উড়াল দেবে বাইশে

ষ্টাফ রিপোর্টার: উড়ালের পথে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। এটি চলবেও উড়ালপথে। সব ঠিক থাকলে বাইশে অর্থাৎ ২০২২ সালে উড়াল দিতে শুরু করবে মেট্রোরেল। জানা গেছে, ২০২১ সালের শুরুতেই শুরু হবে এর ট্রায়াল রান। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুট পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে মেট্রোরেল।
বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজ চলছে পুরোদমে। দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে তিনটি স্টেশন প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন চলছে স্টেশন তিনটির বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অন্যান্য কারিগরি কাজ।
মেট্রোরেলের পথের দৈর্ঘ্য মতিঝিল পর্যন্ত ছিল ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। কিন্তু এখন তা মতিঝিল পেরিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বেড়ে যাচ্ছে। ফলে স্টেশনও একটি বেড়ে ১৭টি হচ্ছে। মতিঝিল-কমলাপুর বাড়তি রুটের অ্যালাইনমেন্ট করার আগে চলছে সোশ্যাল সার্ভে। এটি শেষ হবে এ মাসেই। মেট্রোরেল চালুর জন্য এখনো ভাড়া নির্ধারণ করা যায়নি।
ভাড়া দিয়ে লাভজনক করা যাবে না- এমন বিবেচনায় ট্রানজিট
ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট হাব ও স্টেশন প্লাজা
গড়ে তোলা হবে। জাপানের কারখানায় প্রথম চালানের পাঁচটি কোচ নির্মাণের কাজ চলছে, যা এ মাসেই শেষ করার কথা। নতুন বছরের শুরুতে এই পাঁচ সেট ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল রান শুরু করা হবে। প্রতিটি ট্রেনের ছয়টি কোচের মধ্যে একটি কোচ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে ট্রেনের অন্যান্য কোচে নারী-পুরুষ একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে মোট নয়টি স্টেশনের সাব-স্ট্রাকচার সম্পন্ন হয়ে গেছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা মধ্য ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের হলঘরের ছাদ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের হলঘরের নির্মাণকাজ চলছে। উত্তরা মধ্য ও উত্তরা দক্ষিণের প্ল্যাটফরমের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে আর উত্তরা-উত্তরের প্ল্যাটফরম নির্মাণের কাজ শেষ দিকে। বর্তমানে কর্মব্যস্ততা মেট্রোলাইনের ডিপো এলাকায়। ডিপোর ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল আকারের দুটি ছাউনি। একটি ছাউনির নিচে রয়েছে মেরামত কারখানা। অন্য ছাউনির নিচে থাকবে ট্রেন। দুটি ছাউনির ভেতর প্রয়োজনীয় যন্ত্র-অবকাঠামো বসানোর কাজ চলছে।
পল্লবী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে আগারগাঁওয়ের উড়ালপথ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। প্রতিদিন ভোর ৫টায় ডিপো এলাকা থেকে চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল। মধ্যরাতের বিরতিতে হবে ধোয়ামোছা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ওয়ার্কশপ, স্ট্যাবলিং শিল্ড। বসে গেছে ডিপো এলাকার ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেললাইন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১১ দশমিক শূন্য ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। মেট্রোরেলের ৮ দশমিক ১২ কিলোমিটার পড়েছে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। এই পথে খুঁটি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু উড়ালপথ তৈরি হয়নি। এই অংশে সাতটি স্টেশনের কাজও শুরু হয়নি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রথম অংশের কাজের অগ্রগতি ৭৭ শতাংশের বেশি। সফটওয়্যার, সিস্টেমসহ ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল অংশ নিয়ে প্যাকেজের কাজও শেষ হয়ে গেছে অর্ধেক।
