আইসিএসবি কর্তৃক সরকারী কমার্স কলেজ, চট্টগ্রামে চার্টার্ড সেক্রেটারীজ পেশার উপর একটি ক্যারিয়ার সেশন আয়োজিত

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ১০ জুন ২০২৪ তারিখে সরকারী কমার্স কলেজ,
চট্টগ্রামে "চার্টার্ড সেক্রেটারি: এন ইমারজিং এন্ড রিওয়ার্ডিং প্রফেশন" শীর্ষক একটি ক্যারিয়ার সেশনের
আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারী কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুসেন
কুমার বড়ুয়া। আইসিএসবি-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব এম নুরুল আলম এফসিএস অনুষ্ঠানে সেশন স্পিকার
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি চার্টার্ড সেক্রেটারি পেশার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন
প্রদান করেন। তিনি দেশে ও বিদেশে চার্টার্ড সেক্রেটারি পেশার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি চার্টার্ড
সেক্রেটারি কোর্সের সিলেবাস, ক্লাস, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং সদস্যপদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া নিয়ে সংক্ষিপ্ত
আলোচনা করেন। তিনি চার্টার্ড সেক্রেটারি কোর্সে ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পেশাগত ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ
করতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
অধ্যাপক সুসেন কুমার বড়ুয়া তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ক্যারিয়ার সেশনটি শিক্ষার্থীদের পেশাগত সাফল্য
ত্বরান্বিত করার জন্য পেশাদার ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সহায়তা করবে। তিনি চট্টগ্রামে ক্যারিয়ার সেশন
প্রোগ্রাম পরিচালনা করার জন্য আইসিএসবিকে ধন্যবাদ জানান।
জনাব এ.কে.এম. মুশফিকুর রহমান এফসিএস, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জনাব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এফসিএস,
চেয়ারম্যান, পরীক্ষা কমিটি এবং সরকারী কমার্স কলেজ, চট্টগ্রামের শিক্ষকবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান
করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম রিজিওনাল চ্যাপ্টার সাব কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ দেলোয়ার
হোসেন এফসিএস। উক্ত অনুষ্ঠানে আইসিএসবি-এর পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শামিবুর রহমান
এফসিএস, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), জনাব কাজী আন্দালীব আমীন, পরিচালক (শিক্ষা), সরকারী কমার্স
কলেজ, চট্টগ্রাম-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয়
প্রধান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, জনাব মোহাম্মদ হাসেম, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান,
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, জনাব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সচিব, স্টাফ কাউন্সিল ও সহযোগী অধ্যাপক,
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ এবং মিসেস মিশু বড়ুয়া, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মার্কেটিং বিভাগ।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে, জনাব মোঃ জাকির হোসেন, আইসিএসবি-এর সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চার্টার্ড
সেক্রেটারীজ পেশা সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।




চুয়েটে আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল হল

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র আয়োজিত “আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৪” এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।  ফাইনালে শেখ রাসেল হল ১-০ গোলে বঙ্গবন্ধু হলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গোলদাতা হলেন ওমর আবীর, ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন এফ. এম. মিফতাহুজ্জামান
এ উপলক্ষ্যে আজ ০৯ই জুন (রবিবার), ২০২৪ খ্রিঃ বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকায় চুয়েট কেদ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুয়েটের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত থেকে খেলার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ এর ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম,ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইসলাম মিয়াসহ সকল হল এর প্রভোস্টগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ-প্রধান শারীরিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।



স্কাইডাইভে বাংলাদেশের আশিক চৌধুরীর বিশ্বরেকর্ড, উদযাপন করল স্পন্সর ইউসিবি

লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্কাইডাইভ করে সম্প্রতি অনন্য রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের আশিক চৌধুরী। আশিকের এই দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা সফল করতে স্পন্সর হিসেবে পাশে ছিল দেশের অন্যতম গ্রাহকপ্রিয় ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) বিশ্বরেকর্ড গড়ার গৌরব উদযাপনে আজ ০৯ জুন, ২০২৪ তারিখে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস মিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউসিবি

প্রেস মিটে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাগণ এই বিরল সম্মান অর্জনের পেছনে আশিক চৌধুরীর অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নির্ভীক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান। উল্লেখ্য, রেকর্ড গড়ার উদ্দেশ্যে গত ২৫ মে, ২০২৪ তারিখে  ৪১,৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে “হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং” (হেলো) স্কাইডাইভ করেন আশিক। বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাইডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাইডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র‍্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা।

রেকর্ড গড়ার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পাইপার পিএ-ফরটি টু মডেলের একটি বিমান থেকে ঝাঁপ দেন আশিক। দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন।  ঝাঁপ দেয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি ঘন্টায় ৩১৪ কিমি’র সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিকাল স্পিড) লাভ করেন।ভমোট ৩৭,২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪,৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। অনানুষ্ঠানিকভাবে এখনো পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য আশিকের ডাইভ সংক্রান্ত সকল তথ্য ইতোমধ্যে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইউসিবি পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী বলেন, “নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরো বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবি’কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সবসময়ই তাদের পাশে দা্ঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল”।

নিজের অর্জনকে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করে আশিক চৌধুরী বলেন, “জাতি হিসেবে আমরা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অসংখ্য উদাহরণ তৈরি করেছি। বিশ্বরেকর্ডের গৌরব আমি এই দেশ ও দেশের মানুষের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই, যারা আমাকে স্কাইডাইভে অনুপ্রাণিত করেছেন। হাজারো ফিটের উচ্চতায় দেশের পতাকা জড়িয়ে ধরার যে গর্ব, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এই প্রচেষ্টায় পাশে থাকার জন্য ইউসিবি’র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই”।

ভবিষ্যতে দেশের তরুণদের এমন আরো অকুতোভয় প্রচেষ্টা ও অনন্য মাইলফলক অর্জনের যাত্রায় শতভাগ সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করে আয়োজন সমাপ্ত করে ইউসিবি।




১৩ বছর পর সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি হলো বাংলাদেশ

১৩ বছর পর সিরডাপ(CIRDAP) গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। গত (৬জুন ২০২৪খ্রি.) বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের ২৪তম সভায় সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণের সমর্থনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে পরবর্তী দুইবছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।

৪-৬ জুন ব্যাংককে সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য  সদস্য রাষ্ট্রগুলি কেন্দ্রের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়৷ সমাপনী দিনে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আগামী দুই বছরের জন্য গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরডাপের নবনির্বাচিত সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সিরডাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে এসেছে। আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট এবং সাংঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই, যাতে করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা পালন করতে পারে৷

তিনি সিরডাপের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা কী হবে সে প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের জানতে হবে কেন এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ দরিদ্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সিরডাপ ব্যর্থ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে নেতৃত্বদানকারী জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার সংস্থা( FAO) এর সমর্থন এবং সহযোগিতার উপর জোর দিতে হবে৷ সংগঠনটিকে আরও ফলপ্রসু এবং যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারন করতে হবে৷

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র‍্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা, টিকাদান এবং সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। যেহেতু গ্রামীণ উন্নয়ন আমাদের দেশের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা সেহেতু আমরা চাই, সিরডাপভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থার সাথে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে।

উল্লেখ্য যে, গভর্নিং কাউন্সিল এর সভার পূর্বে গত ৪ ও ৫ জুন সিরডাপ এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও

সিরডাপের সদস্যরাষ্ট্র ভারত, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিজি, ইরানের প্রতিনিধিগণ উক্ত গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত ছিলেন।




চুয়েটের ১৩৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ১৩৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৮ই জুন (শনিবার) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েট সিন্ডিকেট সভার সভাপতি ও মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, এমকোদর পলাশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী মেজর (অবঃ) মোঃ ফিরোজ খাননুন ফরাজী, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম, চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর এমপি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জনাব মোহাম্মদ খালেদ রহীম অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

