স্কাইডাইভে বাংলাদেশের আশিক চৌধুরীর বিশ্বরেকর্ড, উদযাপন করল স্পন্সর ইউসিবি

লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্কাইডাইভ করে সম্প্রতি অনন্য রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের আশিক চৌধুরী। আশিকের এই দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা সফল করতে স্পন্সর হিসেবে পাশে ছিল দেশের অন্যতম গ্রাহকপ্রিয় ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) বিশ্বরেকর্ড গড়ার গৌরব উদযাপনে আজ ০৯ জুন, ২০২৪ তারিখে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস মিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউসিবি

প্রেস মিটে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাগণ এই বিরল সম্মান অর্জনের পেছনে আশিক চৌধুরীর অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নির্ভীক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান। উল্লেখ্য, রেকর্ড গড়ার উদ্দেশ্যে গত ২৫ মে, ২০২৪ তারিখে  ৪১,৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে “হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং” (হেলো) স্কাইডাইভ করেন আশিক। বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাইডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাইডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র‍্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা।

রেকর্ড গড়ার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পাইপার পিএ-ফরটি টু মডেলের একটি বিমান থেকে ঝাঁপ দেন আশিক। দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন।  ঝাঁপ দেয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি ঘন্টায় ৩১৪ কিমি’র সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিকাল স্পিড) লাভ করেন।ভমোট ৩৭,২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪,৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। অনানুষ্ঠানিকভাবে এখনো পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য আশিকের ডাইভ সংক্রান্ত সকল তথ্য ইতোমধ্যে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইউসিবি পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী বলেন, “নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরো বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবি’কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সবসময়ই তাদের পাশে দা্ঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল”।

নিজের অর্জনকে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করে আশিক চৌধুরী বলেন, “জাতি হিসেবে আমরা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অসংখ্য উদাহরণ তৈরি করেছি। বিশ্বরেকর্ডের গৌরব আমি এই দেশ ও দেশের মানুষের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই, যারা আমাকে স্কাইডাইভে অনুপ্রাণিত করেছেন। হাজারো ফিটের উচ্চতায় দেশের পতাকা জড়িয়ে ধরার যে গর্ব, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এই প্রচেষ্টায় পাশে থাকার জন্য ইউসিবি’র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই”।

ভবিষ্যতে দেশের তরুণদের এমন আরো অকুতোভয় প্রচেষ্টা ও অনন্য মাইলফলক অর্জনের যাত্রায় শতভাগ সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করে আয়োজন সমাপ্ত করে ইউসিবি।




১৩ বছর পর সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি হলো বাংলাদেশ

১৩ বছর পর সিরডাপ(CIRDAP) গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। গত (৬জুন ২০২৪খ্রি.) বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের ২৪তম সভায় সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণের সমর্থনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে পরবর্তী দুইবছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।

৪-৬ জুন ব্যাংককে সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য  সদস্য রাষ্ট্রগুলি কেন্দ্রের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়৷ সমাপনী দিনে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আগামী দুই বছরের জন্য গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরডাপের নবনির্বাচিত সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সিরডাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে এসেছে। আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট এবং সাংঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই, যাতে করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা পালন করতে পারে৷

তিনি সিরডাপের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা কী হবে সে প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের জানতে হবে কেন এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ দরিদ্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সিরডাপ ব্যর্থ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে নেতৃত্বদানকারী জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার সংস্থা( FAO) এর সমর্থন এবং সহযোগিতার উপর জোর দিতে হবে৷ সংগঠনটিকে আরও ফলপ্রসু এবং যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারন করতে হবে৷

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র‍্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা, টিকাদান এবং সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। যেহেতু গ্রামীণ উন্নয়ন আমাদের দেশের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা সেহেতু আমরা চাই, সিরডাপভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থার সাথে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে।

উল্লেখ্য যে, গভর্নিং কাউন্সিল এর সভার পূর্বে গত ৪ ও ৫ জুন সিরডাপ এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও

সিরডাপের সদস্যরাষ্ট্র ভারত, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিজি, ইরানের প্রতিনিধিগণ উক্ত গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত ছিলেন।




চুয়েটের ১৩৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ১৩৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৮ই জুন (শনিবার) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েট সিন্ডিকেট সভার সভাপতি ও মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, এমকোদর পলাশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী মেজর (অবঃ) মোঃ ফিরোজ খাননুন ফরাজী, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম, চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর এমপি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জনাব মোহাম্মদ খালেদ রহীম অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

