নিজ নির্বাচনী এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত টিআর-এর অর্থ বিভিন্ন  ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করলেন  বাহাউদ্দিন নাছিম 

নিজ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৮ এর জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত টিআর-এর ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকা ৭০ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিতরণ  করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য  লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
নিজ আসনের ৬১ টি মসজিদ ও মাদ্রাসা, ৭ টি মন্দির, একটি চার্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত গুরুদুয়ারা নানক শাহীসহ ৭০ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে  একাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে এই অর্থ বিতরণ করেন নাছিম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে নিজ অফিসে এসব ধর্মীয় উপাসনালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি চেক হস্তান্তর করেন।
এ সময়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় এদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে। তারা জনগণের উন্নয়নে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান যাতে এদেশের জনগণ ভালো থাকে। তাই তিনি দেশের মানুষের জন্য  ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নানা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন।তারই একটি অংশ যা আমি আমার আসনের জন্য  বরাদ্দ পেয়েছি তা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিতরণ  করেছি। আগামী দিনেও যাতে এ আসনের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে চলতে  পারে তার জন্য আমি কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা ৮ আসনের জনগণ আমাকে ভরসা করে  ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি আমার জায়গা থেকে তাদের  স্বপ্ন  পূরনে  সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।




চুয়েটের অর্থ কমিটির ৬৪তম সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)—এর অর্থ কমিটির ৬৪তম সভা অদ্য ০৬ জুন (বুধবার) বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েট অর্থ কমিটির সভাপতি ও মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো—ভাইস—চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: হযরত আলী, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সুত্রধর, বহিঃ সদস্য হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব, বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (অতিরিক্ত দায়িত্ব)  মোছাঃ রোখছানা বেগম। সভায় সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন চুয়েট এর কম্পট্রোলার জনাব মো. সফিকুল ইসলাম।

 

 

বার্তাপ্রেরক-

//স্বাক্ষরিত//
আইদিত ইবনে মঞ্জু
জনসংযোগ কর্মকর্তা
জনসংযোগ দপ্তর,
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।




অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইমরান মাইকেলসহ মোট ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

১। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও ছিনতাইকারীসহ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। র‌্যাবের এই অভিযানিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৩ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ  চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ ইমরান @ মাইকেল (৪৪), পিতা-মৃত আমির হামজা @ বাদল, সাং-বাগডাসা লেন, নয়াবাজার, থানা-বংশাল, ডিএমপি, ঢাকা সহ মোট ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম ২। মোঃ অনিক হাসান @ রানা (৩২), পিতা-মোঃ জামাল উদ্দিন, সাং-চুনকুটিয়া,থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৩। মোঃ সুমন মিয়া (৪২), পিতা-মৃত গেদা মিয়া, সাং-কদমতলী, তালগাছতলা, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৪। মোঃ আবুল খায়ের (৪২), পিতা-মৃত আব্দুল বাতেন,সাং-রঘুনাথপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ৩,৩৮০/- (তিন হাজার তিনশত আশি) টাকা ও ০১ টি প্লাস্টিকের পাইপ এবং ০৩ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়।  ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, কোতয়ালী, ও যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এম. জে. সোহেল
সহকারী পুলিশ সুপার
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০




কুয়েটে শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন

০৪ জুন, ২০২৪ঃ
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)  এর শিক্ষকগণ। এই কর্মসূচির আয়োজন করে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।

০৪ জুন মঙ্গলবার কুয়েট শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পলাশ সাহা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাঈম হাসান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এম. এম. তওহিদ হাসান, মেকানিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ হেলাল আন নাহিয়ান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।


এছাড়া, সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিধিমালা, ২০২৩ এর প্রজ্ঞাপন হতে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়সমূহের অন্তভূক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল করেছে অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি।
এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, একই বেতনস্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র একই শ্রেণীর কর্মচারীর একটি নির্দিষ্ট অংশকে সুবিধাবঞ্চিত করবে। একই বেতনস্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এ সময় বক্তারা প্রত্যয় স্কিম বাতিল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেখানে একটা পেনশন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছেন সেখানে নতুন করে অন্য একটি বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমে তাদের অন্তর্ভূক্তির ফলে সরকারি অন্যান্য চাকুরিজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বাড়াবে। এই পেনশন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে মেধাবীরা বিশ^বিদ্যালয়ে যোগদানে উৎসাহ হারাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টেকসই ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় হবে। বক্তারা অবিলম্বে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অন্তর্ভূক্তি প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রনয়ণ ও সুপারগ্রেড প্রদানের দাবি জানান।

মনোজ কুমার মজুমদার
সহকারী পরিচালক
জনসংযোগ ও তথ্য শাখা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়।




বিএফইউজেসহ বিভিন্ন মহলের শোক দৈনিক সংগ্রামের যশোর জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের ইন্তিকাল!

