রাজধানীতে ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উদযাপিত

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি.
শুধুমাত্র আলোচনা ও সভা-সিম্পোজিয়াম করে ঘরের মধ্যে বন্দী থেকে দিবস উদযাপন করলে চলবে না। দিবসটিকে শুধু ১১ ডিসেম্বরের জন্য না রেখে একে কেন্দ্র করে ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে একটি ক্লিয়ার প্রোগ্রাম অনুসরণ করে সারাবছরব্যাপী বড় পরিসরে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পাহাড়কে বাঁচানোর জন্য আমাদের কী করণীয় তা আমাদের দেখতে হবে এবং তার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের নিজেদের বাঁচার তাগিদেই প্রকৃতিসৃষ্ঠ পর্বত, পরিবেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য গাইডলাইন আছে। কিন্তু আমরা হয়তো মানছি না। পর্বত ও এর আশেপাশের বিনষ্ট পরিবেশকে কীভাবে রিডিউস করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে বেশি বেশি ভাবতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের।

আজ রাজধানীর বেইলী রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্র্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সচিব মশিউর রহমান এনডিসি আরও বলেন, জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আমরা দিবস পালন করে থাকি। তিনি বলেন, দিবসগুলো পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো যে বিষয়গুলোর উপর দিবস পালিত হয় সে দিবসগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। এর জন্য ক্রোড়পত্র প্রচার করা, বিশেষ সংবাদ প্রচার করা, সভা করা, সেমিনার করা, র‌্যালি করা ইত্যাদি মূলতঃ জনসচেতনতার জন্য ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এসব করা হয়। সচিব মশিউর রহমান বলেন, দেশের পাহাড় টিলাগুলোকে রক্ষা করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ দেশের সকল নাগরিকেরই পজিটিভ মনমানসিকতা রয়েছে। দেশের বৃহৎ উন্নয়নের স্বার্থে যদি কিছু অংশে ক্ষতিগ্রস্থতার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সে ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় তা ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে নির্ধারণ করে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে সকলকিছুই সকলের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করা উচিত। প্রকৃতি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোকে সায়েন্টিফিক ইভিডেন্স ও ডেটা আমাদের কাছে আছে। তবে এই সায়েন্টিফিক ইভিডেন্স ও ডেটা থাকলেই হবে না, এগুলোকে একত্রিত করে পলিসিতে ট্রান্সলেট করতে হবে। এটা শুধু বলার জন্য নয়, বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো করে রাখার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ আধার বলা হয় পর্বতকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসটি ১১ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় Restoring mountain ecosystems ‘পর্বত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা’। বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা পর্বত রক্ষায় বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি এবং সভাটির সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র চীফ টেকনিক্যাল স্পেশিয়ালিস্ট ড. রাম শর্মা, এফএও-এর ন্যানাল কনসালটেন্ট প্রোগ্রাম অনিল কুমার দাস, হেলেন কিলার-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মিজ হেন হেন। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য উল্লেখ করে আরও বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি ট্রাইবাল রিফিউজি এ্যাফায়ার্স টাস্কফোর্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইশরাত পারভীন ইমা।




টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর এখন অনেক বেশি অ্যাডভান্সড”-চুয়েট ভিসি (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)—এর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে “ইটিই ইনফিক্সন ২০২৩” (ঊঞঊ ওহভরীড়হ—২০২৩) শিরোনামে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ২৩শে নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ২০২৩ খ্রি. সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় উৎসবের প্রথমদিনে ইটিই বিভাগের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএমই ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও গোল চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক—শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা—কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। এরপর সকাল ১০:৪০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, সাবেক ইটিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়নের অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ইটিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইটিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আজাদ হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ইটিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম। ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুপর্ণা সেন, আতকিয়া আনিকা নামী ও ফাহাদ সিদ্দিকী’র যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইটিই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ইটিই বিভাগের প্রভাষক জনাব মো. ইব্রাহীম খলিল। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যান ও অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের পথে হাঁটছি। টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর এখন অনেক বেশি অ্যাডভান্সড। বৈশি^ক সেই চ্যালেঞ্জের সাথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ইটিই গ্র্যাজুয়েটদের অবদান রাখতে হবে। মাত্র এক দশকের পথচলায় চুয়েটের ইটিই বিভাগ দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। ইটিই বিভাগের অ্যালামনাইরা বিভাগের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। বিষয়টা আমাদের জন্য আশাব্যাঞ্জক। আশা করি বিশ^বিদ্যালয়ের চলমান অগ্রগতিতে এভাবেই অ্যালামনাইরা অবদান রাখবেন।”

