বয়স কমায় চাল কুমড়া

পরিচিত একটি সবজি চাল কুমড়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরের চালে এ সবজি ফলানো হয় বলে এটি চাল কুমড়া নামে পরিচিত। তবে চাল কুমড়া শুধু চালে নয়, মাচায় এবং জমিতেও চাষ করলে ফলন ভালো হয়। চাল কুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া, পায়েস ও কুমড়া বড়ি তৈরি করে খাওয়া যায়।

শুধু চাল কুমড়াই নয় এর কচি পাতা ও ডগা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। চাল কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে তাই চাল কুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চাল কুমড়া। চলুন জেনে নেয়া যাক আরও কিছু উপকারিতা-

চাল কুমড়া এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসাবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি মসলাযুক্ত খাবার বা দীর্ঘদিনের জন্য উপবাসের কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড দূর করতে সাহায্য করে।

চাল কুমড়া মানসিক রোগীদের জন্য পথ্য হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি মস্তিষ্কের নার্ভ ঠান্ডা রাখে। এজন্য চাল কুমড়াকে ব্রেইন ফুড বলা হয়।

প্রতিদিন চাল কুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়। চাল কুমড়া রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে, যাদের কাশের সঙ্গে রক্ত বের হয়, এমন ক্ষেত্রে চাল কুমড়ার রস খেলে ভালো হয়ে যায়। এতে রক্ত বের হওয়া থেমে যায়।

চাল কুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারি একটি সবজি। এটি রক্তনালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে। চাল কুমড়া অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।

মুখের ত্বক এবং চুলের যত্নেও চাল কুমড়ার রস অনেক সাহায্য করে। চাল কুমড়ার রস নিয়মিত চুল ও ত্বকে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়, বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চাল কুমড়া সাহায্য করে।
এছাড়া চাল কুমড়ার বিচি গ্যাস্ট্রিক রোগের উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং প্রস্রাব কোনো কারণে অনিয়মিত হয়ে গেলে চাল কুমড়া খেলে অনেক উপকার হয়।




১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন-বিপণনে আপাতত বাধা নেই

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন- বিএসটিআই’র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, সংগ্রহ ও বিপণনে হাইকোর্টের পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে বাজারে এসব দুধ বিক্রিতে আপাতত কোনো বাধা রইল না।

কোম্পানিগুলোর পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালত হাইকোর্টের আদেশ পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানির পক্ষে চেম্বার আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে ৩০ জুলাই মিল্ক ভিটার পর প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন এবং বিক্রির নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

এরও আগে সোমবার (২৯ জুলাই) মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা চেম্বার আদালতে আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।

গত ২৮ জুলাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাজারে থাকা এসব দুধ কেনা-বেচায় সতর্ক থাকতেও বলেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর কোম্পানির পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়।

গত ১৪ জুলাই এক আদেশে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কি-না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।




অফিসে নাইট ডিউটিতে ক্যানসারের শঙ্কা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : তামাক সেবন, আর্সেনিকসহ অসংখ্য রাসায়নিক, অ্যালকোহল এবং দূষণসহ নানা কারণে ক্যান্সার হচ্ছে। ক্যানসারের আরেকটি কারণ হলো, রাত জাগা, রাতে কাজ করা। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন একটি জিনিস যা কোনো বস্তু বা পদার্থ কিংবা রাসায়নিক নয়, আদতে একটি অভ্যাস- তা হলো নাইট ডিউটি।

রাতে লাগাতার কাজ করাকে কার্সিনোজেনিক আখ্যা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিজ্ঞানীরা।

ডব্লিউএইচওর অধীন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) সংস্থার গ্রুপ-২ মনে করছে, টানা রাত জাগলে শরীরের জৈব ঘড়ি বা বায়োলজিক্যাল ক্লকের ভয়াবহ পরিবর্তন হয়। ফলে তৈরি হয় স্তন, প্রস্টেট, পায়ু, অন্ত্রসহ নানারকম ক্যান্সার।

