স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি কোথায়, দেখাতে বললেন মন্ত্রী

স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোনো তথ্য কেউ দেখাতে পারবে? কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না বরং অন্য অনেক খাতের কোটি টাকা কানাডায় চলে গেছে।

সোমবার দুপুরে করোনাযুদ্ধে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিআইবি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে। এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সব দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

তিনি বলেন, টিআইবি ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। তিনি বলেন, টিআইবি ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না।
জাহিদ মালেক বলেন, তারা (টিআইবি) বলছে রোগীদের জন্য আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি। অথচ সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য। যে কারণে ভারতের মতো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান।

তিনি আরও বলেন, টিকা ক্রয়ে সততা ছিল না বলে দাবি করছে টিআইবি। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে স্পষ্ট চুক্তির মাধ্যমে টিকা ক্রয় করেছি। টাকাতে টিকা ক্রয় করা হয়েছে, এজন্য তাদের কত টাকা দিতে হবে সব বিস্তারিত ছিল।

মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারিনি বলে টিআইবি যে দাবি করছে এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে তিন থেকে চারশোটি আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন ১ হাজারের বেশি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তার ব্যবহার করা হয়নি। অথচ আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।

উপস্থাপনায় অসচ্ছল ছিল এমন অভিযোগ করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ছিল। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেক অভিযোগ করা হয়েছে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য না।

বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অধিদফতরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেওয়ায় সাবরিনা এবং সাহিদদের গ্রেফতার করে আদালতে দেওয়া হয়েছে। সনদ দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।




করোনায় মৃত্যু ১৩ হাজার ছুঁই ছুঁই

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯৮৯ জনের।

এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৭৬ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ জনে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।




চাঁদপুর জেলা সমিতি ঢাকা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

ঢাকায় বসবাসরত চাঁদপুর জেলার বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত চাঁদপুর জেলা সমিতি ঢাকা’র ত্রি-বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সমিতির কার্যালয় ঢাকা মালিবাগ চাঁদপুর ভবনে এ ত্রি-বার্ষিক সাধারন সভায় ১ম অধিবেশনে বিদায়ী সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সফিউল আলম স্বপনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম খান নিখিল,ভূমি মন্ত্রানালয়ের সিনিয়র সচিব (অব:) মাকছুদুল রহমান পাটওয়ারী,পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম,নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন বেনজীর আহমেদ,চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা: জে.আর ওয়াদুদ টিপু,সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।
২য় অধিবেশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ৫১সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক,সাধারন সম্পাদক জি.এম আতিকুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ মো. আরিফ উল্যাহ সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর।




এইচ.এম এরশাদের কারামুক্তি আন্দোলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: সংগ্রামী ছাত্র সমাজ ফোরাম- এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এইচ.এম এরশাদের কারামুক্তি আন্দোলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

(৩১ জানুয়ারি) তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেন রাজুর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, কাজী জাফর আহমেদ, এ.বি.এম শাহজাহান, খালেদুর রহমান টিটু, সিরাজুল হোসেন খান, কর্ণেল মালেক, মাহবুবুল হক দোলন, সাবেক ছাত্রনেতা আদনান আক্তার, সরোয়ার হোসেন টিটু, ফখরুল ইসলাম লিটন, শহীদ রবি হেডলি স্বপনসহ সকল বিদেহী নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত ও নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ৮২ থেকে জাতীয় পার্টির উন্নয়ন এবং ৯০’র পরবর্তী এরশাদ মুক্তি আন্দোলন জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে। কিন্তু বর্তমান জাতীয় পার্টি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হওয়ায় জাতীয় পার্টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই বর্তমান সময়ের দাবি আজকে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে থেকে কথা বলার।

