ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং নৈপুণ্যে আবারও ফাইনালে নিউজিল্যান্ড।

টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে লড়াই করেও হেরে গেল ভারত। ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়ার পর হার্দিক পান্ডিয়া ও রিশব প্যান্টের ব্যাটে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।

এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান রবিন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। জয়ের জন্য শেষ দিকে

জয়ের জন্য শেষ দিকে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৪ বলে ৩২ রান। খেলার এমন অবস্থায় উইকেটে হারান দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া জাদেজা। তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় ভারতের।

শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। ৪৯তম ওভারে ফাগুর্নসননের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আবারও স্বপ্ন দেখান মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলে মার্টি গাপটিলের থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে গেলে জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় ভারতের।

নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন রবিন্দ্র জাদেজা। হেরে যাওয়া ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখছে ভারত। এছাড়া বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং দৃঢ়তায় বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে হাল ধরেন তারা। তাদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত।

বুধবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪০ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় ভারত।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৪ রানে ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মা। আগের তিন ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা রোহিত এদিন ফেরেন চার বলে মাত্র ১ রান করে।

রোহিত শর্মার বিদায়ের পর উইকেটে নেমে ৬ বল খেলার সুযোগ পান বিরাট কোহলি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি তিনি। কোহলি ফেরেন মাত্র ১ রান করে।

চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ম্যাট হেনরির বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। তিনিও ফেরেন মাত্র এক রানে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান এভাবে ১ রান করে আউট হওয়ার রেকর্ড এবারই প্রথম।

মাত্র ৫ রানে ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় কোহলিরা।

দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের ম্যাচে হাল ধরবেন বলে দিনেশ কার্তিকের প্রতি ভরসা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। দলের এই দুঃসময়ে তিনিও নিজে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেননি।

ম্যাট হেনরির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জেমস নিশামের বাঁ-হাতের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন কার্তিক। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় ভারত।

পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন রিশব প্যান্ট। আগের ১২ বলে মাত্র ১ রান নেয় ভারত। পরপর ডটবল খেলার কারণে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেষ্টা করেছিলেন প্যান্ট। কিন্তু মিচেল স্যান্টনারের বল তুলে মারতে গিয়ে কলিন ডি গ্রান্ডহোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৬ বলে মাত্র ৩২ রান করেন রিশব প্যান্ট।

এরপর ২১ রানের ব্যবধানে মিচেল স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন হার্দিক পান্ডিয়া। তার আগে ৬২ বলে ৩২ রান করেন তিনি। পান্ডিয়ার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৩০.৩ ওভারে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।

সপ্তম উইকেটে রবিন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে১১৬ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ দিকে জাদেজা ও ধোনি আউট হলে তীরে গিয়ে তরী ডুবে ভারতের।




বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় রোকেয়া হল সংসদ এবং রোকেয়া হল রেঞ্জার ইউনিটের উদ্যোগে আজ ১০ জুলাই ২০১৯ বুধবার হল প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক . জিনাত হুদা, ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, হল সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান তন্বী এবং জিএস সায়মা আক্তার প্রমিসহ হল সংসদের নেতৃবৃন্দ, আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা কর্মকর্তাকর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)




যে ১০টি নিয়ম আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সুস্থ থাকার গুরুত্ব কেবল অসুস্থ হলেই বোঝা যায়। যখন আপনি অসুস্থ ও ক্লান্ত শরীরে বিছানালগ্ন হয়ে থাকবেন, তখন নিজেকে সবচেয়ে বেশি অসহায় মনে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, সবসময় সুস্থ থাকার চেষ্টা করলে। এই সুস্থতা নিজে থেকেই বজায় থাকবে, যদি আপনি ঠিকভাবে নিজের যত্ন নেন, নিজের খেয়াল রাখেন! দৈনন্দিন জীবনে কিছু কাজই আপনাকে এমনিতেই সুস্থ রাখবে। শুধু কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়তে হবে-

১. খাদ্য তালিকায় থাকুক নানা রকমের খাবার: সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের ৪০ রকমের নিউট্রিয়েন্টসের দরকার হয়। কোনো একক খাবার তা দিতে পারে না। তাই সুষম খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত ভারি খাবার দুপুরের খাবার তালিকায় থাকলে রাতের খাবার সারতে পারেন অল্প তেলে রান্না করা খাবারে। আগের রাতে মাংসটা একটু বেশি খাওয়া হলে পরের দিনের তালিকায় মাছ রাখুন।

২. ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখুন: ডায়েটের অর্ধেকের বেশি ক্যালরি আসা উচিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন সেরেল, পাস্তা, ভাত ও রুটি থেকে । প্রতিবার খাবার সময় এদের যেকোনো একটি থাকলে ভালো। পূর্ণ দানা থেকে তৈরি রুটি, সেরেল, পাস্তা আঁশ জাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভরা খাবার খান: চর্বি বা ফ্যাট সুস্বাস্থ্য এবং দেহকে ঠিকঠাকভাবে কাজ করানোর জন্য বেশ জরুরি। কিন্তু এর বাহুল্য ওজন ও হৃদধমনীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফ্যাটের ভিন্নতা ভেদে স্বাস্থ্যের উপর রয়েছে এর ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব এবং এরকম কিছু টিপস আমাদের সঠিক ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করবে।

আমাদের অপ্রক্রিয়াজাত বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট (যা প্রাণিজ খাবার থেকে পাওয়া যায়), যা সহজে হজম হয় না ও শরীরে জমতে থাকে, এমন খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ট্রান্স ফ্যাট বা অপ্রক্রিয়াজাত চর্বি একেবারে খাওয়া উচিত না। খাবারের গায়ে লেবেল পড়লেই এসম্পর্কে জানা যাবে।

সপ্তাহে ২/৩ বার মাছ এবং কমপক্ষে একবার তৈলাক্ত মাছ খাওয়া আমাদের সঠিক মাত্রায় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণে ভূমিকা রাখবে। ভাজাভুজির বদলে সেদ্ধ, ভাপা বা বেক করা খেতে চেষ্টা করুন। মাংসের চর্বি জাতীয় অংশ ফেলে দেবেন এবং ভেজিটেবল অয়েলে রান্না করুন।

৪. প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান: ফল ও শাকসব্জি থেকে আমরা খনিজ, ভিটামিন ও আঁশজাতীয় খাবার পেয়ে থাকি। দিনে ৫ বার আমাদের এসব খাওয়া উচিত। যেমন: সকালের নাশতায় থাকতে পারে এক গ্লাস জুস অথবা একটি আপেল বা এক ফালি তরমুজ। অন্যান্য বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নানা জাতীয় সবজি।

৫. লবণ ও চিনি কম খান: বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়বার সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। লবণ খাওয়া কমাতে কম সোডিয়াম আছে এমন খাবার কিনুন। রান্নায় লবণের বদলে নানা ধরণের ও স্বাদের মশলা ব্যবহার করুন এবং খাবারের টেবিলে লবণদানি না রাখাই ভালো।

৬. নিয়মিত খান, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন: স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সেরা ফর্মুলা হচ্ছে বাহারি খাবার নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে খাওয়া। ঠিকমতো খাবার না খেলে তা অনিয়ন্ত্রিত ক্ষুধা নিয়ে আসে যার ফল হচ্ছে অতিভোজন। ভরপেট খাবার খাওয়ার মাঝে হালকা নাস্তা খেতে পারেন যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। নাস্তা হিসেবে আমরা বেছে নিতে পারি দই, একমুঠো রসালো বা শুকনো ফল, লবণ ছাড়া বাদাম বা পনির মাখানো এক টুকরো রুটি।

৭. প্রচুর পানীয় পান করুন: কর্মক্ষম বয়স্ক মানুষের দৈনিক ১.৫ লিটার বা তার বেশি তরল খাবার খাওয়া উচিত। পানি হচ্ছে সেরা তরল, চাইলে ট্যাপ বা মিনারেল, সাদামাটা বা ফ্লেভারযুক্ত পানি আমরা পান করতে পারি। সময় সময় ফলের রস, চা, সফট ড্রিংকস, দুধ ও অন্যান্য পানীয়ও চলতে পারে।