গত জুনে ফ্রান্সের লিঁয়তে ডব্লিউএইচওর একটি বৈঠক হয়। এতে অংশ নেন ১৬টি দেশের ২৭ জন বিজ্ঞানী। তারা প্রত্যেকেই আইএআরসির সদস্য। গত প্রায় দেড় দশকে সারা দুনিয়ায় হওয়া অনেক গবেষণার সঙ্কলন করে তারা একপ্রকার নিশ্চিত যে, টানা নাইট শিফটে কাজ করার জেরে শরীরে জন্ম নিতে পারে ক্যান্সার।

ডব্লিউএইচওর ওই বিজ্ঞানীদের এ মূল্যায়ন সম্প্রতি বিজ্ঞানপত্রিকা ল্যান্সেট-অঙ্কোলজির জুলাই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এর পরই সারা দুনিয়ায় আলোড়ন পড়েছে চিকিৎসক মহলে। বিষয়টি ফলাও করে ছেপেছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর মেডিকেল অঙ্কোলজির মতো ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের সংগঠনও।

চিকিৎসকরা মনে করছেন, হাসপাতাল, হোটেল, সংবাদমাধ্যম, নিরাপত্তা এজেন্সি, তথ্যপ্রযুক্তি, কারখানার পাশাপাশি পরিষেবা ক্ষেত্রের এমন অনেক পেশা আছে, যাতে নিত্য নাইট ডিউটি করতে হয়।

ভারতীয় ক্যান্সার শল্য-চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘ডিউটি রস্টার তৈরির ব্যাপারে ভারতে যেহেতু পশ্চিমের মতো স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতিফলন নেই, তাই টানা রাত জেগে কাজ করার কুপ্রভাব আমাদের দেশে ঢের বেশি।’

কেন টানা নাইট শিফটে কাজ করাকে কার্সিনোজেনিক বলা হচ্ছে? ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল খান বলেন, ‘প্রকৃতি আমাদের জন্য রাতকেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ঘুমের জন্য। আমরা যদি কেউ টানা সেই নিয়মটা ভেঙে চলি, তাহলে আমাদের শরীরের জৈব ঘড়ি তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তখন শরীরের উপর চাপ বাড়ে। সেটা সামলাতে, বলা ভালো, তার প্রতিক্রিয়ায় সারা শরীরেই অসংখ্য ফ্রি র্যাডিক্যালস তৈরি হয়। সেগুলোই আসল খলনায়ক। বিভিন্ন অঙ্গে ক্যান্সারপ্রবণ টিউমারের জন্ম দিতে এসব ফ্রি র্যাডিক্যালস ভূমিকা রাখে।’

তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, সপ্তাহে একদিন বা মাসে চার-ছ’দিন নাইট ডিউটিতে তেমন কোনও সমস্যা নেই। সমস্যাটা তখনই, যখন দিনের পর দিন কেউ রাতেই কাজ করে চলেন, ইচ্ছা করে বা বাধ্য হয়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মুখপাত্র বলছিলেন, নাইট শিফট বলতে শুধু নাইট ডিউটি করাকেই নয়, ভূমধ্যসাগর পেরোনো রাতভরের বিমানযাত্রাকেও এর আওতায় ফেলা হচ্ছে। সারা দুনিয়ায় প্রতি পাঁচজন কর্মীর মধ্যে একজন নাইটি ডিউটি করেন। তাই আশঙ্কাও অনেক বড়।




৬৮ কোটি টাকার বাড়ি কিনল ৬ বছরের ইউটিউবার

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  দক্ষিণ কোরিয়ার ছয় বছর বয়সী কিশোরী এক ইউটিউব ‘তারকা’, যার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার তিন কোটিরও বেশি। সম্প্রতি রাজধানী সিউলে সে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

চলতি বছরের শুরুতে বোরাম নামের ওই ছয় বছর বয়সী মেয়ে সিউলের অভিজাত এলকার গ্যাংনামে বাড়িটি ক্রয় করে। বোরাম ফ্যামিলি কোম্পানি নামে বাড়িটি কেনার কাজ করেন ইউটিউবারের বাবা-মা। সরকারি রিয়েল এস্টেট নিবন্ধন নথি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

মার্কিন নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএন বলছে, বোরাম নামে ওই কিশোরীর ইউটিউবারের দুটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। টয় রিভিউ করা একটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন অপরটি ভিডিও ব্লগভিত্তিক একটি যার সাবস্ক্রাইবার ১৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন। মোটে তিন কোটিরও বেশি।