প্রেরিত ছবির ক্যাপশন:
ছবি—০১: চুয়েটে ‘ইটিই ইনফিক্সন’ উৎসবের আনন্দ র‌্যালিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
ছবি—০২: চুয়েটে ‘ইটিই ইনফিক্সন’ উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
ছবি—০৩: চুয়েটে ‘ইটিই ইনফিক্সন’ উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
ছবি—০৪: চুয়েটে ‘ইটিই ইনফিক্সন’ উৎসবে প্রধান অতিথি মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন বিভাগীয় প্রধান।
ছবি—০৫: চুয়েটে ‘ইটিই ইনফিক্সন’ উৎসবে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

 

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে অনুলিপি প্রেরিত হলো:—
১. পরিচালক, আইআইসিটি, চুয়েট। (বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ সহকারে)
২. উপ—পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা), চুয়েট। (ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের সদয় জ্ঞাতার্থে)
৩. পিও টু রেজিস্ট্রার, চুয়েট। (রেজিস্ট্রার মহোদয়ের সদয় জ্ঞাতার্থে)
৪. ক্যামেরাম্যান, তথ্য ও প্রকাশনা শাখা, চুয়েট। (অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ সহকারে)
৫. অফিস কপি/সংরক্ষণ নথি।

ঊঞঊ উধু—২০২৩ ঃরঃষবফ ‘ঊঞঊ ওহভরীড়হ’ পবষবনৎধঃবফ পড়ষড়ৎভঁষষু ধঃ ঈটঊঞ.




চুয়েটে “অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও নলেজ শেয়ারিং সেশন” সম্পন্ন

পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসি- য়েশনের উদ্যোগে “অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও নলেজ শেয়ারিং সেশন” (Higher Studies & Knowledge Session with CUET) শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ৫ই নভেম্বর (রবিবার) ২০২৩ খ্রি. বেলা ২:৩০ ঘটিকায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. আবদুল্লাহ আল মামুন। সেমিনারে পৃথক সেশনে “হায়ার স্টাডি স্কলারশিপ ইন অস্ট্রেলিয়া” শিরোনামে প্রফেসর ড. আজহারুল করিম, “এডমিশন টু হায়ার ডিগ্রি রিসার্চ স্টাডিজ ইন অস্ট্রেলিয়া” শিরোনামে ড. নিয়াজ শেখ, “এডমিশন টু কোর্স মাস্টার্স ডিগ্রি স্টাডিজ ইন অস্ট্রেলিয়া” শিরোনামে ড. নরোত্তম দাশ এবং “স্কিলসেট রিক্যুয়ারড ফর হায়ার স্টাডিজ ইন অস্টেলিয়া” শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে চুয়েটের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।




মতলব উত্তর উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

ফারুক হোসেন : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা ও মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত আইন শৃঙ্খলা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল এমরান খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, ওসি মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার, গজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত আল-আমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আওরঙ্গজেব, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান তপু, পল্লী বিদ্যুৎতের ডিজিএম মোঃ শামসুদ্দিন, ফরাজী গান্ধী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম সরকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবায়ের আজিম পাঠান স্বপন, এখলাছপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন প্রমুখ।

সভায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ। মা ইলিশ রক্ষা, সড়কে যত্রতত্র ড্রেসিং পাইপ অপসারণ, বেরীবাঁধ সড়ক আগাছামুক্ত করণ, অযাচিত মামলা নির্মুল, মাদক নিয়ন্ত্রণ সহ নানান বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হলে এসব সমস্যা সমাধানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিগণ।




ডেমরা থানা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা

মো. মহিবুর রহমান ভূইয়া রনিকে সভাপতি ও আকরামুল হক সাগরকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ১ বছরের জন্য রাজধানীর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের দলীয় প্যাডে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগামী তিন মাসের মধ্যে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করারও নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।




এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হওয়া বাসে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে গাড়ি বাড়াব: সড়ক সচিব

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হওয়া বিআরটিসি বাসে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে গাড়ি বাড়ানো হবে। সাধারণ মানুষের অনেক দিনের দাবি ছিল একটি বাস সার্ভিস চালু করার। ফার্মগেট গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, অনেক যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করে। ফার্মগেট একটি হাব। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিন সাড়ে ৭টা থেকে ফার্মগেট থেকে জসিম উদ্দিন বিআরটিসির আটটি বাস চলবে। যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা গাড়ি বাড়াব।

