পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা

ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০২২ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জি.এম এম কাদের এমপি।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি দেশবাসীসহ বিশে^র সকল মুসলমান সম্প্রদায়কে পবিত্র  ঈদুল আযহা উপলক্ষে অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে তিনি মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্মর এই দিনে  বিশ^ মুসলিম উম্মাহ্-এর সংহতি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব এবং সম্বৃদ্ধি কামনা করেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আযহা আমাদের ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার দীক্ষা দেয়। ঈদুল আযহার ত্যাগের মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে। কল্যাণময় সমাজ গঠনে পরম সহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে তিনি সবার প্রতি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, মহান আল্লাহ্ যেন আমাদের পৃথিবীকে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্টি দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেন।

 




কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে, এটা সাময়িক : ওবায়দুল কাদের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এতে বিশ্বের সব দেশই কমবেশি সমস্যায় পড়েছে। বাংলাদেশে সেই সমস্যা থেকে ‘কোথাও কোথাও লোডশেডিং’ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে এ সমস্যা ‘সাময়িক’ বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নবগঠিত ইউনিট সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশবাসীকে ‘ধৈর্য ধরারও’ আহ্বান জানান তিনি। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপের দিকে তাকান, আমেরিকার দিকে তাকান, প্রতিবেশী দেশের দিকে তাকান। আজ শুধু বাংলাদেশে এই সমস্যা না। সমস্যা জ্বালানি সরবরাহ মূল্য। দেশের কোথাও কোথাও লোডশেডিং হয়েছে। এটা সমায়িক, জনগণকে এই লোডশেডিংয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি। শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেই শতভাগ বিদ্যুৎ শতভাগই থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? তাদের কী বড় কথা বলার কিছু আছে। মনে আছে ফখরুল সাহেব আপনাদের সময় ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, দিনের পর দিন লোডশেডিং। আপনাদের লজ্জা যদি থাকত লোডশেডিং নিয়ে কথা বলতেন না। জনগণ ভুলে যায়নি বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা দিয়েছেন, সে খাম্বায় দুর্নীতি।

দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হতাশ হবেন না। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। তিনি জেগে আছেন বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে। শেখ হাসিনার মতো দক্ষ নেতা আর কোথায় আছে? এখন বিশ্বব্যাপী যে সংকট চলছে সেই সংকট আমাদের দেশে কতটা কমানো যায় শেখ হাসিনা সে চেষ্টা করছেন। নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। তারা (বিএনপি) এখন ক্ষেপে গেছে, ক্ষেপে গিয়ে আবোল-তাবোল বলছে, সামনে গভীর অন্ধকার দেখছে। তাদের সামনে এমন কিছুই নেই যেটা তারা জনগণকে দেখাবে। দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন ছাড়া তাদের কোনো অর্জন নেই। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের শিকার। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সতর্ক থাকতে হবে, চোখ ও কান খোলা রাখতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুল রাজ্জাক,  কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র সহ- সভাপতি আলহাজ্ব এড. নুরুল আমিন রুহুল এম পি প্রমুখ।




সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে এসওএফ থেকে ব্যয় হচ্ছে ২০২৬ কোটি টাকা

টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি‘র সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) থেকে ২০২৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ৫০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের অধীন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, টেলিটকের মাধ্যমে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, টেলিটকের মাধ্যমে হাওর বাওরের দ্বিতীয় স্তরের প্রকল্প সম্প্রসারণ এবং বিটিসিএল এর মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর-বাওর ও প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই সম্প্রসারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম ও উপকুলীয় এলাকায় বিভিন্ন জনপদ ও স্থাপনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনে ৪৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং সুবিধা বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল করণে ৮৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও উপকূলীয় পার্বত্য ও অন্যান্য দুর্গম এলাকায় টেলিটকের মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে বাস্তবায়িত এসকল প্রকল্প সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলর কাউন্সিলের সভা রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল কাউন্সিলের সভাপতি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির ১৬তম সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এ এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ. এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এস এম ফরহাদ, বিটিসিএল‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: রফিকুল মতিন, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাহাব উদ্দিন, আইএসপিএবি‘র সভাপতি ইমদাদুল হক এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমূহের প্রকল্প পরিচালকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল কাউন্সিলের সদস্য সচিব বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসিম পারভেজ এর সঞ্চালনায় প্রকল্প পরিচালকগণ নিজ নিজ প্রকল্পের অগ্রগতি সভাকে অবহিত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বন্যাদুর্গত এলাকায় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে ডাক ও টেরিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি ভবিষ্যতে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে আগাম প্রস্ততি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এসওএফ‘র প্রতিটি অর্থ দুর্গম অঞ্চলসহ দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে যথাথথ ব্যবহারে প্রকল্প পরিচালকদের আরও নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য জাতীয় জরুরী টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি এ ব্যাপারে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা যাচাই বাছাই করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে কোন দুর্যোগে দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ও টেলিসেবা নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

