‘ভ্যাকসিন কেনায় যাতে নয়ছয় না হয়, প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই দৃষ্টি রাখব’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ‘ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে যাতে নয়ছয় না হয়, সেদিকে প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা সবাই দৃষ্টি রাখব। ভ্যাকসিন পাওয়াকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, ইতোমধ্যেই করা চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এ জন্য শতভাগ প্রস্ততি গ্রহণ করা হচ্ছে। বলতে গেলে, আমরা শতভাগ তৈরি।’

বলছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। আর শেরে-বাংলা নগরে সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও সরবরাহ বাবদ মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে ভ্যাকসিন কিনতে, বাকি অর্থ পর্যায় ক্রমে খরচ হবে প্রকল্পের আওতায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পরিকল্পনা কমিশনকে অবগত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।




‘চাকরির মানসিকতা ছেড়ে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : চাকরি করার মানসিকতা ত্যাগ করে, চাকরি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য সরকার নানামুখি সুযোগ উন্মুক্ত করে রেখেছে। তিনি তারুণ্যের অমিত শক্তি ও সম্ভাবনাকে চাকরির চৌহদ্দিতে বন্দি না করে স্বাধীন পেশা বেছে নেওয়ারও আহ্বান জানান।

আজ মঙ্গলবার সকালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ, তরুণরাই বাস্তবায়ন করবে স্বাধীনতার স্বপ্ন। তাদের হাত ধরেই অংকিত হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ নকশা।

জীবন মানে যুদ্ধ, যে জীবনে যুদ্ধ নেই, চ্যালেঞ্জ নেই, সে জীবন, জীবন নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলার পথে নানান বাধা আসবে, গতি হারাবে ঝড়ে কিন্তু এই সাময়িক ছন্দপতনে থেমে গেলে চলবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অদম্য প্রাণশক্তি দিয়ে। তিনি জয় করেছেন বাংলাদেশের সমান সুনীল সমুদ্রসীমা। সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছেন ব্লু-ইকোনোমির।

পাবলিক ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোকেও গবেষণা কাজে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংকের অপবাদের বিপরীতে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করেছেন বাঙালি বীরের জাতি।

একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মাছে ভাতে বাঙালির পরিচয় আবার বিশ্বমাঝে তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে।

আজকের প্রজন্ম মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে। ওবায়দুল কাদের তাদের এসব অপরাধ থেকে দূরে থাকারও নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, করেনা মহামারি বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এর প্রভাব পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ এবং এর গতিপ্রকৃতি বিবেচনা করে ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সরকার শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামী নির্মাণের চলমান যাত্রায় সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আবুল হাসান মো. সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. জাফর সাদেক।




প্রাথমিকে ভর্তি ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। মঙ্গলবার অধিদফতর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‌‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার সব শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তিচ্ছুক শিশুদের নাম, ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি রেজিস্ট্রারে লিখে রেখে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘অসুস্থ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা শিক্ষিকাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত রাখা থেকে বিরত রাখতে হবে। অসুস্থ শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়ে না আসার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করতে হবে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।’

নির্দেশনায় বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন বা স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেসব শিক্ষার্থী বিদ্যালয়বিহীন হয়ে পড়েছে, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’




উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট সরকারে এক যুগ আওয়ামী লীগের