উপস্থিত বিভিন্ন অংশের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। এরশাদের নীতি-আদর্শ, ১৮ দফাকে সামনে নিয়ে এরশাদের জনপ্রিয় স্লোগান ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এই আদর্শ ও স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে জাতীয় পার্টির ঐক্যের বিকল্প নেই। সেই লক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজুকে সমন্বয়কারী হিসেবে মনোনীত করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগ্রামী ছাত্র সমাজ ফোরাম’র অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজু।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারওয়ার মিলন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জেপি’র অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী, ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সিনিয়র আইনজীবী এড. শফিকুল ইসলাম, ঢাবি’র জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর প্রধান, গড়বো বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক মো. লিটু, জেপি’র যুগ্ম মহাসচিব ওলিউর রহমান খলিল, জাপা’র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল করিম, বিজেপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাসুর রহমান, জাপা’র সাংগঠনিক সম্পাদক এড. বখতিয়ার ইকবাল, জাতীয় পার্টির সদস্য খন্দকার ফজলুল হক, জেপি’র সদস্য ফয়সাল আহমেদ, সিলেটের মজিবুর রহমান ডালিম, মোসলেহ উদ্দিন মোল্লা, মো. নিলয়, মো. বাবুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।




বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের একাডেমি গড়তে পেরেছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো এমন একটি একাডেমির যা সারা বিশ্বের মানুষ দেখবে। সে স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে সরকার; বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএসসিএসসি ২০২০-২১ গ্রাজুয়েট অফিসারদের মাঝে সনদপত্র বিতরণের আয়োজনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ডিএসসিএসসি ২০২০-২১ গ্রাজুয়েট অফিসারদের মাঝে সনদপত্র বিতরণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোর্স সম্পন্নকারী দেশি বিদেশি ২২৫জন কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান।

প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের জ্ঞান দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সরকার প্রধান।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলনে, করোনা মহামারি সারা বিশ্বের সব কিছুতেই স্থবিরতা এনে দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন কার্যক্রম যেনো অব্যাহত থাকে সে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার তাগিদ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলনে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে সে লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তিনি জানান, এ বছরই দেশের মানুষকে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।




১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: এবারের অমর একুশে বইমেলা আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।  সব মিলিয়ে টানা ২৮ দিন চলবে এ মেলা। আজ বৃহস্পতিবার মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সকালে মেলা পরিচালনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেলা শুরু হবে আগামী ১৮ মার্চ থেকে। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৷

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলা একাডেমি থেকে জানানো হয়েছিল, ১৮ মার্চ শুরু হবে বইমেলা। তবে কত দিন চলবে তার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। আজ বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।




কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: কিডনি সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পানের বিকল্প নেই। যে কোনো ধরনের ভেজাল খাদ্য গ্রহণ, হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খেলে কিডনি ভালো থাকে। রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ আছেÑ এমন খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই এসব পরিহার করা উচিত। ধূমপান কিডনির ক্ষতি করে। কিডনির সুস্থতার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন কিডনির বিপদ ডেকে আনে। তাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্লাড প্রেসার থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সর্বোপরি নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। মোটামুটি এ নিয়মগুলো মেনে চললে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু কারণ থাকে। কারও শরীরে যদি অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম তৈরি হয়, শরীর দিয়ে যদি অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম নির্গত হতে থাকে, অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হলে কিডনিতে পাথর হয়। আবার কখনো কখনো প্রকৃতিগত কিছু কারণেও কিডনিতে পাথর হতে পারে। যেমনÑ কিডনিতে প্রস্রাব তৈরি হলো কিন্তু কোনো জটিলতার কারণে তা মূত্রথলি পর্যন্ত যেতে পারল না। এতে স্টেচেস হয়, ইনফেকশন হয়। সেখান থেকে পাথর হতে পারে। আবার হজম সমস্যায় কিডনি নিয়মিত পানি খেলে কিডনি যদি বর্জ্য অপসারণের সুযোগ পায়, তাহলে কিডনিতে পাথর হয় না। কিডনি টিউমার অনেক সময় জেনেটিক কারণে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। তবে পরিবেশগত যেসব কারণে কিডনির টিউমার হয়, চাইলে তা বন্ধ করা যায়। কিডনিতে টিউমারের জন্য দায়ী হলো ধূমপান, ভেজাল খাদ্য ও রাসায়নিক খাদ্য দ্রব্য। একটু সচেতন হলে, কিছু নিয়ম মেনে চললে কিডনি কিন্তু সুস্থ রাখা যায়।