সভায় গৃহীত প্রকল্পসমুহের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়।




তৃণমূল নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবেঃ ড. শামসুল আলম

শামসুজ্জামান ডলারঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়ায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় এসব কথা বলেন ।

ড. শামসুল আলম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাই তার এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং তাঁর হাতকে শক্তিশালী রাখতে দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

এসময় তিনি আরো বলেন, কেউ কারো লোক বলে কোন কথা নেই, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমরা এক ও অভিন্ন।আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সকলেই শেখ হাসিনার লোক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনজুর আহমদ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান উপ-কমিটির সদস্য লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার, ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য কাজী মিজানুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম শিমুল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, শাহ আলম সিদ্দিকী, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম লস্কর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাদুল্লাপুর ইউপি সদস্য জোবায়ের আজিম পাঠান স্বপন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান মো. জহির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সরকার মুকুল, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. রেজাউল করিম, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অ্যাড. আক্তারুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. জামাল হোসেন নাহিদ, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান, আশরাফুল আলম মিলন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রব প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম মিজান, রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনিছুর রহমান পাটোয়ারী, রফিকুল ইসলাম রিয়াজ, আলী নূর বেপারী’সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।




সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় নগর ছাত্রলীগের বিবৃতি

পরিক্রমা ডেস্ক : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক অসুস্থতা জনিত কারনে হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল সহ নগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ডায়বেটিস, ইউরিনে সমস্যা ও জ্বর এর কারনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। শনিবার বেলা সাড়ে দশটায় তিনি নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার সহ ধর্মিনী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এম. পি. সহ পরিবারের অন্যান্যরা। শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের উপ পরিচালক ডাঃ এস এম মোর্শেদ বলেন, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ডায়বেটিস টা বেশি রয়েছে, একই সাথে তার ইউরিনে সমস্যা রয়েছে। এ কারনে তার প্রচুর জ্বর হয়েছিল। বর্তমানে তার শরীরের অবস্থা ভালো ও স্বাভাবিক রয়েছে। তারপরও তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। যাতে করে লোকসমাগম কম হয় এবং তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা যায়।




জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কৃষিবিদ গ্রুপের ইফতার পার্টি

রাজধানীর পিএসসি কনভেনশন হলে কৃষিবিদ গ্রুপের প্রায় ১৫০০ শেয়ার হোল্ডার ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে কৃষিবিদ গ্রুপের ‘সাফল্যের ২১ বছর’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার পাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবারের (৯ এপ্রিল) এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলম বলেন, কৃষিবিদ গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার দীর্ঘ ২১ বছরে দেশের অর্থনীতিতে, বিশেষ করে কৃষি সেক্টরে যে ভুমিকা পালন করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কৃষিবিদ গ্রুপ বরাবরের মতো সবসময় অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ গ্রুপের ২১ বছরের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল। অনুষ্ঠানে স্বভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ-দৌলা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কৃষিবিদ গ্রুপের উপদেষ্টা বিচারপতি আব্দুর রউফ, সাবেক সচিব ড. মো. আইউব মিয়া, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহিদুর রশীদ ভূইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, কৃষিবিদ গ্রুপের উপদেষ্টা কৃষিবিদ এম এনামুল হক, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর কৃষিবিদ গ্রুপের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. একেএম হান্নান ভূইয়া, বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক, কৃষিবিদ গ্রুপের উপদেষ্টা ড. মো. শহিদুল ইসলাম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যাঞ্চেলর, কৃষিবিদ গ্রুপের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. শাহী-আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, কৃষিবিদ গ্রুপের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মো. ইব্রাহীম খলীল এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. তারিক হাসানসহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও কৃষিবিদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সকল বক্তারা গ্রুপের সাফল্য কামনা করেন। পরে ইফতার গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।




প্রতিটি ঘরে আলো পৌছানো সরকারের একটি বড় সাফল্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারা সরকারের একটি বড় সাফল্য।

তিনি মঙ্গলবার (২২ মার্চ) তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে আরো বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য যে আমরা প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে তার সরকার ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। এখন একটাই লক্ষ্য দেশে কোনো মানুষ আর গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার সচেষ্ট।

তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল আমরা দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন ধরে সরকার পরিচালনা করায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা এ ধরনের সাফল্যের আরেকটি কারণ।

প্রধানমন্ত্রী বারবার তার দলকে ভোট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

জনগণের কাছে তার অঙ্গীকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।

বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তার সরকারের বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি প্রদানের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট বেসরকারি খাতে নির্মিত প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ইউএস-ভিত্তিক এইএস (অ্যালাইড এনার্জি সিস্টেম) প্লান্টগুলো স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ২০০১ সালে তার দল ক্ষমতায় না আসায় পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি।