তার জনপ্রিয় ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ৩৭ কোটি ৭ লাখ মানুষ দেখেছে মানে ভিউ হয়েছে। বোরাম ওই ভিডিওতে প্লাস্টিকের পুতুল ব্যবহার করে নুডলস রান্না করার দৃশ্য দেখায়। তারপর ক্যামেরার সামনেই সেই পুতুলগুলো গোগ্রাসে নুডলসগুলো সাবাড় করে। তবে বোরামের কিছু কন্টেট যে মূল্যবোধের প্রচার করে তা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে না মেলায় অনেকে এর সমালোচনাও করেন।

২০১৭ সালে শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষদের কাছ থেকে অভিযোগ জমা পড়ে। তাদের দাবি, বোরাম তার এই ভিডিওর মাধ্যমে দেশটির কিশোরদের আবেগীয় এবং নৈতিক উন্নতি সাধনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

সংস্থাটির একজন ব্যবস্থাপক সিএনএনকে বলেন, বোরানের ভিডিওতে যেসব বিষয় দেখানো সেগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে তারা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। যেমন বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করা এবং রাস্তায় একা একাই গাড়ি চালানো ইত্যাদি।

এমন অভিযোগ আসার পর ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওইসব ভিডিও নামিয়ে ফেলা হয়। এদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন বোরামের ভিডিওগুলো পুলিশের নজরে আনে। এরপর সিউলের পারিবারির আদালত তারা বাবা-মায়ের উদ্দেশে বলেন, তারা যেন তাদের কন্যসন্তানের মানসিক চিকিৎসা করায়।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সময় সিএনএন চেষ্টা করলেও বোরামের বাবা-মা এমনকি তার আত্মীয়-স্বজনের কাছেও কোনো মন্তব্য পায়নি। এ ছাড়া ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।




‘অবৈধ’ প্রেম! পোষা কুকুরকে তাড়িয়ে দিলেন মালিক

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : অপছন্দের পাত্র, তাই মেয়ে-জামাইকে মেনে নেননি বাবা, এমন ঘটনা তো আখছার ঘটে। ঝুড়ি ঝুড়ি সিনেমায় দেখানো হয়েছে এমন গল্প। তাই বলে সেই নিয়মেই পোষা কুকুরকে বাড়ি থেকে বার করে দেয়া! অবাক করার মতো হলেও, এমনই ঘটেছে ভারতের তিরুঅনন্তপুরমের চক্কাই এলাকায়।

সম্প্রতি মালিকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাড়ারই এক ছোকরা কুকুরের সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সুন্দরী পোমেরানিয়ান কুকুরটি। যা মেনে নেননি তার মালিক। ফলত যা হওয়ার তাই হলো। রেগেমেগে পোষ্যকে বাড়ি থেকেই বের করে দিলেন বাড়ির কর্তা।

সম্প্রতি চক্কাইয়ের ওয়ার্ল্ড মার্কেট রোডের উপরে মেলে বছর তিনেকের ওই কুকুরটি। পিপলস ফর অ্যানিমালের (পিএফএ) এক স্বেচ্ছাসেবী সাদা লোমশ কুকুরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নিজেদের ডেরায়। শামিম নামে ওই উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, ওই কুকুরটির গলা থেকে মিলেছে মালিকের লেখা একটি নোট। তাতে লেখা—‘‘ও খুবই ভালো কুকুর, ভালো স্বভাব, প্রচুর খাবার লাগে এমনটাও নয়। কোনো অসুখ নেই । শুধু সপ্তাহে পাঁচ দিন অন্তর গোসল করাতে হয়। গত তিন বছরে কাউকে কামড়ানোর রেকর্ড নেই। মোটের উপরে দুধ, বিস্কুট আর ডিম খায়।’’

তার সঙ্গে লেখা রয়েছে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কারণও। জানানো হয়েছে, প্রতিবেশীর কুকুরের সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

এ হেন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমীদের একাংশ। কারো কারো মতে, প্রজনন ঋতুতে কুকুরদের এমন ব্যবহার অত্যন্ত স্বাভাবিক। যদি তার মালিক কুকুরটির প্রজননই আটকাতে চাইতেন, তা হলে কুকুরদের বন্ধ্যত্বকরণের চিকিৎসা করাতে পারতেন। আর যদি কুকুরের কৌমার্য্য রক্ষাই মূল উদ্দেশ্য হতো, ঘরে আটকে রাখা উচিত ছিল কুকুরটিকে।