৮. সঠিক ওজন বজায় রাখুন: লিঙ্গ, বয়স, উচ্চতা এবং জিনের উপর নির্ভর করছে আমাদের সঠিক ওজন। অতিরিক্ত ওজন নানা রোগের ঝুঁকি যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিভোজন থেকেই অতিরিক্ত বডিফ্যাট তৈরি হয়। আমিষ, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট বা মদ- এসব খাবার থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি আসতে পারে তবে চর্বিতে শরীরের সবচেয়ে বেশি শক্তি ঘন হয়ে জমা থাকে। শারীরিক কর্মকান্ড আমাদের শক্তি ক্ষয় করে ও আমাদের ভালো রাখে। ওজন বাড়তে থাকলে কম খান এবং শারীরিক পরিশ্রম করুন।

৯. কায়িক শ্রমকে অভ্যাসে পরিণত করুন: শারীরিক কর্মকান্ড সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে, হৃদযন্ত্র ও রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থা ভালো রাখতে, পেশীর বৃদ্ধিতে এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে। আপনাকে অসাধারণ এথলেট হতে হবে না। সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের শারীরিক কর্মকান্ড যথেষ্ট, যা সহজেই আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে ঢুকিয়ে দেয়া যায়।

লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। দুপুরের খাবারের বিরতিতে হাঁটুন বা অফিসে কাজের ফাঁকে স্ট্রেচিং করুন। পরিবার-পরিজন নিয়ে সপ্তাহান্তে বাইরে ঘুরতে যান।

১০. ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন: হুট করে বদলানোর চেয়ে ধীরে ধীরে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা বেশ সহজ। তিন দিনের জন্য আমরা দৈনিক যে খাবার ও পানীয়গুলো গ্রহণ করছি এবং শারীরিক কর্মকান্ডগুলো পালন করছি তার তালিকা তৈরি করতে পারি। কোথায় উন্নতি করতে হবে সেটি বের করাটা খুব কঠিন হবার কথা নয়।

সকালে নাস্তা করছেন না? একবাটি চিড়া বা ওট জাতীয় সেরেল, এক টুকরো রুটি বা একটি ফল সহজেই এসময়ে আপনার ডায়েট রুটিনে ঢুকে যেতে পারে।

কম ফল বা সবজি খাচ্ছেন? পরিমাণটা বাড়িয়ে দিন। পছন্দের খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট? একেবারে বাদ দেবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং কম খান এবং পরিমাণও কমিয়ে দিন।

কায়িক শ্রম কম হচ্ছে? সিঁড়ি ব্যবহার করাটা শারীরিক কর্মকান্ড বাড়ানোর প্রথম ধাপ হতে পারে।




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগুন

পরিক্রমা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আগুন লাগে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম গণমাধ্যমকে বলেন, বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড থেকে গ্রন্থাগারে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান।




ধর্ষণের পর কোরআন হাত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করাতেন মাদরাসা অধ্যক্ষ

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটছে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা। আর এসব থেকে রেহায় পাচ্ছে না ছোট ছোট শিশুরাও। শুক্রবারও নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মাদরাসার অধ্যক্ষকে আটক করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী নামে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। এক বছরে তিনি ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

এদিকে অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের বেলালীর ধর্ষণের বর্ণনা তুলে ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘তিনি একজন দাওরায়ে হাদীস মাওলানা (সিলেট বালুরচর কওমি মাদরাসা হতে), একজন বক্তা, একজন ইমাম, শুক্রবারের জুমার নামাজের খতিব। মাওলানা (!) আবুল খায়ের বেলালী। শুক্রবারও তার বয়ান শোনার জন্য আধা ঘণ্টা আগে মুসল্লিরা এসে অপেক্ষা করেন মসজিদে। তিনি যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) সেই মা হাওয়া (আ:) কওমি মহিলা মাদরাসায় প্রায় ৩৫ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রী রয়েছে যাদের ১৫ জন আবাসিক। সেখানে তিনিও আবাসিক।

সময় সুযোগ বুঝে তিনি কলিংবেল চাপেন আর ওনার পছন্দমতো একজন কোমলমতি ছাত্রীর ডাক পড়ে তার শরীর টিপে দেয়ার জন্য। এক পর্যায়ে তিনি সেই অবুঝ শিশুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। শেষে আবার কোরআন শরীফ হাতে দিয়ে শপথ করান কাউকে কিছু না বলার জন্য। বললে আল্লাহ তাকে দোযখের আগুনে পোড়াবেন বলেও হুমকি দেন। ভয়ে কোমলমতি ছাত্রীরা কাউকে কিছু বলে না। কিন্তু এক সাহসী বীরাঙ্গনা সেই ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়, বলে দেয় তার বড় বোনসহ বাড়ির সবাইকে সেই যন্ত্রণার মুহূর্তগুলোর কথা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক হন সেই হুজুররুপি ধর্ষক। থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আরও এক শিশু শ্রেণির ছাত্রীর অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে তার নামে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাই, গত এক বছরে আরও মোট ৬ ছাত্রীর সঙ্গে তিনি একই রকম কুকর্ম করেছেন। যাদের সবার বয়স ৮ থেকে ১১ এর মধ্যে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করি, সঙ্গেসেই ‘কলিংবেল’ও যা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। হুজুরকে রিমান্ডে আনা হবে।’

