মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

দি গ্রেটেস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম শুভ জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে পুরানা পল্টনের ইব্রাহিম ম্যানশনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাদা মনের মানুষ এডভোকেট মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাহী সদস্য আবদুল কবির খান (জামান), ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান রুবেল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. রনি আহমেদ, পরিচালক হাবিবা ইয়াসমিন ইলোরা, সৈয়দা খোশনুর আফরোজা বিথী, শারমিন আক্তার, সদস্য বায়েজিদ আহমেদ, মোঃ সজিব রায়হান, মোঃ আবদুর রহমান, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ জুনায়েদ আহমেদ, আলমগীর হোসেন, মোঃ ওলি, মোঃ রাকিব উদ্দিন, মোঃ শিবলু চৌধুরী, মোঃ ইকবাল, মোঃ আশিক সরকার, মোঃ সালাউদ্দিন জিতু, মোঃ ফরিদ আহমেদ প্রিন্স, সাদিয়া সুলতানা, আমির পাটোয়ারী, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ ইসরাফিল, মোঃ আজাদ ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ আঁখি, মোঃ লিটন দেওয়ানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পুরানা পল্টন ইব্রাহিম ম্যানশন মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।




নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি




শেখ মোহাম্মদ আজহারকে শ্যামপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের ফুলের শুভেচ্ছা

আশিক সরকার :নব নির্বাচিত শ্যামপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা-৪ শ্যামপুর কদমতলী মাটি ও মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মানিত ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জননেতা শেখ মোহাম্মদ আজহারকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৭ টায় শ্যামপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শ্যামপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি শিরীন কাজল,সাধারণ সম্পাদক, শিউলি বেগম, প্রমুখ।




এশিয়া কাপে অংশ নিতে সন্ধ্যায় দেশ ছাড়বে টাইগাররা

বি.পরিক্রমা : ২৭ আগস্ট থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মাঠে গড়াবে মহাদেশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই আসর। এশিয়া কাপে খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন।এশিয়া কাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগের দিন অবশ্য দলে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলে থাকা দুই ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ এবং নুরু হাসান সোহান শেষ মুহূর্তে চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে গেছেন। কয়েকদিন আগে অনুশীলনে গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে সম্ভাবনাময় পেসার হাসান মাহমুদের।অন্যদিকে চোটে থাকার পরও এশিয়া কাপ শুরুর আগে সুস্থ হয়ে যাবেন, এই আশায় সোহানকে রাখা হয়েছিল দলে। তবে সময়মত সেরে উঠতে না পারায় আরব আমিরাতের বিমান চড়া হচ্ছে না তারও। তবে শেষ মুহূর্তে এশিয়া কাপের দলে ডাক পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দিনকয়েক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘এ’ দলের সফরে শতক হাঁকানোর পুরস্কার হাতেনাতে পেলেন তিনি।




বীমা কোম্পানীর কৌশলগত (Strategic) পরিকল্পনা

হকাররা বিভিন্ন রকম বাচনভঙ্গীর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রচার, প্রসার এবং নিজের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে থাকেন। একজন খেলনা বিক্রেতা হকারের নিম্নোক্ত উক্তিটি আমাকে এই লেখায় অনু-প্রাণীত করেছেঃ
“আপনার বাচ্চা খেললে
আমার বাচ্চা খেতে পারবে।”

তিনি হয়তো তার মনের অগোচরে অত্যন্ত মূল্যবান এবং যুক্তপূর্ণ একটি বাক্য উচ্চারণ করেছেন যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। যা যে কোন ব্যবসার বিক্রয় বৃদ্ধির প্রচার কৌশল বা পরিকল্পনা হতে পারে।

একজন অশিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিত হকার কেমন করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল রপ্ত করলেন তা ভেবে দেখা দরকার। একটি মাত্র উক্তি যা যে কোন বয়সের মানুষের মনকে আন্দোলিত করে।

আসলে শিক্ষিত অশিক্ষিত বলে ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু নেই। এই ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গী বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আামাদের দেশের অনেক বড় বড় কোম্পানীর মালিকই অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত কিন্তু সন্তানদের দেশ বিদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষিত করে এনে ব্যবসা দেখাশুনা করাচ্ছেন। নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দশের ও দেশের সেবায় ব্রত রয়েছেন। কর্মীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ও কর্মস্পৃহা জাগ্রত করে প্রতিষ্ঠানের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়ার সময় পরিকল্পনা ও অনুসঙ্গ এবং কৌশলগত অনেক কিছুই জেনেছি এবং শিখেছি। যা নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের দ্বারা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পরিকল্পনা একটি গরুত্বপূর্ণ বিষয়, তার পাশাপাশি কর্মীদের মোটিভেট করাও বিশেষভাবে জরুরী। তাছাড়া যিনি ব্যবসা পরিচালনা করবেন তাঁর সকল কাজের উপর বিশেষ কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ বলয় থাকতে হবে। তার মানে একজন ব্যবসায়ীকে বা ব্যবসা পরিচালনাকারীকে তাঁর ব্যবসার জন্য চৌকষ অর্থাৎ সবজান্তা শমসের হতে হবে।

