার প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন (ট্রেনিং ভিজিট) ও ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি। ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ উপলক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্স, মিরপুরে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব জনাব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে নিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিবাদন মঞ্চ আরোহন করেন। এ সময় ডিএডি ফয়সালুর রহমানের নেতৃত্বে একদল চৌকস অগ্নিসেনা মাননীয় মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অভিবাদন গ্রহণ করে মাননীয় মন্ত্রী ফায়ার সার্ভিসে প্রথমবারের মতো নিয়োগপ্রাপ্ত ফায়ারফাইটার (মহিলা) ১ম ব্যাচের সাথে ফটোসেশন পর্বে অংশগ্রহণ করেন।

ফটোসেশনের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে প্রদত্ত তাঁর বক্তব্যে সরকারের অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের মতো ফায়ার সার্ভিসেও মহিলা ফায়ারফাইটার নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব ক্ষেত্রেই সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। একইভাবে এখন থেকে সকল দুর্যোগে মহিলা ফায়ারফাইটারগণও নিজেদের নিয়োজিত করার মাধ্যমে দেশের সেবা করার সুযোগ পাবেন।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহিলা ফায়ারফাইটার নিয়োগের এই ধারা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবনিযুক্ত মহিলা ফায়ারফাইটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ নির্দেশনায় ‘ফায়ারম্যান’ পদের নাম পরিবর্তন করে ‘ফায়ারফাইটার’ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় এই পদে মহিলা কর্মীদের নিয়োগ দানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ১৫ মহিলা ফায়ারফাইটারের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা হালদার, ইয়াসমিন খাতুন ও নাজমুন নাহার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২০ জুন ফায়ারফাইটার নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফায়ারফাইটার (মহিলা) পদে ২,৭০৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই ১৫ জনকে চূড়ান্তভাবে ফায়ারফাইটার (মহিলা) পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করে নিয়োগপত্র জারি করা হয়। ১৮ নভেম্বর মহিলা ফায়ারফাইটারগণ আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করেন। এখন তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ চলছে। ইতিপূর্বে ফায়ার সার্ভিসে অফিসার পদে মহিলা কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও ফায়ারফাইটার পদে মহিলাদের নিয়োগ এটিই প্রথম।

খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।




এরশাদ স্বইচ্ছাই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন: গোলাম মসীহ

জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্ বলেছেন, কোন আন্দোলনের মুখে নয়, তিনি স্বইচ্ছাই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন।

গোলাম মসীহ্ বলেন, বেগম রওশন এরশাদ দলকে সুসংগঠিত ও দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য নির্বাচন বর্জন করেন। তাঁর এই নির্বাচন বর্জন করাকে ভবিষ্যতে জাতি মূল্যায়ন করবে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মসীহ্  বলেন, আজ ৬ ডিসেম্বর সংবিধান সংরক্ষণ দিবস। ১৯৯০ সালের এদিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময় বিরোধী দলের অন্যতম দাবী ছিল যে, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল ও রেডিও টিভির শায়ত্বশাসন প্রদান করা। ক্ষমতা হস্তান্তর করার পূর্বে বিশেষ আইন বিলুপ্ত ও রেডিও টিভির শায়ত্বশাসন করার জন্য এস. আর. ও জারী করেছিলেন, কিন্তু আজ অবধি নব্বই এর পরবর্তী সময়ে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ সরকার তাদের উত্থাপিত দাবী বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল, টিভির শায়ত্বশাসন প্রদান করেন নাই।

