যুক্তরাজ্য থেকে আসা ফ্লাইটের ১৫৭ জনের মধ্যে ২৮ জনই করোনা ‘পজিটিভ’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট আসা ১৫৭ জন যাত্রীর মধ্যে ২৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২১ জানুয়ারি এ যাত্রীরা সিলেটে ফেরেন।

জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন হোটেলে চার দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন সিলেট ফেরত এসব যাত্রী। গত রোববার তাদের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাতে ২৮ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আক্রান্তদের খাদিমনগর ৩১ শয্যা হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-২০২ এ ১৫৭ জন যাত্রী যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে তাদের চার দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন হোটেল নূরজাহানে, পাঁচ জন হোটেল ব্রিটানিয়ায়, চার জন হোটেল হলিগেইটে, তিন জন হোটেল লা রোজে এবং একজন হোটেল হলি সাইডে ছিলেন।

গতকাল সোমবারও যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট এসেছেন ১৪৩ জন যাত্রী। তাদেরও বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।




মিরপুরে ৪৯ বছর পর সড়ক দখলমুক্ত

স্বাধীনতার পর থেকেই মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক ছিল দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। অবশেষে দীর্ঘ ৪৯ বছর পর সড়কটি দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সড়কটি দখলমুক্ত হওয়ায় মিরপুর এলাকা থেকে সহজেই এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪৯ বছর ধরে এ রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের হাতে ছিল। অনেকবার চেষ্টা করার পরও দখলমুক্ত করা যায়নি। যে সড়কটি আমরা দখলমুক্ত করলাম, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়ার জন্য আগে মাত্র একটি সড়ক ছিল, কালশী সড়ক। কালশীর সঙ্গে এখানে আরেকটি প্যারালাল রোড হতে চলছে। এটি সর্বোচ্চ ৭৫ ফুট এবং সর্বনিম্ন ৬০ ফুট চওড়া হবে। উচ্ছেদ শেষের পর আমরা এখানে মার্ক করে দেব। মিরপুর-১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে এটি দুই কিলোমিটার সড়ক হবে। এ উচ্ছেদ চলমান থাকবে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া মিরপুর সেকশন ১১-এর এভিনিউ ৩-এর ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালিত হয়। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম সফিউল আজম এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলা অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুপাশে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এর আগের দিনও একই সড়কে চার শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী, ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অভিযানকালে মেয়র আতিকুল উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দেন। এ সময়

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতি এবং অবৈধ দখলদারদের জন্য জিরো টলারেন্স। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর উপহার দিতে, নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।

দখলদারদের হুশিয়ার করে মেয়র বলেন, যারা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে আছেন, তারা দয়া করে নিজেরা সরে যান। তাদের আমি কোনো ধরনের নোটিশ দেব না। যাব এবং অবৈধ দখল ভেঙে দেব। অভিযান সফল করায় মেয়র আতিক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ধন্যবাদ জানাই এ এলাকার জনগণকে, তারা সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলররাও আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অভিযানে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন।

অভিযানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 




সকল ওয়ার্ডে একটি করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে : তাপস

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে একটি করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারকরণ কার্যক্রমের দ্বিমাসিক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ যেসকল ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নেই (কমিউনিটি সেন্টার) সে সকল ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। সে অনুযায়ী আমরা সে সকল ওয়ার্ডে নতুন করে পাঁচতলা করে ভবন করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করব। সেসব ভবনে একটি ফ্লোরে আমাদের কাউন্সিলর কার্যালয় থাকবে এবং আরেকটি ফ্লোরে “নগদ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র” করে দেব। যাতে করে সকল কার্যক্রমগুলো এক জায়গা থেকে হয় এবং যাতে মানুষ জানে, এই ওয়ার্ডের এই কার্যালয় ও সে কার্যালয়ে গেলেই কর্পোরেশনের সেবা নিশ্চিত হবে।

পরিবার পরিকল্পনা একটি অবহেলিত খাত ছিল কিন্তু আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরো বলেন, আমি মনে করি যে, এটি একটি মৌলিক সেবার জায়গা। এটা একটা প্রাথমিক সেবার জায়গা। এই জায়গাটা আগে নিশ্চিত হলে, পরবর্তীতে সেবার জায়গাগুলো আমরা নির্ধারণ করতে পারব, তার উৎকর্ষতা বাড়াতে পারব, মান বাড়াতে পারব।