আমার জন্মের সাল অর্থাৎ ১৯৬০ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বিষয় নতুন সংযোজিত হয়েছে, তা হলো ষ্ট্র্যাটিজিক প্লানিং। যা সাধারণতঃ সমরবিদ্রা অর্থাৎ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকেন। শত্রু আক্রমনে তাঁরা একের অধিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অগ্রসর হন। একটি পরিকল্পনা নৎসাৎ হলেও যেন আরো একটি বা একাধিক পরিকল্পনা ব্যবহার করে কার্য হাসিল করা যায়। তাই যে কোন সময় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরকে তাঁদের পরিকল্পনার বিকল্প হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। এই বাহিনী যে কোন সময় বিকল্প রাস্তা, কালভার্ট, ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে শত্রুকে ঘায়েল করতে মূল বাহিনীকে সহায়তা করতে পারেন।

ব্যবসা এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ ও অসম প্রতিযোগীতাপূর্ণ। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়া। পরিবর্তনশীল ও প্রতিযোগীতামূলক অবস্থানে থেকে সংগঠনকে সুনিপুন কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনাই পরিকল্পনার আসল উদ্দেশ্য। কোম্পানীতে কর্মরত কর্মীদের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আধুনিক পরিকল্পনা হলো SWOT বিশ্লেষণ। যা যে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের কর্মশক্তি বা Strength, দুর্বলতা বা Weakness, সুযোগ বা Opportunity, ভীতি বা threat গুলো চিহ্নিত করণে সহায়তা করে।

সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজেই সফলতা আসে না, একমাত্র এর মাধ্যমেই ঈস্পিত লক্ষ্য অর্জন করা যায়। পরিকল্পনা দিক নির্দেশনা দেয়, পরিবর্তিত অবস্থা মোকাবেলা করতে সাহস যোগায়, কার্য সম্পাদনের সমন্বয়ে সহযোগীতা করে, মিতব্যয়িতা অর্জনে সহায়তা করে, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে, তাছাড়া সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে যা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য, উন্নতিও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত।

বর্তমান পরিবেশ এবং পরিবর্তিত পরিবেশ এর উপর তীক্ষè দৃষ্টি রেখেই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা তৈরী করা হয়। কোম্পানীর সম্পদ ও সামর্থ্যকে পরিবর্তিত অবস্থায় ফিট রাখার জন্য সামরিক বাহিনীর অভিধান থেকে কৌশলগত বা ষ্ট্র্যাটিজিক শব্দটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধার করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর সকল পরিকল্পনাই কৌশলগত পরিকল্পনা। পরিবেশের বর্ণনা কৌশলগত পরিকল্পনার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদ্যমান পরিবেশে ভবিষ্যতে কি কি পরিবর্তন হতে পারে এবং সেই পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে করণীয় কি হতে পারে সেখানে তার বর্ণনাও থাকে। সে কারণে ষ্ট্র্যাটিজিক বা কৌশলগত পরিকল্পনা কখনো ব্যর্থ হতে দেখা যায় না।

২০১৯ সালে এক গবেষণায় প্রায় নয় হাজার সরকারী ও বেসরকারী সংগঠনের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কৌশলগত পরিকল্পনা সংগঠনের কর্মসাধনের উপরে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। কৌশলগত পরিকল্পনা সফল করতে হলে এটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ পরিবেশের বিশ্লেষণ ও ঐ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে কৌশল, লক্ষ্য, পরিকল্পনা নির্ধারণ, সর্বাঙ্গীন সমন্বয় অর্থাৎ অনেকগুলো কৌশল থেকে একটি পথ বাহির করা এবং সতর্কতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ কৌশলগত পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার ধাপে ধাপে কাকে কাকে, কেন, কখন ও কিভাবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। এটা সব সময় কম্পিউটার কম্পোজ করা স্পাইরাল বাইন্ডিং হতে হবে এমন কথা নেই। মনে মনেও পরিকল্পনা করা যেতে পারে এবং তা বাস্তবায়নই আসল কথা। কারণ একটি ভালো পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক সফলতা আনে। পরিকল্পনা প্রনয়ণ একটি সৃজনশীল কাজ। আমরা কোথায় আছি এবং কোথায় যেতে চাই এই দু’য়ের মধ্যে সেতু বন্ধন হলো পরিকল্পনা।