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় ২০১৫ সালে ওই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে অধ্যক্ষের (মুহ্তামিমের) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি শিশু শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে অধ্যক্ষকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে মাদরাসার ওই অধ্যক্ষের (মুহতামিম) নামে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।




হাড় সুস্থ রাখতে করনীয়

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : হাড় আমাদের সমস্ত শরীরের ভার বহন করে। সুস্থ ও টেকসই হাড় পেতে হলে শৈশব থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা, পিক বোন মাস বা হাড়ের সর্বোচ্চ ঘনত্ব আমরা লাভ করি ৩০ বছর বয়সের আগেই। এরপর হাড়ের ঘনত্ব আর বাড়ে না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে। হাড়ের সুস্থতা নির্ভর করে এই অল্প বয়সে অর্জিত হাড়ের ঘনত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ও খনিজের ওপর।

তাহলে কী করে আমরা হাড়ের এই সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারি?

চাই যথেষ্ট খনিজ: একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ১০০০ মিলিগ্রাম ও নারীর ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। নারীদের অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্য পান করানোর সময় এবং মেনোপজের পর এই ক্যালসিয়ামের চাহিদা আরও বেশি। উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হচ্ছে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, নানা ধরনের ছোট মাছ ও সামুদ্রিক মাছ, সবুজ পাতাযুক্ত শাক, বাদাম ইত্যাদি। শৈশব ও কৈশোর থেকে ভালো মানের ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যথেষ্ট খেলে মজবুত হাড় পাওয়া সম্ভব।

ভিটামিন ডি: হাড় সবল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি দরকার। সূর্যালোকে আছে এই ভিটামিন। তাই দিনের একটি সময় রোদে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা উচিত। এই অভ্যাস থাকা দরকার সব বয়সই। এ ছাড়া তৈলাক্ত মাছ, মাশরুম, ডিম ইত্যাদিতে আছে ভিটামিন ডি।

ব্যায়াম: নিয়মিত কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম হাড়সন্ধিকে মজবুত করে। অল্প বয়সে তো বটেই, এমনকি বেশি বয়সেও নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে পারলে হাড়ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

ওষুধ ও ধূমপান: ধূমপান হাড়ের ভঙ্গুরতা বাড়ায়। এ ছাড়া যাঁরা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, খিঁচুনির কিছু ওষুধ, মিথোট্রেক্সেট, ওমিপ্রাজল ইত্যাদি সেবন করেন, তাঁদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে।

রোগবালাই: কিছু কিছু রোগ, যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, হাইপোগোনাডিজম ইত্যাদির কারণে হাড়ক্ষয় বেশি হয়। নারীদের মেনোপজের পর বেড়ে যায় হাড়ক্ষয়ের আশঙ্কা। তাই বয়স্ক নারীদের খাবারদাবার ও ব্যায়ামের দিকে বেশি সচেতনতা দরকার। যাঁদের সময়ের আগেই মেনোপজ হয়েছে (যেমন অল্প বয়সে জরায়ু ফেলে দেওয়া) তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে হরমোন থেরাপি নিতে পারেন। হাড়ক্ষয়ের মাত্রা জানতে এখন বিশেষ পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন।




শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ সংসদে

একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন তিনি।

শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।

শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রামের মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি), গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)।

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা।

২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন।

সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান তার প্রশ্নে ২০০৯ সালে ঋণ খেলাপি কত ছিল ও তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ এবং ২০১৮ সালে ওই সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণও জানতে চেয়েছিলেন।

তবে অর্থমন্ত্রীর উত্তরে বলা হয়, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফলে লুৎফুন নেসার প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি ও তাদের ঋণের পরিমাণ সংসদকে জানান অর্থমন্ত্রী।

এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।




সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের বলেছেন, ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপল‌ক্ষে সফল, আন্দােলনওে সফল

দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের বলেছেন, ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপল‌ক্ষে সকল আয়োজন সম্পন্ন হ‌য়ে‌ছে। আগামীকাল সকাল সা‌ড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভব‌নে জাতীয় পতাকা উত্তো লন, বঙ্গবন্ধুর প্র‌তিকৃ‌তি‌তে শ্রদ্ধা নি‌বেদন, বেলুন ও শা‌ন্তির প্রতীক পায়রা উ‌ড়ি‌য়ে মাসব্যাপী কর্মসূ‌চির উদ্বো ধন করা হ‌বে। ঢাকা থে‌কে শুরু ক‌রে প্র‌তি‌টি উপ‌জেলায় সাজসজ্জা করা হ‌য়ে‌ছে। কেন্দ্রীয় ভা‌বে ঢাকায় তিন দি‌নের কর্মসূ‌চি গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ শ‌নিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে ওবায়দুল কা‌দের এ কথা জানান।

ওবায়দুল কা‌দের ব‌লেন, ৭০ বছ‌রে আমা‌দের বড় অর্জন স্বাধীনতা ও মু‌ক্তি। দে‌শের মানু‌ষের মু‌ক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু ক‌রে‌ছি‌লেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তা‌কে হত্যা করার পর বাঙালি জা‌তি‌কে মু‌ক্তি দেওয়ার আন্দোলন অনেকটা পি‌ছি‌য়ে প‌ড়ে। ১৯৮১ সা‌লে শেখ হা‌সিনা দে‌শে ফেরার পর আওয়ামী লী‌গের পথ চলায় নতুন মাত্রা যোগ ক‌রে। শেখ হা‌সিনা নির্বাচ‌নেও সফল, আন্দোল‌নেও সফল।

তিনি ব‌লেন, এই বাংলা‌দেশ বি‌দেশিদের চো‌খে এক সময় গ‌লিত লাশ, তলা‌বিহীন ঝু‌ড়ি আর অভা‌বের দেশ ছিল। সেই দেশ‌কে এখন কোথায় নি‌য়ে গে‌ছে শেখ হা‌সিনা। বাংলা‌দেশ আজ সারা দু‌নিয়ায় প্রশংসার দা‌বিদার।

দুর্নী‌তি শুধু বাংলা‌দে‌শে নয়, সারা দু‌নিয়ায় দুর্নীতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমা‌দের বড় শ‌ক্তি শেখ হা‌সিনার ম‌তো সৎ একজন নেত্রী। নানা সংকট থে‌কে দেশ‌কে মুক্ত ক‌রে দেশ‌কে শৃঙ্খলার দি‌কে নি‌য়ে যা‌চ্ছেন। বর্তমান মন্ত্রীসভার একজন মন্ত্রীর বিরু‌দ্ধে কোনো দুর্নী‌তির অভিদ‌যোগ কেউ উত্থাপন কর‌তে পারে‌নি।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হা‌নিফ, জাহাঙ্গীর ক‌বির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন না‌ছিম, খা‌লিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামালসহ আরো অনেকে।




মো লুৎফর রহমান মোল্লা অসুস্থ বারডেম ভর্তি

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুজিবসেনা ঐক্যলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মো লুৎফর রহমান মোল্লা। বেস কিছুদিন ধরেই তিনি গুরুতর অসুস্থ্য। বৃহস্পতিবার হঠাৎ হৃগরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে বারডেম ভর্তি করা হয়।

মো লুৎফর রহমান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক, মুজিবসেনা ঐক্যলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি ।

 

সাবেক দপ্তর সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা যুবলীগ ।



কল্যাণপুরে পেট্রল পাম্পে আগুন

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল সিকদার।

বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, পাম্পটি বাংলাদেশ স্পেসালাইড হাসপাতালের পাশে। আগুনের তীব্রতা দেখে প্রথমে ৮টি ও পরে আরও ২টি ইউনিট পাঠানো হয়।

তেলের কারণে আগুনের তীব্রতা বাড়ছে। এ ছাড়া চারদিকে কালো ধোঁয়া ছড়াচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুনে নেভানোর পাশাপাশি আশপাশের ভবন থেকে মানুষজনকে সরিয়ে দিচ্ছেন।