উক্ত সিন্ডিকেট সভায় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। সভার শুরুতে সিন্ডিকেটের নতুন সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, প্রকৌশলী মেজর (অবঃ) মোঃ ফিরোজ খাননুন ফরাজী, অধ্যাপক রেজাউল করিম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।




২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনাকে ডিএসই’র অভিনন্দন

৬ জুন ২০২৪ তারিখে “টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাএা” শিরোনামে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্রকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো অগ্রাধিকারসহ সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ অঙ্গীকারে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি মহান জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, তার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে৷ এ বাজেট হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি’র প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট৷

ডিএসই মনে করে যে, উন্নয়ন ও উত্পাদনমূখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে৷ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন ও উত্পাদনমূখী যে পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷

মোঃ শফিকুর রহমান

ডিএসই




ঢাবি-এ বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৪ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯.১৫টায় চারুকলা অনুষদথেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় ও শিশুপার্ক সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শাহবাগ মোড় হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের  শ্লোগান হচ্ছে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ ।বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রায় এবার স্থান পেয়েছে ৫টি মোটিফ। মোটিফ ৫টি হলো- পাখি, হাতি, ভোঁদর, ফুল হাতে শিশু পুতুল এবং চাকার মধ্যে চোখ নিয়ে ভিন্ন রকম একটি শিল্পকর্ম। একইসঙ্গে শোভাযাত্রায় বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয়। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগতরা কোন ধরনের মুখোশ পরেনি এবং ব্যাগ বহন করেনি। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেউ ভুভুজিলা বাঁশি বাজায়নি। এছাড়া, ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অনাবিল মঙ্গল কামনা করেছেন। তিনি বলেন, আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু বাঙালির সম্পদ নয়, এটি বিশ্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
উপাচার্য বলেন, অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমরা আলোর দিশারী। অন্ধকার ভেদ করে সমাজে আলো ছড়াতে এবং সমাজের সকল কুপমন্ডুকতা দূর করতে এবার আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সকলের জীবনে আরও সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য আরও বলেন, এই উৎসবকে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং মৌলবাদি অপশক্তি অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রতিবছরই আমাদের সামনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সাম্য ও সম্প্রীতির বাণী নিয়ে উপস্থিত হয় এবং সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করে। মঙ্গল শোভাযাত্রার অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য উপাচার্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঐতিহাসিক বটতলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

 




নূরকে মেনে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ছাত্রলীগ সভাপতির

বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বার্থে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরকে ভিপি হিসেবে মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) টিএসসিতে গিয়ে তিনি নুরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নুরকে ডাকসুর ভিপি হিসেবে দেখার আহবান জানিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, নূর কোনো সংগঠনের নয়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হিসেবেই দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই যিনি ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন তাকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে।

ডাকসুর নব নির্বাচিত ভিপি নূরকে জড়িয়ে ধরে শোভন বলেন, নূরকে আমি আমার ছোট ভাই বলে মনে করি । সে নিজের যোগ্যতায় ও সাংগঠনিক নৈপূণ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে এই ফল মেনে নিতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে আমি অভিনন্দন জানাই। তাকে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো এই অঙ্গীকার করছি।

এ সময় নূরুল হক নূর বলেন, শোভন ভাই আমার হলের বড় ভাই। আমরা একই পদে নির্বাচন করেছি। আমি বিজয়ী হয়েছি। তিনি নিজে থেকে এগিয়ে এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। এটা খুবই ভালো লেগেছে।

তিনি বলেন, এদেশের বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা দলমত নির্বিশেষে এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো। শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ঢাবিকে গড়ে তুলবো। সেই সহযোগিতা আমি সবার কাছে প্রত্যাশা করি।’

এ সময় নুরুল হক নুর পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।




ঈশা খাঁ বিশ্ববিদ্যলয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত তোফায়েল আহমেদ

বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ইংরেজী বিভাগের আয়োজনে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্নাঢ্য আয়োজনে অনুষ্টানটি উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান উদ্দিন ভূঞা ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে ঈশা খাঁ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। ভবিষ্যতেও আরোও বড় পরিসরে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হবে। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরী পিঠার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডাঃ আ.ন.ম. নৌশাদ খান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপসচিব তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ বজলুর রশীদ, কারাধ্যক্ষ মোঃ বাহারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যলয়ের কলা ও সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর মোঃ আরজ আলী, আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর মোঃ রফিকুল আলম, রেজিস্ট্রার চৌধুরী খায়রুল হাসান, ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ বদরুল হুদা সোহেল, প্রভাষক মোঃ আল মুরসালিন স¤্রাট, মোঃ রাকিবুল হাসান, মাহবুবা প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।