বীমা শিল্পের জন্য যুঁৎসই পরিকল্পনা হলো স্থান, অঞ্চল, ভৌগলিক সীমানা নির্ধারণ করে এলাকা ভিত্তিক টার্গেট ওরিয়েনটেড পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বরিশাল কিংবা ফরিদপুর, যশোর কিংবা নরসিংদী ইত্যাদি এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা-দীক্ষা এবং মন-মানসিকতা এক নহে। আঞ্চলিকতার কারণে খরচেরও তারতম্য হতে পারে তা মাথায় নিয়েই পরিকল্পনা তৈরী করতে হবে।

রংপুর বা দিনাজপুরকে ঢাকা বা চট্টগ্রামের সমকক্ষ ভেবে পরিকল্পনা করলে তা ভেস্তে যাবে। কারণ ঐ সকল অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের ধরণে পার্থক্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে মানুষের মধ্যে আয়ের বৈষম্য। রয়েছে জীবন যাত্রার মানের তারতম্য। তাই স্থানভেদে নীতি, প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, রীতি ও কৌশল পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই তাদের পরিকল্পনা মাফিক চলে। পরিকল্পনার কারণে কাজ অনেকটা সহজ হয় এবং চলার পথে কখনো কখনো প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে পরিকল্পনার অবস্থানগত ও সিদ্ধান্তগত পরির্বতন আনা সহজ হয়। সংগঠনের ভিতর কর্মরত কর্মীদের দ্বারাই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়। তাই সাংগাঠনিক অবস্থান দৃঢ় করার জন্য কর্মীদের ট্রেনিং, প্রেষনা, যোগ্য লোকের মূল্যায়ন, মোটিভেশন ইত্যাদি পরিকল্পনায় সন্নিবেশিত থাকতে হবে। কাজ এবং কাজের পারিশ্রমিক, কর্মীদের কাজে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ব্যবস্থাপনার সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ কোম্পানীর সুনাম এবং উত্তোরত্তোর উন্নতির সোপান। পরিকল্পনা প্রনয়ণের সময় এই কথা ভুলে গেলে চলবে না।

অন্যান্য আর দশটি প্রতিষ্ঠানের মতো বীমা কোম্পানীসমূহের জন্যও পরিকল্পনা জরুরী। তবে কলকারখানা বা উৎপাদনশীল ও শুধুমাত্র আমদানী রপ্তানী বা গুদামজাত ও মজুদ প্রতিষ্ঠানের মতো বীমা কোম্পানীর পরিকল্পনা তৈরী করলে চলবে না।

বীমা ব্যবসা লাইফ ও নন-লাইফ। প্রথমটি মানুষ ও তাঁর জীবন, সুস্থতা-অসুস্থতা, হাসপাতলে চিকিৎসা, অকস্মাৎ মৃত্যু, বা দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যু এখন আবার ব্যাংকের মতো ডিপোজিট ও কিছু কিছু ঝুঁকি সমন্বয়ে বীমাপত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ব্যবসার বড় সমস্যা হলো মানুষের মধ্যে বীমা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এবং বীমা কর্মীদের শিক্ষার দৈন্যতা, পলিসি করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ না করা বিশেষ করে প্রুফ অব এজ অর্থাৎ জন্ম সনদ সার্টিফিকেট না নেয়া, প্রিমিয়াম প্রদানের সক্ষমতা যাচাই না করে পলিসি ইস্যু করা, পলিসি শুরুর পূর্বে বিভিন্ন শারিরীক পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বীমা পলিসি ইস্যু করা, বছর বছর পলিসি রিনিউ না হওয়া, ক্ষুদ্র বীমার প্রিমিয়াম ঠিকমতো জমা না হওয়া, কোম্পানীগুলোতে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম, দাবী পরিশোধে গড়িমসি, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও বীমার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত নির্দেশনার অভাব, এই শিল্পের প্রসারের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। তাই পরিকল্পনা প্রনয়ণে এবং কৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