সভায় সমাপনী বক্তব্যে যুগ্মআহবায়ক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের দুঃসময়ে ১৯৮২ সালে দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন এবং একইভাবে তিন দলের রূপরেখা বাস্তবায়ন করার জন্য ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার  জন্য ৬ই ডিসেম্বর ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু আজও বাংলাদেশে গণতন্ত্র রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক এমপি-ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, আবদুল আজিজ চৌধুরী, মনোয়ারা তাহের মানু, শারমিন পারভিন লিজা, তাহেরা মোশাররফ শোভা মজিবুর রহমান মুজিব, মোহাম্মদ ইস্রাফিল মিয়া, সাক্ষাওয়াত হোসেন,নাসির উদ্দিন মুন্সী
আজমল হোসেন জিতু, আক্তার হোসেন, কেয়া চৌধুরী জিয়াউল হক জুয়েল, ডাঃ নাসির উদ্দিন মোল্যা, আসমা আজিজ, , আবদুর রাজ্জাক, তৌহিদুর রহমান, এস. এম গোলাম বায়োজিদ, মাহবুবুর রহমান তাঁরা, নার্গিস আক্তার, আসমা আক্তার, এজাজ আহমেদ ও প্রমুখ।




জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়-২ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ১২ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ধারা ১২ এর উপধারা ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ অনুসারে তিনি কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবে। কোষাধ্যক্ষ পদে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর। কোষাধ্যক্ষ পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ অর্থ সম্মানী হিসেবে পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

 

এর আগে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপ- উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।




প্রিয় বন্ধু দিপু চৌধুরীকে নিয়ে শাকিব খানের আবেগঘন স্ট্যাটাস

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর অকালপ্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। প্রসঙ্গত, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ও শাকিব খান ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুকে নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দেন শাকিব খান।

স্ট্যাটাসে শাকিব খান লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু দিপু … কোন শব্দে তোকে নিয়ে লিখবো কোন ভাষায় তোর পরিবারকে সান্ত্বনা জানাবো ভেবে পাচ্ছি না। একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে এটাই নির্মম সত্য। কিন্তু তুই এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবি সেটা আমার চিন্তার ঊর্ধ্বে ছিল।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘এইতো কিছুদিন আগে তোর অফিসে নিয়ে গেলি, তোর সন্তানের এনিমেটেড সিনেমার কাজ দেখালি; আগামীতে কত কি করতে চাস সেইসব স্বপ্নের কথাগুলো বললি। সেই তুই হঠাৎ করে সবাইকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলি! তুই নেই সেটা মানতে এখনো আমার কষ্ট হচ্ছে।’

শাকিব খান বলেন, ‘আমি যেখানে থাকতাম কিছুদিন পর পর ফোন করে খবর নিতি। কেমন আছি কবে আসবে কবে দেখা হবে কত কিছু জানতে চাইতি। সেই তোকে যখন মর্গে গিয়ে দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল একটু পরেই উঠে দোস্ত বলে ডাক দিবি। যেমনটা দেখা হলেই তোর বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের পরম ভালোবাসা আমি অনুভব করতাম।’

তিনি আরো লিখেন, ‘যে বনানীর রাস্তা দিয়ে আমরা বহুবার একসঙ্গে যাতায়াত করেছি, সেখানে তোকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হয়েছে। দূর থেকে শুধু তোর নিথর দেহকে দেখেছিলাম। তোর চলে যাওয়ায় আমি যে স্বজন হারানোর শূন্যতা অনুভব করছি সেটা বলে বোঝানোর উপায় নেই।’

আবেগঘন স্ট্যাটাসে শাকিব খান লিখেন, ‘বন্ধু হিসেবে তোর ভালোবাসার শূন্যতা আমার জীবনে কখনো পূরণ হবে না। কারণ তুই যে কতো বড় মনের অধিকারী এবং ভালো মানুষ ছিলি সেটা তোর শেষ বিদায়ে মানুষের ঢলই বলে দেয়। যতদিন বেঁচে থাকবো তোকে খুব মিস করবো রে দিপু। ওপারে অনেক ভালো থাকিস বন্ধু আমার। তোর বিদেহী আত্মার শান্তি ও দোয়া কামনা করি। মহান আল্লাহ তোকে জান্নাতবাসী করুন।’

উল্লেখ্য, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২ ডিসেম্বর মারা গেছেন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।