সভায় কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা যে সকল সংস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম প্রদান করা হচ্ছে, সে সব সংস্থা তাদের সাথে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম প্রদান করছেন না বলে জানান। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যমান সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমি আশাবাদী যে, আগের তুলনায় সম্পৃক্ততা বেড়েছে, সমন্বয় বেড়েছে। বাকি যতটুকু সমন্বয়হীনতা রয়েছে তা দূর করার জন্য আপনি (প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আমার সভাপতিত্বে যে দ্বিমাসিক সভা হচ্ছে তার আগেই প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে প্রতি মাসে একটি সভা হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে মাসিক কতটুকু অগ্রগতি অর্জিত হল সেটা যেমনি জানা যাবে তেমনি দ্বিমাসিক এই পর্যালোচনা সভা আরো বেশি ফলপ্রসূ হবে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনসংখ্যা বিস্ফোরণকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সেই আলোকে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, সোনার মানুষ গড়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিত পরিবার একটি আবশ্যকীয়ভাবে বিষয়। সে প্রেক্ষিতে এই কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য এরই মাঝে আমরা মনোযোগ দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই দ্বিমাসিক পর্যালোচনা সভা। সেখানে আমাদের মুল কাজই হলো সমন্বয় করে দেয়া। তাই, এই কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে গতিশীল করায় আমাদের লক্ষ্য।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং যে সকল এনজিওর মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় সেসব এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মোট ৩৭টি ওয়ার্ডের নতুন করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ এবং বিদ্যমান সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৬টি সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।




বাইকারকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে গেল ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি

রাজশাহীতে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুতবেগে সাইরেন বাজিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটছিল ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। হঠাৎ নগরীর পালপাড়া মহাসড়কে একটি বাইক ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সামনে এসে পড়লে হতভম্ব হয়ে পড়েন গাড়িটির চালক। কষে ব্রেক চাপেন বাইকারকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু বাইকারের শেষ রক্ষা হলেও ঘটনাস্থলে উল্টে যায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি।

আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ পালপাড়া ঢালান এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালকসহ বাহিনীটির আরও চারজন আহত হন। এ দুর্ঘটনায় ওই বাইকারও সামান্য আহত হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে গাড়িটি পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর যাচ্ছিল। তাদের কাছে খবর এসেছিল- বেলপুকুরেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে উদ্ধারকাজে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় পড়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধারের জন্য গাড়িটি যেহেতু যাচ্ছিল, তাই গতি বেশি ছিল। এ সময় গাড়িটির সাইরেনও বাজছিল। কিন্তু হঠাৎ রাস্তার বামপাশ থেকে একটি মোটরসাইকেল সড়কে উঠে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সামনে চলে আসে। যার কারণে বাইক আরোহীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালক। কিন্তু গতি বেশি থাকার সময় ব্রেক করার কারণে গাড়িটি সড়কে উল্টে যায়।’

তিনি আরও জানান, ‘গাড়িচালক সজিবসহ আরও চারজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আহত হয়েছেন। সামান্য আহত হয়েছেন বাইক চালকও। সকলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’




বোমার আঘাতে হাত হারিয়েও দমেননি সার্জেন্ট শহিদুল

শরতের রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল। প্রকৃতির শুভ্রতাকে উপভোগ করাছিলেন সার্জেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম, যিনি র‌্যাব ৬-এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অন্যতম সদস্য। এর মধ্যেই ফোন আসে। ছুটে যান যশোরের অভয়নগর থানায়। স্যুট, আয়রন ব্লকসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পরে প্রস্তুত হন বোমার সঙ্গে ‘যুদ্ধে’ নামতে। কিন্তু ব্যতিক্রমী ও শক্তিশালী বোমা ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) নিষ্ক্রিয় করার আগেই অনাকাক্সিক্ষতভাবে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। বোমার স্পিøন্টারের আঘাতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য জ্ঞান হারান শহিদুল ইসলাম। জ্ঞান ফিরলে দেখেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তার হাতের কব্জি। গামছা দিয়ে সেই হাত বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর সিএমএইচে।
২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরের ওইদিনে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা। অপারেশন থিয়েটার থেকে কেবিনে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে শহিদুল ইসলাম জানতে চান বাংলাদেশ জিতেছে কিনা। কিছুটাআশ্চর্য হয়েই চিকিৎসক তখন বললেন,

