ঢাকায় পা রাখলেন ডোনাল্ড লু

ছবি: সংগৃহীত

পরিক্রমা ডেস্ক :

তিন দিনের ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু’র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ডোনাল্ড লু। গত শুক্রবার থেকে লুর ছয় দিনের সফরের তথ্য জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ১০ থেকে ১৫ মে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটিই গুরুত্ব পাবে।

গত বছরের জুলাইয়ে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।




‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসক্তিতে শিশুদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না’

‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসক্তিতে শিশুদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না’
পরিক্রমা ডেস্ক
 মে ১৪, ২০২৪

গুজব প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাষা প্রয়োগ, ছবি ও ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়।

ওই সকল মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবশ্য সচেতনতার পাশাপাশি মানসিকতা পরিবর্তনও জরুরি।মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে ‘গুজব প্রতিরোধে প্রচারাভিযান: তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ উপকরণ পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তারা।

সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) ও পিআইবি আয়োজিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।

তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে প্রথমত সচেতনতা দরকার। কারণ সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয় সামাজিক মাধ্যমসমূহে। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অসম্পাদিত মাধ্যম। একে সংবাদমাধ্যম হিসেবে গণ্য করা যায় না। তাই গুজব প্রতিরোধে সচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে শিশুদের সুকুমারবৃত্তি প্রস্ফুটিত হচ্ছে না।

স্থানীয় পত্রিকাসমূহ ফ্যাক্টচেক বিষয়টি সম্পর্কে এখনো তেমন একটা অবগত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনশীল। বর্তমান সময়ের মতো ফেক নিউজ, মিস ইনফরমেশন, ম্যাল ইনফরমেশনের মতো শব্দ নতুন সংযোজিত হলেও পূর্বেই সেটা ভিন্ন নামে যেমন- তথ্য ও অপতথ্য নামে পরিচিতি ছিল। অনলাইনে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে গুজবের কিছু বাস্তব তথ্য উপস্থাপন করে তিনি ওই সকল বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

সাকমিড’র অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক সৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, গুজব প্রতিরোধে মাল্টিস্টেক হোল্ডার সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় সমাজে মানুষের আচরণ পরিবর্তন হয়ে যাবে। তথ্য, অপতথ্য ও কীভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কি ধরনের গুজব ছড়ায় এবং এসব থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে সাকমিড আগামীতে কাজ করবে।

সাকমিড’র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম বলেন, সরকারের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও পিআইবিসহ সাকমিডের মতো কয়েকটি দায়িত্বশীল সংস্থা সমাজের নানাস্তরে গুজব প্রতিরোধের জন্য নানাবিধ র্কমসূচি গ্রহণ করছে। কয়েকটি দাতা সংস্থাও এ ব্যাপারে তাদের সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছে।

পিআইবি’র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দীন বলেন, ফেইসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমসমূহ মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ করে। মানুষ একটি ইতিবাচক দিক শুনতে কিংবা দেখতে চাইলে অন্ততপক্ষে ১৭টি নেতিবাচক বিষয় শুনতে বা দেখতে চায়। তাই সেখানে ইতিবাচক কন্টেন সরবরাহ করতে হবে।

রিউমার স্ক্যামের সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ বা গ্লোবাল মিডিয়া মনিটরিং ১৯৯৫ সালে শুরু হলেও ২০০৫ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়। যদিও বাংলাদেশে গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ খুব একটা ফলপ্রসূ নয়, তারপরও কিছু নীতিমালার বিষয় রয়েছে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্র, বুম বাংলাদেশের সম্পাদক আমির শাকির, ফেসবুক বাংলাদেশের মুখপাত্র শুভাশিস দ্বীপ, উন্নয়ন কর্মী মাহবুবা আহমেদ রোজি প্রমুখ।




শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কিছু কথা

 পরিক্রমা ডেস্ক

  ১৪ মে ২০২৪  
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও কিছু কথা

শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড। এজন্যই কি আজ আমাদের শিক্ষার এ দুরবস্থা? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,  টেলিভিশন সবকিছুতেই শিক্ষা সংক্রান্ত একটাই রেড টপিক্স- দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকরা আজ লাঞ্চিত, অবহেলিত। এর কারণগুলো কি কেউ কখনো খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন বা ভেবেছেন?