দৈনিক সংগ্রামের যশোর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক লোকসমাজ এর চীফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন—বিএফইউজের কাউন্সিলর ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট সংগঠক, লেখক ও নাট্যকার মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস (৬১) ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে যশোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বারান্দী মোল্লাপাড়া বাশতলাস্থ নিজ বাড়িতে হার্ট এ্যাটাক করেন। দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি—নাতনি, আত্মীয়—স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার গালদা গ্রামের শামসুর রহমান বিশ^াস ও মাতা খোদেজা খাতুনের ছেলে। সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড়। তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ব্যাগারিতলা দাখিল মাদরাসার শিক্ষিকা।
সাংবাদিক, সংগঠক, লেখক ও নাট্যকার হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস। তিনি সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন—বিএফইউজের কাউন্সিলর ছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি প্রেসক্লাব যশোরের কোষাধ্যক্ষ ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সহ—সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বিএফইউজের কাউন্সিলর ছিলেন।
মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস ১৯৬৩ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার গালদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের ঝিকরগাছা সংবাদদাতা হিসাবে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। এরপর তিনি যশোরের দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক কল্যাণ, দৈনিক রানার, খুলনার দৈনিক পুর্বাঞ্চল, সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশনালগ্ন থেকে এর সাথে সম্পৃক্ত হন এবং মৃত্যুকালে পত্রিকাটির চীফ রিপোর্টার ছিলেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক সংগ্রাম এর যশোর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে সরব পদচালনা ছিল মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের। তিনি ছিলেন একাধারে নাট্যকার ও শিশু সাহিত্যিক। শিশুদের ইসলামী মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে ওঠার লক্ষ্যে তার কলম ছিল সচল। তিনি ২০১৩ সালে ‘প্রথম আলো ট্রাস্ট’ আয়োজিত ‘মাদক বিরোধী’ সেরা প্রতিবেদন পুরুস্কার লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে শিশু একাডেমির শিশু নাট্য প্রতিযোগীতায় ‘কাজের ছেলে’ নাটক মঞ্চায়নে পুরুস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে শিশুতোষ নাটক রচনা প্রতিযোগীতায় ‘ক্যান্সার’ নাটকে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তার গল্প, নাটক, ছড়া, সাংবাদিকতা, ইসলামী ও পাঠ্যবইসহ ২৯টি বই রয়েছে। মঞ্চস্থ নাটকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
তিনি যে বই লিখেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘নামাজ কবুলের পূর্বশর্ত’, ‘যে রোজা আখেরাতে উপকারে আসবে না’, ‘তাকওয়া বৃদ্ধির উপায়’, ‘জুলুম নির্যাতন মুমিনের সাথী’, ‘দুর্ভাগা মুমিন ১’, ‘দুর্ভাগা মমিন ২’, ‘দৈনন্দিন জীবনে কোরবানি’, ‘ইসলামের সামাজিক কাজে গুরুত্ব ও ফজিলত’, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে সাংবাদিকতা’, ‘শিশুদের প্রথম পাঠ’, ‘শিশুদের আরবি ও ইসলাম শিক্ষা’। ইসলামিক নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘ক্যান্সার’, ‘কাজের ছেলে’, ‘পরশ পাথর’, ‘বড় বাবুর কিচ্ছা’, ‘পলাশ পুরের সেই ছেলেটি’, ‘রাজা যখন কৃষক’, ‘গোলমাল’, ‘সামান্য ভুল’, ‘বাদল ড্রাইভার’, ‘মিসির আলীর মেস ব্যবসা’, ‘মুন্সিবাড়ির সেকাল একাল’, ‘তবু কাছে তবু দূরে’, ‘একটি ভালোবাসার অকাল মৃত্যু’। ইসলামী গল্প এর মধ্যে ‘ভূতের সাথে মিতালী’, ‘মৎস্য কন্যার সাগর অভিযান’, ‘শিয়াল পন্ডিতের জন্মদিন’ উল্লেখযোগ্য।
এদিকে সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস এর ইন্তিকালের খবর শুনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন—বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওনসহ যশোরের বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হাসপাতাল ও তার বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তার সহকর্মী অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকেল ৬টার দিকে তার কফিন নিজ বাড়ি থেকে সাংবাদিকদের সেকেন্ড হোম প্রেসক্লাব যশোরে নেয়া হয়। সেখানে তার কফিনকে সামনে রেখে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এখানে তার একমাত্র ছেলে রাকিব শাহরিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
মাগরিব বাদ যশোরের মোল্লাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেছেন মরহুমের মেঝ ভাই মাওলানা নূরুল ইসলাম। জানাজায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, জামায়াতের যশোর—কস্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর পূর্ব জেলা আমীর মাস্টার নূরুন নবী, সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর, যশোর শহর আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, যশোর পশ্চিমের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি মাওলানা শিহাব উদ্দিন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, সাবেক সভাপতি ফকির শওকত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন—বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি মো. আকরামুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন যশোরের সভাপতি গোপিনাথ দাস ও সাধারণ সম্পাদক এম আর খান মিলন, দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু ও প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, সাংবাদিক নেতা আহসান কবীর বাবু, শহীদ জয়, জাহিদ আহমেদ লিটন, রফিকুল ইসলাম, মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শত শত মুসল্লী অংশ নেন। জানাজা শেষে মোল্লাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