লেখক : কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

চেম্বার : সেন্ট্রাল হসপিটাল, গ্রিনরোড, ঢাকা




অনলাইন নিবন্ধন শুরু কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: অনলাইন নিবন্ধন শুরু কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য




তীব্র শীতে ইবাদতে বেশি সওয়াব

সময়ের পরিবর্তনে বছর ঘুরে শীতের আগমন ঘটে। একসময় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। তীব্র শীতে একটু কষ্ট করেই ওজু করতে হয়। কুয়াশা ভেদ করে রাতের নামাজের জন্য মসজিদে যেতে হয়। বাড়তি কষ্টের বিনিময়ে মহান আল্লাহ আমলের নেকির মাত্রাও বাড়িয়ে দেন। সেই সঙ্গে শীতে হরেক রকম শাক-সবজি উৎপাদন হয়। খেজুরগাছ থেকে মিষ্টি রস পাওয়া যায়। নানা রকম পিঠা-পুলির আয়োজন হয়। সব মিলিয়ে শীতকাল আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য নিয়ামত হিসেবে বান্দার কাছে হাজির হয়।

শীতের তীব্রতা রহস্য

শীত-গ্রীষ্ম সবই মহান আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টির বিচিত্র রূপ। রাত-দিনের পরিবর্তন, ঋতুবৈচিত্র্য এবং সৃষ্টির অনুপম নৈপুণ্যতা সবই মহান আল্লাহর মহিমা। ঋতুর পরিবর্তনে শীত ও গ্রীষ্ম আসে। একসময় তীব্র শীত আবার একসময় তীব্র গরম অনুভূত হয়। শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে প্রতিপালক, আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন আল্লাহ তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আর একটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ (বুখারি, হাদিস : ৩০৮৭)

শীতের তীব্রতায় জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রার্থনা

শীতের তীব্রতা জাহান্নামের শীতলতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কাজেই তীব্র শীতে জাহান্নামের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রার্থনা করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো বান্দা তীব্র শীতের সময় বলে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই), আজকের দিনটি কতই না শীতল। হে আল্লাহ, আপনি আমাকে জামহারির জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন। তখন আল্লাহ জাহান্নামকে লক্ষ্য করে বলেন, আমার এক বান্দা তোমার জাহান্নাম থেকে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে। আমি তোমাকে সাক্ষ্য রেখে বলছি, আমি তাকে মুক্তি দিলাম।’ সাহাবিরা বলেন, জামহারির কী? জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, ‘জামহারির জাহান্নামের এমন একটি ঘর, যেখানে কাফিরদের নিক্ষেপ করা হবে। শীতের তীব্রতায় তারা বিবর্ণ হয়ে যাবে।’ (আস-সিলসিলাতুদ-দায়িফাহ, হাদিস : ৬৪২৮)

শীতকালে গাছের পাতা ঝরে পড়ার দৃষ্টান্ত

শীতকালে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। শীতের শেষ দিকে গাছপালার সব পত্র-পল্লব শূন্য হয়ে যায়। গুরুত্বসহকারে নামাজ আদায় করলে নামাজির পাপগুলোও এভাবে ঝরে যায়। আবু জার গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) শীতকালের কোনো একদিন বের হলেন, যখন গাছের পত্র-পল্লব ঝরে পড়ছিল। তিনি গাছের দুটি ডাল ধরলেন, ফলে পাতাগুলো আরো বেশি ঝরতে লাগল। তিনি বললেন, ‘হে আবু জার,’ আমি বললাম, আমি উপস্থিত, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, ‘কোনো মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করে, তখন তার পাপগুলো এই গাছের পাতার মতো ঝরে পড়ে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১৫৯৬)

শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল

শীতকাল মুমিনের জন্য অনন্য আশীর্বাদ। অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে অনেক বেশি ইবাদত করা যায়। রাত লম্বা হওয়ায় অনেক সময় ধরে রাতে নামাজ আদায় করা যায়। আবার দিন ছোট ও আরামদায়ক হওয়ায় সহজে রোজা পালন করা যায়। এ জন্যই হাদিসে শীতকালকে মুমিনের বসন্তকাল বলা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১১৭৩৪)

শীতকালের রোজা

রোজা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেকি লাভের অন্যতম মাধ্যম। শীতকালের রোজায় স্বল্প সময় ব্যয় হয়। সুতরাং শীতকাল রোজা পালনের মোক্ষম সুযোগ। এ জন্য শীতকালের রোজাকে বিনা পরিশ্রমে নেকি লাভের মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমির ইবনে মাসউদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতকালের রোজা হচ্ছে বিনা পরিশ্রমে যুদ্ধলব্ধ মালের অনুরূপ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৯৭)

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো

শীত নিবারণের মতো পোশাক-পরিচ্ছদ সব মানুষের থাকে না। খাদ্য-পুষ্টি ও বাসস্থানের অভাবে অনেকেই শীতে মানবেতর জীবন-যাপন করে। সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানের দাবি। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো মুমিন যদি অন্য কোনো মুমিনের ক্ষুধায় অন্ন জোগায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল আহার করাবেন। কোনো মুমিন যদি অন্য কোনো মুমিনের পিপাসায় পানি পান করায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সিল করা জান্নাতি পানীয় পান করাবেন। কোনো মুমিন যদি অন্য কোনো বস্ত্রহীন মুমিনকে পরিধান করায়, তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবুজ বস্ত্র পরিধান করাবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৪৯)

শীতে কষ্ট সত্ত্বেও ওজু করা

শীতকালে সব কিছু শীতল হয়ে থাকে। পানি তো বরফের মতো হয়ে যায়। কাজেই ওজু করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এশা ও ফজরের নামাজের জন্য ওজু করা খুবই কষ্টকর হয়। শীতের তীব্রতায় কষ্টের কারণে আল্লাহ তায়ালা নেকির মাত্রাও বাড়িয়ে দেন। শীতে পরিপূর্ণভাবে ওজু করা অনেক নেকির কাজ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না, যার কারণে আল্লাহ পাপ মোচন করবেন এবং জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন? সাহাবিরা বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল! তিনি বলেন, মন না চাইলেও ভালোভাবে অজু করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬১০)

পরিশেষে বলা যায়, শীতকালে নতুন কিছু ইবাদত করার সুযোগ তৈরি হয়, কিছু ইবাদত পালন করা সহজ হয় এবং কিছু ইবাদতে কষ্ট বৃদ্ধির কারণে নেকির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কাজেই শীতকালকে বিরক্তিকর বা অসহনীয় মনে না করে; বরং ইবাদত করে নেকির পাল্লা ভারী করার চেষ্টা অব্যাহত রাখাই ঈমানের পরিচয়।




কিস্তি দিতে না পারায় মাসহ কারাগারে কোলের শিশু

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় করোনা মহামারির কারণে ঋণের কিস্তির টাকা সময় মতো শোধ দিতে না পারায় ঋণগ্রহীতা মাসহ তার দুধের শিশুকে কারাগারে পাঠিয়েছে বীজ নামের একটি এনজিওর কর্তৃপক্ষ। সূত্র মতে, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালাম তার স্ত্রী নিলুফা খাতুনের নামে বেসরকারি ঋণ দান সংস্থা ‘বীজ’ এনজিও থেকে গত বছর এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ে কাজ না থাকায় আব্দুস সালামের সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এ কারণে কিস্তির টাকা বকেয়া পড়ে যায় এনজিওর কাছে। সরকারের তরফ থেকে করোনাকালীন সময়ে কিস্তির টাকা আদায়ে বিরত থাকার জন্য এনজিও গুলোকে নির্দেশ দিলেও সরকারের সেই নির্দেশনা মোটেও আমলে নেয়নি এনজিও বীজ। খেলাপি দেখিয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রীর নামে মামলা দায়ের করে এনজিওটি।

