রাজধানীতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর এক্সিকিউটিভ মিটিং ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : ০২ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে এক্সিকিউটিভ মিটিং ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির মাননীয় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসভিপি (এ্যাকচুয়ারিয়াল ডিপার্টমেন্ট) মোঃ শাহাদাত হোসেন হাজারী, উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের ভিপি ও ইনচার্জ মোঃ নিজাম উদ্দীন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ভিপি ও প্রধান (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন মানিক। সভার সভাপতিত্ব করেন হেড অব মেট্রো মোহাম্মদ ইমরান। সভায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাছাইকৃত উন্নয়ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনসিসি ব্যাংকের মধ্যে গবেষণা সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তি ̄সাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ এবং এনসিসি ব্যাংকের মধ্যে  আজ ০১ এপ্রিল
২০২৪ সোমবার গবেষণা সহায়তা সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই চুক্তি ̄সাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক
এবং এনসিসি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: মনিরুল আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে
এই চুক্তিতে ̄সাক্ষর করেন। উপাচার্য লাউঞ্জে আয়োজিত এই চুক্তি ̄সাক্ষর অনুষ্ঠানের মধ্যে জীববিজ্ঞান
অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, ইউজিসি অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, এনসিসি ব্যাংকের
ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম শামসুল আরেফিন ও উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম
উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় পাট বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার জন্য  এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে। এই গবেষণার মাধ্যমে
অল্প পানি ব্যাবহার করে সল্পতম সময়ের মধ্যে পাটের আঁশ ছাড়ানের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে বলে
গবেষকগণ আশা করছেন। প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামের
নেতৃত্বে গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হবে। পাটের  গুনগতমান বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ রোধ এবং জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এই গবেষণা অসাধারণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সিএসআর-এর আওতায়
প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগকে গবেষণা সহায়তা প্রদানের জন ̈ এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ
জানান। দেশের অন্যান্য ব্যাংকও শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের সকল অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি
প্রদানের জন্য একটি ফান্ড গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি এনসিসি
ব্যাংকসহ দেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান।




ওশেন মেরিটাইম একাডেমি’র সাথে ইউসিবি’র চুক্তি স্বাক্ষর

 নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বনামধন্য মেরিটাইম (সমুদ্রবিষয়ক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওশেন মেরিটাইম একাডেমির সাথে সম্প্রতি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। এই চুক্তির আওতায় টিউশন ফি সংগ্রহ, পে-রোল (বেতন) ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং সহ ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত। দুই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কৌশলগত সহযোগিতার লক্ষ্যে ইউসিবি’র করপোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।ইউসিবি ও ওশেন মেরিটাইম একাডেমির মধ্যে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ওশেন মেরিটাইম একাডেমির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মারুফ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, হেড অব মার্কেটিং আব্দুল মান্নান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ। এছাড়া, ইউসিবি’র পক্ষ থেকে এর এসইভিপি ও হেড অব ট্রানজেকশন ব্যাংকিং মো. সেকান্দার-ই-আজম এবং ইভিপি ও হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।শিক্ষাখাতে যুগোপযোগী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করারলক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়।

 




হাইকোর্টের ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী মুক্তা পারভিন’কে রাজবাড়ীর সদর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ ডাকাতির বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র‌্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র‌্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে । বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবন্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে কখনও হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট কখনও ডিজিএফআই এর মেজর ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে সহজ সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭), পিতা-মৃত ইমাম শেখ এর নিকট হতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সর্বমোট ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায় ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারে যে সে প্রতারনার স্বীকার হয়েছে। পরবর্তীতে ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা মুক্তা পারভিনসহ ০৭ জনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৩, তারিখ- ০৩/০৩/২০২৪ইং, ধারা- ১৭০/৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত  শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০১ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১৪:১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ভূয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মুক্তা পারভিন (৩১), পিতা-মোঃ মোজাহারুল ইসলাম, সাং-লোদীপুর, থানা-ধামইরহাট, জেলা-নওগাঁ’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ভূয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারনাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা বলে স্বীকার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।




ব্যয় কমেছে জেনিথ লাইফের, বেড়েছে লাইফ ফান্ড-বিনিয়োগ; ব্যবসা সমাপনী হিসাব-২০২৩

পরিক্রমা ডেস্ক : সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় কমেছে। অপরদিকে বেড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ও বিনিয়োগের পরিমাণ। বছর শেষে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১০২ শতাংশ, বিনিয়োগ বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৪ শতাংশ।

