ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় হারুন-অর-রশিদ অভিনন্দন

প্রতিনিধিঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) ও (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা প্রধান সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ,নির্ভীক, নির্লোভী, কর্মবীর ও স্পষ্টবাদী, একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেন্য অর্থনীতিবিদ, একজন সাদা মনের মানুষ চাঁদপুর তথা মতলবের গর্ব অধ্যাপক ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ড. শামছুল আলম একজন সফল জাতীয় পরিকল্পনাবিদ। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনীতি (জিইডি) বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) হিসাবে টানা পাঁচ বার (এক যুগ) নিয়োগ প্রাপ্ত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ডেলটা প্ল্যান -২১০০ বাস্তবায়নে ঘোষিত ১২ সদস্যের “ডেলটা গর্ভন্যান্স কাউন্সিল “কমিটির সদস্য সচিব। রাষ্ট্রপতি কতৃক মনোনিত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ডিগেড সদস্য। এই গুনি ব্যক্তির কর্মযোগ্যতা লিখে শেষ করার নয়। তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।

ড. আলম দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র সংশোধন ও পূর্ণ বিন্যাস, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

ড. আলম একজন নর্ম, ভদ্র, স্বল্পভাষী এবং অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিত্ব হিসেবে সকলের মাঝে সমাদৃত ছিলেন। সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং সাংবাদিকতা সকল ক্ষেত্রেই তাঁর বিচরণ ছিল স্মরণীয়। এছাড়াও দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে প্রতিনিয়ত কলাম লিখছেন।

সর্বোপরি, ড. শামসুল আলম পরিচ্ছন্ন মননের একজন বড় মাপের মানুষ। চাঁদপুর তথা মতলব বাসীর পক্ষে আমি তার জীবনের সব ক্ষেত্রে মঙ্গল ও সফলতা এবং সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি।




ব্রাজিল সমর্থককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো আর্জেন্টিনার সমর্থক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নওয়াব মিয়া (৬০) নামে এক ব্রাজিলের সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলার সদর উপজেলায় দামচাইল বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত নওয়াব মিয়া সাদেকপুর ইউনিয়নের আলাকপুর গ্রামের মৃত হেলু মিয়ার ছেলে।

আহত নওয়াব মিয়ার ছোট ভাই ইয়াকুব মিয়া জানান, আজ সকালে কোপা আমেরিকা ব্রাজিল ও পেরুর মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলা শেষে ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে আর্জেন্টিনার সমর্থক মো. জীবন মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

পরে বিকেলে নওয়াব মিয়া বাড়ির পাশের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে জীবন মিয়া, আব্দুর রহমান ও সেলিমসহ ৪-৫ জন যুবক তাকে স্থানীয় দামচাইল বাজারে একা পেয়ে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় আহত নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, আহত নওয়াব মিয়ার মাথায় আঘাত আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নওয়াব মিয়া আহত হয়েছে বলে জানান তিনি ।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, হাতাহাতির ঘটনায় একজন আহত হয়েছে। আহতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।




মতলব উত্তরে কোভিড ঠেকাতে কঠোর লকডাউন শুরু

শামসুজ্জামান ডলারঃ
সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী এই লকডাউন চলবে ৭ই জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোট ২১টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিধি নিষেধ মানাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, সহকারী কমিশনার আফরোজা হাবিব শাপলা, ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বিভিন্ন সড়ক ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করছেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অর্থদÐও করতে দেখা গেছে। ২১টি বিধিনিষেধ মাইকিং করে প্রচার করতেও দেখা যায়।
সকাল থেকেই মতলব উত্তরের মূল সড়কগুলোয় যান চলাচল ছিল বেশ সীমিত।
মূলত লকডাউনের মধ্যে যেসব অফিস খোলা রাখা হয়েছে, সেখানকার কর্মীদের বহনকারী স্টাফ যান, দুই একটি প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলতে দেখা গেছে।
রাস্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রাইভেট কার থামিয়ে পরিচয়পত্র যাচাই করছিলেন।
এদিকে বুধবার ঘোষণা করা ২১টি বিধিনিষেধের মধ্যে বলা হয়েছে, লকডাউন চলার সময়ে সব ধরণের গণ-পরিবহনসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেকোনো যান্ত্রিক পরিবহনের চলাচল করতে পারবে না।
বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি, আধাসরকারী, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিসসহ শপিংমল ও দোকানপাট।
স¤প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলাসহ সারা দেশে করোনাভাইরাসের শনাক্ত ও মৃতের হার প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় এই সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেয়া হয়।
এবারের লকডাউন নিশ্চিত করতে বেশ কড়া অবস্থানে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ বাইরে বের হলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
শুধুমাত্র ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ সৎকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাইরে বের হওয়া যাবে।
শিল্প কারখানা ও ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, কাঁচাবাজার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
স্বাভাবিক থাকবে কৃষিপণ্য ও খাদ্যপণ্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, জরুরি চিকিৎসা সেবা, কোভিড ১৯ এর টিকা দেওয়ার কার্যক্রম।
এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি সেবা, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন/ইন্টারনেট/ডাক সেবা, বন্দরের কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে। কিন্তু পরিবেশন করতে পারবে না।




