মেট্রোরেলে ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় করলো জাপানি কোম্পানি

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সড়কজুড়ে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। অধিকাংশ পিলারের উপরে বসছে স্প্যান। প্রকল্পটি ৮টি প্যাকেজে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্যাকেজ-১ এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে। চলতি বছরেই এ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্যাকেজ-১ এ ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। মেট্রোরেলের ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়নের কাজটি শতভাগ শেষ করে এ টাকা সাশ্রয় করেছে জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এ কাজে মোট ব্যয় ছিল ৫৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ টাকার মধ্য থেকে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় করেছে জাপানি কোম্পানি।

সব চ্যালেঞ্জ জয় করে প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে সাড়ে ৮ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল প্রকল্প। এক প্যাকেজ শতভাগ শেষ করে টাকা সাশ্রয়ের নতুন নজির তৈরি করেছে জাপানি কোম্পানি। এতে সংশ্লিষ্টরাও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

এর আগেও টাকা ফেরত দেওয়ার নজির ‍সৃস্টি করেছে জাপানি কোম্পানি। ২য় মেঘনা ও ২য় গোমতী সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্প ব্যতিক্রমী একটি নজির তৈরি করেছে।

জাপানি কোম্পানির বাস্তবায়িত প্রকল্পটি যেমন নির্ধারিত সময়ের ৬ মাসের বেশি সময় আগে শেষ হয়েছে, তেমনি প্রকল্প দুটির বরাদ্দ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। জাপানি কোম্পানি সাশ্রয় হওয়া টাকা সরকারকে ফেরতও দিয়েছে।

একইভাবে জাপানি কোম্পানি মেট্রোরেলে সাশ্রয় হওয়া টাকা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দিয়ে দেবেন। যা দিয়ে নির্মিত হবে মেট্রোরেলের বাড়তি রুট। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়ছে। এ কাজে ১ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হতে পারে। জাপানি কোম্পানির সাশ্রয় হওয়া টাকা মেট্রোরেলের বাড়তি রুটে ব্যয় করা হবে। একটি মাত্র প্যাকেজের আওতায় ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। মেট্রোরেল মোট ৮টি প্যাকেজে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্যান্য প্যাকেজেও টাকা সাশ্রয় হতে পারে। এই সাশ্রয় হওয়া টাকা দিয়ে বাড়তি রুট নির্মিত হয়ে যাবে। তাই মতিঝিল থেকে কমলাপুর রুট নির্মাণের জন্য নতুন করে প্রকল্পের আওতায় ব্যয় বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

 

মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) খান মো. মিজানুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্যাকেজ-১ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এ কাজে জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় করেছে। এটা অত্যন্ত খুশির খবর। আমরা আশা করছি অন্যান্য প্যাকেজেও টাকা সাশ্রয় হবে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পযর্ন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য বাড়ছে। এখানে বাড়তি খরচ হবে। আশাকরছি অন্যান্য প্যাকেজ থেকে সাশ্রয় হওয়া টাকা দিয়েই বাড়তি রুটের কাজ করতে পারবো। তাই মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য বাড়লেও নতুন করে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে না। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেলের কাজ চলমান। এর সঙ্গে আরও ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়তি রুট যুক্ত হবে। ফলে মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াচ্ছে ২১ দশমিক ২১ কিলোমিটার।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। সার্বিক অগ্রগতি ৪০ দশমিক ০২ শতাংশ প্রথম পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য উত্তরা তৃতীয় ফেইজ থেকে আগারগাঁও পযর্ন্ত অগ্রগতি ৬৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেল কোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।

সাড়ে ৮ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। মেট্রোরেলের মক আপ (Mock Up ) ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর উত্তরা ডিপোতে এসে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বর্ধিত করার জন্য সোশ্যাল সার্ভে চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সার্ভে কাজ শেষ হবে। তবে বাড়তি রুট সাশ্রয় হওয়া টাকা দিয়েই নির্মিত হবে।

ঢাকার যানজট নিরসন ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রুততর ও নির্বিঘ্ন করতে ২০১২ সালে গৃহীত হয় মেট্রোরেল প্রকল্প। এই এলাকায় বসবাসকারী লাখো নগরবাসী মেট্রোরেল ব্যবহার করে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রকল্পে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রত্যেকটি ট্রেনে থাকবে ৬টি করে কার। যাত্রী নিয়ে ঘণ্টায় ১শ কিলোমিটার বেগে ছুটবে এ ট্রেন। উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।




১৭৫ কিলোমিটার গতিতে বল করলেন শ্রীলঙ্কার ‘নতুন’ মালিঙ্গা!