সোমবার সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিরতিহীনভাবে ফার্মগেট (খামারবাড়ি সংলগ্ন) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল শুরুর আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোটরসাইকেল আপাতত চলবে না। পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। পদ্মা সেতুতে প্রথমে দেওয়া হয়নি মোটরসাইকেল। পরে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই পদ্মা সেতুতে উঠে ছবি তোলে, সেলফি নিচ্ছে, আমরা মানুষকে বারবার সতর্ক করছি। নিরাপত্তা বাহিনী বারবার সতর্ক করছে। মানুষের একটা আবেগ আছে, আর এটা তো এক্সপ্রেসওয়ে, এখানে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলবে। মোটরসাইকেলের বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।




এনএসইউতে সিপিসির আয়োজনে ‘দ্য ফার্মা ট্রুপারস: সেট আপ ইউর ক্যারিয়ার ইন দ্য ফার্ম ইন্ডাস্ট্রি‘ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টার (সিপিসি) ‘দ্য ফার্মা ট্রুপারস: সেট আপ ইউর ক্যারিয়ার ইন দ্য ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছে। এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য তুলে ধরেন ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের (সিপিসি) পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খসরু মিয়া। বক্তব্যে তিনি বর্তমান বিশ্বে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের গুরুত্ব এবং তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এই ক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন।

সেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজার শেখ রাইসুজ্জামান, সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসি‘র ইনসুলিনের সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার শোয়েব-উল ইসলাম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (বিপিএল) সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সাইহাম আহমেদ বিন হালিম।

সেমিনারে বিশেষ বক্তারা ফার্মাসিউটিকাল শিল্পের বিভিন্ন সুযোগ, সফল ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও প্রস্তুতির কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। শিক্ষার্থীরা একটি প্রশ্নোত্তর সেশনেও অংশগ্রহণ করেন এবং শীর্ষ তিন অংশগ্রহণকারীকে পুরষ্কার দেওয়া হয়।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বক্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্কুল অফ হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সিনিয়র লেকচারার মো. অদিত মুক্তাদির পাভেল।




এনএসইউ’র ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এমদাদুল হক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এমদাদুল হক আজ দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ বছর বয়সে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন) । তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, “ড. হক শুধু একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষাবিদই ছিলেন না, তিনি আমাদের অনেকের প্রিয় সহকর্মী ও বন্ধুও ছিলেন। আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং ইতিহাস ও দর্শনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়, তাঁর মৃত্যু এনএসইউ পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

দেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৮ বছরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক। শিক্ষকতার পাশাপাশি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির (বিসিএসএএ) প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষে ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন ড. হক। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৭ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজ (আইজিএস) এর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। ২০১০ এ এনএসইউ’র ডিপার্টমেন্ট অব জেনারেল অ্যান্ড কন্টিনিউইং এডুকেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে তাকে এনএসইউ’র ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ড. হকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: ড্রাগস ইন সাউথ এশিয়া: ফ্রম দ্য আফিম ট্রেড টু দ্য প্রেজেন্ট, ট্রান্সপারেন্সি, ওপেনেস অ্যান্ড এথিকস ইন পাবলিক গভর্নেন্স, কলোনিয়াল ড্রাগ ট্রেড ইন সাউথ এশিয়া: ফ্রম পলাশী টু পার্টিশন, কম্পারেটিভ পলিটিক্যাল সিস্টেমস, দ্য পলিটিকস: বেসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং, মাদকাসক্তি: জাতীয় ও বিশ্ব পরিপ্রেক্ষিত, তুলনামূলক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। এছাড়াও দেশ-বিদেশে তার অসংখ্য জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।

রাত পৌনে আটটায় এনএসইউ প্লাজা এরিয়ায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।




প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের কারিগর: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের কারিগর।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই দেশের উন্নয়নের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যা বাংলাদেশেরতো বটেই, পৃথিবীর ইতিহাসে একটি রোল মডেল।

রোববার (২০ আগস্ট) সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার টরকি সরকারী প্রাইমারি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর দুগ্ধজাত পণ্যের ‘স্কুল মিল্ক ফিডিং’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার সময় দেশে যতো উন্নয়ন হয় তা অন্য কোনো সরকারের সময় হয় না। অন্য সরকারের সময়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য আবারও শেখ হাসিনার সরকার দরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা শুধু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করেননি, এ আধুনিক শিক্ষাকে গ্রহণ করতে শিশুদের মেধার বিকাশের প্রয়োজন। আর তাই তিনি আদর্শ খাদ্য হিসেবে শিশুদের মাঝে বিনা মূল্যে দুধ বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সমাজ সেবক সগির আহমেদ সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. তানিম মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার, এএসপি কচুয়া সার্কেল আবুল কালাম আজাদ, মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, স্কুল পরিচারনা কমিটির সভাপতি সমাজ সেবক গোলাম কিবরিয়া স্বপন দেওয়ানজি, প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন।




খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের প্রধান কুশীলবঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

দীর্ঘ ৩১ বছর বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। সঠিক ইতিহাস জানলে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে লোক যেত না, জনসমাগম হতো না। সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি বলেই নতুন প্রজন্মের একাংশ আজ পথভ্রষ্ট, বিপথগামী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অগাস্ট) বিকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এ মন্তব্য করেন।

১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, “বঙ্গবন্ধু ১০ই জানুয়ারি দেশে ফিরে বলেছিলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমি অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই তাকে হত্যা করা হলো। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হলো না। যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানত, তাহলে বিএনপির মিছিলে লোক যেত না। ছাত্রদল কেউ করত না। যুবদল করার প্রশ্নই আসেনা। জামায়াতে ইসলামের আয়োজনে জনসমাগম হওয়ার কথা নয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেই আয়োজনে জনসমাগম হবার কথা নয়। কিন্তু ২১ আর ১০ — ৩১ বছর একটানা পাকিস্তানের ২৩ বছরের যে ইতিহাস সেটা পড়ানো হয়েছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি, বুঝতে দেওয়া হয়নি। কিভাবে দেশটা স্বাধীনতা লাভ করলো, সেটা জানতে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের দেশে নতুন প্রজন্মের একাংশ পথভ্রষ্ট, বিপথগামী।”

বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার প্রতিহিংসায় সেদিন এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছিল উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, “স্বাধীনতাকে যারা সহ্য করতে পারেনি, সেই স্বাধীনতার যারা পরাজিত শক্তি — তারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে একটি প্রতিবিপ্লব সংগঠিত করলো। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার অপরাধে সেদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্বংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট কাল রাত্রিতে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে পাকিস্থানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত পূর্ণতা পেয়েছিল।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, “জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। তার সন্তান তারেক রহমান আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহর রহমতে পারে নাই।”

বঙ্গবন্ধু হত্যায় নেপথ্যের সকল কুশীলবদের বিচার দাবি করে অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, “যে কমিশন করা হবে সেই কমিশনের মাধ্যমে খুনি জিয়াউর রহমান, খুনি মোস্তাকসহ নেপথ্যে যারা জড়িত তাদের সকলের মুখোশ উন্মোচন করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে এবং যারা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মরণোত্তার বিচার সম্পূর্ণ করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস খুনি জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের প্রধান কুশীলব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “জিয়াউর রহমানের সকল কর্মকাণ্ডই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পক্ষে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। স্বাধীনতা বিরোধী। তিনি রাজাকার, আল বাদর, আল শামসদের পুনর্বাসন করেছেন। তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের রক্ত রঞ্জিত পতাকা উঠিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। মন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি হত্যাকারী, খুনিদেরকে পুনর্বাসন করেছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদেরকে পদোন্নতি দিয়েছেন, পদায়ন করেছেন, নিরাপত্তা দিয়েছেন। তিনি সংবিধান ভূলুণ্ঠিত করেছেন। সংবিধান কাঁটাছেড়া করেছেন। পঞ্চম সংশোধনী করে হত্যাকারীদের বিচারের আওতার বাহিরে রেখেছেন। এভাবে তিনি আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন, হত্যা করেছেন। তার সকল কর্মকাণ্ড ৪৮ বছর ধরে বিশ্লেষণ করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নেপথ্যের প্রধান কুশীলব। নেপথ্যের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারী।”

খুনি জিয়া নিরপরাধ ও মুক্তিযোদ্ধা অনেক সেনা কর্মকর্তাকে ‘মার্শাল ল’ এর মাধ্যমে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন মন্তব্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা জানি, জিয়াউর রহমান মার্শাল ল আদালতে কত নিরীহ, নিষ্পাপ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমান মার্শাল ল এর মাধ্যমে বহু মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদেরকে হত্যা করেছে। নিরীহ সেনা কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদেরকে মার্শাল ল’ এর আওতায় আনেন নাই। বরং খুনীদের বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল।”

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া এবং করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।