’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় দেশে মাত্র ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তার সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট করে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ১ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন তো বাড়াতেই পারেনি বরং কমিয়ে ফেলে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেখতে পান দেশের তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎকে শিল্পায়নের চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক চর এলাকায় নদী এবং সাগরের তলদেশ দিয়ে যেমন সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যেখানে গ্রিড লাইন নাই সেখানে সোলার প্যানেল দিয়ে যেমন বিদ্যুৎ দিয়েছি তেমনি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মূল বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যাতে সেখানে শিল্পায়ন হতে পারে।

তিনি সন্দ্বীপের উদাহারণ টেনে বলেন সেখানে প্রথমে আমরা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের পর সাবমেরিন কেবল দিয়েও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। চর কুকরী মুকরী, রাঙ্গাবালীতেও আমরা সেভাবে দেয়া শুরু করেছি।

এক সময় দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, সেনানিবাস, সড়ক ও মহাসড়ক ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করেছে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এ অঞ্চলে সবাইকে বেশি করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার এবং কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরির আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রকৃতির প্রতিশোধ খুব কঠিন, কাজেই প্রকৃতি কীভাবে এটা করে সেটা আমি নিজের চোখেই দেখেছি বহুবার। তারপরও আমি বলবো মানুষের সুরক্ষার যে বিষয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি এবং গতকাল আমি বলেছি সবাই গাছ লাগাবেন। যে দায়িত্বটা আমাদের কৃষকলীগের ওপর ন্যস্ত থাকে তাদেরই উদ্যোগে আষাঢ় মাসে সারাদেশে বৃক্ষরোপন করা হয়।

তিনি বলেন, ১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেয়া হয়। যদিও সে সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টা তেমন ভাবে আলোচনায় ছিল না। তারপরও তার দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে দিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের যে পদক্ষেপ তারই অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কৃষকলীগের ওপর বর্তায়।

পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে এক সময়কার চরম দুর্দশাগ্রস্ত দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জীবনমান আরো উন্নত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।




সৃষ্টির মধ্যে আদমসন্তানই শ্রেষ্ঠ

পৃথিবীর সেরা জীব হিসেবে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে দিয়েছেন বিশাল মর্যাদা। যা অন্য কোনো জীব বা প্রাণীকে দেওয়া হয়নি। আল কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘আর অবশ্যই আমি আদম-সন্তানদের মর্যাদা দান করেছি। স্থলে ও সমুদ্রে আমি তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি এবং পবিত্র জিনিস দিয়ে আমি তাদের রিজিক দান করেছি, আমি অন্য যত কিছু সৃষ্টি করেছি তার অধিকাংশের ওপরই তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।’ সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৭০।

‘আল্লাহ আদম -সন্তানকে বিভিন্ন দিক দিয়ে এমন সব বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যা অন্য সৃষ্ট জীবের মধ্যে নেই। মানুষের সুশ্রী চেহারা, সুষম দেহ, অঙ্গগুলো এর অন্তর্ভুক্ত।’ (ইবনে কাসির)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আমি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে পয়দা করেছি।’ সুরা আত ত্বিন, আয়াত ৪। মানুষকে আল্লাহ সব সৃষ্টবস্তুর মধ্যে সর্বাধিক সুন্দর করেছেন।

ইবনে আরাবি বলেন, ‘আল্লাহর সৃষ্টবস্তুর মধ্যে মানুষ অপেক্ষা সুন্দর কেউ নেই।’ সুবহানাল্লাহ! কেননা আল্লাহ মানুষকে জ্ঞানী, শক্তিমান, বক্তা, শ্রোতা, কুশলী, প্রজ্ঞাবান করে সৃষ্টি করেছেন। এগুলো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর গুণাবলি। মানুষকে আল্লাহ যেসব গুণ দান করেছেন তা অন্য কোনো জীবের মধ্যে নেই।
এছাড়া বুদ্ধি ও চেতনায় মানুষকে বিশেষ স্বাতন্ত্র্য দান করা হয়েছে। এর সাহায্যে সে ঊর্ধ্বজগৎ ও অধঃজগৎ নিজের কাজে নিয়োজিত করতে পারে। আল্লাহ মানুষকে বিভিন্ন সৃষ্টবস্তুর সংমিশ্রণে বিভিন্ন শিল্পদ্রব্য প্রস্তুত করার শক্তি দিয়েছেন, সেগুলো তার বসবাস, চলাফেরা, আহার্য ও পোশাক-পরিচ্ছদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই তাকে কথা বলা শিখিয়েছেন।’ সুরা আর রহমান, আয়াত ৩-৪। এর অর্থ হচ্ছে মানুষকে তার মনের ভাব প্রকাশ বা অভিপ্রায় ব্যক্ত করার তৌফিক তিনি দান করেছেন। মানুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ গুণ হলো আল্লাহ তার মধ্যে একটি নৈতিক অনুভূতি সৃষ্টি করে দিয়েছেন যার কারণে সে প্রকৃতিগতভাবেই ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, জুলুম- ইনসাফ, উচিত-অনুচিতের পার্থক্য করে এবং চরম অজ্ঞতার মধ্যেও তার ভিতরের এ আত্মজ্ঞান ও অনুভূতি লোপ পায় না।