শামিম জানিয়েছেন, সাধারণত অসুস্থ বা আহত কুকুরদেরই রাস্তায় ফেলে যেতে দেখেছেন তিনি। তবে এমন অদ্ভুত কারণে কুকুরকে বাড়ি ‌থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা বিরল। শামিম আরও জানান, বেশ মিষ্টি কুকুরটি। খুব শিগগিরই যে কেউ না কেউ কুকুরটিকে দত্তক নিয়ে নেবেন, সে বিষয়েও তিনি নিশ্চিত।




প্লেট থেকে লাফিয়ে পালাচ্ছে কাটা মাংস (ভিডিওসহ)

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  বাজার থেকে মুরগির মাংস কিনে আনার পর তা কই মাছের মতো লাফাতে দেখেছেন কখনো? কাটা মাংস আবার লাফাই নাকি! তবে ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে আপনি কী বলবেন? আর এমন দৃশ্য যদি আপনি নিজের চোখে দেখেন!

ফেসবুকে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্লেটে রাখা একটি মাংসের টুকরো রীতিমতো লাফাতে লাফাতে পালাচ্ছে!

ফেসবুকে রি প্রিটিরেডবোন ফিলিপস নামে এক প্রোফাইলে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। ৩৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রান্নার জন্য একটি প্লেটে কয়েক টুকরো মুরগির মাংস রাখা আছে। তার মধ্যে একটি মাঝারি আকারের মাংসের টুকরো নড়তে শুরু করেছে। এমনকি নড়তে নড়তে সেটি প্লেট থেকে বেরিয়ে যায়। এমনকি টেবিল থেকে পড়েও যায়। এই ঘটনা দেখে সম্ভবত যিনি ভিডিও রেকর্ড করছিলেন সেই নারী চিৎকার করে ওঠেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। ১০ জুলাই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই ভিডিওটি দেড় কোটি বার দেখা হয়েছে। লাইক পড়েছে ৩০ হাজার আর কমেন্ট ৬৫ হাজার। শেয়ার হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজারের বেশি।




শত কোটি টাকার ঋণ খেলাপিদের ধরতে হচ্ছে বিশেষ সেল

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণ আছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিবিড় তদারকির মধ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে সব ব্যাংকে বিশেষ তদারকি সেল গঠন করতে বলা হয়েছে। শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ও খেলাপী ঋণগ্রহিতার সংখ্যা কমিয়ে আনতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ সোমবার (২২ জুলাই) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নানা উদ্যোগ নিয়েও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। এর মূল কারণ বড় ঋণ খেলাপিরা বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই এবার খেলাপিতে বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এখন ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণ নিবিড় তদারকি করা হবে। পাশাপাশি সব ব্যাংকে বিশেষ তদারকি সেল গঠন করা হবে। এতে তাদের অবস্থা সহজে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংকসমূহের অপরাপর সব শ্রেণিকৃত ঋণসহ ১০০ (একশত) কোটি টাকা এবং তদূর্ধ্ব স্থিতি বিশিষ্ট শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাবসমূহ নিবিড় তদারকি একান্ত আবশ্যক। শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকির নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে সব ব্যাংক সংশ্লিষ্ট উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে একটি বিশেষ তদারকি সেল গঠন করবে। যারা ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকি করবে। তদারকি সেল ত্রৈমাসিক বিবরণীতে বর্ণিত শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব আদায় অগ্রগতিসহ যাবতীয় তথ্য স্ব স্ব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে জানাবে। এ ছাড়া ত্রৈমাসিক বিবরণী পরবর্তী মাসের শেষ কর্মদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের টাস্কফোর্স সেলে দাখিল করবে।

এ বিবরণীতে প্রদর্শিত শ্রেণিকৃত ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ কিংবা অন্য কোনো কারণে নিয়মিত বলে গণ্য হলেও নিয়মিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৮টি (আট) ত্রৈমাসিক পর্যন্ত তা বিবরণীতে রাখতে হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ওই বিবরণীর যথাযথ পর্যালোচনা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে ঋণের বকেয়া আদায়ের নিমিত্তে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পরিচালনা পর্ষদ নিয়মিতভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