প্রকল্পটির তথ্যমতে, এমআরটি-৬ মেট্রোরেল প্রকল্পের ১নং প্যাকেজের (সিপি-০১) আওতায় রয়েছে উত্তরায় ডিপোর ভূমি উন্নয়ন। ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এ প্যাকেজের চুক্তি সই হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এ প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন হয়। আর ২নং প্যাকেজের (সিপি-০২) আওতায় ডিপোর পূর্তকাজ চলছে। প্রকল্পটির ৩ ও ৪নং (সিপি-০৩ ও ০৪) প্যাকেজের আওতায় উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ও নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। মেট্রোরেলের ৫নং প্যাকেজের (সিপি-০৫) আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজার এলাকায় তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। মেট্রোরেলের ৬নং প্যাকেজের (সিপি-০৬) আওতায় কারওয়ানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিলে চারটি মেট্রো স্টেশনও নির্মাণ করা হবে। এখন মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশ বর্ধিত করা হচ্ছে। এ জন্য নতুন করে কাজ শুরু করতে হবে। চালাতে হবে সমীক্ষার কাজও। আর ৭নং প্যাকেজের আওতায় মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো ওঠানামার জন্য চলন্ত সিঁড়ি ও লিফট, প্রায় ২০ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক, স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থাপনা, ১৩২ কেভি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন ও ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, টেলিকমিউনেশন সিস্টেম, প্ল্যাটফরম স্ক্রিন ডোর ইত্যাদি স্থাপন করা হবে। সর্বশেষ ৮নং প্যাকেজের (সিপি-০৮) আওতায় মেট্রোরেলের জন্য রোলিং স্টক (ইঞ্জিন-কোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪ সেট ট্রেন এবং ডিপো ইকুইপমেন্ট ছাড়াও ট্রেন সিমুলেটর, খুচরা যন্ত্রাংশ ও সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ প্রকল্পের সংশোধিত অ্যালাইনমেন্ট হচ্ছে- উত্তরা তৃতীয় পর্ব-পল্লবী-রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড-বাংলাদেশ ব্যাংক-জসিম উদ্দিন রোডের প্রথম অংশ হয়ে দক্ষিণ দিক দিয়ে সার্কুলার রোডসংলগ্ন কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা। নতুন স্টেশন কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করতে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন। চলমান সোশ্যাল সার্ভে শেষ হওয়ার পর একই সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণ ও ডিজাইনের কাজ শুরু হবে। এ মেট্রোরেল নির্মাণে চার দেশের পাঁচটি কোম্পানির কনসোর্টিয়াম এনকেডিএম অ্যাসোসিয়েশন পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। নতুন প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত হওয়া, কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল বর্ধিত করা ইত্যাদি কারণে পরামর্শকের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাটি থেকে প্রায় ১৩ মিটার ওপরে উড়াল সড়ক। মূল সড়ক থেকে প্রায় ১৩ মিটার উঁচু এ পথে বসছে রেললাইন। দোতলায় ১৮০ মিটার লম্বা, ৩৩ মিটার চওড়া কনকর্স হলরুম। যাত্রীরা সিঁড়ি, এস্কেলেটর ও লিফটে চড়ে কনকোর্স হল থেকে টিকিট কাটবেন। এর একতলা ওপরে ট্রেনে চড়ার প্ল্যাটফরম।
মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। তবে বাস্তবায়ন বিলম্বে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এমআরটি-৬ উদ্বোধনের জন্য ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তার আগে ফার্মগেট পর্যন্ত চালুর কথা ছিল। পরে একসঙ্গে উত্তরা থেকে মতিঝিল পুরোপুরি চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করা হবে। এ জন্য ১৬টি স্টেশনের পরিবর্তে ১৭টি স্টেশন করা হবে। ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেল চলবে এমন আশা প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের।