‘মনিটর স্ক্রলে দেখেন, আপনার অবস্থা গুরুতর দেখাচ্ছে। শারীরিক এই অবস্থা নিয়েও আপনি ক্রিকেট খেলার আপডেট জানতে চাচ্ছেন?’ বোম্ব স্যুট ও আয়রন ব্লকের জন্য এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান বলে মনে করেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
দুঃসহ সেই স্মৃতির বর্ণনা দিয়ে সার্জেন্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মানুষ তো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অঙ্গহানির শিকার হন। আমি তো দেশের হয়ে কাজে গিয়ে পঙ্গু হয়েছি। দেশের কাজ করতে পেরেছি, তাতেই আমি গর্বিত। কারণ আমাদের প্রশিক্ষণের সময় দেশের প্রয়োজনে জীবন বিসর্জনের শপথ নিতে হয়। বাংলাদেশ দলের খেলার খবর জানতে চাওয়ার পেছনে হয়তো আমার দেশপ্রেমটাই কাজ করেছিল। বিষয়টি তখন না বুঝলেও এখন অনুভব করি।’
বাংলাদেশ সেনাবাহনীতে ১৯৯৯ সালে সৈনিক পদে যোগ দেন মৌলভীবাজারের ছেলে শহিদুল ইসলাম। বাবা-মা, স্ত্রী আর সাত বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে মীমকে নিয়েই তার পরিবার। সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে ২০০৬ সালে প্রথমবার র‌্যাবে যোগ দেন শহিদুল। পরে মিশন শেষ করে ২০১০ সালে আবারও র‌্যাবে ফেরেন। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো পুলিশের এই বিশেষ বাহিনীটিতে যোগ দেন। সর্বশেষ কাজ করতেন র‌্যাব ৬-এর বোম্ব ডিসপোজাল টিমে। তার এই টিম দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলায় বোমা নিষ্ক্রিয়ের কাজ করে।
নিজের সাহসী কাজের জন্য প্রসংশায় ভেসেছেন শহিদুল ইসলাম। পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (সাহসিকতা)। র‌্যাব ও সেনা সদর থেকেও পেয়েছেন আর্থিক সম্মাননা। দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ শহিদুল। র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে বিচ্ছিন্ন কব্জিতে সংযোজন করা হয়েছে দুটি কৃত্রিম হাত। এর মধ্যে একটি মায়োফিসিল সেন্সর হ্যান্ড। এটি হাতের ওপরের দিকের রগের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে অগ্রভাবে দিকনির্দেশনা পৌঁছায়। শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষম হয়ে পড়ায় সেনাবাহিনীর মিলিটারি মেডিক্যাল বোর্ড অবশ্য শহিদুল ইসলামকে ইউনিফর্ম চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের সুপারিশ করেন। বিধি অনুযায়ী তাকে বাহিনীর সিভিল স্টাফ হিসেবে নিয়োগের জন্য বলা হয়; কিন্তু শহিদুল তাতে রাজি না হয়ে সিদ্ধান্ত নেন ২২ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টেনে অবসরে যাওয়ার। বুধবার ছিল র‌্যাবে শহিদুল ইসলামের শেষ কর্মদিবস।
এ প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শারীরিকভাবে ফিট থাকলে হয়তো আরেকটা র‌্যাংক পেতাম। আরও কয়েক বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে পারতাম। তবে দেশ-মাতৃকার টানে এমন একটি কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আহত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব আমাকে যে সম্মান দেখিয়েছে, তার জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ নিজের কৃত্রিম হাত খুলে দেখানোর সময় অবশ্য শহিদুল ইসলামের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দায়িত্বরত অবস্থায় নিহত বা আহত সব র‌্যাব সদস্যের প্রতি আমরা সর্বোচ্চ সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেই। সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে পাশে দাঁড়াই। কারণ আমরা মনে করি এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
উল্লেখ্য, পেশাগত দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত র‌্যাবের তিন শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া নিহত হয়েছেন ২৭ জন র‌্যাব সদস্য।