চোর-পুলিশ খেলেছেন পাড়ার দোকানিরা

ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের ডব্লিউভিএ ভবনের গলির মুখের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে তিন জন চা খাচ্ছে। কেউ পানের জন্য হাত বাড়িয়ে রেখেছে। একজন নারী বিক্রেতা পিঠা ভাজবেন বলে কেবল চুলায় কড়াইটা বসিয়েছেন। হঠাৎ সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরা দোকানের মালিক এসে ‘এই বন্ধ করে দে দোকান, আর খোলা রাখার দরকার নেই’ বলতে বলতেই পিছনে পুলিশের টহল গাড়ি দেখা গেলো।

ততক্ষণে চায়ের কেটলি লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। দোকানের ওপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সামনে পুরি-চপ বানানোর দোকানও প্রায় ফাঁকা। মোহাম্মদপুর থানার তিন পুলিশ সদস্য গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা ও দোকানের কর্মচারীদের দোকান বন্ধ করতে নির্দেশ দিচ্ছিলেন। এ সময় দশটিরও বেশি পুলিশের গাড়ি সারিবেঁধে চলে গেলো ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের রাস্তা ধরে। এতক্ষণ হম্বিতম্বি করা পুলিশ সদস্য স্যালুট জানিয়ে অপেক্ষা করলেন তাদের চলে যাওয়ার। গাড়িবহর চলে যাওয়ার পরে তার কণ্ঠ নরম হলো। তিনি কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করে চলে যেতেই আবারও সব দোকানের জিনিসপত্র জায়গা মতো রাখা হলো। যাওয়ার সময় পুরি চপের দোকানিকে বলে গেলেন, ‘কাউকে যদি বসে খাওয়াইতে দেখসি, দোকান বন্ধ।’

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে জারি করা সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিন সারাদিন কেটেছে চোর-পুলিশ খেলা। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর দোকান বন্ধ থাকলেও গলি বা পাড়ার ভেতরের দোকানপাট সারাদিন খোলা ও বন্ধের মধ্যেই ছিল।

পিঠা ভাজতে বসা নারীকে লকডাউনে বের হলেন কেন প্রশ্ন করা হলে হাসতে হাসতেই বলেন, বের না হলে খাবো কী? কিছু পিঠা বানায়ে বিক্রি যদি হয়, একদিনের সদাই হয়। অথচ কথা বলে জানা গেলো, তিনি এই এলাকায় ঝাড়ুদার হিসেবে কাজও করেন। তিনি বলেন, ‘সারাদিন কি বাড়িত থাকা যায়? এই জন্যই বাইর হই। তবে অনেকে সত্যি খাবার পায় না বলেও বাইর হয়।’

চা খাচ্ছিলেন সারোয়ার। বাড়িতে চা না খেয়ে দোকানে চা কেন খাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি একটু বিরক্ত হন। এরপর বলেন, ‘বাসায় সিগারেট খাওয়া যায় না। সিগারেট খেতে এসে চা খাচ্ছি। আমি তো গাড়ি নিয়ে বের হইনি। হেঁটে বের হয়েছি’। এ ধরনের যুক্তি না দিয়ে সাতদিন ঘরে থাকলে সবার জীবন বাঁচতো বলে মনে করেন কিনা প্রশ্ন এড়িয়ে পুলিশ আসতে দেখে হন হন করে হেঁটে চলে যান বাসার দিকে।