সন্তান তাই শিখছে যা আপনি করছেন

ষ্টাফ রিপোর্টার: আদরের সন্তানকে মানুষ করতে কতই না কষ্ট করছেন আপনি। দিন-রাত খাটছেন শুধু সন্তানটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায়; সুশিক্ষিত তথা মানুষের মত মানুষ করার আশায়। কিন্তু সে কি তাই শিখছে যেমনটা আপনি চাইছেন? এটা কিন্তু নিশ্চিত যে সে যা শিখছে তার অধিকাংশই আপনাকে অনুসরণ করে শিখছে সে। বিষয়টা হয়তো আপনি খেয়ালও করেননি। এমন অনেক কর্মকান্ড হয়তো সম্পন্ন করেছেন তার সামনে যা তার জন্য কুশিক্ষার কারণ। এভাবেই সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় দীক্ষিত করার স্বপ্নটি আপনি মেরে ফেলছেন নিজ হাতেই!

আজকাল বিবিধ অপরাধ, দুর্নীতি, মাদক সমস্যা, পারিবারিক কলহ, ধর্মান্ধতা, অপসংস্কৃতির প্রভাবসহ কতিপয় সমস্যা যেন সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর মাঝে বসবাস করে আপনার সন্তান আসলে কি শিখছে? এমন নয়তো যে এ ধরনের সমস্যাগুলো স্বয়ং আপনার মধ্যেই প্রকট ভাবে রয়েছে; যা পরবর্তিতে আপনার সন্তানের ওপর সঞ্চালিত হচ্ছে।

সবার প্রথম সন্তানকে শেখানো উচিৎ নৈতিক দায়িত্ব, পরম সহিষ্ণুতা, অসাম্প্রদায়িকতা-অহিংসা এবং শালীনতা। একদিনেই এত সব শিক্ষা তার হয়ে যাবে না তাই সময় নিন। প্রয়োজনে প্র্যাকটিক্যালি শেখান। ভুলেও তার সামনে পারিবারিক সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরবেন না। আর কিছু না হলেও এতে করে আপনার সন্তানটি কিন্তু সামাজিক হয়ে বেড়ে উঠবে।

পাশাপাশি তাকে শেখান মিতব্যায়িতা যাতে করে তার ভেতর আর্থিক লালসা তৈরী না হতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে সে আর যাই করুক দুর্নীতি বা অবৈধ লেনদেনে সম্পৃক্ত হবে না। আর যদি আপনি নিজেই হোন দুর্নীতিগ্রস্ত তবে আজই নিজেকে বদলে ফেলুন। কে জানে যে আপনার সন্তান বিষয়টি ইতোমধ্যেই জেনে গেছে এবং শুধু তাই না বিষয়টি তার জন্য রীতিমত আদর্শিক হয়ে দাঁড়িয়েছে!

তার মনে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বপনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে তার ছেলেবেলা। তাই তখন থেকেই বিষয়টি তাকে বোঝাতে শুরু করেন। সর্বপরি আপনার সন্তানকে সৃজনশীল করে গড়ে তোলা আপনারই দায়িত্ব। নতুবা আপনারই ভুলের কারণে ভাইষ্যতে আপনার সন্তান হয়ে উঠবে ধ্বংসাত্বক।

মাদকাসক্ত যখন আপনি নিজেই তখন আপনার সন্তান কিন্তু ওই একই পথে হাটবে। হয়তো আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে আরও বহুদূর। মাদক গ্রহনের ব্যাপারটি যেন তার কাছে প্যাশন না হয়ে যায়, তাই এখনই সাবধান হোন।

নারীর প্রতি আপনার মনোভাব কেমন সেটা কিন্তু আপনার সন্তান খেয়াল করে। আপনি যদি নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হোন আপনার সন্তানও নিঃসন্দেহে তেমন চরিত্রের অধিকারী হবে। অথচ আপনারই যদি একজন নারী সন্তান থেকে থাকে তাবে তার সাথে এমনটা হোক -তা আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না। তাই নিজের চরিত্র ধরে রাখুন, অন্তত আপনার সন্তানের সুশিক্ষার স্বার্থে। সার্বিকভাবে শালীনতা আর সুসংস্কারে যেন বেড়ে ওঠে আপনার আদেরর সন্তানটি।




দেশে আরও ৩৬ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৩৪

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ হাজার ১৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে এ সময়ে নতুন ১ হাজার ১৩৪ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