মাদক পাচার রোধে কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থেকে কঠোরতম হতে হবে। মাদক কারবারে জড়িতদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। মাদক যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।

তিনি বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বর্জন করা না গেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য মাদক কারবারে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তর প্রশিক্ষণ মাঠে আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে জয়ী হয়েছি, সেভাবে মাদকের বিরুদ্ধেও আমাদের জয়ী হতে হবে। অন্যথায় দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।

এ সময় বিজিবির প্রশিক্ষণ মাঠে চেকপোস্টের কার্যক্রমের উপর ডেমো ও রিজিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি অভিযান দেখানো হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযানে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হওয়া ৫৩৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গেল দুই বছরের কক্সবাজারের রামু সেক্টরের অভিযানে আটক ১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৫ পিস ইয়াবা, ৫ হাজার ৭৯৯ বোতল মদ, ৩৩ হাজার ৫৫৫ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৩৬ লিটার চোলাই মদ, ১৫.৭৩২ কেজি গাঁজা, ১৮ হাজার ৭৫০ পাতা সিডিল ট্যাবলেট ও ৫ হাজার পাতা ট্যাবলেটন। যার সর্বমোট মূল্য ৫৩৫ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১২ টাকা।

যার মধ্যে, মালিকসহ আটক করা হয়েছে ৯১ লাখ ৬১ হাজার ৬০৭ পিস ইয়াবা, ৩ হাজার ৮৭৩ ক্যান বিয়ার, ১১৯ বোতল মদ, ৪২৭.৬ লিটার বাংলা মদ, এক কেজি গাঁজা, ৩৮১ বোতল ফেনসিডিল। এ ছাড়া মালিকবিহীন উদ্ধার করা হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ১১ ১৩৬ পিস, ৩৭ হাজার ৬৫৮ ক্যান বিয়ার, ৫ হাজার ৩৫ বোতল মদ, ২০০৫.৫ লিটার বাংলা মদ, ২৯.৭০৫ গ্রাম গাঁজা ও ১ হাজার ৫২৪ বোতল ফেনসিডিল। পরে কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে নবনির্মিত থানা উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে সকালে কক্সবাজারের বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের দেয়ালিকা উৎসব ও কারিগরি শিক্ষা ভবন উদ্বোধন করেন।




এবার মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের যাত্রা শুরু

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স :  মহাকাশে স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য স্যাটেলাইটের ধরন ও প্রকৃতি নির্ধারণে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মঙ্গলবার চুক্তি সই করেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পর এবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের পথযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে অন্যান্য প্রকৃতি, প্রয়োজন, চাহিদা ও ধরনের স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

ইশতেহার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে এটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মহাকাশে পা রাখে।

সেই ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) প্রধান কার্যালয়ে উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নতুন এই স্যাটেলাইটটির ধরন ও প্রকৃতি ইত্যাদি নির্ধারণে পরামর্শক হিসেবে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপার্সের সঙ্গে অনলাইনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। বক্তৃতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসসিএলের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ড. এসএম জাহাঙ্গীর আলম।

পরে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরীয়ার আহমেদ চৌধুরী ও প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপার্স অ্যাডভাইজরি এসএস ড. লুইগী স্ক্যারিয়া পার্টনার পিডব্লিউসি স্পেস প্রাকটিস লিডার।




হঠাৎ রাজধানীতে বৃষ্টি

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স :  সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন আর মেঘলা ছিল রাজধানীর আকাশ। তবে বৃষ্টি হতে পারে এমনটা বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টি।

কয়েক মিনিটের এই বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে যায় জনজীবন। আচমকা এ বৃষ্টিতে পথচারীরা দৌড়ে আশ্রয় নেন আশেপাশের দোকানে।

এদিকে আগেই ঢাকাসহ ছয় বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।




সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির লটারি উদ্বোধন করলেন : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

 

দেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ শিক্ষা বর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৪টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লটারির ভর্চ্যুয়াল উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতিক্রমে ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন করতে কম্পিউটার মাউসে ক্লিক করে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুলের ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী রাদিয়া আনহু তানহা।