এদিকে সাংবাদিক নেতা মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ, তার রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দৈনিক সংগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাজজাদ হোসাইন খান, বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ সা’দাত হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি ও চীফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী, সার্কুলেশন ম্যানেজার খন্দকার এমদাদুল হক, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার মো. আ

 

সহাবুর রহমান আফতাব, খুলনা বিভাগীয় প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি শেখ আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ বিশ^াস, কুস্টিয়া জেলা প্রতিনিধি খালিদ হাসান সিপাই, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি এম এ আলমগীর, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি এম এ কবির, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম খান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি ওয়ালিউর রহমান, মেহেরপুর

 

জেলা প্রতিনিধি মো. আকতারুজ্জামান।
অনরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি মো. আকরামুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত আবুল হাসান হিমালয়, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।
অনরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর—কুস্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, টিম সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, ড. মো. আলমগীর বিশ^াস, অধ্যক্ষ আলী মোহসিন, আব্দুল মতিন ও মাওলানা আশেক এলাহী, যশোর শহর আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল ও সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, যশোর পশ্চিম জেলার আমীর মাস্টার নূরুন নবী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর, যশোর পশ্চিম জেলার আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি মাওলানা শিহাব উদ্দিন।




গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ব্যতিক্রমী আয়োজন

গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গত ১ জুন শনিবার এর সাতারকুল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্লেনজিউর’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে তরুণ শিক্ষার্থীরা (প্লে গ্রুপ থেকে গ্রেড ২ পর্যন্ত) নিজেদের বিভিন্ন প্রতিভা প্রদর্শন এবং দলগত পারফরম্যান্সে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। 

সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এই আয়োজনে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক, শিক্ষক এবং প্রশাসনিক কর্মীসহ সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে সবাই পারফর্ম করেন। ট্রাইবাল স্কিট পারফরমেন্স, গান, স্কেটিং এবং ঈদ নাটক সহ বিভিন্ন ধরণের নৃত্য পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে।

‘স্কুল অফ লাইফ’ ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, গ্লেনরিচ শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বারোপ করে থাকে। এ ধরনের আয়োজন নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী এই স্কুলটি।




মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইসলামিক স্টাডিজ ক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপী শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইসলামিক স্টাডিজ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষা সফর-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে ২০২৪) গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এ শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীর অংশ নেন।

এ সফরের নেতৃত্বে ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ও  শিক্ষক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান খিজিরী।

শিক্ষা সফর উপলক্ষে শুক্রবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাস থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হন ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রতীক পদ্মা সেতু হয়ে সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন । পরে সেখান থেকে তারা বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্পট পরিদর্শন করতে যান। সেখানে তারা ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলীর (রহ.) মাজার ও ঠাকুরদীঘি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে বিকালে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন। যাত্রাপথে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন ঐতিহাসিক শতবর্শী আমগাছ পরিদর্শন করেন।




বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে টানা চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ঘরের মাঠে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেই মিশনে সফল হয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। নেপালকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ৪৫-৩১ পয়েন্টে নেপালকে হারিয়ে টানা চতুর্থ বার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো। ২০২১ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের সব কটি শিরোপাই নিজেদের কাছে রাখল লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা।
দারুণ ক্রীড়াশৈলী দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তারকা রেইডার আরদুজ্জামান মুন্সি।টুর্নামেন্টের বেস্ট রেইডার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশ দলের রেইডার মিজানুর রহমান। বেস্ট ক্যাচারের পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশ দলের ক্যাচার রুমান হোসেন। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন নেপালের ঘনশ্যাম রোকা মাগার।
ফাইনাল উপলক্ষে ইনডোর স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ ছিল আজ। বাংলাদেশের রেইডের সময় দর্শকরা ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ আবার নেপালের রেইডের সময়ও গলা ফাটিয়ে উজ্জীবিত করেছে স্বাগতিকদের। শিরোপা জয়ের পর পতাকা নিয়ে খেলোয়াড়েরা উল্লাস করেছে, দর্শকরাও দাঁড়িয়ে তাদের অভিবাদন দিয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭-২২ পয়েন্টে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরুর পর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৭৩-২২ পয়েন্টে ও ইন্দোনেশিয়ার ৫৯-১৯ পয়েন্টে জিতেছিলেন আরদুজ্জামান-জিয়ারা।
নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে পোল্যান্ডকে ৭৯-২৮ পয়েন্টে হারিয়ে সেমি-ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। আর নেপালকে ৪৬-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা পাঁচ জয়ে গ্রুপ সেরা হয় বাংলাদেশ। সেমিফাইনাল ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ৪১-১৮ পয়েন্টে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম এবং ডিএমপি কমিশনার ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু হয়। করোনা মহামারীর কারণে সে সময় নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া, পোল্যান্ড ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশ অংশগ্রহণ করে।
২০২২ সালে দ্বিতীয় আসরে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া, ইংল্যান্ড, ইরাক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ আটটি দেশ অংশগ্রহণ করে। ২০২৩ সালে তৃতীয় আসরে অংশগ্রহণ করেছিল রেকর্ড ১২টি দেশ। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে টুর্নামেন্টের ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশেও। টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ ছিল ফুটবলের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাবাডি দল। তৃতীয় আসরে অংশ নেওয়া দেশগুলো ছিল আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড, কেনিয়া, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চাইনিজ তাইপে, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় সারা জাগানিয়া এ টুর্নামেন্ট এখন আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের বর্ষপঞ্জিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। বাংলাদেশের এ আসরটি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। গত তিনটি আসর শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলেও এবার নতুন ভেন্যু হিসেবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গেল তিনটি আসরের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এবারও শিরোপায় চোখ রেখে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে স্বাগতিকরা। প্রথম আসরে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায় বাংলাদেশ। এরপর ২০২২ সালেও সেই কেনিয়াকে ফাইনালে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। ২০২৩ আসরে চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ।
গত রবিবার (২৬ মে ২০২৪) স্বাগতিক বাংলাদেশ-কোরিয়া ম্যাচের মধ্য দিয়ে জমকালো আয়োজনে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের পর্দা ওঠে।



আইএইউপি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মডেল স্টুডেন্ট কম্পিটিশন ২০২৪-এ ২য় পুরস্কার জিতেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের “কারিগরি দক্ষতা” দল

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (আইএইউপি) আয়োজিত ৩য় আইএইউপি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মডেল স্টুডেন্ট কম্পিটিশন ২০২৪-এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পাঁচজন ছাত্রের সমন্বয়ে গঠিত ‘কারিগরি দক্ষতা’ দল গৌরবোজ্জ্বল দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। ৩০ মে, ২০২৪-এ, ডিআইইউ টিম “কারিগরি দক্ষতা” ১০টি দেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি চূড়ান্ত প্রকল্পের সাথে প্রতিযোগিতা করে এ পুরস্কার অর্জন করে। একটি ভার্চুয়াল পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দলটিকে প্রাইজ মানি হিসেবে ১৫০০ মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন, আরাবী চৌধুরী, মারওয়া আবদুস সালাম, রাহাত ইসলাম, মোঃ ইশরাক ভ‚ইয়া ও শফিকুল ইসলাম প্রান্ত।