দেশে গত মার্চের শুরুর দিকে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ১৯২ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৬ জনে।

গত এক দিনে আরও ২ হাজার ২৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন; তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫৯০ হয়েছে।

দেশের সবশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।




এবার বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে, ‘১৭ মার্চ’ উদ্বোধন

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : করোনা মহামারির কারণে দুইমাস পিছিয়ে মার্চ মাসে শুরু হতে যাচ্ছে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি পেলে মার্চের ১৭ তারিখ রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন ভ্যেনুতে মেলার আয়োজন হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বোর্ডসভায় বাণিজ্যমেলা নিয়ে আলোচনা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। অনুমতি মিললে ডিসেম্বরেই কেবল রপ্তানি করে এমন প্রতিষ্ঠানের কাছে দরপত্র চাওয়া হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও প্রতিষ্ঠানকে মেলায় অংশ নিতে এ মাসেই দূতাবাসগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনার কারনে আমরা মেলা পিছিয়েছি। মুজিব বর্ষেই আমরা এ মেলা করতে চাচ্ছি। তবে মেলার নামে কোনো পরিবর্তন হবে না। অন্য সময় মেলা সামনে রেখে ছয় মাস আগেই প্রস্তুতি নেয়া হয়। করোনার কারণে আমারা এখন আড়াই মাসের মতো সময় পাবো। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিললে দরপত্র ও দূতাবাসকে চিঠি দেব। করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে মেলা আয়োজন করবেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এবারের মেলা পূর্বাচলের স্থায়ী ভ্যেনুতে হচ্ছে। তাই অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সময় কম যাবে। এ ছাড়া স্টলও কম থাকছে। তাই চাপও কম। কেবল রপ্তানিযোগ্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়ায় আগের মতো তেমন ভীড় থাকবে না। তাই করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা অনেক সহজ হবে।’

১৯৯৫ সাল থেকে জানুয়ারিতে এই মেলার আয়োজন করে ইপিবি। গত ২৫টি মেলা অস্থায়ীভাবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। ২০০৭ সালে সেখানেই একটি স্থায়ী মেলা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পূর্বাচলে এ মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এতদিন আগারগাঁওয়েই মেলার আয়োজন হয়ে আসছিল।

তবে আয়োজনের পর থেকে কখনো এ মেলা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি বলে অভিযোগ রপ্তানিকারকদের।




১৫ জানুয়ারির পর দেশে করোনার টিকা মিলবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : আগামী ১৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার পর তিনি এ তথ্য জানান। এই চুক্তির অধীনে জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

দেশে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ১৫ জানুয়ারি পর আমরা এই ভ্যাকসিন পাব। এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। আমাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের বিষয়টিও আছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই আমরা এটি পাব।’

জানা গেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভ্যাকসিনটি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে।




সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন মঙ্গলবার থেকে

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd ঠিকানায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে জানিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ফিডার শাখাসহ তিনটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি নির্বাচন করতে পারবে। এ ছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। তখন প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে পছন্দক্রম অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। আবেদন নেওয়ার পর অনলাইনের মাধ্যমে লটারি করে একজন শিক্ষার্থীকে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করে দেওয়া হবে। ভর্তির আবেদন করতে ১১০ টাকা ফি শুধু টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করে পরিশোধ করা যাবে।

গত ২৫ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সব বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।




সাংবাদিক আবশ্যক

“বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ” একটি মাসিক ম্যাগাজিন পত্রিকার জন্য প্রতিটি জেলা,
থানা/উপজেলায় সাংবাদিক ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে।
আগ্রহীরা শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ সনদ, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
জীবন বৃত্তান্ত ও জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি সহ সরাসরি যোগাযোগ করুন।




শীতার্তদের পাশে দাড়ানো আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব…….. মনজুর আহমদ মঞ্জু

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সঠাকি বাজারের আহমাদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকের মাঝে শীতবস্ত্র(কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ১০ নভেম্বর) নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ।

এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইলিয়াছুর রহমান, শাহাজালাল মাস্টার, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো: মাহাদি হাসান, মাওলানা মামুনূর রশিদ, ষাটনল ইউপি সদস্য মানিক সরকার, ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী, মাদ্রাসার
কমিটির সদস্য আলা উদ্দিন প্রধান, কাজল, বিল্লাল প্রধান,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মাদ্রাসা পরিচালক কমিটির সদস্য গন ও মাদ্রাসার শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি মনজুর আহমদ বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো একটি মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। শীতার্তদের পাশে দাড়ানো আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। দেশ ও দশের ভালোর জন্য কাজ করে যেতে হবে এবং অসহায়দের পাশে দাড়াঁতে হবে। চলেছে। সমাজের পিছেয়ে পড়া মানুষদের সহযোগীতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের পরিচর্যা করলে ভবিষ্যতে তারাই আমাদের পথ দেখাবে। মাদ্রাসার উন্নয়নে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগীতা থাকবে।




ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট উচ্ছেদ অভিযানে দোকানিদের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদে কর্তৃপক্ষের অভিযান দোকানিদের বাধার কারণে গতকাল যথাসময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে অভিযান দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য যুক্ত করা হয়। এর পর অভিযান শুরু হলে পুলিশ ও ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান দোকানিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের পাশাপাশি লাঠিপেটাও করে। অভিযানে বাধা প্রদানকারীরা বলছেন, তারা দোকান কেনার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। এর পর সেগুলোর বৈধতা পেতেও দফায় দফায় টাকা ঢেলে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খোয়ানোর পর এখন শেষ সম্বল যে দোকান, তাও খোয়ালে কীভাবে বাঁচবেন? ভুক্তভোগী এসব দোকানি বলছেন, তারা সব হারালেও পর্দার আড়ালে থাকা নাটের গুরুরা অধরাই থেকে যাচ্ছেন। তাদের কেন ধরা হচ্ছে না, যাদের জন্য আজ দোকান কিনেও এত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে? উচ্ছেদ অভিযানের মুখে সব হারাতে হচ্ছে?

গতকাল বেলা পৌনে ২টা থেকে শুরু হওয়া ডিএসসিসির এ উচ্ছেদ অভিযান আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানা গেছে। গতকাল সকাল ১১টা থেকে এটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীসহ ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট ২-এর এ, বি ও সি ব্লকে (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করার পর সেগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিন দিন আগে নোটিশ দেওয়া হয় এবং মাইকিং করা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে ওই মার্কেটে যান সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান, ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা। তবে ব্যবসায়ীরা মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে অভিযান শুরু করতে বিলম্ব হয়। মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে দোকানিরা সেøাগান দিতে থাকেনÑ অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, মালিক সমিতির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ‘রক্ত লাগলে রক্ত দেব, দোকান ছাড়ব না’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত দেব, রাজপথ ছাড়ব না’।

এমন অবস্থায় বেলা পৌনে ১টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে মার্কেটের নগর প্লাজার সামনের ফুটপাতে গড়ে ওঠা একটি দোকান ভাঙা শুরু করে করপোরেশন। এতে ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পড়েন দোকানিরা। তারা চারপাশ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। শুরুতে পুলিশ কিছুটা পিছু হটে। কিছুক্ষণ পর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় পুরো এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো দিনই বিরাজ করছিল। এদিন ফুলবাড়িয়া সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় আড়াইশ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। করপোরেশনের হিসাবে অবৈধ দোকানের সংখ্যা ৯১১টি বলা হলেও কর্মকর্তারা বলছেন, এ সংখ্যা অন্তত ১৫০০। অবৈধ সব দোকান উচ্ছেদ করতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে।