সমাপনী হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। এই প্রিমিয়াম সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে মোট প্রিমিয়ামের ৫৬.৩৮ শতাংশ।

এর আগে ২০২২ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৩০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর এই প্রিমিয়াম সংগ্রহে কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছিল ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সে বছর কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়ামের ৭০.৭৬ শতাংশ ব্যয় করেছিল ব্যবস্থাপনা খাতে।

এই হিসাবে ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৪.৩৮ শতাংশ। তবে অনুমোদিত ব্যয়সীমার চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

২০২৩ সালে বীমা কোম্পানিটির সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বর্ষ ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের প্রিমিয়াম ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এর মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের দ্বিতীয় বর্ষ নবায়ন সংগ্রহের হার বেড়েছে ৬.৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রিমিয়াম তামাদির হার কমেছে।

ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম হওয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে। সংগৃহীত প্রিমিয়াম ও বিনিয়োগ আয় থেকে বীমা দাবি পরিশোধ করার পর ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে নতুন তহবিল যুক্ত হয়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটির সমাপনী তহবিল ছিল ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ফলে ২০২৩ সাল শেষে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

অর্থাৎ ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১০২ শতাংশ।

সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালে বীমা কোম্পানিটির বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১৫.৩৫ শতাংশ।

কোম্পানিটির মোট তহবিলের ওপর সরকারি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে ৩৬.২৯ শতাংশ, যার পরিমাণ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা গ্রাহক স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এ জন্য আমাদের কোন গ্রাহকের বীমা দাবি পেন্ডিং নেই। ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের হারও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আশা করছি চলতি বছরে আমাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার নিচে চলে আসবে।




ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘‘স্বাধীনতাই ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যান, জ্ঞান ও সাধনা’’ শীর্ষক বক্তৃতার আয়োজন করেন। যার একক বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।
ড. চৌধুরী ইতিহাস পর্যালোচনা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি বলেন স্বাধীনতা ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যান, জ্ঞান, সাধনা ও কর্মযজ্ঞ এবং সে কারণে সঠিক সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা ও সঠিক সময়ে কাঙ্খিত পরিনতি হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে তিনি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ব্রতি হয়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতার একটি ঘোষণা নয়; ২৬ মার্চে তিন তিনটি ঘোষণা দেন এবং প্রথম ঘোষণাটির ভিত্তিতে পাকিস্তান সরকার তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছিল। তবে মৃত্যু ভয় বা প্রলোভনকে উপেক্ষা করে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তাই ত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান জাতির মহান স্থপতি জাতির পিতা।
দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে আইনত: ও সাংবিধানিক বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে বলেন যে স্বাধীনতা ঘোষণার আইনত: নৈতিক ও কার্যত: অধিকার ছিল একমাত্র বঙ্গবন্ধুর। অতএব তাতে কোন বিকল্প বা সমকক্ষতা আনা অবান্তর। এই বাস্তবতা বুঝেই মেজর জিয়াউর রহমান কখনও স্বাধীনতার ঘোষক বলে নিজকে দাবী করেননি।

এই প্রবন্ধে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের প্রেরিত শুভেচ্ছার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন ‘যে পর্যন্ত একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি, জীবিত পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীর বিচার আমাদের প্রাপ্য পরিশোধ ও সর্বসমক্ষে গণহত্যার জন্যে মার্জনা চাওয়া না হবে সে পর্যন্ত এই শুভেচ্ছা জাতীয় ‘মুখের কথায় চিড়ে ভিজবে না।’

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম. নূরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক জাকি ইমাম, ডেপুটি রেজিষ্ট্রার আহসান তৌহিদ মিল্টন সহ অন্যান্যগণ।




হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সহস্রাধীক পরিবারের মাঝে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ঈদ উপহার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে হাজিগঞ্জ শাহরাস্তির কৃতি সন্তান চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, ঢাকা সেন্টার এর মাননীয় চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন প্রায় সহস্রাধিক ঘরে অগ্রিম ঈদুল ফিতরের উপহার বিতরণ করেছেন।

পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তিনি নিজ এলাকার হাজীগঞ্জ এবং শাহরাস্তিতে অসহায় দুস্থ পরিবারের ঘরে এই ঈদ উপহার পাঠিয়ে দেন।

