বিজ্ঞান জাদুঘর : বিজ্ঞানসম্মত জীবন-যাপন চাই

পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আজ (১৫.১১.২০২৩খ্রি.) তারিখ ‘সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন ও বিজ্ঞানসম্মত খাদ্যাভ্যাস’ শীর্ষক এক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে বিজ্ঞান জাদুঘরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। অধিবেশনে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিপিডিসি’র চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. শেখ মইনূল হোসাইন। তিঁনি তার আলোচনায় বলেন, “খাদ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিল রোগ যেমন টাইপ-২ ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ ও বিভিন্ন ক্যানসার জাতীয় রোগ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত খাদ্যাভাস ও পর্যাপ্ত ঘুম।

বাংলাদেশের ৪০উর্ধ্ব অধিকাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মূল কারণ হচ্ছে সঠিক খাদ্যাভাস ও নিয়মিত জীবনাচারের অভাব। পেট ভর্তি ভাত না খেয়ে প্রতিদিনের পুষ্টি মেটাতে খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা জরুরি। এছাড়া সুস্বাস্থ্য ও ওজন ঠিক রাখতে সঠিক খাদ্যতালিকা বেছে নিতে হবে।”

অধিবেশনে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “রান্নাবান্নায় পরিমিত তেল ব্যবহার করতে হবে। উদ্ভিজ্জ তেল স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর। অল্পতাপে রান্নায় খাদ্যের পুষ্টিমান অক্ষত থাকে। অতিরিক্ত তাপে তেলের আণবিক গঠন ভেঙ্গে ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়, যা’ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।”




বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ’বিশ্ব উদ্যোক্তা সপ্তাহ বাংলাদেশ ২০২৩’ এর উদ্বোধন

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের উদযাপন এবং ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিত ১৬ তম বার্ষিক গ্লোবাল এন্টারপ্রেনার- শিপ উইক ক্যাম্পেইনটি বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ শুরু হয়েছে। এই তাৎপর্যপূর্ণ সপ্তাহটি ১৩ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে এবং এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত। ৭৮টিরও বেশি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে, এই বছরের উদযাপনে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলা জুড়ে ২০০টিরও বেশি ইভেন্ট রয়েছে। অংশীদার সংস্থাগুলির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চেম্বার অফ কমার্স, অ্যাসোসিয়েশন, সরকারী সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গতিশীল যুব গোষ্ঠীগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। আশা করা হচ্ছে যে ১০০,০০০ এরও বেশি ব্যক্তি সরাসরি অংশগ্রহণ করবে এবং অনলাইন সংযোগের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩ মিলিয়ন লোকের কাছে পৌঁছাবে।

১৩ই নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে এঊঘ বাংলাদেশ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় গ্রীন গার্ডেন রুফটপের মনোরম পরিবেশে এই মহাসমাবেশ স্টার্টআপ, উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তা, ইকোসিস্টেম নির্মাতা, পরামর্শদাতা, বিনিয়োগকারী এবং উৎসাহী অংশগ্রহণকারীদের একত্রিত করেছে।

জিইএন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ সবুর খান, এই উত্তেজনাপূর্ণ সপ্তাহের সুর সেট করে উপস্থিত সকলকে উঞ্চ অভিভাদন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ডঃ খান আবেগের সাথে সকল অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশের গতিশীল উদ্যোক্তা দের দ্বারা উদ্যোক্তা যাত্রাকে আলিঙ্গন করতে এবং উদযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তা সহায়তা ইকোসিস্টেম বাড়ানোর জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার সমালোচনামূলক গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং সকলকে একত্রিত হওয়ার, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসইতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই– ইনোভেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ইজেরমার্টজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমত জেরিন খান, ইন্সটিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ড হসপিটালিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবিনা হোসাইন, ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান ফাহাদ, টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সারাবান তহুরা তুরিন, হারনেট টিটিভর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলসা প্রধান ও প্যারাগন পাম্প লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ উইকের ন্যাশনাল হোস্ট কে এম হাসান রিপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমস্ত অংশীদার এবং সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য একটি মুহূর্ত বেছে নিয়েছিলেন যাদের অটুট প্রতিশ্র‍ুতি এবং উৎসর্গ গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ উইক ২০২৩ কে একটি দুর্দান্ত সাফল্যে পরিণত করতে সহায়ক হয়েছে। কে এম হাসান রিপন সারা বাংলাদেশে সমগ্র এঊড টিমকে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং উৎসর্গের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এই চিত্তাকর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, এঊঘ বাংলাদেশের দল উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উপস্থিত বিভিন্ন অংশীদার এবং সমর্থকদের কাছ থেকে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং ধারণা সংগ্রহ করার সুযোগটি গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে উদ্দীপনা, উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করার অঙ্গীকার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল।

গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক বাংলাদেশ ২০২৩ উদ্ভাসিত হওয়ার সাথে সাথে, এটি একটি অনুপ্রেরণা, সহযোগিতা এবং ক্ষমতায়নের সপ্তাহ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, যা উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ তৈরি করে।

মিডিয়া অনুসন্ধান এবং আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন:
কে এম হাসান রিপন
জাতীয় আয়োজক, গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক বাংলাদেশ

ইমেইল: kmripon@genglobal.org

ওয়েবসাইট: genglobal.org/gew




১৩০ পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ: বিজিএমইএ

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, `পোশাক কারখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।’

আজ রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কারখানার মালিকরা মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব কারখানার শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানান, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি। আর করোনা পরবর্তী অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন।




মানারাত ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নবীনবরণ ও ইসলামিক স্টাডিজে উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নবীনবরণ এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে “ইসলামিক স্টাডিজ ইন হায়ার এডুকেশন : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড সলিউশন্স ফ্রম বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভস” (ইসলাম শিক্ষায় উচ্চশিক্ষা : বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সংকট ও সমাধান) শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১১ নভেম্বর ২০২৩ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসের সভাকক্ষে এ নবীনবরণ ও প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মডারেটর ছিলেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ।

প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জাগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল্লাহ প্রমুখ।

এতে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর খান ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান উল্লেখ করে বলেন, পৃিথবীতে যত ধর্ম, দেশ, জাতি কিংবা সভ্যতা আছে সবগুলোর মূলনীতি এক। তা হলো, মিথ্যা কথা বলা যাবে না, কাজে ফাঁকি দেয়া যাবে না, কাউকে ঠকানো যাবে না, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না- ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো হলো নৈতিকতার শিক্ষা। এ শিক্ষাই দিচ্ছে মানারাতের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।

মানারাতের এ বিভাগে এক ঝাঁক দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছে জানিয়ে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  তোমরাও ভবিষ্যতে একেক জন ইসলামিক গবেষক হবে। মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাবে। এটাই আমাদের প্রত্যশা।

অনুষ্ঠানে প্যনেল আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ এবং এর সংকট, সমাধান ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ড. মো. রুহুল আমীনের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন মোঃ মাহবুব আলম, রেজিস্ট্রার ড. মো.  মোয়াজ্জম হোসেন, কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন্স ও অ্যাডমিশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ. এইচ. এম. আবু সাঈদ, সিজিইডির কোঅর্ডিনেটর ড. মুহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। সব শেষে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের যে সব ছাত্র-ছাত্রী বিগত পরীক্ষাগুলোতে ভালো ফলাফল করেছেন এবং বিভাগের উন্নয়ন ও বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়




দেশের ভবিষ্যৎ ইঞ্জিনিয়ার্সদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার ইঞ্জিনিয়ার্স কার্নিভাল’