ব্যক্তিগতভাবে কিছু শিক্ষার্থী পড়ানোর খুব সামান্য অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর মধ্যে ভালো অভিজ্ঞতা যেমন হয়েছে, তেমনি কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও আছে। সে জায়গা থেকেই আমার আত্মোপলব্ধি হলো- এতো এতো শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার মূল বা প্রধান কারণ সামাজিক মূল্যবোধের অভাব।

একটি ছোট্ট শিশুর সামাজিকীকরণ শুরু হয় তার পরিবারের মানুষগুলোর হাত ধরে, তাদেরকে দেখে, তাদের থেকে শিখে। আমার কাছে শিক্ষক হলো সম্মানের পাত্র। যিনি একজন শিক্ষার্থীকে দিকনির্দেশনা দেন, সত্যিকারের মানুষ হতে শেখান। কিন্ত দিন দিন আমাদের মূল্যবোধ এবং নীতিনৈতিকতা এতটাই নিম্নস্তরের হয়ে গেছে যে, আমরা ভুলতে বসেছি শিক্ষক সম্মানীয় ব্যক্তি এবং শিক্ষকের সম্মান বজায় রাখা শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব।

মনে করেন, আপনি আপনার ছোট্ট সোনামণির জন্য বাসায় একজন গৃহশিক্ষক রেখেছেন। এক্ষেত্রে আপনার ছোট্ট সোনামণির জন্য গৃহশিক্ষকের করণীয় কি কি হতে পারে? গৃহশিক্ষক আপনার সন্তানের পাঠ্যক্রমকে আনন্দদায়ক করে তুলতে পারেন, সেটার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পারেন। আবার একজন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিতে পারেন, পড়ার কিছু কৌশল বলে দিতে পারেন।

কিন্তু দেখা গেল, সবকিছু সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হওয়ার পরেও বাচ্চাটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারলো না। তখনই শুরু হয়ে যায় অভিভাবক হিসেবে আপনার ভূমিকা! শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেনি, এর সব দোষ ওই গৃহশিক্ষকের!

অমনোযোগিতার কারণে শিক্ষার্থী ধর্ম পরীক্ষার পরিবর্তে বিজ্ঞান পরিক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে অথবা কোনোভাবে সে ধর্ম পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। এখানে দোষ কার? ওই গৃহশিক্ষকের।

শিক্ষকের দায়িত্ব ছিল প্রতিটি বিষয় ভালোমত বুঝিয়ে পড়ানোর! তবুও দেখা গেল শিক্ষার্থী চারটি বিষয় এ অকৃতকার্জ হয়েছে। এখানেও দোষ কিন্তু ওই গৃহশিক্ষকেরই!

গৃহশিক্ষক হিসেবে পড়ানোর সুবাদে এমন কিছু অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে! ছোটবেলা থেকে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা প্রায় শেষের পথে। কখনো আব্বু-আম্মুকে বলতে হয়নি, যাও পড়তে বসো।

কিন্তু কিছু অভিভাবকের আচরণ ও কথায় এতো কষ্ট পেয়েছি এবং অপমানিত বোধ করেছি, সেটা মনের মধ্যে কষ্ট হয়েই থাক! তবুও আপনাদের জন্য কিছু কথা-