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ক্ষমতার টানা তৃতীয় মেয়াদে দুই বছর শেষ করে কাল তিন বছরে পা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। দলটি আগের দুই মেয়াদে ১০ বছর পার করেছে বেশ সফলতার সঙ্গেই। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সে সময় দেশের অর্থনীতি ছিল অনেকটাই ভঙ্গুর। বিদ্যুৎ খাত ছিল বেহাল। গত এক যুগে ৬ হাজার মেগাওয়াট থেকে এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতায় পৌঁছেছে দেশ। তখন অবকাঠামো পরিস্থিতিও ছিল নাজুক। আর দারিদ্র্যের ছিল উচ্চ হার। একই সঙ্গে খাদ্য ঘাটতিও ছিল। কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে ছিল মন্দাবস্থা। গত এক যুগে এসব খাতে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর উন্নয়নের মতো বড় খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশ পরিচালনা শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর পেরিয়ে গেছে এক যুগ। এই সময়ে বদলে গেছে দেশের উন্নয়নের দৃশ্যপট। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আর সরকারের ধারাবাহিকতায় অর্থনীতিতে এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। মাথাপিছু গড় আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ হাজার ডলার।
শুধু তাই নয়, যোগাযোগব্যবস্থাকে সহজ করেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেন মহাসড়ক। নবনির্মিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সহজ করেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলবাসীর চলাচল। ঢাকা ও চট্টগ্রামে নির্মিত ফ্লাইওভারগুলোরও সুফল পাচ্ছে দেশবাসী। কক্সবাজার থেকে টেকনাফে নির্মিত হয়েছে ৮০ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ। চট্টগ্রামে নির্মাণ হচ্ছে বে-টার্মিনাল। ব্যাপক হারে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশজুড়ে করা হচ্ছে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রযুক্তিতে পরিবর্তন এনেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বেড়েছে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন। ফলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে কয়েক গুণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। নানা চড়াই-উতরাই আর বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির বদনাম ঘুচিয়ে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ঢাকার জীবনকে সহজ আর গতিময় করতে মেট্রোরেলের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন সংযোগ হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাস্তবায়ন কাজও এগিয়ে চলছে। পায়রা ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এর সবই সম্ভব হচ্ছে একই সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হলে বিভিন্ন নীতি-কৌশণের পরিবর্তন ঘটে যা মূলত উন্নয়ন কর্মকান্ডকে স্তিমিত করে ফেলে। গত এক যুগে সরকার পরিবর্তন না হওয়ায় উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রয়েছে। এটি যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্যই মঙ্গলকর।

আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়ে ২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পরপরই সারা দেশে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড। দ্বিতীয় মেয়াদেও সরকার অপরবির্তিত থাকায় তা আরও গতি পায়। ঢাকাসহ সারা দেশের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ধাবমান ঘোড়ার মতো উন্নয়ন কর্মকান্ড চলতে থাকে। দীর্ঘদিনের বাধা কাটিয়ে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে আসে অবিশ্বাস্য সাফল্য। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও টানা তৃতীয়বার জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর আগে দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, রেলসহ সংশ্লিষ্ট খাতগুলোয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বৃহৎ প্রায় এক ডজন প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকার। এগিয়েও যাচ্ছিল বেশ দ্রুতগতিতে। তরতর করে বাড়তে থাকে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে শুরু হওয়া কভিড-১৯ মহামারী সারা বিশ্বে ২০২০ সালজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও নেমে আসে বিপর্যয়। থেমে যায় সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দু-একটি প্রকল্পের কাজ চললেও সেগুলোয় নেই কাক্সিক্ষত গতি। গত জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু আবারও সচল করে সরকার। বিশ্বের অনেক শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ বিপর্যয় এড়াতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশ মোটামুটি সফলই হয়েছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ, যা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও স্বীকৃতি দিয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘করোনার আঘাতে আমরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে সেটাকে খুব ভালোভাবেই সামাল দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে সামষ্টিক অর্থনীতি। ফলে অর্থনীতিও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের ক্ষতি কমই হয়েছে।’ নতুন বছরটা দেশের অর্থনীতির জন্য বেশ ভালোই যাবে বলে তিনি মনে করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে এ দেশের মানুষের অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগই মেটানো হয় দেশীয় উৎস থেকে। আর বিশ্বপরিমন্ডলে বাংলাদেশের কৃষির অবস্থান খুবই শক্তিশালী। ফলে মহাসংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। না খেয়ে থাকেনি কোনো মানুষ। হয়তো প্রয়োজনের চেয়ে কম খেয়েছে। এর আগের বছর ২০১৯ সালের শুরুটা ছিল দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই স্বস্তিদায়ক। সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়ে চলছিল বেশ দ্রুতগতিতে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ছিল উচ্চ। মাথাপিছু আয়ও দ্বিগুণের বেশি হয়েছিল। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি আর বিশ্বমন্দার বাড়তি মাত্রা যোগ হওয়ায় সে বছরের শেষ দিকে এসে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা সামষ্টিক অর্থনীতি আচমকা হোঁচট খেয়ে বসে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় করোনা মহামারী। এর প্রচ- ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সামগ্রিক অর্থনীতি। যার রেশ এখনো শেষ হয়নি। বরং প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা পুরোপুরি কেটে ওঠার আগেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে একমাত্র প্রবাসী আয় ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সবগুলো প্রধান সূচক নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। তাই সামনের দিনগুলোয় অর্থনীতির গতিবিধি কী হতে পারে তা অনুুমান করাও মুশকিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে প্রায় টানা এক দশক ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ৫ শতাংশের বৃত্ত ভেঙে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায় শুরু করে বাংলাদেশ। সব শেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এরপর করোনা মহামরীতে সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। আর চলতি অর্থবছর শেষে বাজেটের টার্গেট অনুযায়ী ৮ দশমিক ২ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অথচ ২০০৮ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশ। ২০২২ সালের আগেই ডাবল ডিজিট (দুই অঙ্ক) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইভাবে ২০০৯ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৭০৯ মার্কিন ডলার। এখন তা ১৯০০ ডলার অতিক্রম করেছে। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। এখন ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। রপ্তানি ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে তা ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আগামীতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। স্থায়ী কর্মসংস্থানে খুব একটা আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি না হলেও অস্থায়ী কর্মসংস্থান, বিকল্প কর্মসংস্থান ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে কর্মক্ষম মানুষ আর শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত এক যুগে দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, অবকাঠামো, বিদ্যুৎসহ কয়েকটি খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সরকারি অর্থের অপচয় ও দীর্ঘসূত্রতা রোধ করতে পারলে উন্নয়ন কর্মকান্ড আরও বেশি ত্বরান্বিত করা যেত। তবে একই মতাদর্শের সরকার টানা এক যুগ ক্ষমতায় থাকায় সব ধরনের নীতি-কৌশল একই রকম থেকেছে।’ তাই সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করাটাও বেশ সহজ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে গত কয়েক বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, নবীনগর ডিইপিজেড-চন্দ্রা-যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, মিরপুর ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল, হানিফ ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। চলমান এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়কপথে চাপ কমবে। এর মাধ্যমে যেমন যানজট কমবে, তেমন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণে জ্বালানি ও সময়- উভয়ই সাশ্রয় হবে। কমে আসবে পণ্য পরিবহন ব্যয়। বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড রেল স্থাপন প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজে স্বাভাবিক গতি ফিরেছে। এ প্রকল্পের সব স্প্যান বসানো সম্পন্ন করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। গত নভেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ছিল ৮২ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের জুনের আগেই কাজ সমাপ্ত হবে। নভেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে রেললিঙ্ক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ২৮ শতাংশ। একইভাবে চলছে মেট্রোরেল লাইন-৬-এর কাজও। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের প্রথম অংশ দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও এগিয়ে চলছে। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) কাজেও গতি ফিরেছে। ইতিমধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। গত মার্চে খুলে দেওয়া হয়েছে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটির মূল অংশ। এ প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ তেঘরিয়া থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ অংশের আড়াই কিলোমিটারই এলিভেটেড এবং বাকি অংশ সমতলভূমিতে নির্মিত। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা এগিয়ে যাবে আরেক ধাপ। ঝিলমিলবাসীও এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবেন তেঘরিয়া থেকে। এ প্রকল্পের কাজও এ বছরের প্রথম প্রান্তিকেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় কিলোমিটারের সুড়ঙ্গ। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। গত নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো অবিরাম কাজ করছে। ঢাকা শহরের চারদিকে সাবওয়ে নির্মাণকাজের সমীক্ষা প্রায় শেষ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকেই। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজেও গতি ফিরেছে। করোনা মহামারীতে সাধারণ ছুটির সময় যেসব শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান নিজ দেশে গিয়ে আটকা পড়েন, তার অধিকাংশই ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছেন। জানা গেছে, বিশ্বের অত্যাধুনিক, দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর সমতুল্য হবে শাহজালাল বিমানবন্দর। যেখানে থাকবে ইংল্যান্ডের হিথ্রো, সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডির মতো আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ যে আর্থসামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তার একটা ইতিবাচক বার্তা দেবে এ টার্মিনাল। বিমানবন্দরে নেমেই বিদেশি বিনিয়োগকারী, পর্যটকসহ আগতদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে এক ধরনের ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করবে বলে মনে করে সরকার।




অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার টিকার অনুমোদন দিলো ঔষধ প্রশাসন

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনাভাইরাসের টিকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেল।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভ্যাকসিন আমদানিতে বেক্সিমকোকে অপানপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। তারা চাইলে এখন ভ্যাকসিন আনতে পারবে।

এর আগে দুপুরে এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো।

ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে সঙ্গে নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে যুক্তরাজ্য, ভারত, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশে। তাতে এই টিকা গড়ে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

কোভিশিল্ড নামে এই টিকার উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গ যুক্ত রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে সরকারের করা চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

ওই তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন।




ভ্যাকসিন আমদানি কমাতে হবে

৫ জানুয়ারি ২০২১ ০০:০০ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৭
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশ থেকে আমদানি কমাতে হবে। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনলে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। এটি দেশে তৈরি করলে এ ব্যয় এক-তৃতীয়াংশ হবে। এতে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হবে। করোনাকাল যত বেশি অর্থ সাশ্রয় হবে, সে অর্থ দিয়ে

আমরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারব।

দেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে সেটা কেন আমরা বিদেশ থেকে আনব- এ প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী এ বিষয়ে আরও বলেন, গবেষণালব্ধ সম্পদ সরবরাহ করতে না পারলে দেশের প্রাণিসম্পদ খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। সেজন্য এ খাতের বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত করতে হবে, সমৃদ্ধ করতে হবে। বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার মতো অবস্থা সৃষ্টি করতে হবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গবেষক ও বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দেশের সীমিত সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে হবে। মেধার বিকাশ যে যতটা ঘটাবেন তিনি তত বেশি সৃষ্টি করতে পারবেন। সবাইকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। নিজ যোগ্যতার প্রকাশ ও বিকাশ করাটাই আপনাদের দায়িত্বের পরিধি। একজন বিজ্ঞানী বা একজন ভালো লেখাপড়া করা ব্যক্তির প্রতিভার বিকাশ সম্পূর্ণ আলাদা দেখতে চাই। দেশের বাইরে আমাদের বিজ্ঞানীরা প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছে। দেশের বাইরে পারলে এখানে কেন নয়? দেশে প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এগোতে পারলেই সার্থকতা আসবে। প্রতিবছর রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে ভ্যাকসিন আপডেট করাই আপনাদের কৃতিত্ব। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের অপেক্ষায় না থেকে আপনাদেরই হতে হবে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আপনাদেরই হতে হবে দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, হতে হবে সমস্যা সমাধানকারী।




১২০ কোটি টাকায় দেশেই টিকা তৈরি হতো

৫ জানুয়ারি ২০২১ ০০:০০ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৭

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ভারতের নিজস্ব করোনা ভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ না হওয়ায় বিশেষজ্ঞমহল এর প্রয়োগ নিয়ে সতর্ক করেছেন। অন্যদিকে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক গতকাল সোমবার আবার নিরাপত্তার ব্যাপারে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা দিয়েছে। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি।

ভারতের ওষুধ প্রশাসন গত রবিবার দুটি টিকার অনুমোদন দেয়- এর মধ্যে একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার, অন্যটি ভারত বায়োটেকের। বায়োটেকের টিকাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘গেম চেঞ্জার’ বললেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় এটি প্রয়োগে সতর্কতা অবলম্বন দরকার। অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ না করে ভারত বায়োটেকের টিকার অনুমোদনকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি

থাকায় এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটেও তুমুল বিতর্ক দেখা যায়।

এদিকে গতকাল ভারত বাইয়োটেকের চেয়ারম্যান ড. কৃষ্ণা ইল্লা বলেন, টিকাগ্রহীতার আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োগের জন্য এ টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ট্রায়ালের তথ্য না পাওয়ায় সমালোচকরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কিন্তু এটি পানির মতো পরিষ্কার… আমরা এ ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।

ভার্চুয়াল সভায় ড. কৃষ্ণা আরও বলেন, আমরা দুইশ পারসেন্ট সততা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে। আমাদের সব তথ্য পরিষ্কার রয়েছে।

অক্সফোর্ডের টিকার ভারতীয় উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগ্রহী দেশগুলোয় রপ্তানি শুরুর আগে আগামী দুই মাস তারা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবে। গত রবিবার সরকারি অনুমোদনের পর এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়াল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত সরকারের চাহিদা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার পর হয়তো তারা টিকা রপ্তানি করতে পারবেন।

এদিকে সরকারের অনুমোদনের আগে ভারতজুড়ে টিকার মহড়া (ড্রাই রান) শুরু হয়েছে। এখন শুধু টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পালা। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যে কোনো সময় টিকা কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।

১২০ কোটি টাকা খরচ করলে দেশেই করোনা ভাইরাসের টিকা এক বছরে তৈরি করা যেত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে ভারতের সেরামকে টিকার জন্য প্রথম ধাপে যে ৬শ কোটি টাকা বাংলাদেশ দিচ্ছে, তার

চেয়ে কম টাকায় যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ বিজ্ঞানীকে এক কোটি টাকা মাসিক বেতনে আনা হতো, তা হলেও দেশের ১২০ কোটি টাকা খরচ হতো। এখানে অনেক বেশি বিজ্ঞানী তৈরি হতে পারত। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশে এক বছরের মধ্যে টিকা তৈরি করা যেত।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মেহেরুন নেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে জাতি প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ কেবল মেয়ে ও ছেলেদের ওপরেই নয়, ধর্ষণ অর্থনীতিতেও অনেক বেশি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সদস্য মিয়া আনোয়ার, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন ও কৃষকদল নেতা গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।