২৯ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১ টায় হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে ঈদ উপহার বিতরণে প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন সহ উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরাইয়া তালুকদার, ৯নং গন্ধব্যপুর উঃ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী নুরুর রহমান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক গাজী অলি উল্লাহ, পৌর তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পৌর শ্রমিক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মামুন সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বেলা ১২ টায় শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইনের সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কামরুজ্জামান মিন্টু, ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরাইয়া তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা হোসেন মীর, ইঞ্জি. নেছার পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সুমন দর্জি সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ঈদ উপহার প্রতিটি প্যকেটে দুধ, পোলাও’র চাল, তেল, চিনি,ডাল ও লবন রয়েছে। প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে জনগনকে স্বনির্ভর করতে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সাথে ত্রান সহায়তা, উপহার সামগ্রী ও নেতাকর্মীদের বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।




‌‘উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করলে দল মেনে নেবে না’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,  ‘আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু দেখতে চায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে তা দেখা হবে। যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উন্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। এছাড়া এমপিরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে নিজের লোক জেতাতে প্রভাব বিস্তার করলে দল কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন আপনাদের অনুরোধে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে নৌকা দিয়েছি। এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উন্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। ইলেকশন সম্পূর্ণভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চাই। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। নির্বাচন আগের আশঙ্কা, আতঙ্ক ছিল, তা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮০টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তার সাথে ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

সংগঠন যখন আছে সমস্যাও থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল। বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নামতে চাই। নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নজর দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখবেন সেটার দায়িত্ব দল গ্রহণ করবে না। একটা দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার উপর আঘাত হানে। তাতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ওয়াল আছে তা ভেঙে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুজিত রায় নন্দী সভার সঞ্চালনা করেন।




বেনাপোল সীমান্তে পায়ুপথে সোনারবার পাচারকালে আটক ১

মোঃ ফারুক আহম্মেদ : যশোরের বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী সীমান্ত এলাকায় এক ব্যক্তির পায়ুপথে ছয়টি সোনার বার পাওয়া গেছে। প্রায় ৭০০ গ্রাম ওজনের এসব সোনার দাম আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোস্টের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করা।

বিজিবি জানিয়েছে, রাতে সোনার একটি চালান ভারতে পাচার হবে এরকম একটি তথ্য তারা পেয়েছিলেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পুটখালী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে সীমান্তে মসজিদবাড়ি বিজিবি চেকপোস্ট এলাকায় গোপনে অবস্থান নেন বিজিবি সদস্যরা। এ সময় মনোরউদ্দিন ইজিবাইকে করে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সন্দেহ হলে মনোরউদ্দিনকে থামিয়ে তার শরীর তল্লাশি করা হয়। তবে তল্লাশিতে তার কাছে সোনা পাওয়া যায়নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করে নেন, তার পায়ুপথে সোনার বারগুলো লুকানো আছে। তাকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে স্ক্যান করলেও সোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সোনাগুলো বের করে নিয়ে আসা হয়।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ একজন পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বেনাপোল প্রতিনিধি 




এনএসইউ’তে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১: আমাদের সাফল্যের মূল সামরিক নির্ধারক’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১: আমাদের সাফল্যের মূল সামরিক নির্ধারক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি. আহসান, বীর প্রতীক এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেজর জেনারেল (অব.) ড. সরোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

ড. সরোয়ার হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর গঠন ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। সামরিক কৌশলের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হোসেন বলেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত উজ্জ্বলতা ও দৃঢ়তা ফুটে উঠেছে। পরিকল্পনা ও সাহসিকতার মাধ্যমে তারা শুধু আমাদের স্বাধীনতাই নিশ্চিত করেন নি, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।”

মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি. আহসান, বীর প্রতীক বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মতো হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দেশের এমন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে। এ দেশের ইতিহাসের রাজনৈতিক দিকটা অধিকাংশ মানুষই জানে। কিন্তু এই বইটিতে যুদ্ধের সামরিক-রাজনৈতিক দিক উন্মোচন করে।”

মাহফুজ আনাম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব বই আমরা পড়েছি তার অধিকাংশই আত্মজীবনীমূলক। যাইহোক, এই তথ্যবহুল বইটি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করা হয়েছে এবং কাঠামোগত উপায়ে সামরিক দিক থেকে যুদ্ধের ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা ইতিহাস জানতে চান বা গবেষণা করতে চান তাদের জন্য এই বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, “এটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লেখা একটি বই। এই বইয়ের প্রকাশের মান এবং গবেষণার গভীরতা অত্যন্ত আকর্ষনীয়।”

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মেজর জেনারেল (অব.) ড. সরোয়ার হোসেনের লেখা ‘১৯৭১: প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয়’ বইটির বাংলা সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।