ওই মামলায় আদালত আব্দুস সালামের স্ত্রীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ আব্দুস সালামের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। সাথে এক বছর বয়সী শিশু কন্যাও বাদ যাননি। পুলিশ কোলের শিশুকেও সাথে করে থানায় নিয়ে যায়। মাত্র এক বছর বয়সে অবুঝ শিশুকে কারাগারে যেতে হবে তা হয়তো কখনোই ভাবেননি শিশুটির মা-বাবা। এ নিয়ে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দিনভর দুর্গাপুর সদরে চলে নানা আলোচনা সমালোচনা। এনজিওর মানবিকতা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝেও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত নিলুফা বেগমের স্বামী আব্দুস সালাম জানান, সাংসারিক নানা দায় দেনার কারণে প্রায় দুই বছর পূর্বে দুর্গাপুর উপজেলা থেকে পরিচালিত ‘বীজ’ নামক এনজিও থেকে স্ত্রী নিলুফা বেগমের নামে জনতা ব্যাংক দুর্গাপুর শাখায় থাকা একাউন্টের চেক জমা দিয়ে এনজিও থেকে মাসিক কিস্তিতে একলক্ষ টাকা ঋণ নেন। ঋণ নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত ভাবে এনজিওর মাষ্টারের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে থাকেন।

সহায় সম্বলহীন হত দরিদ্র আব্দুস সালাম দিনমজুরি করে একদিকে পরিবার পরিজনদের দিনে দু’ মুঠো ডাল ভাত, পরিধেয় বস্ত্র এবং চিকিৎসার খরচ অন্যদিকে এনজিওর কিস্তির টাকার জোগাড় করতে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও মানসিক টেনশনের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকেন আব্দুস সালাম। জমানো কিছু টাকা সেই সাথে ধার-কর্য ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসার খরচ ব্যবস্থা করে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরেন।

আব্দুস সালাম আরও জানান, বাড়ীতে ফেরা মাত্রই এনজিওর কর্মী ও ম্যানেজার মহিরুল ইসলাম এসে কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং বলে দ্রুত টাকা পরিশোধ না করলে মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াবে। এনজিওর চাপের মুখে মামলার ভয়ে এলাকার সুদখোর মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে এনজিওর ম্যানেজারকে আরেকটি কিস্তি দেন।

পরের মাসে সুদখোর মহাজনের চাপে সুদের টাকা দেওয়ায় এনজিওর কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে আব্দুস সালাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ‘বীজ’ এনজিওর দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক মহিরুল ইসলাম আব্দুস সালামের স্ত্রী নিলুফার বেগমের জমা রাখা জনতা ব্যাংকের চেক ডিজনার করে নিলুফা বেগমকে আসামী করে রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করে।

এরপর দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাব আসলে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আব্দুস সালাম দিশেহারা হয়ে পড়ে। টাকার অভাবে শহরে গিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে না পারায় বিজ্ঞ আদালত হত দরিদ্র দিনমজুর আব্দুস সালামের স্ত্রী নিলুফা বেগমের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এতে গত ২৪ জানুয়ারি রবিবার আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে আব্দুস সালামের স্ত্রী নিলুফাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

এক বছরের দুধের বাচ্চা সানিয়াকে নিয়ে অসহায় মা নিলুফা বেগম থানায় রাতভর আটক থাকার পর ২৫ জানুয়ারি সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।

এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক বছরের দুধের বাচ্চা সহ মাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানোর বিষয়টি এলাকাবাসী মেনে নিতে পারেনি। ফলে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

এনজিওর কর্মী ও শাখা ব্যবস্থাপকের ওপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। যে কোন সময় কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাশমত আলী বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে আসামীর এক বছরের দুধের শিশু সাথে থাকায় পুলিশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শিশুটিসহ আসামী নিলুফা বেগমকে থানা হাজতে না রেখে রাতে অফিসারদের ডিউটি কক্ষে রাখা হয়। সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ‘বীজ’ এনজিওর দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক মহিরুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।