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : লাসিথ মালিঙ্গা নিজের নাম রীতিমতো খোদাই করে রেখেছেন ক্রিকেট বিশ্বে। তাঁর মতো একশন, তাঁর মতো নিখুঁত ইয়র্কার এখনো কেউ দিতে পারে না। তবে শোর উঠেছে, শ্রীলঞকা পেয়ে গেছে নতুন মালিঙ্গা, নাম তার পাথিরানা। শুধু মালিঙ্গার মতো একশনই নয়, পাথিরানা আলোচনায় এসেছেন তার গতি দিয়ে। যুব বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাথিরানার একটি বলের গতি উঠেছে ১০৮ মাইল যা ১৭৫ কিলোমিটারের সমান।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) যুব বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে অবশ্য বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি পাথিরানা। ৮ ওভার বল করে ৪৯ রান দিয়েছেন, পাননি উইকেটের দেখা। তার দল শ্রীলঙ্কাও ভারতের কাছে হেরেছে ৯০ রানের বড় ব্যবধানে। তবে দিনভর আলোচনা ছিল পাথিরানার ডেলিভারি নিয়েই। স্পিড গানে দেখানো গতি যদি সত্যি হয়, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কোনো লেভেলে এটি সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারি ছিল।

কেননা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারিটি ১৬১.৩ কিলোমিটারের। ২০০৩ সালে কেপটাউনের নিউল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা এই রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছেন এখনও। অস্ট্রেলিয়ান শন টেইট আর ব্রেট লি ১৬০ কিলোমিটার ছুঁলেও শোয়েবকে পেছনে ফেলতে পারেননি।




চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদপুর জেলা শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের ক্যালেন্ডার উন্মোচন

শামসুজ্জামান ডলারঃ  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যায়নরত চাঁদপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন’ (czsa) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নতুন বছর ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

সোমবার (২০জানুয়ারী) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম শহরের জিইসিতে অবস্থিত জামান’স মেজবানী এন্ড কাবাব রেস্টুরেন্টে এই মোড়ক উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

 

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের শিক্ষক উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লায়ন আলহাজ্ব মোঃ আবিদ আলী ভূঞা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা কল্

যাণ পরিষদ চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক  আ.ন.ম শামিম হাসান, লায়ন’স জেনারেল হাসপাতাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন নঈমুল ইসলাম ফরিদ, পৃষ্ঠপোষক আবদুস সোবহান, মনিরুল ইসলাম, ইলিয়াছ মিঞা,ছাত্র উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনঃ সংগঠনটির ৭ম সভাপতি মুনীর উদ্দিন মাহমুদ, ৮ম সভাপতি মোঃ কাউসার হোসেন, ৮ম সহ-সভাপতি, মোঃ মাজহারুল ইসলাম বিল্লাল ও প্রসাদ চন্দ্র রায় প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাদিম মাহমুদ হিমু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হাবিব হাসান এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক  ফারুক হাসান।

সংগঠনের বর্তমান ৯ম কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হাবিব হাসান জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় আজকেও ২০২০ সালের নতুন বছরের ক্যালেন্ডার উন্মোচিত করতে পেরে আমি মহান সৃষ্টিকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আরো জানান, প্রথমবারের মতো এ বছরের ক্যালেন্ডার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেয়াল ক্যালেন্ডার এর পাশাপাশি টেবিল ক্যালেন্ডার এর মোড়ক ও উন্মোচিত হয়। এছাড়াও তিনি আরো জানান, চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস’ এ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্রুপ ভিত্তিক রক্তের একটি তালিকা এ্যাসোসিয়েশন এর পৃষ্ঠপোষকদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

বর্তমান ৯ম কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে এ্যাসোসিয়েশনকে একটি পোর্টেবল, রিচার্জেবল স্পিকার এবং ব্লুটুথ মাইক্রোফোন উপহার দেওয়ার কথাও তিনি জানান।




বিমানঘাঁটিতে ইসরাইলি হামলা রুখে দিল সিরিয়ার বাহিনী

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, হোমস প্রদেশের টি-ফোর বিমানঘাঁটিতে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে তবে সেগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।

একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরাইলের পক্ষ থেকে টি-ফোর বিমানঘাঁটিতে চালানো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লড়াই করে এবং এবং বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