এদিকে দোকানিদের দাবি, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সময় নকশাবহির্ভূত এসব দোকান বৈধ করতে তারা লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন। দোকানগুলো থেকে ডিএসসিসি এত দিন ভাড়াও নিয়েছে। এখন কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকান উচ্ছেদ করছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে মার্কেটটির নিয়ন্ত্রণ ছিল মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলুর হাতে। তিনিই দোকানিদের কাছে এসব দোকান বিক্রি করেছেন। পরবর্তী সময়ে দোকান স্থায়ী বরাদ্দ প্রদানের কথা বলেও দফায় দফায় টাকা নিয়েছেন। মার্কেট মালিক সমিতির কয়েক সদস্য এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাপ্পীর মাধ্যমে গত বছরও দোকানভেদে ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকা তোলা হয়েছে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।

গতকাল উচ্ছেদ শুরু হওয়ার পর মার্কেটটির আশপাশে অবৈধ দোকানগুলোর মালিকদের কান্না করতে দেখা যায়। তারা অনেকেই বলছেন, দোকানগুলো সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত জেনেই তারা ক্রয় করেছেন। কিন্তু এখন দোকানগুলো ভেঙে ফেলা হয়। এতে তারা সর্বস্ব খুইয়েছেন। ধারদেনা করে শীতের কাপড় তুললেও এখন রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে।

মনিরুল ইসলাম, মো. আতাউল্লাহ, শরফরাজ হোসেনসহ অনেকের সঙ্গেই কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের অভিযোগÑ ভুল তথ্যের মাধ্যমে আমাদের কাছে দোকান বিক্রি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বৈধতার কথা বলেও লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা এসবের ক্রীড়নক, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেল। আমরা সব হারিয়ে রাস্তায় নেমে গেলাম!

মো. আতাউল্লাহ বলেন, দোকান ক্রয় করতে পনের লাখ টাকা দিয়েছি। এর পর বৈধতার কথা বলে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে গত বছর। বিদেশে থাকাকালীন জমানো টাকায় এ দোকানটি কিনেছিলাম। কিন্তু এখন সব হারিয়ে পথে বসতে হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মার্কেট ফেডারেশনের সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমরা ডিএসসিসির মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন।

ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগ জানায়, মার্কেটটির নকশা অনুয়ায়ী এ ব্লকে ১৭৬টি দোকান, বি ব্লকে ১৭৬, সি ব্লকে ১৭৯টিসহ ৫৩১টি দোকান থাকার কথা। কিন্তু নকশাবহির্ভূতভাবে এ ব্লকে ৩০৮টি, বি ব্লকে ২৯২ এবং সি ব্লকে ৩১১টি দোকান করা হয়েছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির নতুন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিপণিবিতানের নকশাবহির্ভূত দোকান এবং এর সার্বিক পরিস্থিতি জানতে একটি কমিটি গঠন করে দেন। করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি বিপণিবিতানে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করে এবং সেগুলো উচ্ছেদের সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশে মেয়রও সম্মতি দেন।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, মার্কেটটিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব দোকান ভাঙা হবে।

প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকান ভাঙার বিষয়ে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ দোকান ভাঙব।




বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বেলছেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবং সেই ব্যবস্থা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যার যেখানে যখন প্রয়োজন হবে। ভ্যাকসিন যখন অ্যাভেইলেবল হবে, তখন আমরা এটা দিতে থাকব’। বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেই ব্যবস্থা রেখেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করে তিনি বলেন, টিকা যাতে সবাইকে দেওয়া যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ভ্যাকসিন এলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পাবে। প্রথমে ৩ শতাংশ দেবে, পরে তাদের কাছেও (ডব্লিউএইচও) ভ্যাকসিন আসবে তখন বাকি ১৭ শতাংশ বিভিন্ন দেশকে দিতে থাকবে। আমরাও সেখান থেকে পেতে থাকব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি কাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা আগের চেয়ে ‘উন্নত হয়েছে’ বলেই কোভিড সংক্রমণ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে। আমাদের কোনো কাজ থেমে নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ‘এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে’ মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এটা ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, এটা যেন আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না। সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে, নিয়ম মানতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদসহ চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।