এর সঙ্গে সফটওয়ার শিক্ষার্থী বাছাই শুরু করে। সফটওয়ারে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্মন্ন হয়।

লাটারির ফল পাওয়া যাবে http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, সারাদেশে সরকারি স্কুলে ৮০ হাজার আসনের পিরীতে ভর্তির জন্য ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন জমে পড়েছে।

সারাদেশে মোট আসন ৭৭ হাজার ১৪০টি। দেশব্যাপী ৩৯০টি বিদ্যালয়ের জন্য ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নতুন জাতীয়করণ করা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় কমটির মাধ্যেম লটারি করা হবে।

লটারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এক কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে গত বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা-শিখন কাজ থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য আমরা সংসদ টিভির মাধ্যমে দূরশিক্ষণ, অনলাইন পাঠদান ও এসাইনমেন্টভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, যা খুবই সফল ও প্রশংসিত হয়েছে বলে মাঠ পর্যায় থেকে জানতে পেরেছি।

ডা. দীপু মনি বলেন, স্কুলগুলোতে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি, সেকারণে সরকারিভাবে আমরা এ বছর লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় বেসরকারি স্কুলগুলো এবং সম্প্রতি জাতীয়করণকৃত অনেক স্কুল স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির কাজ লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করছে। আর ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারী ভর্তিচ্ছুদের মধ্য থেকে সারাদেশে মোট ৭৭ হাজার ১৪০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আজ ভর্তি নির্বাচন করার জন্য আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। এ প্রক্রিয়ার একটি ভালো দিক হলো সকল স্কুলে এবার নানা ধরনের মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, এ ডিজিটাল লটারির সার্বিক কারিগরি সহায়তার কাজ করেছে টেলিটক বাংলাদেশ এবং টেলিটকের সফট্ওয়্যারের যথার্থতা যাচাই-বাছাই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।




একে এম হাফিজ আকতার, বিপিএম (বার-সেবা) স্যারের আজ শুভ জন্মদিন

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস অফিসার ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার) এবং গাজীপুরের কৃতীসন্তান একেএম হাফিজ আকতার, বিপিএম (বার-সেবা) স্যারের আজ শুভ জন্মদিন। ১৯৬৮ সালের আজকের এই দিনে ( ৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার (বর্তমান সদর উপজেলা) বাড়িয়া ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে তাঁর পৈতৃক নিবাস। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুস সামাদ (১৯৪১- ২০১৭)-এর দ্বিতীয় সন্তান তিনি। বড়োভাই এ কে এম শামীম আকতার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান যুগ্ম সচিব। তৃতীয় ভাই এ কে এম শরীফ আকতার কানাডা প্রবাসী এবং একমাত্র বোন রাজিয়া সুলতানা লুনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেত্রী।

১৭-তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে নির্বাচিত হওয়া হাফিজ আকতার ১৯৯৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (প্রশাসন), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এবং টাঙ্গাইল ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালন করেন। এসবি, ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি লিয়েনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কসোভোতে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে পুলিশ সদর দফতর, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও রাজশাহী রেঞ্জে। কর্মজীবনের সর্বত্র তিনি সততা, দক্ষতা ও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক  দ্রব্য উদ্ধার এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি একাধিক বার বিপিএম পদকে ভূষিত হয়েছেন।
 হাফিজ আকতার ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এসএসসি (বিজ্ঞান) ও ১৯৮৬ সালে এইচএসসি (বিজ্ঞান) পাস করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে ১৯৯০ সালে বিএসসি (এজি-সম্মান) ও ১৯৯৬ সালে এগ্রোনমিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এআইইউবি, ঢাকা থেকে তিনি  ২০১০ সালে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করেন।
পারিবারিক জীবনে হাফিজ আকতার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের (এক মেয়ে ও এক ছেলে) পিতা। বই পড়া তাঁর অন্যতম শখ।
আমরা ডিআইজিপি একেএম হাফিজ আকতারের দীর্ঘজীবন, কর্মজীবনের সর্বোচ্চ সফলতা ও আমৃত্যু সুস্থতা কামনা করি। আমিন।