আপনাদের সন্তানদের এ ছোট্ট বয়স থেকেই ক্ষুধা তৈরি করুন। সেটা হতে পারে নতুন কিছু জানার ক্ষুধা, দায়িত্ব পালনের ক্ষুধা, সম্মানিত হওয়ার এবং সম্মানিতবোধ করার ক্ষুধা, সফল হওয়ার ক্ষুধা, প্রতিযোগিতার ক্ষুধা, ব্যর্থ হওয়ার পরেও ঘুরে দড়ানোর ক্ষুধা এবং সর্বশেষ একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হওয়ার ক্ষুধা। কারণ ক্ষুধা ছাড়া কখনোই আমরা দৌঁড়ে বেশিদূর যেতে পারবো না। এ চিরন্তন সত্য স্বীকার করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তাহলে দেখবেন দিনশেষে কাউকে দোষারোপ করতে হবে না। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী থাকি, অন্য কেউ থাকে না। যা হারায় তা আমরা নিজেরাই হারায়, অন্য কেউ তা করে না। শিশুদের চেয়ে চমৎকার এ পৃথিবীতে আর কিছু নেই। নতুনভাবে মনোযোগ দিন আমাদের চমৎকার এই শিশুদের প্রতি। দেখবেন, ওরাও আপনাকে দিনশেষে চমৎকৃত করবে ভালো কিছু উপহার দিয়ে।




সিগারেট খাওয়া নিয়ে ববি শিক্ষার্থীদের মারধর, আহত ৪ 

সিগারেট খাওয়া নিয়ে ববি শিক্ষার্থীদের মারধর, আহত ৪ 

 পরিক্রমা ডেস্ক  

 14 মে ২০২৪

সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে।

গত রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বরিশাল শহরের বাংলাবাজারের খালেদাবাদ কলোনীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব মুন্সী, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির সান, জোবায়ের হোসেন ও সালেমীর হোসেন।

জানা যায়, আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের রহমান টিউশনি করাতে গিয়েছিলেন বাংলাবাজারে। সেখান থেকে ফিরে ওই এলাকার  খালেদাবাদ কলোনীতে চা-সিগারেট খেতে যান তিনি। এসময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে জিজ্ঞেস করেন, সেখানে তিনি কেনো সিগারেট খাচ্ছেন? একপর্যায়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় যুবকরা। খবর পেয়ে তার বন্ধুরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরও আটকিয়ে মারধর করেন ওই যুবকরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সান বলেন,  বন্ধুকে এলাকার বখাটেরা মেরেছে শুনে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। কথা বলতে গেলে তারা আমাদেরও বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করে। পরে আমাদের একজনকে আটকে রেখে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। যা এখনো তারা ফেরত দেয়নি। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আব্দুল কাইউম বলেন, আমি শুনেই আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে মেডিক্যালে ছুটে গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।




২৬ মে থেকে শুরু হতে পারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন

পরিক্রমা ডেস্ক

২৬ মে থেকে শুরু হতে পারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন

ফাইল ছবি

আগামী ২৬ মে শুরু শুরু হতে পারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন। শিক্ষা বোর্ড বলছে, ক্লাস শুরু হবে জুলাইয়ের শেষ দিকে। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন ২৪ লাখ। যা পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ভর্তিতে কোনো সংকট হওয়ার কথা না।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের পাসের তুলনায় দুই দশমিক ছয়-পাঁচ শতাংশ বেশি।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এবার পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে সাত লাখের মতো আসন বেশি রয়েছে। এ কারণে ভর্তিতে সংকট না হলেও নাম করা কলেজে আসন সংকট আছে। আগামী ২৬ মে থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হবে। জুলাইয়ের শেষদিকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাব থেকে স্বাভাবিক সূচিতে ফেরার চেষ্টা থাকছে একাদশ শ্রেণির রুটিনে।

এবার রাজধানীতে বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি মাধ্যমে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকার বাইরে অন্য মেট্রোপলিটন শহরে বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ ও উপজেলা শহরে ২ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ হয়েছে।

সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তিন দফা আবেদনের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষাবোর্ডের।

ভর্তির বিষয়ে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করলে ভর্তি নিয়ে কোনো সংকটে পড়তে হবে না।




কাশিমপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি, চীনা নাগরিক আহত

 পরিক্রমা ডেস্ক :

 ১৪ মে ২০২৪
কাশিমপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি, চীনা নাগরিক আহত
কাশিমপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি, চীনা নাগরিক আহত

গাজীপুরের কাশিমপুরে বাড়ীর মালিকের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মাধবপুর  এলাকার মিয়াজুদ্দিন মিয়নের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা আট লক্ষ টাকার নগদ অর্থ এবং কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