নন-লাইফ বীমা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিলে বীমা বাধ্যতামূলক। অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ ব্যাংকের লোন না থাকলে ব্যক্তির ইচ্ছার উপর বীমা নির্ভর করে। তিনি যদি সত্যিকার ও বিচক্ষণ ব্যবসায়ী হন তবে তিনি তার সম্পদের আর্থিক নিরাপত্তা বিবেচনা করে বীমা করবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন। গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রে শর্ট কাট বীমা করতে চান, তারা যা না হলেই নয় সেইটুকু ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হন, তাই অনেক সময় দাবী সংক্রান্ত বিড়াম্বনায় পরেন। এতে বীমা কোম্পানীর সুনাম নষ্ট হয়, বীমা গ্রহীতা সত্যিকার অর্থেই ক্ষতিগ্রস্থ হন। বকেয়া প্রিমিয়াম নন-লাইফ বীমার অগ্রগতির পথে একটি বড় বাঁধা। এই সমস্যার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনা করে বীমা কভার নোট/পলিসি হাতে পাবার সাথে সাথে বীমা প্রিমিয়াম প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে ব্যাংকগুলোতে একটি সার্কুলার ইস্যুর চেষ্টা করেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি যা প্রিমিয়াম বকেয়া থাকার অন্যতম কারণ। বীমা পত্রের বিপরীতে প্রিমিয়াম জমা না হওয়া বীমা দাবী নিষ্পত্তির অন্যতম অন্তরায়। যা থেকে উত্তোরণের পন্থা বের করা জরুরী। কমিশন বাণিজ্যও একটি মারাত্মক রোগ। যা নন-লাইফ বীমা ব্যবসাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।

লাইফ এবং নন-লাইফ বীমার ব্যবসা নির্ভর করে সার্ভিসের উপর। দক্ষ ও নির্ভরশীল সেবা বীমা ব্যবসার মূলমন্ত্র। এই সেবা বীমা কর্মী বা এজেন্ট, কোম্পানী সরাসরি এবং ব্রোকারেজ কোম্পানী (যা আমাদের দেশে চালু হওয়ার প্রক্রিয়ায়), ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পরিকল্পনার কৌশল নির্ধারণে এদের সংপৃক্ততার কথা মাথায় রাখতে হবে।

লেখকঃ মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ

মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।




উন্নত-টেকসই নগর গড়তে সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা করা হচ্ছেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

ঢাকা মহানগরীকে একটি উন্নত ও টেকসই মহানগরী গড়ে তুলতে সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ রবিবার (৩১ জুলাই) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সিটিজ সামিট-২০২২ (World Cities Summit-2022) এর মেয়রস ফোরাম (Mayors Forum) এ অংশ নিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ তথ্য জানান।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকা মহানগরীর জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। ঢাকা শহরকে অধিকতর বাসযোগ্য করতে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর সাথে সমন্বয়পূর্বক মহাপরিকল্পনার আওতায় আমরা পরিবহন ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সুবিধা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ের সন্নিবেশ করছি। এর মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত নগরী গড়ে তোলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছি।”
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “বায়ুমণ্ডলে মাত্র •৫০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। ফলে বিগত কয়েক দশকে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা যেমন বেড়েছে তেমনি ঋতু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে স্বাভাবিক নাগরিক জীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে নগর ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জও বেড়েই চলেছে। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যথাযথ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে। এছাড়াও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা গত বছরের শেষভাগে বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে শৃঙ্খলিত বাস সেবা চালু করেছি। ধীরে ধীরে এই সেবা পুরো শহরে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণ গণপরিবহনে চলাচলে স্বস্তি খুঁজে পাবে বিধায় ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমতে শুরু হবে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমবে।”
৬ ঋতুর বাংলাদেশকে আজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর বলে মন্তব্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ফলে, ঋতু বৈচিত্র্যে বিপর্যয়ের পাশাপাশি নানাবিধ নাগরিক সমস্যার উদ্ভব ঘটছে। প্রলম্বিত হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। এতে করে তাপদহ বাড়ছে, সুপেয় পানির সরবরাহ কমছে। একইভাবে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও মাত্রায়ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সুস্পষ্ট হচ্ছে। গত বছর একনাগাড়ে ৪ মাস থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। যদিওবা আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টায় আমরা ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।”
৪ দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড সিটিজ সামিট-২০২২ সিঙ্গাপুরের মেরিনা স্যান্ডস্ বে হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রী ও সামাজিক সেবা সমন্বয়করণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী (Minister for National Development and Minister in charge of Social Services Integration, singapore) ডেসমণ্ড লি (Desmond Lee) আজ সকালে সামিটের উদ্বোধন করেন।
সামিটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ৬০ দেশের মেয়রগণ অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৩ জুলাই সামিটের পর্দা নামবে।
ঢাদসিক মেয়রের সাথে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান সামিটে অংশ নিচ্ছেন।



সুশাসন নিশ্চিত করলে ভোট চাইতে হবে না-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২২ইং, বৃহস্পতিবার।