শ্যাওড়াপাড়ার শামীম সরণির দোকানগুলো সবই আধাখোলা। দোকান খোলা রাখা যাবে না? আধা খোলা রাখা যাবে? প্রশ্ন করা হলে দোকানিরা বলেন, ‘একটু পর পর পুলিশ আসে, আমরা ঝাপ নামায়ে ভেতরে থাকি বা বাইরে বসি। চলে গেলে আধা খুলে রাখি। আমাদের কিছু বিক্রি হয়, লোকজনেরও উপকার হয়।’

এই চোর-পুলিশ খেলায় পুলিশের সেটিং আছে বলছেন অনেক দোকানি। মোহাম্মদপুর থানার টহল দলের কাছে জানতে চাইলে মো. আলতাফ বলেন, এরা কথা শুনতে চায় না। সকালে বন্ধ করে দিয়ে গেছি। এখন দুপুরে তারা আবার খুলে বসছে। আমাদের তো ঘুরে ঘুরে কাজটা করতে হচ্ছে। এ সময় এ ধরনের অভিযোগ দিয়ে তারা আসলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। বারবার বুঝিয়ে বলার পরও সব দোকান বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না।




দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা

দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. বিলকিস বেগমের সই করা অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এর শনাক্ত করার পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফি প্রদান করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের করোনা পরীক্ষা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় দেশের দরিদ্র জনগণের করোনার নমুনা পরীক্ষা শুধু জুলাই মাসের জন্য বিনামূল্যে করার বিষয়ে সব সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের মার্চ থেকে বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা করে আসছিল সরকার। এরপর গত বছরের ২৯ জুন নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী, হাসপাতাল বা নির্ধারিত বুথে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে ২০০ টাকা এবং বাড়ি থেকে নমুনা নিয়ে এলে ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়।

এরপর গত ১৯ আগস্ট মাসে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ফি ২০০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা এবং বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

যদিও সরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার জন্য একাধিকবার এর আগে সুপারিশ জানিয়ে এসেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ হারে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় নমুনা পরীক্ষার হার প্রয়োজন। বিশেষ করে লক্ষণবিহীন সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে পরীক্ষার আওতায় আনা দরকার। কেন্দ্রে এসে পরীক্ষার জন্য বর্তমানে ১০০ টাকা ফি নেওয়া হয়, এটি বিনামূল্যে করার সুপারিশ করছি।’




কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কুড়িগ্রামে

দেশে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

সোমবার ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত শর্তে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কৃষিবিদ বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপককে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন। কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাবেন না।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে।




যে ৫ শর্ত দিয়ে সীমিত লকডাউন শুরু

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত তিনদিনের সীমিত লকডাউন শুরু হয়েছে আজ সোমবার। সকাল ৬টা থেকে এই লকডাউন শুরু হয়। চলবে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।

এই সময় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। চলবে শুধু পণ্যবাহী যান ও রিকশা।

এছাড়া সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাওয়া-দাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কেবল পার্সেল সরবরাহ করা যাবে।
এই লকডাউন ঘোষণা করে রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হবে কঠোর লকডাউন।

করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

ওই ৫ শর্তে যা বলা হয়েছে-

১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।

৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।




এমপিরা আছেন শুধু হ্যাঁ-না বলার জন্য: সাবের হোসেন চৌধুরী

জাতীয় সংসদে এমপিদের কোনও প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, তারা সংসদে আছেন শুধু হ্যাঁ বা না বলার জন্য।

একইসঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা আরও অংশগ্রহণমূলক করা দরকার বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট সংলাপ অনুষ্ঠানে শনিবার তিনি এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তথ্যের ঘাটতির চেয়ে অসংগতি বড় বিষয়। দেশে নতুন দরিদ্র আছে কি নেই, তা নির্ভর করবে তথ্যের ওপর। সরকারি দফতরের কাছে এ তথ্য নেই। বিবিএসের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। যেসব সিদ্ধান্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়, সেগুলো হালনাগাদ না থাকলে সরকার কীভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য বলতে হাসপাতালের বেড সংখ্যা, আইসিইউ বাড়ানোর বিষয় না। বৃহত্তর পরিসরে মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপদ করা। তামাকের কারণে করোনার তুলনায় বছরে ১৫ থেকে ১৬ গুণ মানুষ বেশি মারা যাচ্ছে। এসব মৃত্যু কমাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্যকে অবহেলা করা হলে উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছানো যাবে না। এখন করোনা আছে, ভবিষ্যতে হয়ত অন্যকিছু আসবে। ফলে ব্যবস্থাগত উন্নয়ন দরকার। পরিবেশ উন্নয়নে জোর দিতে হবে।
সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, শ্রমিক নেতারাও মতামত দেন। বাজেট বাস্তবায়ন সমস্যা, তথ্যের অভাব, নীতি সহায়তার সুষম বণ্টনে অনীহা, সংস্কার উদ্যোগের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।




ইফাদ গ্রুপের জন্য মাইক্রোসফটের ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড সল্যুউশন সেবা দিচ্ছে ইজেনারেশন

ঢাকা, ১২ জুন ২০২১: ইফাদ গ্রুপ এবং এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের জন্য সম্প্রতি মাইক্রোসফটের ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড অ্যান্ড মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস সল্যুউশন বাস্তবায়ন করেছে ইজেনারেশন। এই সফটওয়্যার সেবার মধ্যে উৎপাদনশীলতা ও সমন্বয়ক টুলস, টাস্ক ব্যবস্থাপনাসহ বেশকিছু এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো নিরাপদ ক্লাউড প্লাটফর্মে পরিচালিত হয়।
বাস্তবায়নকৃত সল্যুউশনটি নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীদের নতুন ও সহজ উপায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন নিরাপদ ও প্রযুক্তিনির্ভর করবে। এছাড়া ইজেনারেশন ইফাদ গ্রুপের কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
ইজেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ও সর্বোচ্চ আয় নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় কৌশলের একটি অন্যতম অনুসঙ্গ হলো মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস।
তিনি বলেন,আমরা ইফাদ গ্রুপের মতো কোম্পানিগুলোর সাথে ডিজিটাল রূপান্তরের পুরো পথচলায় তাদের পাশে থাকতে চাই। আমাদের বাস্তবায়নকৃত সল্যুউশনটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যানালাইটিক্স টুলের সাহায্যে যেকোন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় উদ্ভাবন আরও ত্বরান্বিত করবে।
ইফাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসায় পরিচালনকে সহজ এবং প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় পরিবেশে নিজেদের ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ ঘটাতে রূপান্তরযোগ্য সল্যুউশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।




করোনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন : সিইসি

করোনার চেয়ে নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনে করোনার বিস্তার ঘটায় এমন যুক্তিতে আমি বিশ্বাস করি না। করোনা বিস্তারের ১০০টি কারণের মধ্যে নির্বাচন একটি কারণ হতে পারে মাত্র। শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘পৌর এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত’ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হুদা বলেন, পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দিল্লিতে। সেখানে নির্বাচন হয়নি। আমেরিকায়ও নির্বাচনের পরে করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। কোভিড পরিস্থিতি শুরুর পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ওই দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়েনি।
তিনি বলেন, বরিশালসহ যেসব এলাকায় করোনা সংক্রামন কম সে রকমের ২০৮টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন আগামী ২১ জুন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে করোনা সংক্রামন বেশী হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে খুলনা অঞ্চলের ১৬৩টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। করোনার কারণে এর আগে একদফা নির্বাচন পেছানো হলেও সংক্রামন তুলনামূলক কম হওয়ায় বরিশাল এবং মাদারীপুর অঞ্চলে বৃষ্টি মৌসুমেও নির্বাচন চালিয়ে যেতে হবে।

আগামী ২১ জুন বরিশাল জেলার ৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬০ জন, সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী ৫১৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী ১ হাজার ৬শ’ ২৩ জন। বরিশালের ১০ উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নদী বেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোস্টগার্ড মোতায়েনের নির্দেশনা দেন সিইসি। জেলার ৫০ ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ৪৬৯টি এবং ভোটার ৯ লাখ ১৮ হাজার ৭শ’ ৬৩জন।

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, নির্বাচন কমিশন সচিবালায়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এবং বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।