সিরিয়ার সামরিক সূত্র জানিয়েছে, গতকাল আল-তানফ এলাকা দিয়ে ঢুকে ইসরাইলি বিমান টি-ফোর বিমানঘাঁটিতে আগ্রাসন চালায়। সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা সফলতার সাথে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। তবে এই আগ্রাসনে কিছু সামরিক সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত কয়েক বছরে ইহুদিবাদী ইসরাইল সিরিয়ার ওপরে শত শত বার আগ্রাসন চালিয়েছে। সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে এবং তারা পতনের মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পতন ঠেকাতে ইসরাইল দৃশ্যত সিরিয়ার ওপর হামলা চালাচ্ছে। পার্সটুডে




গুনগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে ….এলজিআরডি মন্ত্রী ….এলজিআরডি মন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক :  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুনগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। যখন কোনো একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তখন তা নির্ধারিত সময়ে  বাস্তবায়ন ও কোয়ালিটি ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রকল্প নেয়ার সময় এর প্রয়োজনীয়তা বা অর্থনীতিতে কি অবদান রাখবে – এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।

আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় জানানো হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বর্তমানে মোট প্রকল্প সংখ্যা ১২১ টি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ প্রায় ১৩ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। জুলাই ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রায়  ৩৯%; যেখানে জাতীয় অগ্রগতি ২৬.৩৭%। মন্ত্রী এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং যে ২৩টি প্রকল্পের অগ্রগতি জাতীয় অগ্রগতির নিচে সেগুলোর কারণ চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একমাত্র প্রকল্প ‘ইনস্টিটিউশনালাইজেশন অব দি হরাইজন্টাল লার্নিং প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ কে আরো কার্যকর করার ব্যাপারেও গুরুত্বরোপ করেন।




লাদেনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সোলাইমানিকে হত্যা: মার্কিন জেনারেল

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)- এর সাবেক পরিচালক ও সাবেক মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস বলেছেন, আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন ও আইএসআই নেতা আবু বাকার বাগদাদীকে হত্যার চেয়েও ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মুখে বলা অসম্ভব।

পেট্রাউস বলেন, সোলাইমানি ছিলেন ওই অঞ্চলে ইরানি আধিপত্য প্রতিষ্ঠার স্থপতি ও অপারেশনাল কমান্ডার। সোলাইমানির কুদস ব্রিগেডের সরবরাহ করা অস্ত্রে সিরিয়া, ইরাকসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ৬ শতাধিক মার্কিন সেনা ও আরও অনেক মিত্র সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট




রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার আন্তরিক নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যাক। কিন্তু এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকার আন্তরিক নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা এ বিষয়ে আন্তরিক নয়। আমরা তাদের এক লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা মাত্র আট হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়, যার জন্য দুই দফা তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটিও করেনি।’

বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু তাদের জোর করে দেশে ফেরত পাঠাতে চায় না। তারা যেন নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এ কে মোমেন বলেন, আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলেছি, তোমাদের জনগণ তোমাদের বিশ্বাস করছে না। তোমরা রোহিঙ্গা নেতাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখাও। তাহলে তাদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারকে চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু এর কোন জবাব আসেনি।’

কক্সবাজারের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের জনসংখ্যা পাঁচ লাখ। আর সেখানে এই মুহূর্তে ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যার কারণে কক্সবাজারের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সেখানকার তরুণরা চাকরি পাচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যাও বেড়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও তা যথেষ্ট নয়। রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ সরকারের ৫ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ অর্থ আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করতে পারতাম।

‘ফ্ল্যাশ অন রোহিঙ্গা জেনোসাইড’ শিরোনামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি, দৈনিক ভোরের কাগজ ও প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।

প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রী মাহমুদ হোসেন অপু, কে এম আসাদ, সুমন পাল ও সালাউদ্দিন আহমেদের তোলা শতাধিক আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনী আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।




টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলের জন্য নিরাপদ পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে ….এলজিআরডি মন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলের জন্য নিরাপদ পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, আগে পানির প্রাপ্যতাকে গুরুত্ব দেয়া হতো। এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি নিরাপদ পানি প্রাপ্যতাকে।

আজ রাজধানীর মালিবাগে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্মেলন কক্ষে ‘ওয়াস গভর্নেন্স এন্ড সাসটেইননেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক উইন,  এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ্ ও দৈনিক ভোরের কাগজ যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন।