পরিক্রমা ডেস্ক : ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার ইঞ্জিনিয়ার্স কার্নিভাল’। ২০২৩-২৪ সেশনে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়া প্রায় ৬০০ এর অধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভিন্ন আঙ্গিকে এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে ও ভবিষ্যৎ সফল ক্যারিয়ার গড়তে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজন করা হয় এ কার্নিভাল। বেশ কয়েকটি চমৎকার ইভেন্টের মাধ্যমে সাজানো হয় পুরো কার্নিভাল। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিলো পোষ্টার প্রেজেন্টেশন, জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা ও ইঞ্জিনিয়ারের চোখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শীর্ষক থিমে আর্ট এক্সিভিশন, যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিক গ্রুপ এবং এনএএফ-ট্রাষ্ট এর সিইও সৈয়দ সানোয়ারুল হক ও কালায়ার রেপ্লিকা লিমিটেড এন্ড কালায়ার প্যাকেজিং লিমিটেডের গ্রুপ সিইও শাকিল আহমেদ সিদ্দিক ২ টি বিশেষ মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর ডিরেক্টর (কারিকুলাম) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রাকিব উল্লাহ ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল আওয়াল।

পাশাপাশি আয়োজন করা হয় প্যানেল ডিসকাশন, যেখানে শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্টি্র এক্সপার্টদের কাছে সরাসরি প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়ার সুযোগ পায় । প্যানেল ডিসকাশনে অতিথি হিসেবে ছিলেন আগোরা লিঃ এর হেড অব এইচ আর এন্ড এডমিন আলেয়া পারভিন লিনা, বিজেআইটি একাডেমীর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ সামসুস সালেহিন, ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর (এইচআরএম) মোঃ রওশণ আলী বুলবুল। আয়োজনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকগণও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সম্মানিত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ডেপুটি ডিরেক্টর ও শিক্ষক-কর্মচারীগন। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কাার বিতরণ করা হয়। মূলত শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং যাত্রা শুরুর পূর্বে সঠিক মাইন্ড ম্যাপিং ও লক্ষ্য নির্ধারণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানানো এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সফলভাবে তাদের ক্যারিয়ারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করার লক্ষ্যে এ কার্নিভাল আোজন কর হয়।




রাজধানীতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর মাসিক উন্নয়ন সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক :১১ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার দিনব্যাপী রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের ইআরএফ মিলনায়তনে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মাসিক উন্নয়ন সভা ও  প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য  বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম এনায়েত উল্ল্যাহ।

সভার সভাপতিত্ব করেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কোম্পানির ভিপি ও প্রধান (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা)  মোঃ তোফাজ্জেল হোসাইন মানিক। প্রোডাক্ট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এসভিপি (এ্যাকচুয়ারিয়াল ডিপার্টমেন্ট) মোঃ শাহাদাত হোসেন হাজারী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের ভিপি ও ইনচার্জ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সকল সংগঠন প্রধান ও সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত প্রায় শতাধিক উন্নয়ন কর্মকর্তা।




গাজায় যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটেরিয়ান স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশন (আইএইচএসএ) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি’র সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস)

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে তিনদিন ব্যাপী সপ্তম আইএইচএসএ ‘পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে মানবতাবাদ’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটেরিয়ান স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশন (আইএইচএসএ) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি)’র সেন্টার ফর পিস স্টাডিজের (সিপিএস) সহযোগিতায় ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ৯০ জন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে মানবতাবাদ, শান্তি এবং সংঘাতের যোগসূত্র খুঁজে বের করতে এই সম্মেলন বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হন। মানবিক বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সংলাপ এবং আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্মেলনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল গাজায় চলমান সহিংসতা এবং মানবিক সংকটকে কেন্দ্র করে একটি গোলটেবিল আলোচনা।

আইএইচএসএ এবং এসআইপিজি, এনএসইউ-এর সিপিএস এই গোলটেবিল বৈঠকে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে ইসরায়েলি রাষ্ট্র ও সামরিক বাহিনী কর্তৃক আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের (আইএইচএল) গুরুতর লঙ্ঘনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, বিশেষত ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করা হয়।