দিপু চৌধুরীর মৃত্যুতে কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক শোক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বীক্রমের বড় ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মতলবের সকলের প্রিয়ভাজন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেনঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক।

এর আগে গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

দিপু চৌধুরী গত ২৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু পিতা, মাতা, স্ত্রী, ছোট ভাই, বোন, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মতলবের সর্বসাধারণের প্রিয় সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক।

তিনি জানান, আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, সততা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও সাহসিকতার এক অনন্য উদাহরণ সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। এ দেশের বিশেষ করে মতলবের, মানুষ তার অবদানের কথা সব সময় স্মরণ রাখবে। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া দিপু চৌধুরী রাজনীতি ও দেশের মানুষের, বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবের মানুষের, প্রতি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গন।




কিন্তু জনগনের অফুরন্ত ভালোবাসা ও তাদের আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি:কামরুল হাসান রিপন

আশিক সরকার :ঢাকা মহানগর দক্ষিন ৬৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী কাজলা ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে এই অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি,  বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন । শহীদ মারুফ আলীর সভাপতিত্ত্বে উক্ত উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ৬৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সাবেক আহ্বায়ক যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ভবিষ্যৎ কান্ডারী হাজী হাবিবুর রহমান হাবিব; রাশেদুল ইসলাম সুমন রাশেদুল ইসলাম, রুবেল আসসালম হোসেন টিটু, নূর মোহম্মদ নাইম, আওয়ামীলীগ নেতা মো: আলেফ হোসেন শুভসহ আরও অনেকে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঢাকা -৫ আসনে আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন বলেন দল থেকে আমি মনোনয়ন পাই নি। কিন্তু জনগনের অফুরন্ত ভালোবাসা ও তাদের আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমার বিশ্বাস আগামী ৭ তারিখের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন এবং আগামী দিনগুলোতে আপনাদের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিবেন। তিনি আরও বলেছেন আমার মধ্যে তারুন্যতা উদ্দোমতা রয়েছে দির্ঘদিন ধরে ঢাকা ও এর আশে-পাশের এলাকার জনগণের সহিত কাজ করেছি। তৎকালিন সময়ে থেকে অদ্যবদি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে আসছি। বর্তমান সময়ে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসছে সেসকল কর্মসূচিতে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে অংশগ্রহণ করে আসছি। বিএনপি-জামাতের প্রতিদিন হরতালে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশ এবং দেশ এর মানুষকে সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে আমি রাজনীতি করি এবং ভবিষ্যতেও নিজেকে এই কার্যক্রমে নিয়োজিত রাখব।

সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ইত্যাদি নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দেশ ও সমাজকে সুন্দর রাখার জন্য যা যা করণীয়, তা’র সবই করা হব। আর এই কাজগুলো অভ্যাহত রাখার জন্য সবার কাছে আবারও অনুরোধ জানান আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার জন্য। এসময় অন্যান্য বক্তৃতাগণ তাদের বক্তব্যে একজন সৎ ও যোগ্যব্যক্তি হিসেবে কামরুল হাসান রিপন ভাইকে ঢাকা-৫ আসনে সবার মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার অনুরোধ জানান। তারা নিজেরাও রিপন ভাইয়ের পাশে থেকে তার হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে, উঠান বৈঠকে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য সবাইকে আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা এবং সর্বদা পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন ।




যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মণি’র ৮৫তম জন্মদিন আজ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ও আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৫তম জন্মদিন আজ।

শেখ মণি নামে তিনি সর্বজন পরিচিত ছিলেন। তার জন্ম ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম সামছুন্নেছা আরা আরজু মণিও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে তিনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন।

 

শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৬২-৬৩ সালের মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের দোসর মোনায়েম সরকার তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। তিনি দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাদেশ টাইমস এবং বিনোদন পত্রিকা সাপ্তাহিক সিনেমার সম্পাদক ছিলেন।

যুবলীগ আজ সকালে বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজন করা হয়েছে “তারুণ্যের জয়যাত্রা” সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।