ছাত্রলীগকে সম্পদের পরিবর্তে শিক্ষা ও জনসেবায় মন দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টারঃ সম্পদ তৈরির দিকে নজর না দিয়ে শিক্ষার্জন এবং দেশ ও জনসেবায় ব্রতী হতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে নিজেকে যে গড়ে তুলতে পারবে সে-ই সফল হবে। আর যদি অর্থ-সম্পদের দিকে নজর চলে যায়, সফল হতে পারবে না। ভোগ-বিলাস ছাড়া আর কিছু হবে না। কাজেই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে নিজেদের গড়ে তোল। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হও। দেশের মানুষের জন্য কাজ করো।’

সোমবার (৪ জানুয়ারি) ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি। শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শান্তি আমরা চাই। এটা মাথায় রেখে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আদর্শ নিয়ে চলতে হবে, এটাই আমি চাই। প্রত্যেকে আদর্শ নিয়ে না চলতে পারলে কখনও বড় হতে পারবে না। ধন-সম্পদ অনেক বানাতে পারবে, কিন্তু দেশকে কিছু দিতে পারবে না। মানুষকে কিছু দিতে পারবে না। নিজে ভোগ করতে পারবে। আবার করোনাকালে সেই ভোগও সীমিত হয়ে যায়। এই বাস্তবতাও আমরা দেখছি।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র এবং অর্থ তুলে দিয়ে বিপথগামী করতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিপরীতে তিনি ছাত্রদের হাতে কলম তুলে দিয়েছেন। তার সরকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে কারিগরি, ভ্যাটেরিনারি, অ্যারোনটিক্যাল, এভিয়েশনসহ নানা খাতে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সব শিক্ষার্থীকে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সুশিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারিতে ছাত্রলীগ অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগ সব সময় অগ্রগামী দল। করোনাকালে ছাত্রলীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে, বৃক্ষরোপণ করেছে, করোনা আক্রান্তদের সহায়তা করেছে। মানুষের সেবার জন্য কাজ করেছে, সেগুলো করে যাবে। ছাত্রলীগের ছেলেরা এটাই প্রমাণ করেছে কোনও কাজকে তোমরা ছোট করে দেখো নাই।’
২ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আবারও বলবো, যখনই গ্রামে যাবে কাউকে ছোট করে দেখবে না। কোনও কাজকে ছোট করে দেখবে না। সব কাজেরই গুরুত্ব আছে, সব কাজেরই মূল্য আছে। এটাই সব সময় নিজের আদর্শ হিসেবে নিতে হবে। বড় সে হতে পারে যে নিজেকে ছোট করে দেখতে পারে। আর ওপর দিকে তাকিয়ে চলতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। সেজন্য মাটির দিকে তাকিয়ে চলতে হয়। আদর্শবান নেতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে তোমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’

ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই ঐতিহ্যের কথা মনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন।




জানুয়ারিতে আসছে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : নতুন বছরের প্রথম মাসেই একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ডিসেম্বরে শীত খুব একটা না বাড়লেও জানুয়ারিতে সারাদেশেই শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীত বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাউসার পারভীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, যেহেতু কুয়াশা আছে তাই আমাদের শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আর একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে জানুয়ারি মাসে। আগামী দুই দিন রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে। এরপর আবার তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছী, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, বরিশাল ও খেপুপাড়া অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ কিছু কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

নদ-নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী তিনদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

এদিকে, মঙ্গলবার সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের কুয়াশা আচ্ছন্ন ছিল। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও বিকালের পর থেকে শীত অনুভূত হয়।




পুঁজিবাজারে রেকর্ড উত্থান

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : পুঁজিবাজারে উত্থান চলছেই। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সুচক। এদিনডিএসইএক্স ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৪০২ পয়েন্টে। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে মুলধন বেড়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যেডিএস-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্টে বেড়ে ১ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে এবং‘ডিএসইএস’ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বুধবার ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

এদিন, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৫ টি কোম্পানির মধ্যেদাম বেড়েছে ১২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ১৬৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টির শেয়ারের দাম।তবেবেশ কিছু বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলে সূচকে ও লেনদেনে বাড়বাড়ন্ত দেখা গেছে। এতে বুধবার ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমান দাড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩০ কোটি ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর আগের দিন ছিল ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।

বুধবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৫৫৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির দর। লেনদেন হয়েছে৭১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।