সম্মেলনে বিবৃতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) রেজুলেশন ২৪১৭ মেনে চলার গুরুত্বের উপরও জোর দেওয়া হয়, যা যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ক্ষুধাকে ব্যবহারে নিন্দা প্রকাশ করে এবং মানবিক সহায়তার যেকোন অবরোধ আন্তর্জাতিক
হিউম্যানিটেরিয়ান আইন (আইএইচএল)’কে ভঙ্গ করে। বিবৃতিতে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অবিলম্বে সহায়তা ও সুরক্ষায়
প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানানো হয় এবং আইএইচএল-এর অধীনে ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলিতে দখলদার শক্তি হিসাবে ইসরায়েলের
দায়িত্বের উপর জোর দেওয়া হয়।

গাজা পরিস্থিতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার বাইরে, সম্মেলনে বৈশ্বিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে নীতি, শিক্ষা ও অর্থনীতির সঙ্গে মানবিক প্রয়াস কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সরাসরি এবং অনলাইন উভয় প্রকার অংশগ্রহণ এই সম্মেলনকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।

একাডেমিক স্বাধীনতাকে খর্ব করে এমন যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় হিউম্যানিটেরিয়ান স্টাডিজ স্কলারদের প্রায়োগিক
গবেষণার মাধ্যমে সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে কনফারেন্সটি শেষ হয়। বিবৃতিতে বৈষম্যমূলক ভাষা ও আখ্যান ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে যা অমানবিকতা ও মেরুকরণকে উত্সাহিত করে এবং বৈশ্বিক মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মান, মর্যাদা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।




আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের কল্যাণে সবসময় তাদের পাশে আছে- পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি

 

বান্দরবান, ১১ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি.

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, স্বাধীনতার সময়ে মানুষ ছিল ৭ কোটি। এদের খাবারের যোগান দিতো আমাদের কৃষক-কিষাণ ভাই ও বোনেরা। আর এখন বাংলাদেশের মানুষ ১৭ থেকে ১৮ কোটি। এ বর্ধিত জনসংখ্যার প্রধান খাদ্য শষ্য সারা বছর ধরে ফলন ফলান আমাদের এ কৃষক। কৃষকবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের কল্যাণে সবসময়ই তাদের পাশে আছে এবং আগামিতেও থাকবে। মন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে তো মানুষের পেট বাঁচবে।

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনের অডিটরিয়ামে স্ট্রেনদিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান জেলার কৃষকদের মাঝে আয়বর্ধনকারী শাকসবজির বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য ২৫ বিঘা জমি, সমবায় সমিতি, কৃষি ব্যাংক সবকিছুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের আমলে নির্ধারণ করে গিয়েছিলেন। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্ধারণ করা কাজগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য কৃষকদের জন্য পাওয়ার টিলার, পাওয়ার পাম্প, ধান মাড়াই মেশিনসহ বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। মন্ত্রী বলেন, আর এই সারের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোন কৃষককে গুলি খেয়ে মৃত্যুর শিকার হতে হয়নি। মন্ত্রী বলেন, এই সরকার কৃষিবান্ধব সরকার।

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। আনাচে কানাচে কৃষি শষ্য ফসল, শাক-সবজি উৎপাদন করতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বীর বাহাদুর ২ হাজার ৪০০ পরিবারের মাঝে ১২ প্রকারের শাক সবজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সত্যহা পাঞ্জি ত্রিপুরা, ক্যসাপ্রু, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, মূখ্য নির্বাহী মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, নির্বাহী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা প্রমুখ।




দেশে প্রথম ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু

রাজধানীতে গাড়ি পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডিএনসিসি স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।

যেখানে সেখানে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে এবং নিরাপদ পার্কিং নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ডিএনসিসি।

গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং নামে এই পার্কিং অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে গুলশান এলাকার আটটি বিভিন্ন সড়কে ২০২টি স্পটে স্মার্ট পার্কিং চালু করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নগরভবনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্বার গতিতে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি তার একটা কারণ হল ডিজিটালাইড হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন আর দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাই। আমরা পদ্মাসেতু দেখলাম, টানেল দেখলাম। প্রধানমন্ত্রী  বলেছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে, হয়েছে। তিনি বলেছেন মেট্রোরেল হবে, তাও হয়েছে।  তিনি যা বলেন তা একে একে সুসম্পন্ন করে আমাদেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। আপনি ভোলার চরে যান, সেখানেও দেখবেন মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করছে। ডাক্তারের সেবার জন্য ফোন করছেন। পৃথিবীর সকল প্রান্তে মানুষ যোগাযোগ করছে। বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও আজ মোবাইল ও ইন্টারনেটের আওতায় আছেন ও বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন। দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তার একটি কারণ হলো আমরা ডিজিটাল।প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ ডিএনসিসিতে স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট সোসাইটি দরকার, স্মার্ট এডুকেশন দরকার, স্মার্ট গভার্ন্যান্স দরকার। সেটিও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সিএলডিপি (কমার্শিয়াল ল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) এর আওতায় মিয়ামি সিটি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। সকলের সহযোগিতায় এটি সফল হবে। পর্যায়ক্রমে উত্তর সিটির প্রতিটি এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

মেয়র বলেন, ‘দেশে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে, যেখানে কোন ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হয় না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দিবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। কারন কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে ‘আকাশের যত তারা সিটি কর্পোরেশনে তত ধারা’ এগুলো দেখিয়ে দিবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দিবেন।

মেয়র আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স চালু করে দিয়েছি। কোন অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তা সমাধান করে দিচ্ছি। সবার ঢাকা অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যে করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতিমুক্ত এবং জবাবদিহীতামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেই আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম চালু করেছি। অনলাইনে জনগণের কাছে সব আধুনিক সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।’

বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি। ঠিক তখনই দেশকে পেছনে নিতে চায় বিএনপি। আমি বলতে চাই, নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকা সামনে এগিয়ে যাবে।’

ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এর পথে আছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ভিশন নিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই কিভাবে উন্নত সেবা জনগণের কাছে পৌছে দেয়া যায়। বিরোধী দল সহিংসতা করছে আর আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করছে। কিন্তু তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোপাগাণ্ডা মেশিনের মাধ্যমে তারা নানারকম প্রচারণা চালায়। বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে আমরা উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি আর তারা ধ্বংস চালাচ্ছে।’

বক্তৃতা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান-২ গোলচত্বরে ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং অ্যাপ ব্যবহার করে স্মার্ট পার্কিংয়ের উদ্বোধন করেন।

ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা মো. পিয়াল হাছানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলররা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।




কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এনএসইউ’র শীর্ষস্থান অর্জন

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) সর্বশেষ কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং, এনএসইউ এশিয়াজুড়ে ৮৫৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯১ তম স্থান অর্জন করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৮ ধাপ অগ্রগতি। এর মাধ্যমে এনএসইউ প্রথমবার ২০০ ব্যান্ডের বাধা অতিক্রমে সক্ষম হয়েছে। এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে এনএসইউর অবস্থান ৩২তম।
এ অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করে এনএসইউ‘র উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, “এই স্বীকৃতি পেয়ে আমরা অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এটি আমাদের শিক্ষক, কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রমাণ।”

কিউএস এনএসইউকে `উচ্চ গবেষণাসমৃদ্ধ’ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে উল্লেখ করে এনএসইউ’র উপাচার্য বলেন, “আমরা ভবিষ্যতে এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে চাই।”

বাংলাদেশের মোট ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এনএসইউর আগে অবস্থান করছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনন্দন জানিয়ে এনএসইউ উপাচার্য বলেন, “উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।”

কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস (কিউএস) দ্বারা সংকলিত।