উক্ত সিন্ডিকেট সভায় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। সভার শুরুতে সিন্ডিকেটের নতুন সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, প্রকৌশলী মেজর (অবঃ) মোঃ ফিরোজ খাননুন ফরাজী, অধ্যাপক রেজাউল করিম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।




রাজশাহীতে শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
রাজশাহীতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. মনিরুল ইসলাম, আরএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় রাজশাহী’র উপ-পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা পারভীন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ট্রেনিং এন্ড ক্যাম্পেইন স্পেশালিস্ট গাজী মহিবুর রহমান।
এছাড়া, মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্ৰহণ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ডা. আসাদুর রহমান, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম। আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদফতর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শব্দদূষণ একটি নিরব ঘাতক অথচ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা নেয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শব্দ দূষণের সাথে সম্পৃক্ত। অহেতুক শব্দ মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির বড় কারণ। তাই এ দূষণ রোধে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। তাই নিজ-নিজ অবস্থান থেকে শব্দদূষণ রোধে তিনি সকলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

 




পাট পণ্যের বিশ্ব বাজার আমাদের দখলে থাকবে … বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী নানক

 

ফরিদপুর, ৮ জুন ২০২৪:

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পাট পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের উদ্যেক্তারা পাট পণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প মেলায় আমাদের পাট পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে এবং প্রচুর ক্রয় আদেশ পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে পাট পণ্যের বিশ্ব বাজার আমাদের দখলে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, গত পরশু জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের প্রাক্কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভ্যানিটি ব্যাগ সাথে নিয়েছেন তা পাটের তৈরি। সেদিন তিনি যে শাড়ি পড়েছেন তা পাটের তৈরি। গত সপ্তাহে জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পাটের কলি থেকে ‘জুট টি’ তৈরি করতে হবে। কাজেই তিনি পাট ও পাট জাত পণ্যকে কতটা গুরুত্ব দেন তা বোঝা যায়। তিনি পোশাক শিল্পকেও এভাবে উৎসাহ দিয়েছিলেন যেটি এখন আমাদের প্রধান রপ্তানি খাত।

পাট জাগ দেয়া সমস্যার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাট জাগ দেয়ার জন্য অনেক এলাকায় পানি ও পুকুর সহজপ্রাপ্য নয়। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ছোট একটা জায়গায় পাট জাগ দেয়া যায় কিনা বা ক্যামিক্যাল ব্যবহার করে সহজে পাট ব্যবহার উপযোগী করা যায় কিনা।

পাট চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি উঠান বৈঠক আয়োজন করতে এবং তাতে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পাটের বীজ আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। সার, কীটনাশক ও ভালো বীজের জোগান দিতে হবে। ধান, চাল, গমের জন্য পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। তিনি পাট বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির আহবান জানিয়ে বলেন, ফরিদপুর অঞ্চল যেহেতু পাট উৎপাদনে সমৃদ্ধ সেহেতু পাটবীজ উৎপাদনেও এখানকার পাট চাষীদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। এজন্য আপনাদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

তিনি আজ ফরিদপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে পাট চাষী, মিল মালিক, ব্যবসায়ী এবং পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পাট অধিদপ্তর এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, পাট একটি চ্যালেঞ্জিং সেক্টর। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পাট শিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, পাট শিল্পকে বহুমুখী উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়লে সরবরাহ করার প্রবনতা বাড়বে। আর চাহিদা বাড়ানোর জন্য পাটের বহুমুখী ব্যবহারের দিকে জোর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, চাষীরা তখনই পাট চাষের উৎসাহ পাবে যখন তারা ভালো বীজ পাবে, সঠিকভাবে পাট জাগ দিতে পারবে এবং তাদের উৎপাদিত পাটের নিরাপদ বাজারজাত করতে পারবে ও ন্যায্য দাম পাবে। তিনি পানি ছাড়াই পাটের আঁশ ছাড়ানোর কোনো পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার আহবান জানান। এছাড়া পাট জাগ দেয়ার বিষয়ে পানি সংকট দূর করার জন্য তিনি আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা করে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ প্রদান করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পাট চাষী, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বলেন, পাট গাছের জন্য কার্যকর কীটনাশক দরকার। পাট জাগ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। পলিথিনের বিকল্প সহজলভ্য করতে হবে। পাটের বস্তা, ব্যাগ ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। পাট চাষীদের প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ঝর্না হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ প্রমুখ। এছাড়াও চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জুট মিল মালিক প্রতিনিধি, পাট চাষীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত
বহুমুখী পাট পণ্য মেলার উদ্বোধন করেন।




“নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো” – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (সিরাডাপ) এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন করা৷ বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রশিক্ষণে মাধ্যমে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পল্লীর জনগণের আর্থিক উন্নয়ন এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে ৪৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল৷ কিন্তু, আমার মনে হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে খুব বেশি সফলতা অর্জন করতে পারেনি৷ সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে খুব বেশি অবদানও রাখতে পারেনি৷ তাই, নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্বসূরিদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।

আজ (শনিবার) সকালে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি (আর.এফ.ই.ডি) কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতিকের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার শুরুতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী একথা বলেন। গত ৪-৬ জুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের ২৪তম সভায় ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি’কে পরর্বতী দুইবছরের জন্য সংস্থাটির গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়৷ একইসাথে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন সদস্য রাষ্ট্র ফিজি’র পল্লী ও সমুদ্র উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সাকিয়াসি রাইসেভু দিতোকা এবং মহাপরিচালক নির্বাচিত হন সদস্য রাষ্ট্র ভারতের ড. পি. চন্দ্র শেখর।

স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ এবং নির্বাচনে দলীয় প্রতিকের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণ বিষয়ে কারও দ্বিমতেরও সুযোগ নেই। কিন্তু মতভেদটা হচ্ছে মূলত আইন সংশোধন নিয়ে৷ আইন মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সংশোধন হয়৷ পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও তাই হয়েছে। সময়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে আইন সংশোধন হচ্ছে৷ আর, মতপার্থক্য যা হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মতামত প্রদানের অধিকার থাকবেই। এখানে যেমন ভাল কাজের প্রশংসা করার সুযোগ থাকে, মন্দ কাজের সমালোচনা করারও সুযোগ থাকে৷ মাঝে মাঝে আমার ভাল কাজেরও সমালোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে এই সমালোচনা আমাকে আরও উদ্যোমী হতে সাহায্য করে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক ব্যবহারের সমালোচনা যেমন হয়েছিলো, প্রতীক ব্যবহার না করার ক্ষেত্রেও মতভেদ আছে৷ সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখেই এই স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-০৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জে. (অবঃ) শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম৷ সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি এর চেয়ারম্যান একরামুল হক সায়েম।




বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ে শুভ সূচনা করায় টাইগারদের আকাশ কুমার ভৌমিকের অভিনন্দন

আশিক সরকার : বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শুভ সূচনা করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কদমতলী থানা কমিটির উপদেষ্টা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক।

শনিবার (০৮ জুন ২০২৪) সকালে এক অভিনন্দন বার্তায় কদমতলী থানা কমিটির উপদেষ্টা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক।  এই শুভেচ্ছা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয় লাভ করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচে টাইগারদের দুর্দান্ত জয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শুভ সূচনা টাইগারদের দারুণ অর্জন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছে।’

এ সময় অভিনন্দন বার্তায় চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিজয় স্পৃহা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।




২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনাকে ডিএসই’র অভিনন্দন

৬ জুন ২০২৪ তারিখে “টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাএা” শিরোনামে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্রকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো অগ্রাধিকারসহ সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ অঙ্গীকারে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি মহান জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, তার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে৷ এ বাজেট হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি’র প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট৷

ডিএসই মনে করে যে, উন্নয়ন ও উত্পাদনমূখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে৷ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন ও উত্পাদনমূখী যে পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷

মোঃ শফিকুর রহমান

ডিএসই