আগামী অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে এপ্রিল-জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক পর্যন্ত ওই বিবরণীর হার্ড ও সফট (এক্সএল সিট) কপি দাখিল করতে হবে। আগামী এপ্রিল-জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক থেকে আলোচ্য বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।




পুরান ঢাকায় ধসে পড়া ভবনে মিলল বাবা-ছেলের মরদেহ

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : রাজধানীর পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলী এলাকায় ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- ফল ব্যবসায়ী জাহিদুল ব্যাপারী ও তার ছেলে শফিকুল ব্যাপারী (১৮)।

বুধবার রাত ৮টার দিকে জাহিদুল ব্যাপারী এবং রাত ১২টার দিকে তার ছেলে শফিকুল ব্যাপারীর মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে জাহিদুলের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে রাত ১২টায় শফিকুল ব্যাপারীর মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানান ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী।

এর আগে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ভবনটি ধসে পড়ার পর পুলিশ সেখানে যায়। ঘটনাস্থলে সূত্রাপুর থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাড়ির মালিক জাহিদুলের আত্মীয় সালাম বলেন, জাহিদুল এই এলাকায় ফল ব্যবসা করে। তার ছেলে তাকে সহযোগিতা করে। তারা দুজনই এই বাড়িতে থাকত।

তিনি বলেন, গতকাল রাত ১১টায় তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সকালে তার ফলের দোকান বন্ধ দেখে ফোন দেই। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাই। পরে তার ভাই ও আমি এসে দেখি ছাদ ধসে পড়েছে। সম্ভবত রাতেই ছাদ ধসেছে।




মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণসহ ১১ ব্র্যান্ডের দুধে মাত্রাতিরিক্ত সিসা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  মিল্ক ভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ঈগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং, প্রাণ মিল্ক, আয়রন, পিউরা ও সেফ ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই তথ্য জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। এ সময় বিএসটিআই’র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এমআর হাসান (মামুন)। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

এছাড়া প্রতিবেদনে গোখাদ্যের ১২ নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবি, বিসিএসআইআরসহ চারটি ল্যাবে পরীক্ষা করে এ রিপোর্ট দাখিল করে সংস্থাটি। যদিও বিএসটিআই ৩০৫ নমুনা সংগ্রহ করে মাত্র দুটি ব্র্যান্ডের দুধে ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানি শেষে দুগ্ধ খামারিদের পশু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গাভিকে কোনও ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী ক্ষতিকারক উপাদান থাকা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে পুষ্টির অন্যতম প্রধান জোগান হিসেবে বিবেচিত গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যে এবার মিলেছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান। ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পায়। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গরুর খোলা দুধে অণুজীবের সহনীয় মাত্রা সর্বোচ্চ ৪ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে ৭.৬৬ পর্যন্ত। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মামুন মাহবুব।

পরে আদালত দুধে সিসা মিশ্রণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। এছাড়া রুলে দুগ্ধজাত খাবারে ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

পাশাপাশি আদালত ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে কোন কোন কোম্পানির দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক এবং সিসা মেশানো রয়েছে, তা নিরূপণ করে একটি জরিপ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের নির্দেশের পর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. মাহবুব কবিরকে আহ্বায়ক করে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এরপর ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আজ সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।




‘ঈদে যানজট এড়াতে ৮ আগস্ট থেকে গার্মেন্টস ছুটি’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে যাতে যানজট তৈরি না হয় সেজন্য আগামী ৮ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে গার্মেন্টস ছুটি দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ বিষয়টি সমন্বয় করবে। আমরা বিশেষভাবে মনিটরিং করবো।

রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আযহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও ব্যবসার স্বার্থে আগামী ৯ ও ১০ আগস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে আমরা অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাস, ট্রেন এবং নৌপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে না পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে। সড়কপথে ফায়ার সার্ভিসের টিম থাকবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তারা কাজ করবেন।

কুবানির পশুর হাট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাস্তার পাশে কোনো প্রকার পশুর হাট বসতে পারবে না। পশুর হাটে বা রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা থাকবে। গরুর হাটে সন্ধ্যাকালীন টাকা লেনদেনে বুথ খোলা রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।