পৃথিবীকে আল্লাহ মানুষের বসবাসের উপযোগী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তো তোমাদের দুনিয়ায় বসবাসের স্থান দিয়েছি এবং তাতে তোমাদের জীবিকারও ব্যবস্থা করেছি।’ সুরা আরাফ, আয়াত ১০। আল্লাহ তাঁর নিয়ামতের মধ্যে আরও যা দিয়েছেন তা হলো লজ্জাস্থান নিবারণের জন্য পোশাক। আল্লাহ বলেন, ‘হে বনি আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করা ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদের পোশাক দান করেছি এবং আরও দিয়েছি তাকওয়ার পোশাক, আর এটাই সর্বোত্তম পোশাক। এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম, হয়তো তারা এর মাধ্যমে উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে।’ সুরা আরাফ, আয়াত ২৬।

পোশাক দ্বারা শরীর আবৃত করার আসল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন ও আল্লাহভীতি। তাকওয়ার পোশাক বলতে সৎকর্ম ও আল্লাহভীরুতাকে বোঝানো হয়েছে। কোনো কোনো আলেম বলেন, হাতের আঙুল দ্বারা আহার করাও মানুষেরই বিশেষ গুণ। মানুষসহ সব জন্তুই মুখে আহার গ্রহণ করে। কিন্তু একমাত্র মানুষই বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের সংমিশ্রণে খাদ্যকে সুস্বাদু বানিয়ে আহার করে। একমাত্র মানুষই সংমিশ্রিত খাদ্য প্রস্তুত করে এবং খায়। সৃষ্টির সেরা জীব হওয়ার পরও মানুষ আল্লাহর নাফরমানি করে।

আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে। অকৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবে পরিগণিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।’ সুরা আদিয়াহ, আয়াত ৬। আল্লাহর সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ বান্দা হিসেবে আমরা যেন অকৃতজ্ঞ বান্দা না হই সে সাহায্যই তাঁর কাছে সব সময় কামনা করি এবং তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে জীবন গড়তে পারি সে তৌফিক যেন তিনি আমাদের দান করেন। তাঁর কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।




ঢাবি অমর একুশে হল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি এবং বাঁধনের নবীন বরণ ও রক্তদাতা সম্মাননা প্রদান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান এবং স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন, অমর একুশে হল ইউনিট—এর আয়োজনে গতকাল ৯ মার্চ ২০২২ বুধবার নবীন বরণ ও রক্তদাতা সম্মাননা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রক্তদাতা সম্মাননা ও অমর একুশে হল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের রক্ত দান কার্যক্রমে উৎসাহিত করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে বৃত্তির পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ গভর্নিং বডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার কাজী শহিদুল আলম, অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ এবং বাঁধন—এর অমর একুশে হল ইউনিটের উপদেষ্টা ড. আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া, বিভিন্ন হলের বাঁধনের কর্মীবৃন্দ, অমর একুশে হলের আবাসিক শিক্ষক, সহকারী আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা—কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে অমর একুশে হল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং ৬৫ জন রক্তদাতাকে সম্মাননা সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।




করোনা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফের হুঁশিয়ারি

এখনো করোনা ফুরিয়ে যায়নি। ঠিকমতো সব দেশে, সবার কাছে সমানভাবে করোনার টিকা না পৌঁছালে পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, ‘এই মহামারী লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য ‍ও জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ কোটির বেশি মানুষ এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬০ লাখ। এছাড়াও অসংখ্য মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।’

এসময় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ও টিকা আবিষ্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন গুতেরেস। সেই সাথে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মহামারী শেষ হয়ে গেছে এমন ভাবলে সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।’

তার দাবি, করোনা টিকা বিতরণ এখনো ‘কলঙ্কজনকভাবে অসম’ পর্যায়ে আছে। প্রতি মাসে মাত্র দেড়শ’ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা যাচ্ছে। এখনও প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন প্রায় তিনশ’ কোটি মানুষ।

গুতেরেস আরও বলেন, টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলো অগ্রাধিকার পাওয়ায় দারিদ্র্য দেশগুলো পিছিয়ে পড়েছে। এতে বৈষম্য বাড়ছে।