প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দল তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলি উপস্থাপন কাে এবং বিশ্বব্যাপী সমস্যার জন্য টেকসই সমাধানের জন্য তাদের প্রতিশ্রæতি প্রদর্শন করে। ‘কারিগরি দক্ষতা’ দল তাদের প্রকল্প, “ঐুফৎড়তবহ খধনং” উপস্থাপন করে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-(ঝউএং) ৯, ১১, ১২, এবং ১৩ কে সংযুক্ত করে, যার লক্ষ্য ডেটা বিশ্লেষণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ইন্টারনেট অব থিংকিং (ওড়ঞ) ব্যবহার করে আরও স্মার্ট, আরও দক্ষ কৃষি ব্যবস্থা তৈরি করা। তাদের প্রকল্পটি মাটির প্রকৃতি, পানি সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য এবং কার্বন সিকোয়েস্টেশনের প্রচারের অনুশীলনের উপর গুরুত্ব দেয়।

ক্যাপশনঃ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (আইএইউপি) আয়োজিত ৩য় আইএইউপি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মডেল স্টুডেন্ট কম্পিটিশন ২০২৪-এ দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ‘কারিগরি দক্ষতা’ দলের সদস্য আরাবী চৌধুরী, মারওয়া আবদুস সালাম, রাহাত ইসলাম, মোঃ ইশরাক ভ‚ইয়া ও শফিকুল ইসলাম প্রান্ত




মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার একাডেমিক ভবন উদ্বোধন

রবিবার বিকাল ৪:০০ টায় ঢাকা মহিলা কলেজের নিজস্ব মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ম্যুরাল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একাডেমিক ভবন উদ্বোধন এবং এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্র কলেজের গভর্নিং বডির মাননীয় সভাপতি ও কাউন্সিলর, ১৫ নং ওয়ার্ড,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম বাবলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমীন মজুমদার, ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন,মোঃ মোমেন সরকার ও রিয়াজ আহমেদ সদস্য, গভর্নিং বডি, ঢাকা মহিলা কলেজ৷ সভায় প্রধান অতিথি মহোদয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সোনার বাংলা তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ছাত্রীদের সৎ, শিক্ষিত ও মেধাবী হয়ে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার উপদেশ দেন।

নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হচ্ছে কিনা এবং শিক্ষার্থীদের শতভাগ ক্লাসরুমে উপস্থিতি আছে কিনা সে বিষয়ে অধ্যক্ষকে জোর তাগিদ দেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, নিয়মিত ছয় থেকে আট ঘণ্টা পড়ার অভ্যাস করো। রেডক্রস, স্কাউটিং, বিতর্কসহ নানা দায়িত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। এবং ৫ জন দরিদ্র, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়াশোনার আশ্বাস দেন ও শিক্ষকবৃন্দদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন।

শিক্ষকবৃন্দকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরার জোর তাগিদ দেন ।অনুষ্ঠানে সভাপতি মহোদয় শিক্ষার্থীদেরকে ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদেরকে সুশিক্ষায় আলোকিত করতে হবে ও সেই সাথে তিনি নিজেদেরকে স্মার্ট সিটিজেন ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দিক নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমীন মজুমদার, ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন ও মোঃ মোমেন সরকার সদস্য, গভর্নিং বড়ি, ঢাকা মহিলা কলেজ।

এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন অত্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য এ এইচ মামুন-অর রশিদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন বইয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। এতে পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ারও আগ্রহ বাড়াতে হবে। দেশ প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

প্রধান অতিথি কলেজের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সভাপতি মহোদয় অনুষ্ঠান সফল ও স্বার্থক করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, কলেজের জমি দাতা বেগম কুলসুম মজিদ, কলেজের প্রতিষ্ঠা সভাপতি লায়ন মরহুম হুমায়ুন জহীর, প্রয়াত অধ্যক্ষ, শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান খান।

স্কাউটের সমন্বয়ক ছিলেন এ বি এম জিয়াউল আহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র কলেজের পৌরনীতিও সুশাসন বিভাগের প্রভাষক তাহমিনা আক্তার।