মন্ত্রী বলেন, অর্থ বরাদ্দের চেয়ে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপচয়। অপচয় রোধ এবং এক্ষেত্রে জনগণকে আরো বেশি সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড. আনোয়ার জাহিদ, ভিইআরসির নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব হোসেন, এসআইএমএভিআই-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজমুদার, ইউএসটির নির্বাহী পরিচালক শাহ মো. আনোয়ার কামাল, ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুর-এর পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, ব্র্যাকের মো. রফিকুল ইসলাম, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পরিচালক (পলিসি এডভোকেসি) ড. আব্দুল্লাহ আল মুয়িদ, টিআইবির এম. জাকির হোসেন খান, ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের কনসালট্যান্ট সিফাত-ই-রাব্বি প্রমুখ।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ‘অভীষ্ট-৬’ যার উদ্দেশ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে। তবে টেকসই উন্নয়ন ‘অভীষ্ট ছয়’ অর্জনে ক্রমবর্ধনশীল বৈষম্য, প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস, পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।




খুসকির সমস্যা দূর করতে ৫ উপায়

একুট একুট করে শীত আসছে। আর শীত এলে খুসকির সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই খুসকির সমস্যা লেগে থাকে। অতিরিক্ত দূষণ, ধুলো-ময়লার কারণে চুলের ক্ষতি হয়। তাছাড়া খুসকি হলো চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিরাট এক সমস্যা। অত্যধিক মাত্রায় চুল ঝরে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া বা বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন-এর জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী এই খুসকি।

খুসকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু বা লোশন ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এগুলোতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনো কখনো উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আর তাতে অকালে টাক পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। জেনে নেয়া যাক এমন বেশ কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়, যেগুলো সামান্য খরচে খুসকির সমস্যা দ্রুত দূর করতে পারে কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

নারকেল তেল: নারকেল তেল খুসকির প্রকোপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। নারকেল তেল চুলের গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুসকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে অন্তত দুবার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করতে পারলে খুসকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।

টকদই: খুসকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই বেশ কার্যকরী। খুসকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে মিনিট দশেক ধরে ভালোভাবে মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। খুসকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত দুবার এইভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

পেঁয়াজের রস: দুটো মাঝারি মাপের পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ পানিতে (অন্তত ৩০০-৩৫০ মিলিলিটার পানিতে) মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পেঁয়াজের রস ভালো করে মাখিয়ে মিনিট পনেরো মালিশ করুন। এরপর ৫ মিনিট রেখে গমর পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু-তিনবার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুসকির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন।

রিঠা: চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে রিঠা অত্যন্ত কার্যকরী। খুসকির সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকরী। রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধ পানি চুলের ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুবার রিঠার জল মাথায় মাখলে খুসকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।

মেথি: খুসকির সমস্যার সমাধানে কাজে লাগাতে পারেন মেথি। সারারাত দু-তিন চামচ মেথি জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে মেথির থেকে পানি ছেঁকে নিয়ে ভালো করে বেটে নিন। তবে ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভেজানো জল দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি-মালিশ করলে খুসকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।




বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালু করল চীন

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : মোবাইল সেবায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভ জি চালু করেছে চীন।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবা উদ্বোধন করা হয়।

বর্তমানে বেইজিং, শাংহাইসহ ৫০টি শহরে ফাইভ জি সেবা চালু করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় দেড় লাখ ফাইভ জি স্টেশন স্থাপনের কথা জানিয়েছে চীন। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইভ জি নেটওয়ার্ক। খবর সিএনএন ও বিবিসির।

ফাইভ জি’র বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি মোবাইল অপারেটর। ফাইভ জি সেবার মধ্য দিয়ে চীনের অর্থনীতিতে আমুল পরিবর্তন আসবে বলে আশা বিশ্লেষকদের।

ঝকঝকে ছবি স্পষ্ট শব্দের ভিডিও কল, আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন ভিডিওর পাশাপাশি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেম, মুহূর্তেই যে কোন বড় ফাইল ডাউনলোড বা আপলোড; ফাইভ জি’র কল্যাণে সবই এখন হাতের মুঠোয়।

চীনের মোবাইল অপারেটর চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম ও চায়না টেলিকম তাদের ফাইভ জি’র ডাটা প্ল্যান উন্মুক্ত করেছে। বেইজিংয়ে চলমান পিটি এক্সপো চায়না ২০১৯ এ বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রাহকদের কাছে ফাইভ জি’র বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে মোবাইল অপারেটরগুলো।

এর আগে, চলতি বছর ফাইভ জি সেবা উন্মুক্ত করে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। চীনে মূলত আগামী বছর ফাইভ জি’র উদ্বোধন করার কথা থাকলেও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সেবা চালু করল বেইজিং।