বাড়ির মালিক মিয়ন জানান, সোমবার রাতে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার হাত মুখ বেঁধে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ আট লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে তারা।

তিনি আরও জানান, ডাকাতরা পরে আমাকে আমার ফ্লাটের নিচতলায় থাকা একজন চীনা নাগরিকের রুমে নিয়ে যায়, সেখানে সে দরজা না খুলতে চাইলে লক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে।  এ সময় চীনা নাগরিক লুটিয়ে পড়লে তার ঘর তছনছ করে তারা পালিয়ে যায়।

চীনা নাগরিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বাড়ির মালিক।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনারসহ  ডিবির একটি তদন্তদল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

তদন্ত করে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে এ সময় পুলিশ।




সাত জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ, থাকতে পারে আরও কিছুদিন

পরিক্রমা ডেস্ক

১৪ মে ২০২৪
Image not found

 দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়-, দেশের সাত জেলা তথা টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।




স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

Image not found

ফিরে আসা নাবিকরা। ছবি: সংগৃহীত  

পরিক্রমা ডেস্ক
১৪ মে ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌঁছেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকরা। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাস পর তারা স্বজনদের কাছে ফিরলেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এমভি জাহান মণি-৩ লাইটার জাহাজে করে এসে বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালে পৌঁছেছেন নাবিকরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।

বন্দরে নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে ছিলেন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা, বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। আমরা অনেক খুশি। জিম্মি হওয়ার পর থেকে মুক্তি পাওয়া এবং দেশে ফিরে আসা—এ পর্যন্ত সব কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।




ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি, বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি তারা। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।

হাছান মাহমুদ বলেন, গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমে দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন। ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না আপনাদের।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়েও এ সময় কথা বলেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলামপ্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।




কাশ্মিরে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘিরে বিক্ষোভ, নিহত ৪

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :

আটা, ময়দা, জ্বালানিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

কাশ্মিরে আটা ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ২৪ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ভর্তুকি ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার আয়োজকরা বিক্ষোভ স্থগিত করেছেন।

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারীদের একজন শওকত নওয়াজ মীর। তিনি বলেন, ‘‘সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।’’ সহিংসতায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

কাশ্মিরে গত সপ্তাহের শেষের দিক থেকে বিক্ষোভ-সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানকার কর্তৃপক্ষ মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। কাশ্মিরের স্কুল, গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যদের মোতায়েন করে।

বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা যায়, উভয়পক্ষ পরস্পরকে রড দিয়ে আঘাত করছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।

কাশ্মিরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, চলমান বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত চারজনের মধ্যে পুলিশের এক কর্মকর্তাও রয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, বিক্ষোভে যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত দু’জন সরাসরি গুলির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন।

৩৭ বছর বয়সী দোকানদার মুহাম্মদ কাসিম এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালানো উচিত হয়নি (রেঞ্জার্সের)। আমরা কেবল নিজেদের অধিকারের দাবি তুলেছিলাম। এর বিনিময়ে গুলি পেয়েছি।’

কাশ্মিরের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠী দ্য জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি প্রথম এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহিংসতায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার ‘‘কালো দিবস’’ ঘোষণা করেছে গোষ্ঠীটি।

পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির আধা-স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল। যেখানে এই অঞ্চলের নিজস্ব আঞ্চলিক সরকার রয়েছে। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বৈরী দুই প্রতিবেশি ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের অন্যতম উৎসও এই কাশ্মির। দিল্লি ও ইসলামাবাদ— উভয়ই হিমালয় ঘেঁষা এই অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের বলে দাবি করে। এখন পর্যন্ত বিতর্কিক কাশ্মির অঞ্চলকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মাঝে অন্তত দু’বার যুদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও উভয় দেশের মাঝে একবার ছোট পরিসরের সংঘাত শুরু হলেও তা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে রূপ নেয়নি। বর্তমানে উভয় দেশই কাশ্মিরের একটি করে অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করছে।