নাগরিক সেবা নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে জনপ্রতিনিধিদের ভোটের জন্য ভোটারদের কাছে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার (ইএএলজি) প্রকল্প এবং ইউএনডিপি আয়োজিত স্থানীয় সুশাসন বিষয়ে অংশীজনদের সম্মেলন: অগ্রগতি, শিখন ও করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, সমাজে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের ভোট নয় বরং মানুষের জন্য কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করলে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না। জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদার জায়গায় যেতে হবে। না পারলে জোর করে টাইটেল লাগিয়ে শুধু পদবীর মর্যাদাই পাবেন। সম্মান আদায় করতে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মতো আনন্দের কিছু নেই।

এপ্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা থাকলে ও সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আপনাদের (জনপ্রতিনিধি) সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়ে যাবে। তারা আপনাদের কার্যক্রমে সুবিধা পেলে একসময় ভোটে তাদের কাছে ক্যাম্পেইন করতে যেতে হবে না। মানুষকে দু:শাসন ও অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তি দিতে না পারলে আপনাকে বার বার মানুষের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধিদের জনগণের নিকট থেকে কর আদায়ের পাশাপাশি পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জনগণের নিকট প্রকাশ এবং উন্মুক্ত বাজেট উপস্থাপন করতে হবে। এতে করে জনসাধারণ অবশ্যই কর প্রদানে উৎসাহী হবেন। জনগণকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদান করলে কর প্রদান না করার সুযোগ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের ইনকাম বৃদ্ধি করে উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখতে হবে।

উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিবত করতে ইএএলজি প্রকল্প প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে বলেও জানান তিনি ।

মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে যৌথভাবে কাজ করে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধির জায়গা নিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো একটি স্বাধীন বৈষম্যমুক্ত ও উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন ও গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস নাথালী শুয়ার্ড এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী।

এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মাঠ পর্যায়ে থেকে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং প্রকল্প কর্মকর্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।




ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে মাহবুবুর রহমান সেলিমের শোক প্রকাশ

ঢাকা, ২৩ জুলাই , ২০২২ইং, শনিবার।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ছেংগারচর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী, ঢাকা মহানগর উত্তর গুলশান থানা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান সেলিম ছেংগারচর পৌরসভার জনসাধারণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আজ এক শোকবার্তায় ছেংগারচর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ছেংগারচর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী শোক বার্তায় আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গাইবান্ধা-৫ আসন হতে সাত বারের সংসদ সদস্য
ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে দেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। দেশের জন্য তাঁর অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহী ওয়ানলিল্লাহ ইলাহি রাজিউন)।




মাতুয়াইলে বাস উল্টে আহত ১৯, আশঙ্কাজনক ৮

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মেডিকেলের সামনে বন্ধন পরিবহন নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেছে। এতে ১৯ জন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোর ৬টা দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢামেকের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

আহতরা হলেন- রাফি (৭), মো. জনি (৩৫), কামাল উদ্দিন (২৫), রফিক (৩৪), মুন্নি (২২), শাহনাজ পারভীন (৪৫), আব্দুর রাজ্জাক (৫৫), রাহাত (২০), রফিক (৩২), রুবেল (৩০), ওমর আলী (৩৫), মোসলেম (২৫), আব্দুস শুকুর (২৫), রওশন (২২), নাসিমা আক্তার (৫৫), কামরুল (৪২), আব্দুল মান্নান (৩০), সিদ্দিক (৫৩) ও মনির (৩৫)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।




জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মতলববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি  আলহাজ্ব  গাজী মুক্তার হোসেন  পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মতলববাসীকে  শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন ভোগে নয়; ত্যাগেই সুখ; ত্যাগেই রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মুসলিম জাহানের পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কোরবানীর মাধ্যমে সেই ত্যাগেই হোক আমাদের ঈদুল আযহার শপথ।

আমরা সবাই হিংসা-বিদ্বেস অহংকার ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে শামিল হবো এবং আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবো। আমাদের আশে-পাশে যারা অসহায় দরিদ্র আছেন আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাড়াই।

তিনি আরো বলেন, ঈদ সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ করে। যেহেতু এই ঈদের অন্য নাম হচ্ছে কুরবানির ঈদ। তাই তিনি সঠিক নিয়তে সঠিক পন্থায় কুরবানি করার জন্য সবার প্রতি আকুল আবেদন রেখে- আত্মীত স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, ফকির, মিসকিনদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান।

ঈদের আনন্দে পূর্ণ হোক বাংলার প্রতিটি ঘর। সবার জীবনে আসুক সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি। সবার জীবন মঙ্গলময় হোক।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

শুভেচ্ছান্তে-

জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি  আলহাজ্ব  গাজী মুক্তার হোসেন